Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • 🔖
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    Subscribe
    সাইন ইন
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    আঁধার আখ্যান – কৌশিক মজুমদার

    কৌশিক মজুমদার এক পাতা গল্প186 Mins Read0

    নির্জন স্বাক্ষর

    “তাহলে তো সব রহস্যই আপনি সমাধান করেছিলেন?”

    “প্রায় সব। একটা বাদে। সেই নাট্য পরিচালক খুন। ওই একটিই অসম্ভব খুন দেখেছি লাইফে । অনেক ভেবেছি, রাতের পর রাত। খুনের কিনারা করতে পারিনি। আমার চাকরিজীবনের একমাত্র কালো দাগ। অমন হাই প্রোফাইল খুন সলভ করতে না পারার জন্য আমাকে দার্জিলিং বদলি করে দেওয়া হয়, জানো?

    “আমি খুব অল্প শুনেছি কেসটার ব্যাপারে। আপনি যদি একটু খুলে বলেন…”

    এক রবিবার সকালে কথা হচ্ছিল সুকল্যাণ মিত্রের সঙ্গে তুর্বসুর। তুর্বসু রায় পেশায় প্রাইভেট ডিটেকটিভ। সবে কাজ শুরু করেছে। ওঁর ঠাকুরদার বাবা তারিণীচরণ ছিলেন কলকাতার প্রথম বাঙালি প্রাইভেট ডিটেকটিভ। রে প্রাইভেট আই অ্যান্ড কোং নামে ক্লাইভ স্ট্রিটে অফিস খুলেছিলেন তিনি। এত বছর বাদে তুর্বসু সেই অফিসটাই সারিয়ে-টারিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে। সুকল্যাণ মিত্র পুলিশের আই.জি পদে ছিলেন। চন্দননগরে একটা খুনের ব্যাপারে বাজেভাবে ফেঁসে গেছিল তুর্বসু। সুকল্যাণ না থাকলে তুর্বসু মারাও যেতে পারত। সেই থেকেই দুজনের আলাপ। কিছুদিন হল সুকল্যাণ রিটায়ার করেছেন। তুর্বসু সুযোগ পেলেই তাঁর কাছে চলে আসে। উনি বিপত্নীক। ছেলে বিদেশে। ছেলের বয়সি তুর্বসুকে বেশ স্নেহের চোখেই দেখেন। নিজের চাকরিজীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

    “আসলে কেসটার কথা যত ভাবি, তত কেমন একটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। অনেকবার অনেকভাবে ভেবেছি। কিন্তু এ যেন ম্যাজিক! তোমরা যাকে লকড রুম মিস্ট্রি বলো, ঠিক তাই। এখনও ভাবলে তাজ্জব লাগে…”

    “আপনি শুরু থেকে বলুন।”

    “খুনের মামলা তো, ও কোনও দিন তামাদি হয় না। তাই কিছু নাম ঠিকানা একটু গোপন রেখে বলছি। কিছু মনে কোরো না।”

    “সে ঠিক আছে। আপনি বলুন।”

    “নয়ের দশকের মাঝামাঝি হবে। আমি তখন লালবাজারে পোস্টিং। কদিন ধরেই খবর পেয়েছিলাম, কলকাতায় নাটক দেখাতে আসছেন বিখ্যাত নাট্যকার রঘুনাথ শর্মা। তখন তাঁর মতো সেলিব্রিটি পরিচালক আর দুটো নেই। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার সদস্য, সারা বছর এ দেশ ও দেশ লেকচার দিয়ে বেড়ান, তাঁর এক-একটা নাটক নিয়ে পত্রপত্রিকায় গোটা পাতা জুড়ে রিভিউ ছাপা হয়, সে এক হইহই ব্যাপার আর কি! রঘু শর্মা তাঁর নতুন নাটক “তিতুমীর” নিয়ে আসছেন কলকাতায়। কলকাতার নানা মঞ্চে পনেরো দিন ধরে নাটকটা হবে। তারপর তিনি দমদম থেকেই রওনা দেবেন শিকাগোতে, কী এক লেকচার দিতে। যেহেতু সরকার থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাই আমরা সবাই সতর্ক ছিলাম, তাঁদের কোনও অসুবিধা যাতে না হয়। গোটা দলকে রাখা হয়েছিল কলকাতার তখনকার সেরা হোটেলে। অ্যাকাডেমিতে প্রথম অভিনয় হল। ভিড় উপচে পড়েছিল। পরের দিন সকালবেলায় নটা নাগাদ অফিসে ঢুকতে যাব, এমন সময় খবরটা পেলাম। রঘুনাথ শর্মা একটু আগেই হোটেলে খুন হয়েছেন।”

    “সেদিন সকালেই?”

