Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • 🔖
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    Subscribe
    সাইন ইন
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    ইসলাম বিতর্ক – এম. এ. খান

    এম. এ. খান এক পাতা গল্প160 Mins Read0

    ১২. ইসলামে দাসপ্রথা এবং পাকিস্তানে এর চর্চা

    অধ্যায়-১২
    ইসলামে দাসপ্রথা এবং পাকিস্তানে এর চর্চা
    লেখক: আর্সলান শওকত

    ইসলাম কীভাবে দাসপ্রথাকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে এবং পাকিস্তানে আজ কীভাবে এর চর্চা হচ্ছে

    দাসপ্রথার সাথে ইসলামের সম্পর্ক

    তথাকথিত ‘শান্তির ধর্ম’ ইসলামের রয়েছে দাসপথার দীর্ঘ ও প্রতারণাপূর্ণ ইতিহাস। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে দাসপ্রথার পক্ষে সমর্থন করে বলা হয়েছে, ৩৩:৫০-“নবী, আমরা তোমাদের স্ত্রীদের বৈধ করেছি যাদেরকে তোমাদের দেওয়া হয়েছে যৌতুক হিসাবে এবং দাসীদেরকে (বৈধ করেছি), যাদেরকে ঈশ্বর দিয়েছেন উপহার হিসাবে।“

    ২৩:৫ “… তাদের স্ত্রীগণ ও দাসীদেরকে মেনে নাও, কারণ এগুলো তাদের জন্য বৈধ।“

    মুহাম্মদ তার কপটিক (খ্রীস্টান) দাসী মারিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ইসলাম লুটের মাল হিসাবে আল্লাহর পথে যুদ্ধের (জিহাদ) পুরস্কার হিসাবে দাসীদের গ্রহন করা অনুমোদন করে। ইবনে সাল উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ মারিয়াকে পছন্দ করতেন। সে ছিল সুন্দরী, তার গায়ের রঙ ছিল ফর্সা এবং চুলগুলি কোঁকড়ানো। মুহাম্মদ দাসপ্রথা অনুমোদন করেন এবং নিজে এ প্রথা অনুসরণ করেন। (ইবনে সাদ, কিতাব আল-তাবাকাত আল-কবির, পৃ, ১৫১)।

    সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিসাবে বিবেচিত সহি বোখারীতে দাসপ্রথা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি হাদীস রয়েছেঃ

    “আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু খুদরিকে দেখলাম এবং তার পাশে বসলাম এবং তাকে বীর্যপাতের আগে যৌনকর্ম বন্ধ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু বললেন, ‘আমরা আল্লাহর রাসুলের সঙ্গে বনু মুসতালিকের উপর গযওয়া (আক্রমণ) করতে যাচ্ছিলাম। এবং আরব যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে আমরা কিছু পেলাম এবং আমরা নারীদের কামনা করলাম এবং নিজেদেরকে সংযত করে রাখা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ল এবং আমরা যৌনকর্ম শেষ না করে বাইরে বীর্যপাত ঘটানো পছন্দ করলাম। সুতরাং যখন আমরা বীর্যপাতের আগে যৌনকর্ম বন্ধ করতে চাইলাম, ‘তখন আমরা বললাম, কীভাবে আমরা আল্লাহর রাসুলকে জিজ্ঞাসা না করে বীর্যপাতের আগে যৌনকর্ম বন্ধ করতে পারি যখন তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন?’ আমরা (তাকে) এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম এবং তিনি বললেন, ‘তোমাদের পক্ষে এটা না করাই ভাল, কারণ যদি পূর্বনির্ধারিত থেকে যে, কোন আত্মা (রোজ কেয়ামত পর্যন্ত) অস্তিত্ববান থাকবে, তবে তা অস্তিত্ববান থাকবে।“ (খণ্ড ৫, # ৪৫৯, ইবনে মুহাইরিযের বর্ণনা)।

    উপরের বর্ণনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, মুসলমানরা বনু মুসতালিক থেকে দাস-দাসী নিয়েছিল এবং লুটের মাল হিসেবে তাদের বিতরণ করা হয়েছিল। মুসলমান জিহাদিরা তাদের বিকৃত যৌন ক্ষুধা চরিতার্থ করার জন্য নতুন আটক করা দাসীদের সঙ্গে যৌনকর্ম করতে চেয়েছিল এমনভাবে যাতে তারা গর্ভবতী না হয় এবং বাচ্চা মানুষ করার দায় এড়ানো যায় এবং নিজেদের ক্ষুধা মিটে যাওয়ার পর উপযুক্ত মূল্যে দাসীদের বিক্রি করা যায়।

    কতটা বিকৃতি!

