ইতি নির্ভয়পুর – ১২
১২
দরজা ঠুকলেই দরজা খুলতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই অবশ্য। কারণ আজ শৌনকের ছুটি। তবুও ডাক্তার হিসেবে এটা করা শোভনীয় নয়, তাই দরজাটা খুলে দিল। দরজা খুলতেই চমকে উঠল শৌনক। একে এখানে দেখবে এমন আশা ও ঘুণাক্ষরেও করেনি। ঘটনার আকস্মিকতায় বেশ চমকেছে শৌনক।
ওর চমকানো মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে নূপুর বলল, “ধুর, নির্ভয়পুরের লোকজন দেখি ভারি মিথ্যুক। তারা যে তবে বলে, ডাক্তারবাবু খুবই অতিথিবৎসল, উপকারি মানুষ? কোথায় কী, আমি তো আধঘণ্টা ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে মশার কামড়ই খেয়ে যাচ্ছি। ভিতরে অবধি ডাকছে না।”
আজ সন্ধেতেই দেখেছে সাহেব প্রলয়কে টাকা খাওয়াচ্ছে অস্মিতার সঙ্গে শৌনকের ঠিক কী সম্পর্ক সেটা জানার জন্য। গতকাল অতসীদেবী বাড়িতে ডেকে খাইয়ে-দাইয়ে অস্মিতাকে কেন্দ্র করেই অপমান করলেন। আজ আবার মেয়ে কেন এসে হাজির হয়েছে, সেটাই ভেবে চলেছিল শৌনক। আবার কোনও ঝড়ের পূর্বাভাস হয়তো। মল্লিকদের কিছুতেই বিশ্বাস করানো যাচ্ছিল না, শৌনকের সঙ্গে অস্মিতার কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। উঠতে পারে না, কারণ ভালোলাগাটুকুও নেহাতই একতরফা ছিল। মল্লিক-বাড়ির লোকজন এই কারণে হাত ধুয়ে ওর পিছনে পড়ে গেছে।
শৌনকের অপলক দৃষ্টির মাঝেই নূপুর বলল, “বাইরে দাঁড়িয়েই বলব?”
সচকিত হয়ে শৌনক বলল, “না না আসুন।”
নূপুর হেসে ভিতরে ঢুকে বলল, “দাদা আর মা বাবাকে নিয়ে কলকাতা গেল। দাদার মনে হয়েছে আপনার ট্রিটমেন্টে ভুল আছে। তাই বাবাকে নিয়ে চলল।”
শৌনক অপ্রস্তুত গলায় বলল, “ভুল তো হতেই পারে। আমিও বলেছিলাম স্টেন্ট বসানোর আগে সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিতে।”
নুপুর দৃঢ় গলায় বলল, “না, ভুল হয়নি আপনার। আমিও বাবার রিপোর্ট আমার প্রফেসরকে দেখিয়েছিলাম। উনিও একই কথা বলেছেন। আচ্ছা, আপনি এমন অদ্ভুত রকমের বিনয়ী কেন বলুন তো? এ স্বভাব কি আপনার ছোটো থেকেই? মানে যখন অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে সব পরীক্ষায় সফল হতেন তখন থেকেই?”
শৌনক বলল, “চা খাবেন?”
নুপুর হেসে বলল, “সে খেতেই পারি। মিত্র এস্টেটের নাকি সমাদ্দারকাকুর অরেঞ্জ টি?”
শৌনক প্রমাদ গুনে বলল, “ঠিক জানি না। প্রলয় কিনে এনেছিল, ফুলমণি বানিয়েছে।”
নুপুর চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, “শুনুন মশাই, এত কুণ্ঠিত হবার কিছু হয়নি। না আপনি অরুণাংশু মল্লিকের চিকিৎসায় ভুল করেছেন, না তার হবু পুত্রবধূর সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয়েছেন! তা হলে এত কুণ্ঠা নিয়ে কথা বলছেন কেন বলুন তো?”
