Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    এইসব দিনরাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

    হুমায়ূন আহমেদ এক পাতা গল্প477 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ৩২. লম্বা একটা মানুষ

    লম্বা একটা মানুষ বসার ঘরে।

    কেমন অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছে। গায়ে হলুদ রঙের চাদর। কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনী ব্যাগ। লোকটা বসে আছে মূর্তির মতো। যেন সে আসলেই একটা মূর্তি, মানুষ নয়।

    টুনি অনেকক্ষণ ধরেই লোকটিকে দেখছে। এক বার তার চোখের উপর চোখ পড়ল। তবু লোকটা নড়ল না। টুনি সাহসে ভর করে বলল, আপনি কে?

    লোকটি হেসে ফেলল। হাত ইশারা করে কাছে ডাকল। টুনি পর্দার আড়াল থেকে বেরুল না। তার কেমন যেন ভয়-ভয় লাগছে। লোকটি বলল, তোমার নাম টুনি?

    হ্যাঁ। আপনার নাম কী? আমার নাম সোভাহান। তোমাদের বাসায় বাবলু থাকে?

    হ্যাঁ, থাকে।

    তাকে ডেকে আনতে পারবে?

    না, পারব না। বাবলুছাদে। আমি ছাদে যাই না।

    যাও না কেন? ছাদে কি ভূত আছে?

    আছে। দিনের বেলা থাকে না। রাতে আসে।

    তাই নাকি?

    ই। রাতের বেলা এরা ছাদে লাফালাফি করে।

    তুমি শুনেছ?

    হুঁ।

    ভেতর থেকে নীলু বলল, কার সঙ্গে কথা বলিস রে? টুনি বলল, সোভাহানের সঙ্গে। এই কথায় লোকটি শব্দ করে হেসে উঠল। নীলু পর্দার ফাঁক দিয়ে বসার ঘরের দিকে তাকাল। তার চোখেমুখে বিস্ময়। সে কঠিন গলায় বলল, আপনি কী মনে করে?

    তোমাদের দেখতে এলাম। ভালো আছ নীলু?

    আমাদের দেখতে এসেছেন?

    হ্যাঁ।

    দুলাভাই, আপনার অসীম দয়া। আমরা ধন্য হলাম।

    কেন ঠাট্টা করছ নীলু?

    ঠাট্টা? ঠাট্টা করব কেন? আপনার সঙ্গে ঠাট্টা করবার মতো সাহস কি আমার আছে? আপনি হচ্ছেন মহাপুরুষ ব্যক্তি। সাধারণ প্রেম-ভালোবাসা আপনাকে আকর্ষণ করে না। আপনার ছেলে কোথায় আছে, কী করছে, তা জানারও আপনার আগ্রহ নেই। আপনার মতো মহাপুরুষকে ঠাট্টা করব?

    বস নীলু বস আমার সামনে।

    নীলু বসল না। তার রাগ সামলাবার চেষ্টা করতে লাগল। সোভােহান বলল, একসঙ্গে অনেকগুলি কথা বলে মনে হয়। হাঁপিয়ে গেছে।

    চা খাবেন?

    যদি দাও, তাহলে খাব।

    নীলু রান্নাঘরে আসতে আসতে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল। এই লোকটির সঙ্গে রাগার।াগি করা অর্থহীন। রান্নাঘরের সামনে রফিক দাঁড়িয়ে আছে। সে কৌতূহলী গলায় বলল, কার সঙ্গে কথা বলছিলে ভাবী?

    কারে সঙ্গে না।

    স্বাগত ভাষণ? কিন্তু আমি যেন পুরুষের গলা শুনলাম।

    আমার বড়ো দুলাভাই।

    বাবলুসাহেবের গ্রেট ফাদার?

    হ্যাঁ।

    আমি কি ওনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? মনে হচ্ছে ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার।

    এটা আবার কী ধরনের কথা রফিক? তোমার কথা বলতে ইচ্ছে করলে তুমি কথা বলবে।

    মেজাজ মনে হচ্ছে নট, গুড।

    নীলু রান্নাঘরে ঢুকল! শুধু চা দিতে ইচ্ছে করছে না, অথচ ঘরে কিছু নেই। বিসকিটের টিনে আধা খানা বিসকিট, সেখানে পিঁপড়া ধরেছে। অথচ দুলাভাইকে শুধু চা দিতে ইচ্ছে করছে না। নীলু আনিসের খোঁজে দোতলায় গেল। আনিস নেই। বাবলু ছাদে একা একা কী যেন করছে। হাত-পা নাড়ছে। নিজের মনে বিড়বিড় করছে।

    বাবলু।

    কী?