    এই হাদীস প্রমাণ করে যে মুহাম্মদ মহিলা বন্দীদের ধর্ষন করা অনুমোধন করেছিলেন। একই ধরনের আরও অনেক হাদীস রয়েছে।

    “বানু তামীমের একটি শাখা বানে আল-আনবারের বিরুদ্ধে গযওয়া(আক্রমণ) চালানো হয়েছিল। নবী তাদের উপর হামলা করতে উয়াইনাকে পাঠিয়েছিলেন। সে তাদের উপর আক্রমণ চালায় এবং তাদের কিছু লোককে হত্যা করে এবং অন্যদেরকে বন্দী হিসেবে নিয়ে আসে। (খণ্ড ৫, অধ্যায় ৬৭ ইবনে ইসহাকের বর্ণনা)।

    পাকিস্তানে দাসপ্রথা

    এতে অবাক হবার কিছু নাই যে, মুসলিম দেশগুলো দাসপ্রথা বেশ জোরালোভাবে অব্যাহত রেখেছে। পুরুষ এবং নারী উভয় ধরনের দাসদের ধরে রাখা, ক্রয় করা, বিক্রয় করা, নির্যাতন করা এবং ধর্ষন করার প্রতারণাপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকার ব্যবস্থায় সাংবিধানিকভাবে ইসলাম ধর্মের রয়েছে আধিপত্যমূলক মর্যাদা। সরকারিভাবে ইসলাম হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম। ইসলামী শরীয়া সে দেশের সর্বোচ্চ আইন হিয়াবে বলবত হয়েছে। ন=সকল আইনকে সংশোধন ও পূনর্বিন্যাস করা হয়েছে কুরআনের বিধিনিষেধ মোতাবেক। বর্তমান সংবিধান, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সরকার হচ্ছে অগণতান্ত্রিক। পাকিস্তানে ধর্মীয় শাসন চলছে। এই পরিবেশে অবাক হওয়ার কিছু নাই যে, মুসলমানরা দাসপ্রথার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এবং এর শিকার হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে খ্রিস্টানরা।

    পাকিস্তানে দাসপ্রথা ব্যাপক। এর রয়েছে নানা ধরন-ধারণ। সেখানে রয়েছে মুচলেকা দিয়ে ক্রীতদাস প্রথা। এ ক্ষেত্রে গোটা পরিবার দশকের পর দশক ক্রীতদাস থেকে যায়। ইটের ভাটা, কার্পেট বুনন, ক্ষুদ্র শিল্প ইত্যাদিতে সাধারণত এ প্রথা চালু আছে। তারপর সেখানে আছে মুচলেকা দিয়ে শিশু দাসপ্রথা। এক্ষেত্রে গরীব বাবা-মা মুচলেকা দিয়ে তাদের সন্তানদের ধনী পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬-১২ বছরের মেয়েদের বিক্রি করা হয়।

    পাকিস্তানের সুপ্রীম কোর্ট মুচলেকা দিয়ে বাধ্যতামূলক শ্রমদান অসাংবিধানিক ঘোষনা করেছে। কিন্তু পাকিস্থান সরকার এ আইন কার্যকর করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কেন এমন ঘটল তা ভাবতে গিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নাই। এর কারণ ইসলাম দাস এবং মুচলেকায় আবদ্ধ শ্রমিকদেরকে ব্যবহার করাকে বৈধতা দিয়েছে। কার্পেট শিল্প ও কৃষি খাতে গোটা পরিবার মুচলেকায় আটকে পরে শ্রমিক হয়ে যায়। এমনকি শিশুদেরকে শ্রমদানে বাধ্য করা হয় এবং তাদের মা-বাবার নেওয়া ঋণের দায়ে মুচলেকায় আটকে ফেলা হয়। এই শিশুরা স্কুলে যাওয়ার অথবা খেলা করার সুযোগ পায় না। তারা শুধু কাজ করে এবং প্রায়ই নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।

    পাঞ্জাবী ইট-ভাটাগুলো এমন এক কেন্দ্র যেখানে মুচলেকায় আবদ্ধ হয়ে দাস বনে যাওয়া অতি সাধারণ ঘটনা। এই দাসেরা সাধারণত সংখ্যালঘু খ্রীস্টান পরিবার হয়ে থাকে। দাসদের দৈনিক ২ ডলারেরও কম মজুরী দেয়া হয়। তাদের কাজ করতে হয় সূর্যোদয় থেক সূর্যাস্ত পর্যন্ত। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় এই দাসদের দুর্ভোগ সম্পর্কে জানাজানি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সরকার সব সময় ধামাচাপা দিয়ে রাখে। সাধারণ মানুষও খ্রীস্টান দাসদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়।

    পাকিস্তানের কৃষিখাতে মুচলেকায় আবদ্ধ দাসত্ব ব্যাপক। দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হায়দরাবাদের পূর্বে সেচ সমৃদ্ধ কৃষি খামারগুলোতে আনুমানিক ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ কৃষি শ্রমিক ঋণের মুচলেকায় আটকে আছে। সংঘর, মিরপুরকাস ও উমরকোট জেলার কৃষি খামারগুলোতে কর্মরত কার্যত সকল দাস শ্রমিকই স্থানীয় পাকরি সম্প্রদায়ের। তাদের আদিনিবাস ছিল দক্ষিণ-পূর্ব সিন্ধুর মরুভূমিতে।

    প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে, ঋণের দায়ে আবদ্ধ দাস শ্রমিকেরা হচ্ছে হিন্দু, যারা মুসলমান জমিদারদের যমিতে কায করে।

    করাচী ভিত্তিক এনজিও পিলার শমিকদের শিক্ষা প্রকান ঈ গবেষণার ক্ষেত্রে কায করছে। এই প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপাদের মর্মনিরীক্ষণমূলক অনেক কাজ করেছে। এতে পাকিস্তানে বাধ্যতামূলক শ্রমপ্রদান অতি সাধারণ ঘটনা এমন ৯টি খাত চিহ্নিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গৃহনির্মাণ, কার্পেট বুনন, খনির কাজ করা, কাঁচের চুড়ি, চামড়া শিল্প, গৃহস্থালি কাজ, ভিক্ষাবৃত্তি, কৃষি এবং ইট-ভাটা।

    মুচলেকায় আবদ্ধ দাস শ্রমিকদের মুক্তির জন্য কর্মরত প্রধান মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান জানিয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার ব্যাপারে দোদুল্যমান থাকে। জমিদার এবং তাদের দালালরা মুচলেকায় আবদ্ধ সাবেক শ্রমিকদের অপহরন করে নিয়ে গেছে এমন ‘শ্রমিক ধরার’ অসংখ্য ঘটনা ঘটে চলেছে। (কখনো কখনো একজন করে ধরা হয়, কোন সময় ছোট দল এবং দু’বার অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে)।

    মানবাধিকার লংঘনের মধ্যে আরো রয়েছেঃ মুচলেকায় আবদ্ধ নারী শ্রমিকদের ব্যাপক হারে পাশবিক ধর্ষন, অপহরন, বেআইনিভাবে আটকে রাখা, শিশুদের অর্থনৈতিক শোষন এবং শিক্ষার অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করার ঘটনা।

    কোন কোন সময় এই মুচলেকার দায় এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের উপর বর্তায়। লিখতে ও পড়তে পারে না এবং পুরোপুরি ঋনদাতাদের করুণার উপর নিরভরশীল বিধায় শ্রমিকরা পরিণতি কী হবে তা না বুঝেই মুচলেকায় টিপসই দিয়ে দেয়। এমনকি তারা পরিণতির কথা বুঝলেও চরম দারিদ্রের কারণে তাদের সামনে অন্য পথ খোলা থাকে না। তদুপরি কত টাকা লেনদেন হল তা লেখা হয় না। শ্রমিকরা কত টাকা নিল সে জন্য তারা কোন রশিদ পায় না।