শৌনক মাথা নিচু করে বলল, “বিশ্বাস করুন, সাহেব বা আপনার মা দুজনেই আমায় ভুল বুঝছে।”
নূপুর বলল, “আমি বুঝিনি, এটাও কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। অস্মিতাদি আমায় সব বলেছে। আপনি তাকে কীভাবে ইগনোর করেছেন সেটাও শুনেছি। আসলে কী জানেন তো, অস্মিতাদির দোষ নেই। ওর আপনাকে ভালো লেগেছে। ও এই অনুভূতিটার থেকে কিছুতেই নিজেকে বের করতে পারছে না। ওদিকে আমার দাদাভাইটাও তো হাঁদারাম। এত বছরে এখনও প্রপারলি প্রপোজও করেনি। তাই বাঁধন আলগাই ছিল। বন্ধুত্বের একটা ঘেরাটোপে ঘুরপাক খাচ্ছিল ওদের সম্পর্কটা। এমন একটা ভেসে থাকা অবস্থায় অস্মিতাদির মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা জন্মানো তেমন কোনও অন্যায় বলে আমি অন্তত মনে করি না। তবে আপনি যেভাবে মেয়েটাকে কঠিন স্বরে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাতে বেচারি বেশ কষ্টে আছে। এদিকে আপনার প্রলয়ের খবর দেওয়ার ঠেলায় দাদাভাইয়ের মনে হয়েছে, আপনি আর অস্মিতাদি হয়তো রিলেশনশিপে আছেন। ওদিকে পুত্রের দেবদাসের মতো অবস্থা দেখে মাতাও আপনার ওপরে ভারি রেগে গেলেন। মাঝখান থেকে একতরফা ঝাড় খেলেন আপনি।”
নুপুরের কথা বলার ঢঙেই শৌনক হেসে ফেলল।
নুপুর চায়ের কাপটা নামিয়ে রেখে বলল, “আজ কিন্তু আমি এগুলো বলতে আসিনি আপনার কাছে। কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি। সেদিন যদি আপনি না থাকতেন বাবাকে হয়তো আমরা হারাতাম।”
শৌনক বলল, “আপনিও তো ডাক্তার। রোগীর প্রাণ বাঁচানো তো আমাদের কর্তব্য। এতে কৃতজ্ঞতা আসছে কেন?”
নূপুর বলল, “অবশ্যই আসছে। নিজের সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নির্ভয়পুরের মতো জায়গার সরকারি হাসপাতালে এতদিন ধরে পড়ে থাকার জন্যই তো কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। আর ভুলে গেলে চলবে না, আমিও নির্ভয়পুরবাসী।”
শৌনক কথা ঘোরানোর জন্যই বলল, “এমডি করে কোথায় জয়েন করবেন?”
নূপুর বলল, “আপনাকে জ্বালানোর সমস্ত ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছি। নির্ভয়পুর হসপিটালেই চাকরি নিয়েছি। পেয়েছিলাম জলপাইগুড়িতে, কিন্তু এখানেই আসছি।”
শৌনক উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, “সত্যি বলছেন?”
নূপুর বলল, “আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, আমি মিথ্যে বলছি বলে মনে হয় আপনার?”
শৌনক একটু লজ্জা পেয়ে বলল, “এটা সত্যিই দারুণ খবর। না মানে নির্ভয়পুর হসপিটালে যে সরকারি অনুদান একেবারে আসে না এমন নয়, কিন্তু সে সব ওই রাঘব বোয়ালরা আত্মসাৎ করে। তাই এখানে এখনও বেড অকুলান।”
নূপুর বলল, “আমি একটা প্রস্তাব দেব গ্রিনভ্যালির অ্যানুয়াল মিটিং-এ। এখানের নামী ব্যবসাদারদের কিছু কিছু অনুদান করতে হবে। নির্ভয়পুরে ব্যবসা করে এরা বড়োলোক হচ্ছে, আর এখানের মানুষের জন্য কিছুই করবে না, তা বললে তো চলবে না।”
শৌনক চমকে উঠে বলেছিল, “আপনি সত্যিই অরুণাংশু মল্লিকের মেয়ে তো?”
নূপুর হেসে বলল, “বাবা-মা তো তাদের মেয়ে বলেই চালায়। তবে অন্য কারও হলেও ক্ষতি ছিল না। নূপুরের পাশে মল্লিক, ঘোষাল, হাঁসদা, মুর্মু যা-ই বসুক, আমি মানুষটা এরকমই থাকতাম। আদৌ পালটে যেত না আমার ভাবনাগুলো।”
শৌনক বলল, “না, এতদিন দেখেছি এখানের মালিকপক্ষ নির্ভয়পুরের মানুষের জন্য কিছুই ভাবে না। এই প্রথম কোনও শিল্পপতির মেয়েকে এখানের মানুষের কথা ভাবতে দেখলাম।”
নুপুর বিষণ্ণ গলায় বলল, “আসলে দেখার চোখটা হয়তো একটু আলাদা। এই যেমন আপনাকে নির্ভয়পুরের মানুষ শুধু ডাক্তারের চোখেই দেখে। আর আমি দেখি একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে। জানেন, আপনাকে আমি প্রথম কোথায় দেখেছিলাম?”
