Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • 🔖
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    Subscribe
    সাইন ইন
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    ইসলাম বিতর্ক – এম. এ. খান

    এম. এ. খান এক পাতা গল্প160 Mins Read0

    ০৮. সম্পদ লুকানোর কৌশলঃ বোরকা ও নেকাবের অবাক করা উৎস

    অধ্যায়- ৮
    সম্পদ লুকানোর কৌশলঃ বোরকা ও নেকাবের অবাক করা উৎস
    লেখক:  জন, জে ও’নীল

    মুহাম্মদ তার পালক পুত্র যায়িদের স্ত্রী যয়নাবকে দখল করে নিয়েছিলেন। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে মুসলমান শাসক শ্রেণীর মধ্যে অপরের সুন্দরী স্ত্রীকে ভোগ-দখল করার অভ্যাস চালু হয়ে যায়। ফলে মুসলমানরা শিকার সন্ধানী ইসলামী কর্তৃপক্ষের কৌতূহলী দৃষ্টি থেকে তাদের নারীদের লুকিয়ে রাখার জন্য সর্বাঙ্গ আবরণকারী বোরকা প্রবর্তন করতে বাধ্য হয়। এটাই লেখকের ধারণা।

    এটা সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে, নারীদের পোশাক বিশেষ করে বোরকা ও নেকাবের মত পোশাক সম্পর্কে (যথাক্রমে আফগানিস্তান ও আরব থেকে আগত) ইসলামী বিধান মহিলাদের শালীনতা রক্ষা এবং পুরুষ দর্শকদের লোলুপ দৃষ্টি এড়ানোর জন্য প্রণীত হয়েছিল।

    নিশ্চিতভাবেই এ ধরনের পোশাক পুরুষের আকর্ষণ রোধের একটি অত্যন্ত কার্যকর মাধ্যম। তবে এটা সঠিকভাবে নজরে আনা হয়েছে যে, ইসলামী আইনের কোথাও মুখমণ্ডল ও শরীর পুরোপুরি আবৃত করার কথা বলা হয় নাই। ‘‘শালীনতা’’ সম্পর্কে গুটি কয়েক সতর্ক বাণী ছাড়া কুরআন অথবা অন্য কোন ইসলামী গ্রন্থে কীভাবে নারীরা পোশাক পরবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন পরামর্শ দেওয়া হয় নাই বললেই চলে।

    এ কারণে সাম্প্রতিক কালে বলা হচ্ছে যে, ইসলামের সঙ্গে বোরকা এবং নেকাবের কোন সম্পর্ক  নাই। এগুলো নিছক স্থানীয় প্রথা, পরে এগুলোকে ধর্মীয় অনুশাসনের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তবে এটা একটা মেকি যুক্তি। এ কথা বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই যে, প্রাক-ইসলামী আফগানিস্তানে অথবা ইসলাম-পূর্ব আরবে বোরকা অথবা নেকাব জাতীয় কোন কিছু পরিধান করা হত। এবং তাই এ পোশাকগুলো কেবল ইসলামী প্রেক্ষাপটে এবং ইসলামী সংস্কৃতির আওতায় অনুধাবনযোগ্য।

    কিন্তু যদি এ ধরনের পোশাক ইসলামী আইন দ্বারা নির্দেশিত না হয়ে থাকে তবে এগুলো আসলো কোথা থেকে?ব্যাপারটা বুঝতে হলে আমাদেরকে ইসলাম এবং ইসলাম কর্তৃক বিকশিত সংস্কৃতির উপর ব্যাপক দৃষ্টি দিতে হবে। এটা করলেই বোরকা/নেকাব সংক্রান্ত প্রকৃত সত্য অনাচ্ছাদিত হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবং এই সত্য অনেককে ভীষণভাবে বিচলিত করার মত।গোড়ায় আরব উপদ্বীপ হতে ইসলামের অভ্যুদয় ঘটেছিল যুদ্ধে বিজয়ী ধর্মীয় মতবাদ রূপে। শুরুর দিকে বিজিত লোকজনের বেশীরভাগ ছিল খ্রীষ্টান। পরাজিতদের মধ্যে অনেক ইহুদীও ছিল। উভয় ধর্মের অনুসারীদের এই শর্তে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অনুমতি দেওয়া হয় যে, এর জন্য তাদেরকে মুসলিম বিজেতাদের জিজিয়া নামের বিশেষ কর দিতে হবে।

