Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025

    ওডিসি – হোমার

    October 13, 2025

    প্রেমের প্রান্তে পরাশর – প্রেমেন্দ্র মিত্র

    October 13, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    অ্যানিমেল ফার্ম – জর্জ অরওয়েল

    জর্জ অরওয়েল এক পাতা গল্প95 Mins Read0

    অ্যানিমেল ফার্ম – ৩

    তিন

    পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় শস্য কেটে জড়ো করতে ঘেমে নেয়ে উঠল জন্তুরা। তবে তাদের পরিশ্রম বৃথা গেল না, ফসলের পরিমাণ হলো আশাতীত। ফসল কাটতে খুব কষ্ট হলো। যন্ত্রপাতিগুলো মানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি, জন্তুদের জন্য নয়। সবচেয়ে বড় অসুবিধে হলো পেছনের দু’পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সামনের দু’পায়ে কাজ করা। কিন্তু শুয়োরেরা শিগগিরই বুদ্ধি খাটিয়ে একটা উপায় বের করে ফেলল। ঘোড়ারা আগেও খেতের কাজই করত; তাই তারাই এ কাজে বেশি দক্ষতার পরিচয় দিল। শুয়োরেরা আসলে কোন কাজ করে না, কেবল নির্দেশ দেয় আর দেখাশুনা করে, অবশ্য এটাই স্বাভাবিক, নেতৃত্ব দেয়া বুদ্ধিমানদেরই কাজ।

    শস্য কাটার জন্য বক্সার আর ক্লোভারের হার্নেসের সাথে কাস্তে বেঁধে দেয়া হলো। পেছনে পেছনে একটা শুয়োর চলল ‘হ্যাট’, ‘হ্যাট’ করতে করতে। জন্তুরা যথাসাধ্য পরিশ্রম করল শস্য কেটে ঘরে তুলতে। এমনকি হাঁস-মুরগিরাও চারদিকে ওড়াউড়ি করে মাটিতে পড়ে থাকা শস্য কণা ঠোঁটে করে জড়ো করল। ফসল তোলার কাজ তারা শেষ করল মি. জোনসের শ্রমিকদের চেয়ে দু’দিন আগেই। খামারে এবারের মত ফলন আর কখনও হয়নি। হাঁস-মুরগিদের তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে একদানা শস্যও নষ্ট হবার জো ছিল না। তাছাড়া আগের মত চুরি করে খাবার প্রবণতাও কোন জন্তুর মধ্যে দেখা যায়নি।

    পুরো গ্রীষ্মকাল জন্তুরা ঘড়ির কাঁটা ধরে কাজ করল। প্রতিটি শস্য কণা তাদের মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে আনল। এ সবই তাদের কষ্টের ফসল, শুধু তাদেরই জন্য। কোন প্রভুর করুণার দান নয়। অকর্মা, রক্তচোষা মানুষগুলো দূর হয়েছে, খাদ্যের আর কোন অভাব নেই। প্রচুর কাজ করেও হাতে অবসর থাকে। তবে ফসল গুদামজাত করতে গিয়ে তাদের নতুন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হলো।

    শস্যের খড়-কুটো পরিষ্কার করতে হচ্ছিল জোরে জোরে ফুঁ দিয়ে—কারণ, খামারে কোন মাড়াই করার যন্ত্র নেই। শুয়োরদের বুদ্ধি আর ঘোড়াদের পেশীর জোরে সবকিছু সামলে ওঠা গেল। বক্সার হয়ে দাঁড়াল জন্তুদের অনুপ্রেরণার উৎস আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করে সে। দেখে মনে হয় তিনটে ঘোড়ার শক্তি তার দেহে।

    সকাল-সন্ধ্যা একনাগাড়ে কাজ করে, খামারের সব কাজের দায়িত্ব যেন তার একার। একটা মুরগির বাচ্চাকে বলে রেখেছিল, সকাল হবার আধঘণ্টা আগে—তাকে জাগিয়ে দিতে। এই অতিরিক্ত সময়টাতে সে দিনের কাজগুলো এগিয়ে রাখত। কাজ শুরুর আগে মনে মনে বলত, আমি আরও বেশি পরিশ্রম করব। এটাকে সে ব্যক্তিগত নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

    নিজেদের সাধ্যমত পরিশ্রম করল সবাই। হাঁস-মুরগিরা ঠোঁটে করে প্রায় পাঁচ বুশেল* ঝরা শস্য জড়ো করল মাটি থেকে তুলে। কেউ চুরি করত না, বরাদ্দ রেশনের চেয়ে বেশি কেউ চাইত না। খাবার নিয়ে ঝগড়া, কামড়াকামড়ি, হিংসা আগের দিনগুলোতে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল—এখন আর কেউ ঝগড়া করে না। কেউ কাজে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে না, প্রায় কেউই না।

