ইতি নির্ভয়পুর – ২৪
“নূপুর, কী এত ভাবছ বলো তো?” শৌনক ওর দিকে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিতে দিতেই বলল।
নূপুর অন্যমনস্ক গলায় বলল, “হিসেবটা মিলছে না জানো।”
শৌনক আর নূপুর দুজনেই এখন দুজনকে তুমি বলেই সম্বোধন করে। না, আলাদা করে কেউ কারওর অনুমতি নেয়নি। কথার পিঠে কথা চাপতে চাপতে কথার পরিমাণ যখনই বেড়েছে, তখনই কোনও এক অন্তরঙ্গ কথার সুরেই ওরা দুজনে দুজনকে তুমি সম্বোধন করেছিল।
শৌনক চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, “কীসের হিসেব?”
নূপুর বলল, “কুন্তলীর সন্তানের বাবা সুজয়দা নয়। কুন্তলী পিরিয়ড বন্ধ হয়েছে বলে আমায় দেখাতে এসেছিল। আমিই ওকে ইউরিন টেস্ট করতে বলি। রিপোর্টে দেখলাম, ও অলরেডি থ্রি মাংস প্রেগন্যান্ট। শুনেই বলল, ম্যাডাম এ বাচ্চাকে নষ্ট করে দিতে হবে। আমি ওকে বুঝিয়ে বললাম, প্রথমত, এটা আইনত অপরাধ। দ্বিতীয়ত, ওর অ্যানিমিয়া আছে। শরীরের যা কন্ডিশন, তাতে বাচ্চা নষ্ট করলে শরীরের ক্ষতি হবে। তখন ও বিজবিজ করে বলে ফেলেছিল, কিন্তু পামেলা মিত্র মানবে না।
শৌনক বলল, “হ্যাঁ, কুত্তলীর সঙ্গে নীহারকে আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে। এ সন্তান নীহারের। সুজয় এর দায়িত্ব নিল মাত্র।”
নূপুর বলল, “কিন্তু নীহার মারা গেল কলকাতায়, তাকে টেনে টেনে নির্ভয়পুরে আনার কারণটা কী? এর পিছনে কি পামেলা মিত্রর কোনও রাজনৈতিক চাল আছে নাকি?”
শৌনক বলল, “নিশ্চয়ই আছে। মানুষের সহানুভূতির মতো বড়ো কিছু আছে একজন নেতা বা নেত্রীর কাছে? এই যে ভাইয়ের মৃতদেহের সামনে কান্নাকাটি চলছে, এতে এই অঞ্চলের অর্ধশিক্ষিত মানুষগুলোর মনেও দাগ পড়ছে। এটাই হয়তো উদ্দেশ্য।”
নূপুর বলল, “বাই দ্য ওয়ে, অস্মিতাদি কল করেছিল, ওর আর দাদাভাইয়ের সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেছে। থ্যাঙ্ক ইউ শৌনক।”
শৌনক বিস্মিত গলায় বলল, “কিন্তু আমায় থ্যাঙ্ক ইউ কেন?”
নুপুর বলল, “ও তুমি বুঝবে না। তোমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে অনেক কিছুই ঘেঁটে যেতে পারত। এনি ওয়ে তুমি তো রাউন্ডে যাবে, তার আগে এই প্রেসক্রিপশনটা একটু পড়ে দাও তো। এই কারণেই ডক্টরদের হ্যান্ডরাইটিং নিয়ে মিম হয় বুঝলে? কার্ডিওলজিস্ট শোভন বসুর প্রেসক্রিপশনের হাতের লেখাটা একবার দেখো, কেন্নোকে কালিতে ফেলে সাদা কাগজে ফেলে দিলেও এর থেকে সোজা পথে চলত।”
শৌনক হাসতে হাসতে প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে বলল, “বেশ আমি ফ্রেশ লিখে দিচ্ছি এই চারটে মেডিসিনের নাম। মা বরাবরই বাবাকে বলত, এক্সামের পরে তোমায় এক্সামিনার ডাকেননি খাতাটা পড়ে দেওয়ার জন্য?” কথাটা বলেই শৌনক গম্ভীর হয়ে বলল, “এই যে লিখে দিয়েছি নূপুর। বাই দ্য ওয়ে, তোমার দাদাকে বোলো, আমি তার বোনকে বিয়ে করতে যাচ্ছি না। আমি নূপুর মল্লিককে বন্ধুই ভাবি। এর বেশি ভাবার সাহস আমার মতো চালচুলোহীন ডাক্তারের নেই। আমি এমনিই নির্ভয়পুর থেকে ট্রান্সফার নিয়ে নেব। অনেকদিন তো হল। তাই সাহেবকে আর ছুটোছুটি করতে হবে না আমার বদলির জন্য।”
নুপুরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রাউন্ডে বেরিয়ে গেল শৌনক। বাইরে বাইকের আওয়াজটা আজ যেন একটু বেশিই তীক্ষ্ণ লাগল।
প্রলয় বাইরে বসে আছে, বসে বসে মোবাইলে হিন্দি সিনেমা দেখছে। দাদাভাই নিজেই কি এগুলো শৌনককে বলেছে, না কি ট্রান্সফারের চেষ্টাটা অন্য কোনও সোর্স থেকে পেয়েছে শৌনক? উঁচু মহলের মেডিকেল অফিসারদের সঙ্গে শৌনকের পরিচয় আছে। সেটা হসপিটালে ক’দিন জয়েন করেই বুঝতে পেরেছে নূপুর। হসপিটালে বেড থেকে ওটির লাইটের জন্যও শৌনক আবেদন জানিয়েছে হেল মিনিস্ট্রিতে। সেই সূত্রেই হয়তো খবরটা পেয়েছে। দাদাভাই কেন এভাবে শৌনকের পিছনে পড়ে আছে, কে জানে! নূপুরকেও সেদিন বলছিল, “কলকাতার কোনও নামী হসপিটালে চাকরি পেলি না? তা হলে নামী কোনও নার্সিংহোমে ঢুকে যা। হঠাৎ নির্ভয়পুরের হাসপাতালে কেন? আর ওই শৌনকের সঙ্গে তোর কিন্তু বেসিক একটা পার্থক্য আছে। সেটা ভুলে যাস না।” কীসের এত অহঙ্কার এদের কে জানে! শৌনকের যা রেজাল্ট, ওর যা যোগ্যতা, সেটা জানার প্রয়োজনই বোধ করে না এরা। শুধু টাকা আর বংশ নিয়েই অহঙ্কার করে গেল মল্লিক বাড়ির লোকজন। মায়ের সঙ্গে বাবার সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিয়ে দেওয়া হয়নি, কারণ মায়েরা গরিব ছিল। দাদাভাইয়ের মা অল্প বয়সে মারা না গেলে, নূপুরের মা আজীবন অবিবাহিতই থেকে যেত। কারণ বাবা বাড়ির সকলের কথায় মত দিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই কারণেই মায়ের একটা উষ্মা প্রায়ই প্রকাশ পায় কথাবার্তায়। প্রায় বলে, “মল্লিক বাড়ির বউ হবার জন্য সুন্দরী আর শিক্ষিতা হলেই হয় না, বংশ পরিচয় আর টাকাও দরকার হয়, তাই না মল্লিকবাবু?”
মা একবার বলেছিল, “তোর বাবা যখন তার প্রথমপক্ষকে হারিয়ে আমার কাছে বিয়ের আবেদন নিয়ে গিয়েছিল, তখন নিজেকে বড্ড ছোটো মনে হয়েছিল। আমি তো সাহেবের মায়ের শূন্যস্থান পূরণ করতে এসেছিলাম এ বাড়িতে। নিজের ভালোবাসার জোরে নয়।” মায়ের এই আক্ষেপ থেকেই মাঝে মাঝে অকারণেই বাবার ওপরে রেগে যেত মা। এখন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক শান্ত হয়েছে সে রাগ। কিন্তু মল্লিক-বাড়ির যে নিয়মকে মা সব থেকে বেশি ঘৃণা করত, এখন বোধহয় নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে সেই নিয়মকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। তাই শৌনক কোনওভাবেই নূপুরের যোগ্য পাত্র হতে পারবে না। কিন্তু নূপুরকে এখনও শৌনক শুধুই মল্লিক বাড়ির মেয়ে হিসেবে গণ্য করে। শৌনকের কাছে ওর আলাদা কোনও পরিচয়ই নেই বোধহয়। ওদের সম্পর্কটা তবে শুধুই বন্ধুত্বের? নাকি কলিগের? কোনটা হলে শৌনক খুশি হবে? নূপুরের অনুভূতির কোনও মূল্যই নেই ওর কাছে। সেই কারণেই এভাবে অপমান করে বেরিয়ে গেল। আজকের পর আর শৌনকের কোয়ার্টারে আসবে না নূপুর। নূপুর আমি তোমাকে ভালোবাসি, তাই তোমার দাদা যত চেষ্টাই করুক বিফল হবে।’ এরকম কিছুও তো বলতে পারত। তা হলে নূপুর এ পৃথিবীর সকলের সঙ্গে লড়াই করতে পারত শিরদাঁড়া সোজা করে। কিন্তু শৌনক মুখের ওপরে বলে গেল, “তোমার দাদাকে বোলো, এটা শুধুই বন্ধুত্ব।” শুধুই যদি বন্ধুত্ব হবে, তা হলে ও দু’দিন আগে হসপিটালে ঢুকতে দেরি করছিল বলে কেন শৌনক বলেছিল, “তুমি আমার অভ্যেস খারাপ করে দিয়েছ নুপুর। এখন আমার অবাধ্য চোখ কাজের ভিড়ে তোমায় খোঁজে।”
নুপুর বলেছিল, “চোখকে অহেতুক শাসন করতে চাইছ কেন? তুমি যেমন স্বাধীন, তেমন তোমার চোখ দুটোকেও স্বাধীনভাবে দেখতে দাও, ও যা দেখতে চাইছে।”
শৌনক মজা করে বলেছিল, “পরে যদি এর আবদার ক্রমাগত বেড়েই যায় তখন? মানে ধরো ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমাতে যাবার আগে ও সেই মানুষটাকেই দেখতে চাইছে, তখন কী করব?”
নূপুর কাঁধের ব্যাগটা টেবিলে নামিয়ে রাখতে রাখতে বলেছিল, “তো সে ব্যবস্থা করতে কী এমন হাতি-ঘোড়া চাই শুনি? মাথার ওপরে এক চিলতে ছাদ আর সংসার নামক একটা জটিল সমুদ্রে ঝাঁপ দিলেই তো হয়।”
শৌনক গলায় স্টেথোস্কোপটা ঝুলিয়ে এমার্জেন্সিতে যাওয়ার আগে বলেছিল, “তুমি তো সাংঘাতিক মেয়ে দেখছি! বাউন্ডুলে ঘরছাড়াকে বেঁধে ফেলবার মতলব পাকা করে ফেলেছ!”
এসব অন্তরঙ্গ কথাগুলো বুঝি সেদিন শুধুই মজা ছিল? জাস্ট ফ্রেন্ডকে বুঝি এসব বলা যায়? শৌনক কিছুতেই মন খুলে স্বীকারই করতে চায় না যে, সে নূপুরকে ভালোবাসে। মিস করে প্রতিমুহূর্তে। স্বীকার করলে তার মধ্যবিত্ত সত্তা বুঝি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠবে! থাক, যেখানে সম্মান নেই, সেখানে নূপুর আর আসবে না। আগামিকাল থেকে সহকর্মীর মতোই ব্যবহার করবে নূপুর। দেখা যাক তার মেইল ইগোর ধৈর্য কত দূর।
নূপুর বেরোনোর আগেই প্রলয় বলল, “দিদিমণি, বেশ কিছুদিন ধরেই একটা কথা আপনাকে বলব বলে বলা হয়নি। আসলে শৌনকদা জানতে পারলে আমায় আস্ত পুঁতে ফেলবে। তবুও মনে হচ্ছে, কথাগুলো বলা উচিত।”
নূপুর সামনের কাঠের চেয়ারটায় ধপ করে বসে বলল, “তুমিও কি তোমার শৌনকদার কাছ থেকে এত ভূমিকা শিখেছ? দেখো, হসপিটালের ডিউটি সেরে বাড়ি যাচ্ছি। হাতে বাদাম নেই যে চিবাতে চিবাতে তোমার ভূমিকা শুনব। যা বলার বলো। আর তোমার শৌনকদাকে আমি কিছু বলব না।”
প্রলয় বলল, “আসলে এই যে শৌনকদা নিজেকে অনাথ বলে না, এটা কিন্তু নয়। ওর বাবা বিশাল হার্টের ডাক্তার। মা-ও গাইনোকোলজিস্ট। শৌনকদা একমাত্র ছেলে। ওর বাবা-মা ফোন করলেও রিসিভ করে না। একমাত্র জন্মদিনের দিন আমি রিসিভ করে কথা বলি। মায়ের গলাটা কী মায়া জড়ানো। খুব মায়া হয় ওর মায়ের জন্য। বেচারি আমার ফোনে ফোন করে ছেলের খোঁজ নেন। শৌনকদাকে বলতে শুনেছি, ‘দুজন মিথ্যেবাদী আমার বাবা-মা হতে পারে না।’ কী যে সমস্যা সে তো জানি না। আমি ছোটো মুখে বড়ো কথা বলতেও পারি না। কিন্তু শৌনকদাকে সাহেবদাদা ফোন করে যখন উল্টোপাল্টা বলছিল তোমার সঙ্গে মেশার জন্য, তখনই শুনলাম শৌনকদা বলল, ‘বংশপরিচয় আমার নেই, হ্যাঁ আমি অনাথ।’ তাই বলছি দিদিমণি, পারলে তুমিই পারবে শৌনকদার সঙ্গে ওর বাবা-মায়ের মিল করাতে। এই নাও ফোন নম্বরটা, এটা ওর মায়ের নম্বর। ভদ্রমহিলা আমায় মাঝে মাঝে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, শানু কেমন আছে? খাওয়া-দাওয়া করেছে ঠিক করে?’ আবার ফোন রাখার আগে বলে দেন, যেন শৌনকদাকে না বলি কিছু।”
নূপুর নম্বরটা নিতে নিতে বলল, “নিজেকে বড্ড বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমার শৌনকদা, ওই জন্য কারওর অনুভূতির মূল্য দিতে সে নারাজ। অসভ্য, গোঁয়ার লোক একটা। চুলের মুঠি ধরে রঙ্গিতের জলে চোবালে আর ওঠালে তবে ঠিক হয়। জেদ দেখাচ্ছে, যারা ভালোবাসে তাদের জেদ দেখাতে খুব মজা লাগে। এই মজা যদি আমি না বের করেছি, তো আমার নামও নুপুর মল্লিক নয়। শোনো প্রলয়দা, আজ বাড়িতে ঢুকলেই তুমি বলবে, নূপুরদি বলে গেছে, এ বাড়িতে আর কোনওদিন ঢুকবে না।”
প্রলয় ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে বলল, “কিন্তু আপনাদের তো দু’দিন অন্তর ঝগড়া হয়, বলেন, আর আসব না। তারপর তো আবার হাসি মুখে চা খান।” নুপুর স্যান্ডেলটা গলাতে গলাতে বলল, “এবারেরটা সিরিয়াস। যেটা বলতে বললাম, বলবে।”
নূপুর স্যান্ডেলটা একটু জোরেই ঠুকে বেরিয়ে গেল। একাকিত্বের পূজারি ডক্টর শৌনক বসু, থাকো তুমি একলা। দেখি আমায় মিস করো কি করো না। নূপুর নিজের বাড়িতে ঢুকেই দেখল, নিরঞ্জনকাকু বসে আছে সোফায়। বাবার সঙ্গে গুছিয়ে আড্ডা দিতে বসেছে। ওকে দেখেই হই হই করে বলে উঠল, “তো মল্লিক, রায়বাঘিনি ননদকে সন্তুষ্ট করার জন্য কী দিতে হবে বলো দেখি?”
বাবা নিরঞ্জনকাকুর হাসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হেসে বলল, “নার্সিংহোম করার প্ল্যান তো তুমি ছকেই ফেলেছ। সেটাই না হয় ননদকে দিয়ো।”
মা বেশ বড়ো ট্রে করে চা আর খাবার নিয়ে সামনে রেখে বলল, “আজ খাব না বললে শুনব না কিন্তু। অন্য দিন আড্ডা দিতে যখন আসেন বন্ধুর সঙ্গে, তখন শুধু চায়েতেই চলে, আজ আত্মীয় হতে চলেছেন, তাই এটুকু আড়ম্বর না করলেই যে নয়।”
নূপুর বুঝল, নিরঞ্জনকাকু আজ অস্মিতাদি আর দাদাভাইয়ের বিয়ের কথা বলতে এসেছে। যদিও দাদাভাই আর অস্মিতাদি দুজনেই এখন কলকাতায়। এ চত্বরের সবাই জানে, নিরঞ্জনকাকুর কাছে মেয়ের কথা মানে বেদবাক্য। তার মানে মেয়ের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই ছুটতে ছুটতে এসেছে ভাঙা সম্বন্ধ জোড়া লাগাতে।
নূপুর হেসে বলল, “কাকু, ননদের দাবি কিন্তু অনেক। অস্মিতাদিকে আমাদের বাড়িতেই থাকতে হবে। হাঁটা দূরত্ব বলে রোজই আমার বউদিভাইকে নিয়ে পালালে হবে না।”
নিরঞ্জনকাকু হেসে বললেন, “ওই জন্যই বলে রায়বাঘিনি।”
বাড়ির সকলের মুখেই হাসি। বিশেষ করে মায়ের
মা বলল, “দাদা, আমার তো ওই একটাই ছেলে, তাই বিয়েতে আমিও সব শখ মেটাব। মেয়ে তো পরের বাড়ি চলে যাবে, সব শখ মেটাতে পারব না। তাই সাহেবের বিয়েতেই আমরা আমাদের শখ মেটাব।”
নূপুর টুকটুক করে নিজের ঘরে এসে বসল। ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসতেই দেখল, টেবিলে খাবার আর চা রাখা আছে। মা কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। ডিউটি থেকে এসে অন্যদিন খিদে পেয়ে যায় নূপুরের। কিন্তু আজ যেন খিদেটাও মরে গেছে ওর। বারবার কানের মধ্যে অনুরণন হয়ে হয়ে চলেছে, তোমার দাদাকে বোলো, নূপুর মল্লিক আমার বন্ধু ছাড়া আর কিছুই নয়।