শৌনক আগ্রহ নিয়ে বলল, “কোথায়?”
নূপুর হেসে বলল, “কোনও এক বৃষ্টিভেজা পড়ন্ত বিকেলে পলাশবনা পাহাড়ের কোলে হাতেগোনা কয়েকটা পাইন গাছের ছবি তুলছিলেন মন দিয়ে। ভেবেছিলাম ট্যুরিস্ট। তারপর আমাদের ড্রাইভার বিতানকাকু বলল, নির্ভয়পুরের হসপিটালের নতুন ডাক্তার। লোকজনকে দুটো ওষুধ লিখে দিচ্ছে আর সবাই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তখন মনে মনে বলেছিলাম, দেখা যাক ক’দিন টেকে এখানে! এমন কতজনই তো এল গেল। আর-একদিনও ফিরছিলাম গাড়ি করে, দেখলাম আপনি নিজের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন চা বাগানের ধাপে। শীতের সকালে চুল শুকানো নরম রোদ্দুরে বসে আছেন আনমনে। গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলাম আপনার সঙ্গে আলাপ করার লোভে। কিন্তু প্রকৃতিমগ্ন আপনার ধ্যান ভাঙাতে ইচ্ছে করল না। আপনার দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখলাম, সেখানে চা গাছের ঘন সবুজের মাখামাখি। অনেক খুঁজেও ওই চোখে আমি কোনও সার্জনের ছুরি-কাঁচির চিহ্ন দেখতে পেলাম না। দেখলাম এক প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষকে। তখনই বুঝলাম, আপনি রয়ে যাবেন, কারণ আপনি নির্ভয়পুরকে ভালোবেসে ফেলেছেন।”
শৌনক হেসে বলল, “কেউ আমায় নিয়ে এত ভেবেছে দেখেই তো অবাক লাগছে। বাই দ্য ওয়ে, আপনি খুব সুন্দর কথা বলেন নূপুর।”
নূপুর বলল, “ফ্লাস্কে মনে হয় আরও দু’কাপ চা রয়েছে, আর-একবার ভাগ বসাই নাকি?”
শৌনক বলল, “সানন্দে। ফুলমণি বেশি চা করে রেখে যায়, আমি রাতে পড়াশোনা করতে করতে যদি খাই তাই। কিন্তু পড়েই থাকে। ডিনারের পরে চা খাওয়ার নেশা আমার নেই।”
নূপুর বলল, “একটা কথা জানতে চাইব? বিরক্ত হবেন না তো? মানে বুঝতে পারছি না, এত স্বল্প পরিচয়ে ব্যক্তিগত কথা জানতে চাওয়াটা ভদ্রতা কি না?”
শৌনক চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলল, “নির্ভয়পুরের সন্ধেতে একটা অদ্ভুত মাদকতা আছে। সঙ্গে একটা জংলি ফুলের গন্ধ চারপাশে। দূরে বুনো হাতির ডাকও শোনা যায় মাঝে মাঝে। তাই এমন জংলি পরিবেশে আপনিও না হয় এতটা ভদ্রতা না-ই মানলেন। বলুন কী জানতে চান?”
নুপুর চায়ে শেষ চুমুকটা দিয়ে বলল, “অস্মিতাদি তো সত্যিকারের সুন্দরী, উপযাচিত হয়ে আপনাকে প্রপোজ করতে গিয়েছিল, তারপরেও তাকে ফিরিয়ে দিলেন কি মল্লিক-বাড়ির কথা ভেবে? নাকি আপনি অলরেডি এনগেজ? উত্তর না দিতে ইচ্ছে করলে দেবেন না। তারপরেও আমি আড্ডা দিয়ে যাব। জাস্ট স্কিপ বটনটা প্রেস করে দেবেন।”
শৌনক বলল, “বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, আমি বারবার চাইছিলাম, মল্লিক-বাড়ির কেউ আমায় এই প্রশ্নটা করুক। আমি উত্তরটা সৎভাবে দিতে চাই। কারণ সবাই কল্পনা করে নিচ্ছে অনেক কিছুই।”
নূপুর বলল, “আমি কিন্তু অবজেকশন দেব একবার। প্লিজ মল্লিক বাড়ির কোনও সদস্যের প্রশ্নের উত্তর নয়, আপনার নতুন বন্ধুর প্রশ্নের উত্তর দিন।”