    প্রথম দিকে মধ্যপ্রাচ্যের জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ  খ্রীষ্টান ও ইহুদী ছিল বিধায় খিলাফত সরকারের আদায়কৃত এই করের পরিমাণ ছিল বিশাল অংকের। এ পরিস্থিতিতে এটা অবধারিত ছিল যে, খ্রীষ্টান ও ইহুদীদের ধর্মান্তরিত না করে প্রজা হিসাবে থাকতে দেওয়াই ছিল আর্থিকভাবে লাভজনক। এ ধরনের কর থেকে মুসলমানদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল। জিজিয়া কর এতই আকর্ষণীয় ছিল যে, প্রকৃতপক্ষে মুসলমান শাসকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে খ্রীষ্টানদের ধর্মান্তরিত করতে চান নাই, খ্রীষ্টানদের ধর্মান্তরিত করার অর্থ ছিল রাজস্ব হারানো। ব্যাট ইয়ে’অর মন্তব্য করেছেনঃ“বালাধুরি লিখেছেন যে, আরব অভিযানকারীদের হাতে ইরাকের পতন ঘটলে সৈন্যরা সাওয়াদ অঞ্চল নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ করে নিতে’ চেয়েছিল। খলীফা ওমর বিন আল খাত্তাব তাদের লুণ্ঠিত সামগ্রী ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দিলেও আদেশ জারি করেন যে, জমি এবং উটগুলোকে স্থানীয় কৃষকদের কাছে ছেড়ে আসতে হবে যাতে মুসলমানদের জন্য এগুলো রক্ষিত থাকেঃ “যদি তোমরা এগুলো উপস্থিতদের মধ্যে ভাগ করে দাও তবে যারা পরে আসবে তাদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।” এবং নবীর জামাতা আলী সাওয়াদের অমুসলমান কৃষকদের সম্পর্কে বলেছিলেন, “তাদেরকে রাজস্বের উৎস এবং মুসলমানদের সাহায্যকারী হিসাবে থাকতে দাও।” [ব্যাট ইয়ে’অর’, দি দিম্মি (জিম্মি), ১৯৮৫, পৃ. ৬৮]।

    গুণ্ডা, বদমাশ  ও ডাকাত জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলমান সমাজের অদ্ভূত প্রবণতা ব্যাখা করতে গেলে মুসলমানদের এই দৃষ্টিভঙ্গী মাথায় রাখতে হবে যে, মুসলমানরা মনে করে কাফেরদের শ্রম চিরস্থায়ীভাবে ভোগ করে জীবন যাপনের অধিকার তাদের রয়েছে। আমার লেখা ‘‘হোলি ওয়ারিয়রঃ ইসলাম এন্ড্‌ দি ডিমাইজ অব ক্ল্যাসিক্যাল সিভিলাইজেশন’’ গ্রন্থে আমি সপ্তম শতাব্দীতে গ্রীকো-রোমান সভ্যতার ধ্বংস সাধনে মুসলিম তস্করবৃত্তির ভূমিকা বিশ্লেষণ করেছি। সপ্তম শতাব্দীতে ইসলাম বাকী বিশ্বের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করে সেটা ছিল পূর্ণাঙ্গ ও অন্তহীন যুদ্ধ। সকল মানুষ আল্লাহ নামের একমাত্র ঈশ্বরকে মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মুসলমানরা অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে মুহাম্মদের এবং কুরআনের (অর্থাৎ কুরআন ৮ঃ৩৯) বক্তব্যের কারণে কাফের শাসিত বিশ্বের সঙ্গে সত্যিকার অথবা স্থায়ী শান্তি অসম্ভব। সকল মুসলমানকে তাই কাফের বিশ্বের বিরুদ্ধে সক্রিয় ‘‘জিহাদে’’ অংশ নিতে অনুমতি এমনকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন ব্যক্তি নিজস্ব উদ্যোগে সেনাবাহিনী গড়ে তুলে কাফের পরিচালিত দেশগুলোকে আক্রমণ করতে পারে না; কিন্তু সে ছোট আকারের আক্রমণ এবং গেরিলা অভিযান চালাতে পারে। ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখি, মুসলমানরা যেখানেই অমুসলমানদের সান্নিধ্যে এসেছে সেখানে সব সময় তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

