ইতি নির্ভয়পুর – ২১
২১
চার্চের মাঠে বিশাল প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছে। বিরাট আয়োজন। একদিকে বড়ো বড়ো হাঁড়ি, কড়াইয়ে রান্না হচ্ছে। আর-একদিকে গান চলছে। মাঠের ফাঁকা জায়গায় বাচ্চারা ছুটোছুটি করে খেলা করছে। বিশাল পিকনিক চলছে যেন। গোটা নির্ভয়পুর হাজির হয়েছে এই উৎসবে।
সুনীল বলল, “এবারে বুঝলাম পামেলা, কার টাকায় সুজয় বড়োলোকি করছে।”
পামেলা বলল, “কার?”
সুনীল আঙুল তুলে বলল, “দেখো খাওয়ার তদারকি কে করছে! কনকলতা ঘোষাল। আচ্ছা, হঠাৎ মৃণালদা আমাদের পিছনে কেন লাগল সেটাই তো বুঝলাম না!”
পামেলা বলল, “ভরা মঞ্চ, আর দেরি করা ঠিক নয়। এবারে বোমাটা ফাটাই। বাকিটা তুমি বুঝে নেবে। হল্লা করে দেবে সুনীল। সবাই যেন ছি ছি করে সুজয়কে।”
সুনীল ইশারায় বলল, “চিন্তা নেই।”
গাড়ি থেকে নেমেই সুনীল মাইক হাতে বলল, “আমি আজ এখানে যারা উপস্থিত, তাদের একটা কথা বলতে চাই।”
সকলেই চমকে উঠেছে। হঠাৎ এই পিকনিকে সুনীল-মাস্টার কী করছে? চমকানোর পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্যই গাড়ি থেকে কুন্তলীর হাত ধরে নামল পামেলা। কুত্তলী পামেলা মিত্রর গাড়িতে কী করছিল? এমন অনেক প্রশ্নই চার্চের মাঠে উপস্থিত থাকা অনেকের মনে এসেছিল। কিন্তু সুজয় ভাবার চেষ্টা করছে, ফুটবল ম্যাচ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পামেলার মারাত্মক রাগ জমেছে সুজয়ের ওপরেই। তাই নিশ্চয়ই কোনও ছক কষেই এসেছে ওদের পিকনিক নষ্ট করতে। এটা পামেলাকে কিছুতেই করতে দেবে না সুজয়।
সুজয় এগিয়ে এসে বলল, “ম্যাডাম, আপনি মালিকপক্ষ, বিরোধীপক্ষের এই পিকনিকে আপনার ঠিক কীসের প্রয়োজন?”
পামেলা মিষ্টি হেসে বলল, “উঁহু, শুধু এটুকু পরিচয়ে তো আমি খুশি হলাম না মিস্টার সুজয় হাঁসদা। আমিও নির্ভয়পুরবাসী। নির্ভয়পুরের সমস্ত বাসিদা যখন এই পিকনিকে অংশ নিতে পেরেছে, তখন আমি ব্রাত্য কেন? -ই হোক, আমি আজ একজনের মুখপাত্র হিসেবে এসেছি। বলতে পারো, তার আমন্ত্রণে। কুণ্ডলী আমায় ডেকে এনেছে। কারণটা কুত্তলীই বলবে।”
কুত্তলীর চোখের দিকে তাকাতেই মুখটা নামিয়ে নিল কুত্তলী। চোখে কান্নামিশ্রিত ভয়। সুজয় কিছুতেই বুঝতে পারছে না। কুত্তলী ওকে কিছু বলবে বলে হঠাৎ পামেলা মিত্রর কাছে গেল কেন? সুজয়কে সোজাসুজি বলতে পারত। নির্ভয়পুরের লোকজন হাঁ করে তাকিয়ে আছে। বেসামাল হাওয়ায় কষা মাংসের গন্ধ এসে ঝাপটা দিচ্ছে নাকে। চনমনে খিদে আরও দাপাদাপি করছে গন্ধ পেয়ে। সুনীল-স্যারের মুখও থম থম করছে।
সুজয় বলল, “বলো কুত্তলী, কী বলতে চাও তুমি?”
পামেলা মোলায়েম গলায় বলল, “মাইকটা ওর হাতে দাও সুজয়। মাইক ছাড়া বললে পাড়ার সব লোক শুনতে পাবে কী করে?”
সুজয় অবাক হয়ে বলল, “মাইক? মাইক নিয়ে ও কী বলবে? এই কুত্তলী, তুমি কী বলতে চাও?”