    “হ্যাঁ, আর সেই কেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে! কী কুক্ষণে যে কেসটা হাতে নিয়েছিলাম!”

    “যাই হোক, তারপর?”

    “রাস্তায় যেতে যেতে কেস ফাইলে চোখ বোলালাম। পনেরো মিনিট আগে লালবাজারে হোটেল থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে। যিনি জানিয়েছেন তাঁর নাম সুধীর বসু। মজার ব্যাপার, শুধু নামই না, তিনি নিজের পেশাও জানিয়েছেন। প্রাইভেট ডিটেকটিভ, এই অনেকটা তোমার মতো। কিন্তু তিনি ওখানে কী করছিলেন? ভাবতে ভাবতে হোটেলে পৌঁছে দেখি সবার মুখে কেমন ভয় ভয় ভাব। একজনকে জিজ্ঞেস করলাম রিসেপশনটা কোথায়? কোনওক্রমে আঙুল দিয়ে দেখাল। রিসেপশনে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে ছিল। কিন্তু চোখে মুখে আতঙ্ক। আমাকে দেখে একটু যেন আশ্বস্ত হল। আমি কিছু বলার আগেই সোজা সামনে দেখিয়ে দিল। আর তখনই আমি দেখতে পেলাম।”

    “কী দেখলেন?”

    “হোটেলে গ্রাউন্ড ফ্লোরের লাউঞ্জে তিনটে লিফট আছে। দুটো বন্ধ। আর একটা হাঁ করে খোলা। যেটা খোলা সেটায় কিছু একটা মাটিতে পড়ে আছে। প্রথমে ভাবলাম সাদা পুঁটুলি জাতীয় কিছু। পরে দেখলাম একটা মানুষ। উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তার পিঠ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দুই হাত দুইদিকে ছড়ানো। অসহায় ভাবে লিফটের মধ্যে খুন হয়ে পড়ে আছেন বিশ্ববরেণ্য পরিচালক রঘুনাথ শর্মা। সামনে গিয়ে দেখলাম ডান হাতের কাঁধের কাছেও রক্তের দাগ। কিন্তু যে অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেটার কোনও চিহ্ন নেই। আজ অবধি পাওয়া যায়নি।”

    “জেরা করে কী জানা গেল?”

    “যা জানা গেল, তাতেই তো মাথা ঘুরে গেল হে! রঘুনাথ শর্মা বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকতেন। দেশে থাকলেও দিল্লির আনন্দ বিহারের বাড়িতে। কিন্তু ওঁর স্ত্রী মধুরা বাঙালি। তিনি আবার ভালো অভিনেত্রীও বটে। রঘুর সব নাটকে লিড রোলে থাকেন। মধুরা ইদানীং বাংলা ছবিতে ট্রাই নিচ্ছিলেন। সেটা মন্দ না। মধুরার তখন বয়স অল্প, দেখতে শুনতে ভালো…”

    “কিন্তু যা জানি রঘুনাথ শর্মা তো প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সি ছিলেন।”

    “ঠিকই জানো। বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা! বুড়ো বয়সে নিজের ছাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন। যাই হোক, যেটা বলছিলাম, কলকাতায় আসার পর গোটা নাটকের দলকে সরকার থেকে কলকাতার সেরা ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা হল। খুনের দিন রঘুনাথ বেশ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এই সাতটা নাগাদ। মধুরাও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। তাঁকেও তিনি জাগিয়ে দেন। বলেন আটটায় তাঁকে একবার তৈরি হয়ে নিচে যেতে হবে। মধুরা জিজ্ঞাসা করেন, কী এমন দরকার, যার জন্য দশটায় ওঠা মানুষ সাতটায় উঠে পড়ল। রঘু নাকি জবাব দেন, একজন নিচে দেখা করতে আসবে। কে সে প্রশ্ন করাতে অদ্ভুত জবাব দেন। বলেন, এ হল সেই লোক যার কাছে সেই উত্তরটা আছে, যেটা রঘু অনেকদিন হল খুঁজছেন।”

    “এর মানে কী?”

    “প্রথমে আমিও বুঝিনি। পরে বুঝেছিলাম। বলছি ধীরেসুস্থে। শুনে যাও। এই জায়গাটা খুব ইম্পরট্যান্ট। ঠিক আটটায় সাদা ফুলহাতা জামা আর সাদা প্যান্ট পরে রঘুনাথ ঘর থেকে বেশ তাড়াহুড়ো করেই বেরোলেন। তাঁদের ঘর ছয়তলায়। লিফটের কাছে গিয়েই তাঁর মনে পড়ল তিনি তাড়াহুড়োতে হাতঘড়ি ঘরে ফেলে এসেছেন। দরজার সামনে গিয়ে তিনি স্ত্রীকে ডাকলেন। স্ত্রী ঘড়ি নিয়ে বেরিয়ে এসে তাঁকে লিফট অবধি এগিয়ে দিলেন। রঘুনাথ লিফটে ঢুকেই সোজা নিচে নামার বোতামটা টিপলেন, যাতে লিফট মাঝে আর কোথাও দাঁড়াবে না। এমনকি সওয়ারি চাইলেও না। তখন বাজে ঠিক আটটা তিন।”

    “দাঁড়ান, দাঁড়ান। দুটো প্রশ্ন। এক, সময়টা এত নির্ভুল জানা গেল কীভাবে? আর দুই, এটা তো মধুরার ভার্সান। মিথ্যেও তো হতে পারে!”

    “দুটোর জবাবই দিচ্ছি। রঘুকে মধুরা ঘড়ি দেবার সময় রঘু জিজ্ঞেস করেন, দ্যাখো তো ঘড়ি চলছে কি না, তখনই মধুরা সময়টা দেখেন। রঘু চাবি দেওয়া টিসট হাতঘড়ি ব্যবহার করতেন, আর মাঝে মাঝেই চাবি দিতে ভুলে যেতেন, তাই প্রশ্নটা অস্বাভাবিক না। আর দ্বিতীয়টার সাক্ষী আছে। হোটেলের এক সাফাইকর্মী লিফটের ভিতর সাফ করছিল। সে বেরোতেই রঘু ঢুকে সোজা গ্রাউন্ড ফ্লোরের বোতাম টেপেন।”

    “কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রঘুনাথ?”

    “হ্যাঁ, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সেই প্রাইভেট ডিটেকটিভের সঙ্গে। যিনি নিজে হোটেল থেকে পুলিশে ফোন করেন।”

    “সুধীর বসু?”

    “হ্যাঁ, সেই সুধীর বসু। মাস ছয়েক আগে রঘুনাথ নাকি একবার কাউকে না জানিয়ে কলকাতায় আসেন। তখনই তিনি সুধীরবাবুকে অ্যাপয়েন্ট করেন মধুরাকে ফলো করার জন্য। তাঁর ধারণা ছিল মধুরা তাঁরই দলের লিড অ্যাক্টর প্রিয়াংশু সিনহার সঙ্গে তুমুল প্রেম চালাচ্ছেন। দুজনেই বাঙালি। প্রিয়াংশুও টলিউডে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই সন্দেহ অমূলক নয়। আর মধুরাও একেবারে সতী টাইপের মেয়ে না। পুরুষ দেখলেই ওঁর ছোঁকছোঁক বাড়ত।”

    “সুধীর বসু সেই তদন্ত চালান?”

    “হ্যাঁ, কিন্তু তদন্তের ফল রঘুকে জানাতে পারেননি। জানানোর কথা ছিল সেদিন। সাক্ষাতে। আগের দিন বিকালে দল নিয়ে নাটকে যাবার আগে হোটেলের ফোন থেকে রঘু মিনিট দু-এক সুধীরবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। সুধীরবাবু পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সেই ফোনে রঘুনাথ ঠিক আটটায় সুধীরবাবুকে গ্রাউন্ড ফ্লোরের লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে বলেন। এক মিনিট আগেও না। এক মিনিট পরেও না। শুধু তাই না, এটাও বলেন, এর অন্যথা করলে সুধীরবাবু একটা পয়সাও পাবেন না।”

    “ওঁর অদ্ভুত লাগেনি? এরকম নির্দেশ?”

    “অবশ্যই লেগেছিল। কিন্তু উনি ছাপোষা গোয়েন্দা। খদ্দেরও খুব বেশি নেই, টাকার দরকার। উনিও কথা না বাড়িয়ে মেনে নেন। ওদিন হোটেলের সামনে সাতটা পঞ্চাশ নাগাদ পৌঁছে গেছিলেন। কিন্তু দশ মিনিট অপেক্ষা করে ঠিক আটটায় লাউঞ্জে এসে বসেন। আর বসার মিনিট চারেকের মধ্যে লিফট নেমে আসে। সঙ্গে রঘুর মৃতদেহ।”

    “আটটা তিনে রঘু ছয়তলায় লিফটে চাপেন। আটটা চারে লিফট নিচে নেমে আসে। এতক্ষণ লাগল ছয়তলা থেকে নামতে?”

    “খুব ভালো প্রশ্ন করেছ। আসলে রঘু শুরু থেকেই দাবি করেছিলেন তাঁদের নাটকের মালপত্র ইত্যাদি নেবার জন্য আর তাঁর দলের লোকদের ওঠা নামার জন্য একটা লিফট ছেড়ে দিতে হবে। তাতে অন্য কেউ গেলে হবে না। যেহেতু সেলিব্রিটি মানুষ, হোটেল মেনে নেয়। তবে তাদের মালপত্র বা গুডস লিফটের একটা বেশ আস্তে নামে। সেটাই রঘুর দলকে দিয়েছিল ওরা। আমি নিজে চড়ে দেখেছি। পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড লাগে।”

    “মানে হাতে রইল পনেরো সেকেন্ড।”

    “তাও রইল কি না সন্দেহ। কারণ রঘুর ঘড়ি আর সুধীরবাবুর ঘড়িতে পনেরো সেকেন্ডের তফাত হতেই পারে। সবচেয়ে বড়ো কথা লিফটে ঢুকে রঘু সোজা নিচে যাবার বোতাম টিপেছিল। ও নিজে চাইলেও নিচে নামার আগে লিফট থামাতে পারত না। লিফটের ভিতরে কেউ ছিল না, সেটা মধুরা, সেই সাফাইকর্মী আর সুধীরবাবু সবাই বলেছেন।”

    “অন্য ফ্লোরের কেউ বাইরে থেকে বোতাম টিপে থামাতে…”

    “প্রশ্নই ওঠে না, ওভাবে করা যায় না ডাইরেক্ট বোতামে।”

    “আচ্ছা যদি কেউ আগে থেকেই লিফটের ওপরে উঠে বসে থাকে? লিফট চলা শুরু হতেই নেমে এল। খুন করল। তারপর আবার উপরে চড়ে বসল। তাহলে তো যে কেউ ভাববে লিফট খালি…”

    “তুর্বসু, এটা আমার মাথায় আসেনি ভেবেছ? আমি প্রথমেই সেটা ভেবেছিলাম। কিন্তু সে গুড়ে বালি। লিফটের কামরার ওপরে একটা জালি লাগানো আছে বটে, কিন্তু সেটা শত চেষ্টাতেও ওপর থেকে খোলা যাবে না। খুলতে হলে ভিতর থেকে খুলতে হবে। আমি তাও চেক করেছি। স্ক্রুতে জং পড়ে গেছে। বহু বছর কেউ ওতে হাত দেয়নি।”

    “রঘুর দেহে কোথায় কোথায় ক্ষত ছিল?”

    “ডান হাতে দুটো ক্ষত। তবে ডিপ না। মেজরটা ছিল পিঠে। একটা ছুরি বা ভোজালি সোজা কেউ পিঠে গেঁথে দিয়েছিল। গোটা জামাকাপড় লন্ডভন্ড। যেন কারও সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে।

    “আর ছুরিটা?”

    “সবার ঘর সার্চ করেও সেটা পাওয়া যায়নি।”

    “সবার মানে?”

    “মধুরা, প্রিয়াংশু আর নাটকের যারা সেসময় হোটেলেই ছিল, তাদের।”

    “সবাই একই ফ্লোরে ছিল?”

    “না। টপ ফ্লোরে রঘু আর মধুরা, তার ঠিক নিচের ফ্লোরে প্রিয়াংশু আর সেকেন্ড ফ্লোরে বাকিরা সবাই।”

    “প্রিয়াংশু আলাদা কেন?”

    “ওভাবেই বুকিং হয়েছিল। এতে ওর কোনও হাত নেই।”

    “ওর জবানবন্দি নিয়েছিলেন?”

    “অবশ্যই। ও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। আমরা গিয়ে ওর ঘুম ভাঙাই।”

    “ও-ই তো মধুরার সঙ্গে প্রেম করত?”