    অসংখ্য ডাকাতির ঘটনার মত এই ‘‘ছোট ছোট’’ যুদ্ধ সপ্তম শতাব্দীতে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যকরভাবে থামিয়ে দিতে এবং ধ্রুপদী সভ্যতার বিনাশ ঘটাতে সক্ষম হয়।

    কিন্তু ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে দূরে অবস্থিত লুণ্ঠনোপযোগী অদখলকৃত কাফের সম্প্রদায় অথবা জাতির সংখ্যা  হ্রাস পেয়েছিল। অন্যদিকে ইসলামের অধীন বিপুল সংখ্যক ইহুদী ও খ্রীষ্টান জিম্মির সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করে। জিজিয়া করের ভয়াবহ নিষ্পেষণ ও সেই সঙ্গে মুসলিম প্রভুদের হাতে নিত্য অবমাননা এবং যখন-তখন সহিংসতার কারণে তারা ধর্মান্তরিত হতে থাকায় এমনটি ঘটেছিল।

    কর আদায় এবং লুণ্ঠন করার মত খ্রীষ্টান ও ইহুদীদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসতে থাকায় খলীফা এবং সুলতানগণ তাদের চহিদামত সম্পদ কোথা থেকে অর্জন করবে সেটা একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এর উত্তর ছিল পরিষ্কারঃ ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা অতি সামান্য সংখ্যায় অবশিষ্ট থাকলেও মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছিল। এরা প্রায় সবাই ছিল ইহুদী এবং খ্রীষ্টান থেকে ধর্মান্তরিত। তাদের কাছ থেকে প্রশাসনের রাজস্ব ঘাটতি আদায়ের  দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী অন্যের শ্রমের বিনিময়ে জীবন ধারণে অভ্যস্ত ছিল বিধায় মুসলমান শাসক শ্রেণী — খলীফা, আমীর ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা গরীব মুসলমানদের নিপীড়ন করতে থাকে। আমরা অবশ্যই ব্যাপকভাবে এটা খুঁজে পাই।

    মুসলমানদের ইতিহাসের গোটা সময়কাল জুড়ে খলীফা এবং সুলতানগণ তাদের নাগরিকদের সম্পদ যখন প্রয়োজন হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে লুণ্ঠন করেছেন। এতে ধর্মের কোন বাছবিচার ছিল না। এই তথ্যের উল্লেখ করেছেন বার্নার্ড লুইস। ২০০১ সালে প্রকাশিত “হোয়াট ওয়েন্ট রং?’’ গ্রন্থে লুইস প্রশ্ন তুলেছেনঃ যে সভ্যতা তার বিশ্বাস অনুসারে শুরুতে এমন সম্ভবনা জাগিয়ে তুলেছিল তা কেন দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদতায় নিমজ্জিত হয়ে গেল? ভুল ছিল কোথায়?

    লুইস কোন উত্তর না দিয়ে তার বই শেষ করেছেন। তারপরও এক জায়গায় তিনি এক তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষণ রেখেছেন। আধুনিক যুগের আগে পর্যন্ত গোটা মুসলিম জাহানে চাকা যুক্ত গাড়ী কার্যত অজানা ছিল। এটা একেবারে হতবাক করার মত ঘটনা; কারণ চাকা আবিষ্কৃত হয়েছিল মধ্য প্রাচ্যে (ব্যাবিলনিয়ায়) এবং আগেকার যুগে তার ব্যাপক ব্যবহার ছিল। তিনি এর এক চমকপ্রদ উপসংহার টেনেছেনঃ “চাকা যুক্ত গাড়ী আকারে বড় এবং একজন চাষীর জন্য তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। যেখানে যে সময় কোন আইন অথবা প্রথা এমনকি স্থানীয় কর্তৃপক্ষেরও শক্তির রাশ টেনে ধরার জন্য যথেষ্ট ছিল না সেখানে তখন দৃশ্যমান ও স্থানান্তরযোগ্য সম্পদ ছিল অলাভজনক বিনিয়োগ। লুণ্ঠনজীবী কর্তৃপক্ষ অথবা প্রতিবেশীর ব্যাপারে একই ধরনের ভীতির ছাপ দেখা যায় সে সময়কার সাধারণ বাড়ীঘরের নির্মাণ কাঠামোতেঃ উঁচু, জানালাহীন দেওয়াল, সংকীর্ণ গলিপথে প্রায় লুক্কায়িত প্রবেশ দ্বার; সম্পদের কোন দৃশ্যমান লক্ষণ এড়িয়ে চলার সযত্ন চেষ্টা।” (বার্নার্ড লুইস, হোয়াট ওয়েন্ট রং?, ২০০১, পৃ. ১৫৮)।