    [১ বুশেল= ৮ গ্যালন]

    কেবল মলি অন্যান্যদের মত অত ভোরে ঘুম থেকে জাগতে পারে না, আর কাজ থেকে ফিরেও আসে সবার আগে। জিজ্ঞেস করলে বলে, তার নাকি খুরের ভেতর পাথর ঢুকেছে। আর বেড়ালের আচরণও ছিল বেশ অদ্ভুত। কাজের ডাক পড়লে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু কাজ শেষে খাবার সময় হলেই তাকে আবার দেখা যেত। অনুপস্থিতির কারণগুলো এত চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করত যে, তার কাজ করার সদিচ্ছা সম্বন্ধে কারও মনে কোন সন্দেহ থাকত না। কেবল বুড়ো গাধা বেনজামিনের কোন পরিবর্তন হলো না।

    বিদ্রোহের আগে যেমন ছিল, বিদ্রোহের পরেও তেমনি রইল সে। আগেও যেমন ঢিমেতালে কাজ করত, এখনও তাই করে। স্বেচ্ছায় বা অতিরিক্ত কোন কাজ করে না। বিদ্রোহ বা তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে সে কোন মন্তব্য করত না। যদি কেউ তাকে বলে, ‘জোনস ভেগেছে তাই আমরা আগের চেয়ে অনেক সুখে আছি।’ সে কেবল বলত, ‘গাধারা বহু বছর বাঁচে, তোমরা কখনও কোন গাধার মৃত্যু দেখোনি।’ এই রহস্যময় জবাব শুনেই সবাইকে সন্তুষ্ট থাকতে হত।

    রোববার খামারের ছুটির দিন। সকালের খাবার দেয়া হত অন্যান্য দিনের চেয়ে এক ঘণ্টা পর। খাবার পর ছোটখাট একটা অনুষ্ঠান হয়। প্রথমে পতাকা উত্তোলন। সোবল মি. জোনসের ঘরে সবুজ রঙে একটা টেবিল ক্লথ পেয়েছিল, তাতে সাদা রঙের শিং আর খুর আঁকা। এই কাপড়টাই পতাকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সোবল ব্যাখ্যা দিয়েছিল, সবুজ রঙ ইংল্যাণ্ডের বিস্তৃত সবুজ খেতের প্রতীক আর সাদা শিং ও খুর হচ্ছে জন্তুদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের প্রতীক। এই রাষ্ট্র যেদিন প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন পৃথিবীতে মানুষের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। পতাকা উত্তোলনের পর জন্তুরা বার্নে জড়ো হয়, একে বলা হয় ‘সভা।’ তাতে পুরো সপ্তাহের কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় এবং কোন সিদ্ধান্ত নেবার থাকলে তা আলোচনা করা হয়।

    সিদ্ধান্ত সব সময় শুয়োরেরাই নিত। জন্তুরা শিখেছিল কি করে ভোট দিতে হয়। কিন্তু তারা নিজেরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। স্নোবল ও নেপোলিয়নের সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। তবে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, এরা দু’জন কোন বিষয়েই কখনও একমত হতে পারে না।

    সব সময় একে অপরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সভা শেষে জন্তুরা যখন পেছনের বাগানে বসে বিশ্রাম নিত, দেখা যেত তখনও দু’জনে তর্ক করেই চলেছে। সভা শেষ হত ‘বিস্টস অভ ইংল্যাণ্ড’ দিয়ে। রোববার পুরো বিকেলটা জন্তুদের ছুটি।

    .

    শুয়োরেরা ঘোড়ার সাজঘরের পাশের ঘরটা নিজেদের অফিস বানাল। প্রতিদিন বিকেল বেলা ফার্ম হাউস থেকে আনা বিভিন্ন বই দেখে তারা কাজ শেখে।

    স্নোবল ব্যস্ত হয়ে পড়ল জন্তুদের নিয়ে ‘জন্তু সমিতি’ গঠনের কাজে। এ কাজে তার কোন ক্লান্তি নেই। মুরগিদের জন্য প্রতিষ্ঠা করল সে ‘ডিম উৎপাদক সমিতি।’ গরুদের জন্য ‘পরিচ্ছন্ন লেজ লীগ’, ‘বন্য বন্ধুদের জন্য শিক্ষা প্রকল্প’ (এই প্রকল্পের কাজ হলো বুনো ইঁদুর ও খরগোশদের পোষ মানানো) ভেড়াদের জন্য ‘সাদা উল প্রকল্প’ এই রকম আরও বহু কিছু। বলাই বাহুল্য, কোন প্রকল্পই বেশি দিন টিকল না।