    “এখানে একটা প্যাঁচ আছে। সেটাই তোমাকে বলা হয়নি। সুধীরবাবু মধুরাকে আর প্রিয়াংশুকে ফলো করে নিশ্চিত হন ওঁদের মধ্যে প্রেম কেন, বন্ধুতা ছাড়া কিছুই নেই। বরং মধুরা অন্য একজনের প্রেমে হাবুডুবু। কলকাতায় সে এলে দুজনে এক হোটেলে রাত কাটায়।”

    “কে সে?”

    “রঘুনাথের ম্যানেজার সূরজ প্রতাপ সিং, পাঞ্জাবি ছেলে।”

    “বলেন কী? সাসপেক্ট তো তাহলে পরিষ্কার। সূরজকে জেরা করলেন?”

    “নাহ।” মাথা নেড়ে বললেন সুকল্যাণ মিত্র।

    “কেন?”

    “কারণ সূরজ তখন কলকাতাতেই ছিল না। ইন ফ্যাক্ট দেশেই না। রঘুই ওকে শিকাগোতে পাঠিয়েছিলেন ওখানকার ব্যবস্থাপাতি দেখাশোনা করতে। রঘু গেলে ও চলে আসত।”

    “মানে সূরজ তো সন্দেহের বাইরে চলে গেল, যদি না ও কাউকে দিয়ে করায়।”

    “তুমি বুঝতে পারছ না তুর্বসু, প্রশ্নটা কে না, প্রশ্নটা কীভাবে? চলন্ত লিফটে এক মিনিটের কম সময়ে আততায়ী ঢুকল কেমন করে, আর বেরিয়েই বা গেল কী ভাবে? আর সেই রিভলভার? সেটাও কী করে রঘুর পকেটে এল?”

    “কোন রিভলভার?”

    “এ বাবা! এত কথা হল, আর ওটার কথা বলিনি! ওটা একটা পুরোনো কোল্ট ০.৩২। এককালে নাকি রঘুরই ছিল। মধুরা বিয়ের শুরু শুরুতে দেখেছিল। তারপর মাস ছয়েক আগে কোনওভাবে ওটা হারিয়ে যায়। মৃত রঘুর পকেটে যখন ওটা পাওয়া যায় তখন কিন্তু একেবারে চকচক করছে। সাইলেন্সার লাগানো। সবকটা বুলেট ভরা।”

    “ওটাই যে হারানো বন্দুক কী করে নিশ্চিত হলেন?”

    “বাঁটে রঘুর নাম খোদাই করা ছিল। দলের অনেকেও চিনেছে ওটা।”

    “হারানোর পর রঘু এফআইআর করেননি?”

    “নাহ। অন্তত সেরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।”

    “হুম। একটাই প্রশ্ন। নাটকের প্রপস, মানে যেখানে সব সাজসরঞ্জাম রাখে সেই রুমটা কোন তলায় ছিল? আর তার চাবি কার কাছে ছিল?”

    “পাঁচতলায়। লিফটের উলটো দিকে প্রিয়াংশুর রুম, তার পাশেরটাই প্রপস রুম। চাবি দুটো ছিল। একটা রঘুর কাছে, একটা প্রিয়াংশুর কাছে, যেহেতু ও ওই ফ্লোরেই ছিল।”

    “বুঝলাম। আর একটা কথা, ওই দুটো রুমের পরে কি কোনও টার্ন বা বাঁক ছিল?”

    “আশ্চর্য! তুমি জানলে কীভাবে? ওই দুটো ঘর বাকি লবি থেকে একেবারে আলাদা ছিল। লবির শেষের একটা বাঁক, তারপর ওই দুটো ঘর।”

    “তার মানে লবিতে লোক চলাচল করলেও ওই দুটো ঘরকে দেখা যাবে না, ঠিক কি না?

    “একেবারে ঠিক।”

    “যাক, এতক্ষণে ধোঁয়াশা কাটল।”

    “তাই নাকি? কী বুঝলে বলো দেখি? বুঝলে খুনি কে?”

    “বোধহয় বুঝতে পেরেছি।”

    এবার সত্যি সত্যি চমকে উঠলেন রিটায়ার্ড আইজি সুকল্যাণ মিত্র। ব্যঙ্গের হাসি হেসে বললেন,

    “তাই নাকি? খুনি কে? নাকি কারা?”