    খিলাফতের নামে এই চৌর্যোন্মাদনার মধ্যে মনে হয় শুধু ইহুদী আর খ্রীষ্টান  কেন, এমনকি মুসলমানরাও অবাধে সমৃদ্ধি লাভে সক্ষম ছিল না।তবে খলীফা এবং সুলতানগণ তাদের প্রজাদের পাথির্ব সম্পদ লুণ্ঠন বন্ধ করেন নাই। তারা আরো বেশী কেড়ে নিতে সক্ষম ও ইচ্ছুক ছিলেন। একেবারে শুরু থেকেই, প্রথম ‘‘বিশ্বাসীদের কমান্ডার’’ মুহাম্মদ তার বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছ থেকে নারী দখল করে নিতে ইতঃস্তত করেন নাই। মুহাম্মদের কমপক্ষে দুইজন স্ত্রী ছিল দখল করা; একজন ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর কাছ থেকে এবং একজন তার পালক পুত্রের কাছ থেকে। খলীফারা অবশ্যই মুহাম্মদের দৃষ্টান্ত অনুসরণে দেরী করেন নাই। মুসলমানদের ইতিহাসের গোটা সময় জুড়ে খলীফা এবং সুলতানরা তাদের প্রজাদের কাছ থেকে নারী কেড়ে নিয়েছেন নিয়মিতভাবে। এমনকি এই নারীরা বিবাহিতা হলেও তাতে  ঘটনার কোন হেরফের হত না। বিবাহ বিচ্ছেদের (তালাক) ইসলামী নিয়ম হচ্ছে একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে “আমি তোমাকে তালাক দিলাম” এ কথা বললেই সব চুকে গেল। আর কিছুর দরকার হয় না। এর অর্থ হচ্ছে একজন স্বামীকে অতি সহজেই এ বাক্য তিনবার উচ্চারণে বাধ্য করা যেত। অনিচ্ছুক স্ত্রীকে রাজি করানোর জন্য নির্যাতন ও মৃত্যুর হুমকিই যথেষ্ট ছিল।

    লুণ্ঠনকারী কর্তৃত্বের এহেন সংস্কৃতিতে অবাক হওয়ার কিছু নাই যে ইসলামী জাহানে পুরুষরা নিজ নিজ স্ত্রীকে বোরকায় আবৃত করে লুকিয়ে রাখতে শুরু করেছিল। এই নূতন স্টাইলকে অবশ্যই শালীনতা অনুশীলনের সৎ প্রচেষ্টা আখ্যা দিয়ে ক্ষমা করা যায় ; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর প্রকৃত কারণ ছিল মুসলিম বাড়ীঘরের বৈচিত্র্যহীন, জানালাবিহীন বর্হিভাগ নির্মাণের অনুরূপঃ আপনার সম্পদ লুকিয়ে রাখা।

    (নিবন্ধটি John J. O’Neill-এর লেখা  Hiding Your Assets: The Surprising Origin of the Burka & Niqab-এর বাংলায় ভাষান্তর। মূল ইংরাজী নিবন্ধটি ইসলাম ওয়াচ  [Islam-Watch]-এ ২৫ মার্চ ২০১০ তারিখে প্রকাশিত হয়। জন জে, ও’নীল ‘‘হোলি ওয়ারিয়র্সঃ ইসলাম এন্ড দি ডিমাইজ অফ ক্ল্যাসিক্যাল সিভিলাইজেশন” নামক গ্রন্থের প্রণেতা)

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleকোলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী – এম আর আখতার মুকুল
    Next Article দিমেন্তিয়া – এম. জে. বাবু
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Most Popular

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Our Picks

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Sign In or Register

    Welcome Back!

    Login below or Register Now.

    Lost password?

    Register Now!

    Already registered? Login.

    A password will be e-mailed to you.