    ‘বন্য বন্ধুদের জন্য শিক্ষা প্রকল্প’ ভাঙল সবার আগে। বন্য প্রাণীদের আচরণ আগের মতই বৈরি রইল। করুণা বা দয়া দেখানো হলে সে সুযোগে তারা জন্তুদের ক্ষতি করতে ছাড়ত না। বেড়াল এই শিক্ষা প্রকল্পে কিছুদিন উৎসাহ সহকারে কাজ করল। শিগগিরই দেখা গেল, সে ছাদের ওপর তার নাগালের বাইরে বসে থাকা চড়ুই পাখিদের সঙ্গে গল্প করছে

    সে চড়ুইদের বলছে, এখন সব প্রাণীই একে অপরের বন্ধু, চড়ুইরা ইচ্ছে করলেই তার থাবায় এসে বসতে পারে। কিন্তু চড়ুইরা দূরে দূরেই রইল। কেবল জন্তুদের লেখা পড়ার ব্যাপারটা কিছুটা সাফল্যের মুখ দেখল। শরৎকালের মধ্যেই সবাই কিছু কিছু পড়তে শিখল। শুয়োরেরা ইতিমধ্যে চমৎকার পড়তে শিখেছে। কুকুরগুলো ভালই পড়তে শিখেছে, কিন্তু জন্তু মতবাদের সাতটি নীতিমালা ছাড়া অন্য কিছু শেখায় তাদের কোন আগ্রহ নেই। ছাগল মুরিয়েল কুকুরের চেয়ে ভাল পড়তে শিখেছে। ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া পুরানো কাগজগুলো সে পড়তে চেষ্টা করে।

    বেনজামিন শুয়োরদের মতই চমৎকার পড়তে শিখেছে, কিন্তু সে ভারি আলসে। তার মতে লেখাপড়ার কোন মূল্য নেই, ক্লোভার বর্ণমালার সব ক’টা মুখস্থ করেছে কিন্তু শব্দ গঠন করতে শেখেনি। বক্সার এ বি সি ডি ছাড়া আর কিছু শিখে উঠতে পারল না, সে ধুলোর ওপর খুর দিয়ে লিখত এ বি সি ডি— তারপর কান নেড়ে এর পরের অক্ষরগুলো ভেবে মনে করার চেষ্টা করত। বেশ কয়েকবারই সে ই এফ জি এইচ শিখেছে। কিন্তু শেখার পর দেখা যেত প্রথম চারটে অক্ষর আর মনে নেই।

    তাই সে কেবল প্রথম চারটে অক্ষরই মনে রাখার সিদ্ধান্ত নিল। রোজ ধুলোর ওপর লিখে লিখে সে এই চারটি অক্ষর মনে রাখার চেষ্টা করত। মলি তার নাম বানান করতে যে ক’টা অক্ষর লাগে, তার বেশি কিছু শিখতে চাইল না। সে গাছের পাতায় নিজের নাম লিখে ফুল দিয়ে সাজাত আর মুগ্ধ হয়ে ঘুরে ফিরে দেখত।

    খামারের বাকি জন্তুরা ‘এ’-র বেশি শিখে উঠতে পারল না। দেখা গেল বোকা জন্তুরা, যেমন হাঁস, মুরগি, ভেড়া এরা এমনকি নীতি সাতটিও মুখস্থ রাখতে পারছে না। অনেক ভাবনার পর স্নোবল ঘোষণা করল, মনে রাখার সুবিধার্থে সাতটি নীতিকে একবাক্যে পরিণত করা হবে। সেটা হলো, ‘দু’পাওয়ালারা শত্রু, চার পাওয়ালারা বন্ধু।’

    সে জানাল, ‘এটাই হচ্ছে “জন্তু মতবাদের” সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এটা যে মনে প্রাণে বিশ্বাস করবে, সে কখনও মানুষের ফাঁদে পা দেবে না।’ পাখিরা এই নীতিতে আপত্তি জানাল, তাদেরও তো কেবল দু’পা। কিন্তু স্নোবল ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করল, ‘পাখিদের পাখা চলাচলের অঙ্গ, কাজ করার অঙ্গ নয়। সুতরাং, পাখাকে পা বলে ধরা যেতে পারে। মানুষের বিশিষ্ট অঙ্গ হচ্ছে হাত, হাত দিয়েই, সে যাবতীয় অপকর্ম করে।’

    পাখিরা স্নোবলের লম্বা-চওড়া কথা বুঝল না, তবে বিনা বাক্য ব্যয়ে তার ব্যাখ্যা মেনে নিল। চারপাওয়ালারা বন্ধু, দুইপাওয়ালারা শত্রু, এই কথাটি বার্নের দেয়ালের গায়ে সাতটি নীতির ওপরে বড় বড় অক্ষরে লিখে দেয়া হলো। মুখস্থ হবার পর এই নীতিবাক্যের ওপর ভেড়াদের গভীর অনুরাগ জন্মে গেল। যখন তখন ভ্যাঁ, ভ্যাঁ করে তারা বলে উঠত, ‘চারপাওয়ালারা বন্ধু, দুইপাওয়ালারা শত্রু।’ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা একই কথা আওড়াত, কখনও ক্লান্ত হত না।