পামেলা আবার বলল, “মাইকটা দাও ওকে।”
মাইকটা ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে অন্য গ্রামবাসীদের মতো সুজয়ও অপেক্ষা করছিল কুন্তলীর কথা শুনবে বলে। কুন্তলী মাইক হাতে কাঁপছিল।
পামেলা সযত্নে ওর পিঠে হাত রেখে বলল, “বলো, আমি আছি, ভয় নেই।”
কনকলতা শৌনকের কানের কাছে মুখ এনে বলল, “কী বলবে মনে হয় ডাক্তারবাবু?”
শৌনক ফিসফিস করে বলল, “মহিলা বড়ো কিছু একটা ছকে এসেছে ম্যাডাম। আমাদের তৈরি থাকতে হবে।”
নুপুর বলল, “শৌনক, আপনি কিছুই বলবেন না সর্বসমক্ষে। ভুলে যাবেন না, আপনি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। ওপেন ফোরামে রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য রাখা শোভা পায় না। আন্টি বলবেন, আপনি আন্টিকে বলবেন যা বলার।”
কনকলতা বলল, “বলতে তো হবেই। পামেলা মিত্রর হাতে নির্ভয়পুরের ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়ার থেকে রঙ্গিত নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া ভালো।”
কুত্তলী মাইক হাতে ফুঁপিয়ে চলছে, খুব চেষ্টা করছে নিজেকে সামলানোর। অবশেষে ভাঙা গলায় বলল, “আমি গর্ভবতী। সুজয় হাঁসদা এই সন্তানের বাবা। এবারে আপনারাই ঠিক করুন, আমার কী করা উচিত।”
নির্ভয়পুরের মানুষজন চমকে গিয়েই চুপ করে আছে হয়তো। কারও মুখে কোনও কথা নেই। এ সমাজে অবিবাহিত মেয়েরা গর্ভবতী হয় না।
সুনীল সময়মতো মাইকটা কুন্তলীর হাত থেকে নিয়ে বলতে শুরু করল, “কুত্তলী আমাদের ঘরের মেয়ে। ওর ওপরে এমন অবিচার সহ্য করবেন না ম্যাডাম পামেলা মিত্র। অসহায় মেয়েদের পাশে দাঁড়াবেন বলেই উনি রাজনীতিতে এসেছেন। কুন্তলীর যাবতীয় দায়িত্ব আজ থেকে আমরা নিলাম। কিন্তু যাকে আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের মূল্যবান ভোটটি দিতে চলেছেন, তার চরিত্র সম্পর্কে আগে অবগত হোন। একটি অসহায়, নিরীহ মেয়েকে চাকরি দেবার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাকে ভোগ করার মানসিকতা অত্যন্ত ঘৃণ্য। এই যদি নির্ভয়পুরের জনপ্রতিনিধির আসল চেহারা হয়, তা হলে অসহায় ভাইবোনেরা যাবে কোথায়? বিচার আপনাদের হাতে। আপনাদের ঘরের মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মিত্র টি-এস্টেটের মালকিন। আপনারা কেউ দায়িত্ব না নিলেও উনি আজ থেকে কুত্তলীর খাওয়া-পরার সব দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু গর্ভের সন্তান তার পিতৃপরিচয় পাবে কীভাবে?”
সুজয় কুন্তলীর দিকে ভর্ৎসনার চোখে তাকিয়ে বলল, “ছিঃ!” শৌনককে বলল, “ডাক্তারবাবু এ সন্তান আমার নয়, ডিএনএ টেস্ট করলেই প্রমাণ হবে।”
শৌনক উত্তর দেবার আগেই কনকলতা বলল, সুজয় ওসব কথা নির্ভয়পুরের লোকজন মানবে না। কুন্তলী যদি আত্মহত্যা করে, দায় তোমার ওপরে পড়বে। পামেলা সব সাজিয়ে-গুছিয়ে এনেছে।
নূপুর বলল, “হ্যাঁ, আমি জানি কুন্তলী প্রেগন্যান্ট। আমি দেখেছি ওর রিপোর্ট।”
কনকলতা বলল, “আমি যেটা বলছি আপাতত করো। ওই দেখো জনতা চিৎকার শুরু করেছে।”
সুজয় ভাঙা গলায় বলল, “কী করতে বলছেন জেঠিমা? ওরা আমায় শেষ করে দিতে চাইছে যে!”