    “খুনি একজনই। রঘুনাথ শর্মা।”

    ঘরে পিন পড়লেও বুঝি শব্দ শোনা যায়। খানিকক্ষণ দুজনেই চুপ। তারপর প্রায় চেঁচিয়ে উঠলেন সুকল্যাণ, “তুমি কি ফাজলামো মারছ নাকি হে? এত কথা শোনালাম তোমার ইয়ার্কির জন্য?”

    তুর্বসু খুব বিনীতভাবে বলল, “মাপ করবেন। রেগে যাবেন না। এত বছর বাদে সেভাবে কিছু প্রমাণ করা মুশকিল। কিন্তু আপনি যাকে অসম্ভব খুন বলছেন, আমার কাছে তার ব্যাখ্যা আছে। রঘু তাঁর হারানো বন্দুকের এফআইআর কেন করলেন না? সে বন্দুক তাঁর পকেটে এল কীভাবে? চলন্ত লিফটে কীভাবে তাঁর দেহ পাওয়া গেল? কেনই বা তিনি সুধীরবাবুকে ঠিক আটটায় আসতে বলেছিলেন, আগেও না পরেও না, সব কিছুর। একমাত্র একটা গল্পেই এই সবকটা পাজল মিলে যায়। একেবারে খাপে খাপ, পঞ্চুর বাপ।”

    “কীভাবে, বলো শুনি।”

    “অনেকদিন ধরেই মধুরা আর প্রিয়াংশুর বন্ধুতা দেখে রঘুর চোখ টাটাচ্ছিল। ওঁরাও হয়তো একটু বেশিই স্বাধীনভাবে মিশতেন, কারণ ওঁরা জানতেন ওঁরা কোনও পাপ করছেন না। মধুরার প্রেমের কিছু প্রমাণ হয়তো রঘু পেয়েছিলেন, কিন্তু উনি তো আগে থেকেই প্রিয়াংশুকে অপরাধী বানিয়ে বসে আছেন। সূরজের কথা তাঁর মাথাতেই এল না। একসময় তিনি ঠিক করলেন প্রিয়াংশু বাঁচার অধিকার হারিয়েছে। ওকে খুন করতে হবে। কীভাবে? গুলি করে। তাই প্রথমেই প্রচার করে দিলেন তাঁর বন্দুক খোয়া গেছে। কিন্তু তার জন্যে যে এফআইআর করতে হয়, সেটা করলেন না। তাহলে তো সব ধরা পড়ে যাবে! এবার তাঁর দরকার ছিল একজন সাক্ষী। যে তাঁর হয়ে পুলিশকে সাক্ষ্য দেবে। আর পুলিশও তার কথা বিশ্বাস করবে। তিনি সুধীরবাবুকে অ্যাপয়েন্ট করলেন। মনে রাখবেন, রঘু আগেই নিশ্চিত ছিলেন মধুরা প্রিয়াংশুর সঙ্গেই প্রেম করছেন। তাই এই তদন্ত নেহাত ধোঁকার টাটি ছাড়া কিছু না। আগেই উত্তর জেনে এক্সপেরিমেন্ট করার মতো। শুধু বুঝতে পারেননি, এক্ষেত্রে ওঁর ভাবনাটা ভুল। যাই হোক, উনি খুনের প্লট সাজালেন। যাকে বলে পারফেক্ট মার্ডার। আর সেইজন্যেই ঠিক আটটার সময় সুধীরবাবুকে লাউঞ্জে আসতে বললেন। আগেও না। পরেও না।”

    “বুঝলাম না, বুঝলাম না। এক মিনিটের কম সময়ে খুন করবেই বা কী করে? তাও চলন্ত লিফট থেকে? ও তো চাইলেও বেরোতে পারবে না?”

    “এখানেই এই পারফেক্ট প্ল্যানের তুরুপের তাস। রঘু ঘর থেকে আটটা তিনে বেরিয়েছেন। এটা কীভাবে জানা গেল?”

    “মধুরা বলেছেন।”

    “মধুরা কীভাবে জানলেন?”

    “রঘুর ঘড়ি দেখে।”

    “ঘড়ি দেখতে কে বলেছিল?”