    মুচলেকায় আটকা পড়া (দাসত্ব) শ্রমিকদের সংখ্যা আনুমানিক ৬০ লাখ হবে।

    পাকিস্তানের পত একটি ইসলামী সমাজে মুচলেকায় আবদ্ধ শ্রমকে কুরআন এবং সুন্নাহ বৈধতা দিয়েছে বলে গণ্য করা হয়। শুধু এই ঘটানাই দাস প্রথার এমন রমরমা হওয়ার অন্যতম চালিকা শক্তি।

    এই বিবর্ণ চিত্রের বিপরীতে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, অনেক মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠেছে এবং মুচলেকায় আবদ্ধ এ ধরনের শ্রমিকদের মুক্তি ও পূনর্বাসনের জন্য মাঝে মাঝে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তবে মুচলেকার দায়ে শ্রম আদায়ের অশুভ প্রথা নির্মূল করতে হলে আরও ব্যাপক ব্যবস্থা প্রয়োজন।

    অতীতে সরকার, বিচার বিভাগ ও মুসলিম সমাজ মুচলেকায় আটকে পড়া শ্রমিকদের মুক্তি ও পূনর্বাসনের জন্য তৎপর হয়েছে। এনজিওদের, বিশেষ করে মানবাধিকার গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগের ফলে গত ১৫ বছরে মুচলেকায় আবদ্ধ হারি সম্প্রদায়ের ৫,৬৮৭ জন এবং অন্য আরও ৮,৫৩০ জন শ্রমিক মুক্তি পেয়েছে।

    কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, এই সাফল্য সমুদ্রের তুলনায় একফোঁটা পানির মত।

    এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়া মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। তবে জনগণকে উদ্ধোদ্ধ করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে। সর্বোপরি ভূস্বামী ও ইটভাটার মালিকদের বুঝিয়ে দিতে হবে শ্রমিকরা অপব্যবহার করার পাত্র নয়।

    সম্প্রতি লাহোরের এক লব্ধপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবীর হাতে শাযিয়া মসিহ নামের ১২ বছরের এক খ্রীস্টান তরুনী ক্রীতদাসীর মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানে দাসপ্রথা জনিত দুর্ভোগের চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। তার মালিক তাকে ইসলামী মতে বৈধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে। মিডিয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের সরকার সুনির্দিষ্ট কি পদক্ষেপ নে তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

    পাকিস্তানের মত একটি ইসলামী সমাজে দাসপ্রথা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির গুণগত পরিবর্তন হবে তেমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, ইসলাম দাসপ্রথাকে বৈধতা দিয়েছে। দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামী বিধি-বিধানের সমালোচনা অবশ্যই করতে হবে এবং এই নষ্টামী নির্মূল করার জন্য অবশ্যই আরও আন্তর্যাতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

    আবার, ইসলামী সমাজগুলোকে দাসপ্রথা থেকে মুক্ত করতে হলে অবশ্যই ইসলামকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে সবার আগে; কারণ দাসপ্রথা ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সকল ফোরামে এই ইস্যুটি তুলে ধরা তাদের দায়িত্ব, যারা ইসলামের ইতিহাস এবং দাসপ্রথার সঙ্গে এর সম্পর্ক বিশয়ে সচেতন।

    ( নিবন্ধটি পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত লেখক ArslanShaukatকর্তৃক লিখিত Slavery in Islam and Its Practice in Pakistan-এর বাংলায় ভাষান্তর। এটি ওয়েব ইসলাম ওয়াচ [www.islam-watch.org]এ ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত হয়। )

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleকোলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী – এম আর আখতার মুকুল
    Next Article দিমেন্তিয়া – এম. জে. বাবু
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Most Popular

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Our Picks

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Sign In or Register

    Welcome Back!

    Login below or Register Now.

    Lost password?

    Register Now!

    Already registered? Login.

    A password will be e-mailed to you.