কনকলতা বলল, “জেঠিমা বলে যখন ডেকেছ, তখন তোমায় বাঁচানো আমার দায়িত্ব।”
কনকলতা সুনীল-মাস্টারের হাত থেকে মাইকটা প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে বলল, “হ্যাঁ, সুজয় আর কুন্তলী দুজনেই একটা অন্যায় করেছে। অন্যায়ের ভাগীদার একা সুজয় নয়। কুত্তলীর সম্মতিতেই সবটুকু হয়েছে। তবে আমরা হলাম গুরুজন, আমরাই তো সন্তানদের ক্ষমা করব। আমাদের একমাত্র কাজ সুজয় আর কুম্ভলীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া। ওরা দুজন-দুজনকে ভালোবাসে। বিয়ে করতে তো আপত্তি করেনি সুজয়। সে সানন্দে কুণ্ডলীকে বিয়ে করবে। চার্চের ফাদার রয়েছেন আমাদের মধ্যেই। চার্চের মাঠেই আজকের পিকনিক। সঙ্গে আর-একটা উৎসব যোগ হল, সুজয়-কুন্তলীর বিয়ে। কুত্তলীর মা আর সুজয়ের বাবাও এখানে উপস্থিত আছে। আশা করি, তাদের কোনও আপত্তি হবে না।” পামেলা আর সুনীল চোখ চাওয়া-চওয়ি করতে শুরু করল। খেলাটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে কনকলতা।
সুনীল ফিসফিস করে বলল, “পামেলা এখন কী হবে?”
পামেলা কিছু বলার আগেই সুজয় মাইকটা নিয়ে বলল, “কুত্তলীকে আমি বহু বছর ধরেই ভালোবাসি। তাই বিয়ে করলে ওকেই করব সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলাম। হ্যাঁ, এ সন্তান আমার, আজ থেকে কুম্ভলীর সব দায়িত্বও আমার।”
কুন্তলীর মা ছুটে এসে সুজয়কে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, “আমার কিছুই দেবার নেই তোমায়। শুধু নিজের পরমায়ুটুকু ছাড়া। সেটা তোমায় দিলাম।”
গোটা নির্ভয়পুরের লোকজন সুজয়ের নামে জয়ধ্বনি দিতে ব্যস্ত। বুকের পাটা একেই বলে’ এসব বলেও চেঁচাচ্ছে সুজয়ের সঙ্গীরা। কুত্তলী কী করবে বুঝতে পারছে না। ওকে তো পামেলা বুঝিয়েছিল, সুজয় কিছুতেই বিয়ে করতে চাইবে না তখনই নীহারের সঙ্গে বিয়ের ঘোষণা করবে। কিন্তু সুজয়দা এত বড়ো একটা মিথ্যার দায় নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিল কেন হঠাৎ? এত লোকের সামনে বলল, এ সন্তান ওর! এখন যদি কুত্তলী বলে, ও সুজয়কে বিয়ে করবে না, তা হলে গোটা নির্ভয়পুরবাসী তো ওর মুখেই থুতু দেবে। তাছাড়া নীহার ওর ফোন ধরছে না। হয়তো অস্বীকারই করে বসল ওদের সম্পর্কটাকে। তখন কুত্তলী যাবে কোথায়? ওর মায়ের মুখে হাসি ধরছে না। একদিন তো কুম্ভলী অপেক্ষা করত, কখন সুজয় ওকে বলবে ভালোবাসি। আজ তো সুজয় মাইকে দাঁড়িয়ে গোটা গ্রামের সামনে এ কথা বলল, তার পরেও কেন কুন্তলীর মনে হচ্ছে ও অন্যায় করছে? সুজয়ের চোখের ওই ভর্ৎসনাটাই সত্যি, বাকি সব সাজানো।
কুত্তলী বলল, “পামেলা-ম্যাম, আপনি যে বলেছিলেন, এটা বলার পরে আপনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নীহারের সঙ্গে আমার বিয়ে দেবেন?”