    স্নোবলের সমিতি আর প্রকল্প নিয়ে নেপোলিয়নের কোন মাথা ব্যথা নেই। তারমতে বড়দের নিয়ে কোন প্রকল্প করার চেয়ে বাচ্চাদের শিক্ষিত করে তোলাই বেশি জরুরী। ফসল ঘরে তোলার কিছুদিন পর জেসী আর ব্লুবেল, দুই কুকুর নয়টা সবল বাচ্চার জন্ম দিল। যেদিন বাচ্চাগুলো মায়ের দুধ ছাড়ল সেদিনই নেপোলিয়ন তাদের মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিল। বলল, সে তাদের শিক্ষিত করে তুলবে।

    বাচ্চাগুলোকে রাখা হলো চিলেকোঠায়, সেখানে কেবল মই দিয়ে ওঠা যায়। বাচ্চাগুলোর কাছে নেপোলিয়ন কাউকে যেতে দিত না, ফলে অল্পদিনের মধ্যেই সবাই বাচ্চাগুলোর কথা ভুলে গেল। গরুর দুধ রোজ গায়েব হবার রহস্য শিগগিরই বোঝা গেল। দুধ প্রতিদিন শুয়োরের খাবারের সঙ্গে মেশানো হত।

    তখন আপেলের মৌসুম। জোর বাতাসে পাকা আপেল ঝরে পড়ছে। জন্তুদের ধারণা ছিল, আপেলগুলো সবার মাঝে সমান ভাগে ভাগ করা হবে। কিন্তু হুকুম হলো, আপেল শুধুমাত্র শুয়োরদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কেউ কেউ এই প্রস্তাবে মৃদু আপত্তি তুলল। কিন্তু তাতে কোন কাজ হলো না।

    এই সিদ্ধান্তে সব শুয়োরই একমত, এমনকি স্নোবল আর নেপোলিয়নও। স্কুয়েলারের ওপর দায়িত্ব দেয়া হলো, ব্যাপারটা জন্তুদের ভাল করে বুঝিয়ে দেবার। ‘বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই শুয়োরদের স্বার্থপর ভাবছ, না?’ ব্যাখ্যা করল স্কুয়েলার। ‘আসলে আমাদের অনেকেই দুধ ও আপেল অপছন্দ করে, আমি নিজেও আপেল পছন্দ করি না। কিন্তু এসব আমাদের খাওয়া প্রয়োজন।

    ‘আপেল ও দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই শুয়োরদের জন্য এসব খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ, পুরো খামারের ব্যবস্থাপনা ও সাংগঠনিক দায়িত্ব আমাদের ওপরই ন্যস্ত। দিনরাত আমরা তোমাদের কল্যাণের কথা ভাবছি। কেবল তোমাদের কথা ভেবেই আমরা আপেল আর দুধ খাই। আমরা যদি আমাদের কর্তব্য ঠিক মত পালন করতে না পরি, তাহলে কি ঘটবে, জানো? জোনস আবার ফিরে আসবে! হ্যাঁ, সে আবার ফিরে আসবে। বন্ধুরা।’ আবেগে আপ্লুত হয়ে লেজে দোল দিয়ে বলে চলল স্কুয়েলার, ‘তোমরা কি চাও যে, জোনস আবার ফিরে আসুক?’

    জন্তুরা কিছু বুঝুক আর নাই বুঝুক, একটা কথা খুব ভাল বোঝে যে তারা আর জোনসকে চায় না। স্কুয়েলারের বক্তব্য জন্তুদের চোখ খুলে দিল। তাদের আর কিছু বলার রইল না। শুয়োরদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার তাৎপর্য এখন তাদের কাছে দিবালোকের মতই স্পষ্ট। সবাই এখন একমত যে, দুধ আর আপেল কেবলমাত্র শুয়োরদেরই প্রাপ্য।

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Article১৯৮৪ (নাইন্টিন এইটি-ফোর) – জর্জ অরওয়েল
    Next Article শ্যামাঙ্গীর ঈশ্বর সন্ধান – জর্জ বার্নাড শ

    Related Articles

    জর্জ অরওয়েল

    ১৯৮৪ (নাইন্টিন এইটি-ফোর) – জর্জ অরওয়েল

    August 11, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025
    Our Picks

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025

    ওডিসি – হোমার

    October 13, 2025

    প্রেমের প্রান্তে পরাশর – প্রেমেন্দ্র মিত্র

    October 13, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    • Sign Up
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }