ইতি নির্ভয়পুর – ৬
৬
“কী ব্যাপার, এই প্রশ্নটা করলেই তুই ঘর থেকে চলে কেন যাচ্ছিস? দেখ নীহার, এই নির্ভয়পুরে আমার একটা সম্মান আছে। সেটা তুই এসে ক’দিনেই এলোমেলো করে দিবি, এটা তো আমি হতে দেব না ভাই।”
পামেলার ফরসা গাল দুটো উত্তজনায় লালচে হয়ে গেছে। কঠিন গলায় আবার বলল, “আমি জিজ্ঞাসা করছি, আমাদেরই ক্লাবের বারে কাজ করা আদিবাসীদের মেয়েটার সঙ্গে তোর ঠিক কী সম্পর্ক?”
নীহার যেন একটু বিরক্ত হয়েই বলল, “বড়দি, ওর একটা নাম আছে, কুত্তলী। আর আদিবাসী আদিবাসী কাকে বলছিস বারবার? ওরাই এ অঞ্চলের ভূমিপুত্র। তোরা সবাই ওদের জমিতেই ইমারত গড়েছিস। এ জমি ওদের ছিল, তোদের নয়।”
পামেলা মিত্র এ ধরনের কথা কারও কাছ থেকেই শুনতে অভ্যস্ত নয়। দামি সিগারেটের প্যাকেটটা থেকে একটা সিগারেট নিজের লিপস্টিক রঞ্জিত ঠোঁটে নিয়ে লাইটার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বলল, “ঠিক বলেছিস তুই, ওরাই ভূমিপুত্র। তো মিস্টার নীহার মিত্র, মনে পড়ে ক্যানিংয়ে ধারের ঝুপসি ঘরের আধপেটা খেয়ে কাটানো রাতগুলো? তুইও ওই বস্তিবাড়ির মালিক, বুঝলি? থাকবি নাকি ওখানে গিয়ে? যেদিন রাতে বস্তির ঘরটাতে আগুন ধরে গিয়েছিল, সেদিন ভয়ে অত কাঁদছিলিস কেন রে নীরু? ঘর হারাবার ভয়ে? শোন, কোনও সম্পত্তি কারওর বাপের নয়, যে দখল করতে পারবে তার। আমাদের ঘরগুলোর ওপরে তখন বিশাল গার্মেন্টসের শো-রুম তৈরি হয়েছিল। মালিক কে ছিল? অজিত ঝুনঝুনওয়ালা।”
নীহার বলল, “হ্যাঁ, আর তুই জামাইবাবুর একমাত্র নমিনি বলে সেই শো-রুম এখন তোর।”
পামেলা নিজস্ব স্টাইলে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বলল, “ভুল করেছিস নীহার, কাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, কেউ মনে রাখেনি। মনে রেখেছিল সম্পত্তিটা শেষ পর্যন্ত কার হয়েছিল। তাই নির্ভয়পুর আগে কাদের ছিল, ভেবে লাভ নেই। এখন এ নির্ভয়পুর মিত্র, মল্লিক, ঘোষাল, সমাদ্দার, ব্যানার্জিদের। সুতরাং তুই পামেলা মিত্রর নিজের ভাই হয়ে ভূমিপুত্রদের প্রতি দরদি হয়ে উঠতে পারিস না। হ্যাঁ, যদি বলিস কুণ্ডলীকে তোর পছন্দ, তা হলে তিন রাতের জন্য ব্যবস্থা করে দিতেই পারি। কিন্তু ওসব অকালে প্রেম-ভালোবাসার চক্কর হলে কিন্তু সোজা কলকাতা পাঠিয়ে দেব। কানাঘুষো শুনতে আমি একেবারে পছন্দ করি না। যা করেছি সব আমি একা অর্জন করেছি নিজের বুদ্ধিতে আর পরিশ্রমে। সেটা এসে বারোভূতে নষ্ট করবে, এটা তো হতে দেব না। মাথায় রাখিস। যা-ই হোক, রাতে তোর পছন্দের মটন ভুনা বানাতে বলেছি, ডিনার টেবিলে চলে আয়।”
নীহারের কাছে বড়দির এই ব্যবহারটা নতুন কিছু নয়। নিচুস্তরের মানুষদের ওপরে অকারণ একটা অসহ্য রাগ আছে ডিগনিফায়েড মহিলা পামেলা মিত্রর। বড়দির থেকে বয়সে প্রায় ষোলো বছরের ছোটো ছিল নীহার। বড়দি আর ছোটদির মধ্যে বয়সের পার্থক্য মাত্র চার। দুজনেই একই গোত্রের। বলতে গেলে জেরক্স কপি। কিন্তু নীহার ছোটো থেকেই একটু আলাদা। বস্তির দুটো ঘরের মধ্যে ওরা থাকত। ছোটো থেকেই নীহার খুব ভালো ছবি আঁকত। পড়াশোনায় একটু অমনোযোগী ছিল নীহার। ওদের ভাইবোনের মধ্যে সব থেকে ব্রিলিয়ান্ট ছিল বড়দি। প্রতিটা ক্লাসে ফার্স্ট হত। যেমন সুন্দরী দেখতে, তেমনই লেখাপড়ায়। বড়োলোকের মেয়েরা দিদিকে রীতিমতো হিংসা করত। সামান্য বস্তিবাড়ির মেয়ে, যার নিজস্ব টিউটর অবধি নেই, তাকে হারাতে না পেরে কমলা সুন্দরী গার্লসের মেয়েরা দিদির সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু পামেলা মিত্র অন্য ধাতুতে গড়া। পান্তাভাত খেয়ে স্কুলে গেলেও কখনও কারও কাছে করুণা ভিক্ষে চায়নি। ক্লাস নাইন থেকেই টিউশনি করত। পাড়ারই ফাইভ থেকে এইটের স্টুডেন্টদের পড়াত। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করার জন্যই সরকারি অনুদান পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিল দিদি। কিন্তু তারপরেই ওদের ছোটো অভাবী সংসারে নেমে এসেছিল আরও অভাবের ছায়া। ওদের বস্তিতে কেউ রাতারাতি আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। উচ্ছেদের নোটিশ অবশ্য এসেছিল আগেই। কিন্তু গোছানো সংসার ছেড়ে কেউই উঠতে চায়নি।
মা আর বাবা দুজনেই কাপড়ের কারখানায় কাজ করত। দিদি কলেজ ছেড়ে দিয়ে ওই গার্মেন্টস কোম্পানির রিসেপশনিস্ট হিসেবে জয়েন করেছিল। মিস্টার অজিত ঝুনঝুনওয়ালার অফিসের রিসেপশনিস্ট হয়ে গেল পামেলা মিত্র। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই পামেলা মিত্র কী করে মিসেসে ঝুনঝুনওয়ালা হয়ে গিয়েছিল, সেটা অবশ্য জানা নেই নীহারের। ও তখন ছোটো। অতটা বুদ্ধিও ছিল না। এক কুঠুরি স্যাঁতস্যাঁতে ভাড়া বাড়ি থেকে বিশাল রাজপ্রাসাদে উঠে এসেছিল ওরা। একটা বাবার বয়েসি লোককে দেখিয়ে দিদি বলেছিল, “ইয়ে হ্যায় তেরা জিজু। মাই সুইট অ্যান্ড হ্যান্ডসাম হাবি।” দিদির বরটাকে একেবারেই পছন্দ হয়নি নীহারের। পুরোনো স্কুল ছাড়িয়ে দিদি ওকে কলকাতার বেস্ট স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। ছোটদিও ভর্তি হয়েছিল ভালো স্কুলে। বাবা-মা কারখানার কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। এসি অফিসের একটা রুমে বসত দিদি। জামাইবাবু দিদির ওপরেই সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল ব্যবসার। মধ্যবয়স্ক একজন অবিবাহিত মানুষ অল্পবয়েসি সুন্দরী বউ পেলে যা হয়, সেটাই হয়েছিল। অজিত-স্যার নিজের সবটুকু দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করছিল দিদিকে। দিদিও সকালে ব্যবসা আর রাতে কলেজের পড়া নিয়ে বেশ মেতে উঠেছিল। গ্র্যাজুয়েশনেও ভালো রেজাল্ট করেছিল পামেলা মিত্র। আসলে দিদির ব্রেন থেকে গ্ল্যামার সবই গড গিফটেড। আর কপালটা তো আগাগোড়া সোনায় মোড়ানো। অজিত-স্যার আচমকাই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেল। তার কয়েকমাস আগেই ব্যবসার যাবতীয় কাগজপত্রে মালিক হিসেবে পামেলা মিত্রর নামটা বসিয়ে দিয়েছিল অজিত। অজিতের একমাত্র ভাই দিদির নামে মামলা করেছিল, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। অজিত-স্যারের অফিসে একটা বিশাল ফ্রেম টাঙানো হল। বিয়ের সাজে দিদি আর অজিত-স্যারের ছবি। দিদি অফিসে ঢুকে নিজের