    “রঘু… মানে…”

    “একদমই তাই। রঘু যে আটটা তিনে লিফটে চাপলেন, সেটার সাক্ষী দরকার ছিল। আর তার জন্যেই তিনি ঘড়ি ঘরে ফেলে আসেন। এবার ধরুন ঘড়ির সময় যদি দশ মিনিট এগোনো থাকে? মানে রঘু রওনা হচ্ছেন সাতটা পঞ্চাশে, কিন্তু মধুরা ভাবছেন রঘু আটটা তিনে বেরোচ্ছেন। আগের দিন শো ছিল, শুতে রাত হয়েছে। মধুরাও ঘুম চোখে আর সময় রিচেক করেননি, বা করলেও সেটাকে দরকারি কিছু ভাবেননি। দশ মিনিট কী আর এমন টাইম।

    রঘু সোজা নিচের বোতাম টিপে সাতটা একান্নতে নিচে এলেন। সঙ্গে সঙ্গে আবার পাঁচতলার বোতাম টিপে চলে গেলেন পাঁচতলায়। এই ফাঁকে ঘড়ির টাইম ঠিক করে নিলেন। তিনি আগে থেকেই জানতেন এই লিফটে দলের কেউ ছাড়া অন্য লোক আসবে না। সেইজন্যেই শুরুতে একটা লিফট নিজেদের জন্যে করে নেন। একা প্রিয়াংশুর রুম পাঁচতলায় বুক করার পিছনে প্রিয়াংশুর হাত নেই ঠিক, কিন্তু রঘুর হাত ছিল। তিনি চাননি দলের কেউ তাঁকে দেখে ফেলুক। ঠিক সেইজন্যেই লিফটের ঠিক উলটো দিকে প্রিয়াংশুর রুম। যাতে লিফট থেকে বেরিয়ে লবিতে হাঁটতে না হয়। বন্দুকে সাইলেন্সার লাগানোতে এটাও পরিষ্কার যে নিঃশব্দে খুনটা সেরে ফেলতে চাইছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন প্রিয়াংশুর রুমে যাবেন। এক গুলিতে তাকে খুন করবেন। সত্যিকারের আটটা তিন নাগাদ লিফটে উঠে সোজা পাঁচতলা থেকে নিচে নেমে আসবেন, লাউঞ্জে বসে থাকা সুধীরবাবু সাক্ষ্য দেবেন তিনি আটটা চারে নেমে এসেছেন। আপনি যেটা বললেন, আটটা তিনে লিফটে উঠে চাইলেও উনি কীভাবে খুন করে আটটা চারে নামতে পারেন? একেবারে ওয়াটার টাইট অ্যালিবাই। আর তারপরেও যদি বন্দুক ইত্যাদি থেকে ওঁর খোঁজ পড়ে, উনি তখন ধরাছোঁয়ার বাইরে শিকাগোতে। কিন্তু মুশকিল একটা হল…”

    “কী মুশকিল?” সুকল্যাণ মিত্রর মুখ উত্তেজনায় জ্বলজ্বল করছে।

    “একটা জিনিস হিসেবের মধ্যে আনেননি রঘু। তাঁর বয়স পঞ্চাশ, আর প্রিয়াংশু তাগড়াই তিরিশ-না-পেরোনো ছোকরা। ফলে বন্দুক তুলে গুলি করার আগেই হাতাহাতি শুরু হল। খুব সম্ভব বন্দুক ছিটকে যায়। রঘু প্রিয়াংশুর ওপরে চেপে বসেন। প্রিয়াংশুর হাতের সামনে ছুরি জাতীয় কিছু ছিল। রঘুকে সরাতে সে তাঁর হাতে দুবার আঘাত করে। শেষে আর না পেরে গোটা ছুরি ঢুকিয়ে দেয় রঘুর পিঠে। রঘু সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। এবার চেপে বসে ভয়। সে ছুরি তুলে নেয়। ভাবতে থাকে মৃতদেহ কোথায় ফেলবে। তার তখন মাথা কাজ করছে না। এদিকে এসব করতে গিয়ে দশ মিনিট কেটে গেছে। সে কোনওমতে দেহটা নিয়ে ঘরের উলটোদিকে লিফটে চড়িয়ে দেয়। দিয়েই ডাইরেক্ট নিচের বোতাম টিপে দেয়। কাকতালীয় ভাবে তখন ঠিক আটটা তিনই বাজে। রঘু তাঁর প্ল্যান মতোই নিচে নেমে যান। ভুল বললাম, রঘু না, রঘুর মৃতদেহ…”

    “তাহলে সেই ছুরি?”