পামেলা হেসে বলল, “নীহার? সে এল কোথা থেকে? সুজয় নিজে স্বীকার করছে ও এই সন্তানের বাবা। তার মানে, তুমি আমাদের পরিবারের বদনাম করবে বলেই নীহারের নামে দুর্নাম ছড়াতে এসেছিলে, তাই তো? সরল মুখের আড়ালে বেশ জটিল ষড়যন্ত্র করেছিলে তো? চলো সুনীল, তুমি যেহেতু বরকর্তা নও, তাই দাঁড়িয়ে থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
সুনীল সারা রাস্তাটা গাড়িতে চুপ করে থাকল। জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর যে অনুভূতি হয়, ওর সেটাই হচ্ছে এখন। ০-১-এ জিতে বেরিয়ে গেল সুজয়। অতীব চালাক ছেলে সুজয়।
পামেলা বলল, “সুনীল কী একটা কেচ্ছা শুনেছিলাম না একবার মৃণাল ঘোষালের নামে? কেচ্ছাটার সত্যতা প্রমাণ-সহ আমার চাই। তারপর কনকলতা ঘোষালের রাজনীতি করা আমি বের করছি। মৃণাল ঘোষালের কেচ্ছাটা ভালো করে প্রচার করতে হবে, খোঁজো খোঁজো সুনীল।”
সুনীল বলল, “পামেলা, খেলাটা হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে গেল আজকে, ওই কনকলতার জন্য। ঘোষাল আর তোমার কী একটা জয়েন্ট বিজনেসের প্ল্যান আছে না? ওটা বাতিল করে দাও।”
পামেলা সুনীলের ক্লিন শেভড গালে হাত বুলিয়ে বলল, “ধুর, শুধু অভিমান! আরে এটা কি রাগ করার সময়? এটা আরও ঘনিষ্ঠ হবার সময় সুনীল। ঘোষালকে ডিনারে ডাকি, গল্পসল্প করি। তারপর আমাদের দলের প্রচারে ঘোষাল মাইক ধরুক আমাদের জন্য। নির্ভয়পুরে লোকজন এখনও মৃণাল ঘোষালকেই মালিক বলে জানে, তাই কনকলতার মতো একজন আটপৌরের কথায় কতটা আর প্রভাবিত হবে বলো তো? আর মল্লিকের মেয়েটা মনে হচ্ছে একটু বেশিই উড়ছে আজকাল? সমাদ্দারের মেয়ে সাহেবের বউ হতে যাচ্ছে না? নিরঞ্জনদাকে বলছি, আত্মীয়কে একটু সাবধান করতে।”
সুনীলের ঠোঁটে হাসি নেই। কেমন যেন বোধশূন্য হয়ে বসে আছে।
পামেলার ফোনে রিং বাজছে, ফোনটা ধরেই ককিয়ে উঠল পামেলা, “কখন হল? বেঁচে আছে?”
পামেলার হাত থেকে ফোনটা সুনীল নিয়ে কানে লাগিয়ে বলল, “অ্যাক্সিডেন্ট? আমরা আসছি।”
পামেলা সুনীলের কাঁধে মাথা রেখে প্রায় জ্ঞানশূন্য অবস্থায় বলল, “নীহারের বডি নির্ভয়পুরে আনার ব্যবস্থা করো সুনীল। ভাইটা আমার পাহাড় বড়ো ভালোবাসত।”
সুনীল জানে, পামেলা একমাত্র ভাইয়ের প্রতিই দুর্বল ছিল। নীহার হাজার অন্যায় করলেও, ক্ষমা করে দিত পামেলা। পামেলা এই ধাক্কাটা সামলাবে কী করে কে জানে। চোখ বন্ধ করে আছে পামেলা। নীরুর মুখটা ভেসে উঠছে বারবার। সেই ছোট্ট নীরু বড়দির পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ানো ছোটো ভাইটা।
যত আবদার সব ওর কাছে, আবার ভয়ও পেত যমের মতো। কবে যে ওর নাগালের বাইরে চলে গেল, বুঝতেই পারল না পামেলা। নাগালের বাইরে গেল বলেই জীবনটা হারাতে হল। ডিএনএ টেস্টের উপায় রইল না, পামেলার অতীত লোককে বলে দেবার মানুষটাও রইল না। পামেলার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ওর রেপুটেশন নষ্ট করার মানুষটা চলে গেল। নীহারকে খুন করাতে চায়নি পামেলা। বড্ড ভালোবাসত নীরুকে। বলতে গেলে ওর একমাত্র দুর্বলতা ছিল নীহার। সেই নীহারকে সরাতে হবে, কল্পনাও করতে পারেনি ও। মিত্র এস্টেটের এমডি-র পদে বসেও পামেলার বদনাম করে গেছে নীরু। নিজের উপার্জিত সবটুকু ভাইয়ের হাতে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি পামেলা, তারপরেও এই বেইমানি মেনে নিতে অক্ষম বলেই আজ অকালে নীরুকে হারাল পামেলা।
নীহারকে নির্ভয়পুরের মানুষ বড্ড আপন করে নিয়েছিল। সেই কারণেই বডি এখানে আনতে বলল পামেলা। ভাই হারা অসহায় দিদির পাশে আশা করা যায় নির্ভয়পুরবাসী থাকবে। ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে সহানুভূতি আদায় করতে হবে কোনওদিনই ভাবেনি পামেলা, কিন্তু আপাতত নীহার যখন নেই, ওকে যখন আর ফিরে পাওয়া যাবেই না, তখন এটুকুকে পামেলা দোষ ভাবতে নারাজ।