শৌনক অন্যমনস্কভাবে বলল, “অস্মিতাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম ওদের বাড়িতেই। ওর বাবার একবার প্রেশার হাই হয়ে গিয়েছিল, তো তখনই গিয়েছিলাম সমাদ্দারবাবুকে দেখতে। অস্মিতা নিজেই এসে আলাপ করেছিল। ক্যাজুয়াল আলাপ। তারপর ওদের বাড়ির একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আমায় ইনভাইট করেছিল ওর বাবা-ই। সেদিন সাহেবও এসেছিল। কিন্তু আমি ওদের রিলেশনশিপের কথা তখনও জানতাম না। ওইদিনই অস্মিতার আমার প্রতি একটু বেশিই কেয়ার লক্ষ করেছিলাম। ভেবেছিলাম, ওর বাবা স্নেহ করেন, তাই হয়তো ও সৌজন্যবশত করছে। কিন্তু তারপর কারণে-অকারণে ফোন করতে শুরু করল। না, কোনও বিশেষ কথা নয়, ওই এমনিই কথা বলত। বিশ্বাস করুন, আমি তখন থেকেই ওকে ইগনোর করার চেষ্টা করছি। এমনকী, নিরঞ্জনবাবু ডাকলেও কোনা বাহানা করে ওদের বাড়িটা অ্যাভয়েড করেছি। না, অস্মিতা খারাপ মেয়ে আমি বলছি না, কিন্তু কেন জানি না ওকে নিয়ে আমি বিশেষ কিছু ভাবিনি। আমার সেরকম কোনও ফিলিংসই হয়নি। তারপরে প্রলয় আমায় বলল, সাহেব আর অস্মিতা শুধু বন্ধু নয়, ওদের নাকি ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। শুনে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। সাহেব যদি ওর লাভার হবে, তা হলে ও কেন অযথা আমাকে এভাবে ট্রিট করছে? কিন্তু এসব জানার আগেই আমি ওকে অ্যাভয়েড করেছি বারবার। তার কারণ মল্লিক-বাড়ি, অতসীদেবী বা সাহেব নয়, তার সোজা কারণটা হল, আমার অনুভূতিরা সাড়া দেয়নি অস্মিতাকে কেন্দ্র করে। আর আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হল, না আমি এনগেজ নই, হবার যে বিশাল তাগিদ আছে এমনও নয়।”
নুপুর বেশ জোরেই শ্বাস ছেড়ে বলল, “যাক গিলটি ফিলিং-এর হাত থেকে বাঁচলাম। আসলে যেদিন শুনলাম, আপনাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মা ওভাবে আপনাকে অপমান করেছিল তারপর থেকেই মনে হচ্ছিল, কে জানে আপনি মল্লিক-বাড়ির লোকজনের ভয়েই কি অস্মিতাদিকে ফিরিয়ে দিলেন? এখন মনে হচ্ছে অপরাধের বোঝাটা একটু হলেও কমল মায়ের।”
শৌনক বলল, “আরে না, ঠিক আছে। উনি গুরুজন, দুটো কথা বলেছেন তাতে এমন কিছু ঘটে যায়নি। বাদ দিন এসব কথা। আশা করি, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। নির্ভয়পুরের আকাশের মতো স্বচ্ছ ঘটনা এটা, অস্মিতার প্রতি আমার সামান্যতম দুর্বলতা কোনওদিন জন্মায়নি।”
নূপুর বলল, “জানেন দাদাভাই খুবই কষ্ট পেয়েছে অস্মিতাদির এই আচরণে। আসলে দাদাভাই খুবই ভালোবাসে ওকে। কিন্তু মাঝখান থেকে এই ঘটনাটা ওদের মধ্যে একটা প্রাচীর তৈরি করেছে। জানি না সে প্রাচীর আদৌ ভাঙবে কি না। আসলে মানুষ যাকে সব থেকে বেশি কাছের মনে করে, তার থেকে আঘাত পেলে সেটা বেশ বড়ো আকারে হৃদয়ে ক্ষত তৈরি করে দেয়। এক্ষেত্রেও দাদাভাইয়ের আঘাতটা বেশ ভালোই লেগেছে। একটু চুপচাপ হয়ে গেছে। বিশ্বাসের জায়গাটা ভেঙে গেছে বলে একটু যেন অপমানিতও হয়েছে।”
শৌনক বলল, “সাহেবের জায়গায় আমি থাকলে প্রলয়কে টাকা দিয়ে খবর নিতে আসতাম না, অস্মিতাকে সোজা ইগনোর করতাম। বিশ্বাসভঙ্গের এটাই মূল্য হওয়া উচিত।”
কথাগুলো বলার সময়ে শৌনকের চোখের সামনে ভাসছিল শোভন বসু আর নিবেদিতা বসুর মুখদুটো।