কেবিনে ঢোকার আগে রোজ কিছুক্ষণ সেই ছবির সামনে দাঁড়াত। কোম্পানির সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করল, পামেলা মিত্ৰ অজিত-স্যারের স্মৃতিতেই ডুবে থাকতে চায়। অজিতের ভাই কারওরই সাপোর্ট পায়নি সেদিন। কারণ, পামেলা নিজের ওরকমই একটা ভাবমূর্তি তৈরি করেছিল। অজিতের নিয়োগ করা সিনিয়ার ম্যানেজমেন্ট টিমকে বলেছিল, “আপনাদের স্যার যেভাবে চাইতেন, ব্যবসা সেরকমভাবেই বাড়বে। আপনারা আমায় গাইড করবেন প্লিজ।”
মাত্র দু’বছরেরই পামেলা মিত্র চূড়ান্ত জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। শুধু সুকৌশলে ঝুনঝুনওয়ালা অ্যান্ড কোং নামটা বদলে করে দিয়েছিল, ‘পোশাকি’।
এটাই পামেলা মিত্র। কীভাবে নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রেখে বাকিদের হেঁটে দিতে হয় সেটা শিখতে হবে ওর কাছ থেকে। তাই নীহার জানে, বড়দি যখন একবার বলেছে তখন কুত্তলীর সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠতা হলে সেটা জাস্ট হেঁটে দিতে দু’মিনিট লাগবে ওর। নীহারকে কলকাতা পাঠিয়ে দিতে মাত্র এক মিনিট। কলকাতার পরিবেশ ভালো লাগে না নীহারের। ছোটদি আর জামাইবাবু দিনরাত ব্যবসা দেখার জন্য জোর করতে থাকে ওকে। ছোটদি তো আবার বিয়ের জন্য বাড়াবাড়ি শুরু করেছিল। নীহারের একমাত্র বন্ধু ছিল ওর বাবা। পামেলার এত সম্পত্তিতেও যার মাথা ঘুরে যায়নি। যে ওই প্রাসাদোপম বাড়িতে থেকেও নিজের অতীত ভুলে যায়নি। প্রায়ই বাবার সঙ্গে দুই মেয়ের ঝগড়া লাগত। কেন ওই নিম্নমধ্যবিত্ত মেন্টালিটি নিয়ে পড়ে আছে বাবা, এটাই ওদের রাগের প্রধান কারণ। মাকে ওরা বশ করে ফেলেছিল আরাম আর ঐশ্বর্য দিয়ে। মা চিরকালের দুঃখী মানুষ। জন্মের পরেই নিজের মা মারা যাওয়ায় জেঠিমার লাথি-ঝাঁটা খেয়ে বড়ো হয়েছিল। তারপর বিয়ে হয়ে থেকে শুধু নেই নেই শুনেই গেছে। গায়ে গতরে খেটে খেটে চুল পেকেছিল। সকালে রেঁধে-বেড়ে নিয়ে, তিন সন্তানের পরিচর্যা করে কারখানায় যেত খাটতে। সারাদিন ধরে জামার বোতাম লাগিয়ে ফিরত সেই সন্ধেতে। এসেই ঢুকত ঘুপসি হেঁশেলে, রাতের রান্না করতে। অভাবের সংসারের বিশাল হাঁ-টাই হয়তো মাকে কেমন যান্ত্রিক, অনুভূতি শূন্য করে তুলেছিল। সেই মা যখন দিদির দৌলতে একটু আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য পেল, তখন বাকি সব ভুলে গেল। পারলে কৃতজ্ঞতার বশে বড়ো মেয়েকে পুজোই করে দু’বেলা। কিন্তু নীহার দেখেছে, বাবার মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব। বাবা প্রায়ই বলত, “এভাবে অন্যের সম্পত্তিতে রাজা হওয়া কি ঠিক? ভুল করল পামেলা।” পামেলা হিসহিস করে দাঁত চেপে বলত, “পরের সম্পত্তি? অতগুলো মানুষের ঘরে আগুন ধরিয়ে যারা সম্পত্তি দখল করে তারা কোন আইনি পথের সাহায্য নিয়েছে বাবা? সততা, তাই না? রাতে যদি কারওর ঘুম না ভাঙত, তা হলে তো তোমার সত্ততা আমাদের ঘরের মতোই আগুনে পুড়ে যেত। তাই চুপচাপ থাকবে। আর যদি ভাবো, খুর অসৎভাবে আছি আমরা তা হলে তুমি তোমার সততার ঝুলি নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকতেই পারো।” বাবা চুপ করে যেত। পামেলা জয়ের হাসি হেসেছিল। সে হাসি দেখে নীহার বেশ বুঝতে পারত, পামেলা মিত্র হারতে আসেনি এ পৃথিবীতে। যেন তেন প্রকারেণ জিততেই এসেছে।
আনমনে নিজের আঁকা ক্যানভাসটা বের করল নীহার। সাদা ক্যানভাসে ফুটে উঠল জল রং-এর চুড়িদার পরা কুন্তলীর ছবি। নিষ্পাপ চোখ মেয়েটার। ঠোঁটের হাসিতে সর্বস্ব সমর্পণ করার অঙ্গীকার। এরা শহরের মেয়েদের মতো হিসেব-নিকেশ করে, অঙ্ক কষে, ভালোবাসে না। এমনকী, সে ভালোবাসা পরিণতি পাবে কি না সেটাও বোধহয় জানে না। তবুও কার্পণ্য নেই ভালোবাসাতে। কতটুকু চেনে মেয়েটা নীহারকে? তারপরেও কী অপরিসীম মায়া ওর প্রতি! এই জন্যই এরা প্রবঞ্চিত হয় বারবার। তবু বিশ্বাস করতে বাধা নেই এদের। যেদিন কুন্তলীকে পুল সাইডে বসিয়ে যত্ন করে ওর ছবিটা আঁকছিল, সেদিন আকাশে একটা গোল থালার মতো চাঁদও উঠেছিল। তাই কুত্তলী আবদার করেছিল ওর ছবির সঙ্গে আকাশের চাঁদের ছবিটাও আঁকতে। ছবিটা এখনও ইনকমপ্লিট আছে। আর-একটু রং-এর কাজ বাকি। ভেবেছিল, ছবিটা শেষ হলে কুণ্ডলীর হাতে দিয়ে বলবে, ভালোবাসি।
বাইরে থেকে আবারও বড়দির নির্দেশ এল, “ডিনার ইজ রেডি নীরু।” হঠাৎই মুঠি শক্ত হল নীহারের, মনে মনে বলল, জীবনে এই প্রথমবার পামেলা মিত্রর কথা শুনবে না ও। কুন্তলীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করবে না নীহার। ও রেসকোর্সের ঘোড়া নয় যে, পামেলা মিত্রর চাবুকের আঘাতে ওকে ছুটতে হবে!
চুপচাপ গিয়ে খাবার টেবিলে বসে ডিনার সারল নীহার। বড়দিকে দেখে এখন কে বলবে, মাত্র পাঁচ মিনিট আগেই এই মহিলা নীহারের ঘরে ঢুকে হুমকি দিয়ে গেছে। এখন পামেলা মিত্র একটা সাদা নাইট ড্রেস পরে আছে, মুখে বিদেশি ব্র্যান্ডের কোনও অয়েলি ক্রিম। নো মেকআপ লুকেও তিনি বেশ আকর্ষণীয়া। চোখ-মুখের কোমলতা আশির দশকের বাংলা সিনেমার মায়েদের মতো। সন্তানকে যত্ন করে খাওয়াচ্ছ যেন। বেশ আদরের গলায় বলল, “বাসন্তী, তুমি নীরুকে আর-একটু চিকেন স্টু দাও। আরে এই বয়সে না খেলে শরীর থাকবে কেমন করে? আর তোমরাও সব খেয়ে নাও। কাজের শরীর, অবহেলা কোরো না।”
তিনজন পরিচারিকাই মনে করে, সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণার সংসারে আছে। এরা কেউ জানেই না প্রয়োজন পড়লে পলাশবনার ওপর থেকে ছুড়ে খাদে ফেলে দিতেও পামেলা মিত্রর হাত কাঁপবে না। এই মহিলা শুধু নিজেকে ভালোবাসে, আর কাউকে নয়।
সযত্নে মুখটা টিস্যু দিয়ে মুছে পামেলা বলল, “নীরু, তুই কালকে সকাল দশটার মধ্যেই প্রপার ড্রেস পরে অফিসে আসবি। আমাদের ম্যানেজার থেকে স্টোর কিপার সকলের সঙ্গে তোর পরিচয় করিয়ে দেব। আসলে কী বল তো, মিত্র টি-এস্টেটের প্রতিটা এমপ্লয়িকে আমি ভালোবাসি। এদের কথামতোই চলি। এখানের বিজনেস দেখতে গেলে এদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা খুব জরুরি।”
নীহারের আর ইচ্ছে করছিল না কোনওরকম তর্কে জড়াতে, কারণ ও জানে, বড়দি নরম গলাতেই নির্দেশ দেয়, অনুরোধ মনে হলেও সেটা আদেশই। নীহার ঘাড় নেড়ে বলল, “হ্যাঁ যাব।”
নীহারের চোখের সামনে ভাসছে ওই ডাগর ডাগর দুটো মায়াবী চোখের বিস্ময়।