    “একটা বালির কণা লুকিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা কোনটা জানেন? বালির স্তূপ। সেখানে অনেক বালির মধ্যে একটা বালি ধরা পড়ে না। তাই আমি প্রপস রুমটা কোথায় জানতে চাইলাম। রঘুকে মেরে ছুরিটা ধুয়ে মুছে প্রিয়াংশু প্রপস রুমে রেখে দেয়। মনে রাখবেন নাটকটা তিতুমীর, সেখানে ছুরি, তির, ধারালো অস্ত্র প্রপস হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই ওই রুমটা দেখলেও তার মধ্যে আলাদা করে একটা ছুরি চোখে পড়বে না। কিন্তু আপনারা কি ওই রুমটা দেখেছিলেন?”

    পাশাপাশি মাথা নাড়লেন সুকল্যাণ মিত্র। দেখেননি। অনেকক্ষণ চুপ করে বসে রইলেন। চোখ ছলছল। “কী লজ্জা তুর্বসু, তোমায় কী করে বোঝাই? ডিপার্টমেন্টে আমার সব সুনাম এই একটা কেসে শেষ হয়ে গেছিল। আমার আড়ালে অনেকেই আমায় রঘু রঘু বলে ডাকত, জানো। তোমার সঙ্গে আগে কেন দেখা হল না বলো তো…” বলতে বলতে হঠাৎ কী যেন মনে হল তাঁর, “আচ্ছা তুর্বসু, মার্ডার কেস তো তামাদি হয় না। বলে কয়ে কেসটা রি-ওপেন করাব?”

    তুর্বসু মাথা নিচু করে বসেছিল, বলল, “স্যার, জয় বাবা ফেলুনাথ দেখেছেন? অম্বিকা ঘোষালের একটা কথা আছে, যার মনে চুরি, সে-ই তো চোর! এখানে তাই খুনি একজনই। রঘুনাথ শর্মা। আর সে তো তার পাপের শাস্তি পেয়েইছে। আপনি নাম বলেননি, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি প্রিয়াংশু কে। সে এখন টলিউডের সেরা অভিনেতাদের একজন। মধুরাও সূরজকে বিয়ে করে সুখেই আছে। পেজ থ্রি-তে ছবি-টবি দেখি। কী দরকার স্যার নির্দোষ এতগুলো মানুষকে কষ্ট দেবার? রঘু চেয়েছিল প্রিয়াংশুর মৃত্যদূত হতে। বুঝতেই পারেনি মৃত্যু কোন ফাঁকে এসে ওর পিঠে নিজের নির্জন স্বাক্ষর রেখে গেছে।”

    লেখকের জবানি: ক্লাসিক্যাল লকড রুম মিস্ট্রি যাকে বলে, তার জনক ছিলেন জন ডিকশন কার। লকড রুম মিস্ট্রি কতরকম হতে পারে তার প্রতিটার সংজ্ঞা তিনি তাঁর বিখ্যাত থ্রি কফিনস বইতে দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনও লেখকের সাধ্য হয়নি তাঁর বাইরে বেরোনোর, আমি তো কোন ছাড়। কিন্তু বহুদিন বাংলায় কোনও ক্লাসিক লকড ডাউন মার্ডার দেখি না। তাই নিজেই লিখতে বসলাম, সেই ছোট্টবেলায় হলদে হয়ে আসা বইগুলোতে যে ধরনের গল্প পড়তাম, তার আদলে…. এই কাহিনি সূর্যতামসীর স্পিন অফ। ঘটনাক্রমানুযায়ী সূর্যতামসীর পরে হলেও আসলে প্রকাশিত হয়েছিল (চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম সাইটে) বই প্রকাশের একমাস আগে (মে, ২০২০)। তাই পাঠকের কাছে তুর্বসুর আবির্ভাব কাহিনি এক অর্থে এটাই।

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleনীবারসপ্তক – কৌশিক মজুমদার
    Next Article সূর্যতামসী – কৌশিক মজুমদার

    Related Articles

    কৌশিক মজুমদার

    নোলা : খাবারের সরস গপ্পো – কৌশিক মজুমদার

    August 4, 2025
    কৌশিক মজুমদার

    সূর্যতামসী – কৌশিক মজুমদার

    August 4, 2025
    কৌশিক মজুমদার

    নীবারসপ্তক – কৌশিক মজুমদার

    August 4, 2025
    কৌশিক মজুমদার

    অগ্নিনিরয় – কৌশিক মজুমদার

    August 3, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Most Popular

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Our Picks

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Sign In or Register

    Welcome Back!

    Login below or Register Now.

    Lost password?

    Register Now!

    Already registered? Login.

    A password will be e-mailed to you.