    কত বার বলেছি, জ্বি বলবে। একটা জিনিস ক বার বলতে হয়? যাও, নিচে যাও। তোমার আব্ৰা এসেছে। এক্ষুণি নিচে যাও। এই শার্টটা বদলে একটা ভালো শাট পরে যাও।

    একটা মানুষ নেই, যাকে পাঠিয়ে দোকান থেকে কিছু আনাবে। এত দিন পর এসেছে মানুষটা, শুধু চা খাবে? নিজে গিয়ে নিয়ে এলে কেমন হয়? শফিক বাসায় নেই, নয়তো শফিককে বলা যেত। দুলাভাইয়ের সঙ্গে একটু আগেই খুব কড়া-কড়া কথা সে বলেছে। মনটা এই জন্যেই বেশি খারাপ লাগছে। এই দুঃখী মানুষটিকে সে খুব পছন্দ করে।

     

    বসার ঘরে রফিক খুব জমিয়ে গল্প করছে। সোভাহান কিছু বলছে না। তবে তার মুখও হাসি—হাসি। রফিক বলল—

    তারপর ভাই, কিছু মনে করবেন না, একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি।–আপনি করেন কী?

    কিছুই করি না।

    বলেন কী। না-করলে আপনার চলে কী করে? আপনি কি সন্ন্যাসী? অবশ্যি তারাও তো কিছু একটা করেন। ভিক্ষা করেন।

    আমি মানুষের হাত দেখে ভাগ্য বলি।

    ভাগ্য বলেন?

    হ্যাঁ।

    আপনি একজন পামিস্ট?

    জ্বি।

    বিশ্বাস করেন এসব?

    জ্বি-না। বিশ্বাস না করেও তো আমরা অনেক কিছু করি।

    উদাহরণ দিন।

    দেশের কিছু হবে না, এই জেনেও আমরা দেশের জন্যে জীবন দিয়ে দিই। দিই না?

    গুড। আপনি তো ভাই ফিলাসফার কিসিমের মানুষ। নিন, আমার হাত দেখে নিন।

    আজ থাক। আরেক দিন দেখব।

    অসম্ভব, আজই দেখতে হবে। হাত দেখে শুধু বলুন-টাকা পয়সোহবে কিনা। আর কিছু জানতে চাই না। সুখ-টুখ কিছু আমার দরকার নেই, টাকা থাকলেই হল।

    সোভাহান রফিকের হাতের দিকে তাকাল। মৃদুস্বরে বলল, বুধের ক্ষেত্র প্রবল। চন্দ্র শুভ মঙ্গলে আছে ত্রিভুজ চিহ্ন। আপনি অত্যন্ত ধনবান হবেন। তবে তা নিজের চেষ্টায় হবে না। হৃদয়রেখা থেকে একটি রেখা ভাগ্যরেখাকে স্পর্শ করেছে। কাজেই আপনি ধনবান হবেন স্ত্রীভাগ্যে।

    বেইজাতি কথা বলছেন ভাই।

    স্ত্রীভাগ্যে ধন?

    হ্যাঁ, তাই। একটু আগে বললেন আপনি হাত দেখায় বিশ্বাস করেন না, কিন্তু এখন এত জোরের সঙ্গে কথা বলছেন কেন?

    জোর দিয়ে বলারই নিয়ম। যে হাত দেখাতে আসে, সে এতে মনে করে এই লোক বড়ো জ্যোতিষী।

    তার মানে এটা হচ্ছে আপনার একটা ব্যবসায়িক চাল?

    হ্যাঁ, তাই।

    তাহলে আমি কি ধরে নিতে পারি যে নিজের ভাগ্যেও আমি বড়োলোক হতে পারব?

    না, পারবেন না। আপনার যা হবার তা হবে স্ত্রীভাগ্যে।

    আরে, আপনাকে নিয়ে তো মহা মুশকিল!

    হাতে যেমন দেখছি তেমনি বলছি।

    এক মিনিট দাঁড়ান, আমার স্ত্রীর হাতটা দেখে দিন। পালিয়ে যাবেন না যেন।

    রফিক সাহেব, আজ থাক।

    অসম্ভব। আজই দেখবেন। এক্ষুণি নিয়ে আসছি। যাব আর আসব।

    শারমিন ভেতরের বারান্দায় চুপচাপ বসে আছে। গতকাল সকালে সে একটি চিঠি পেয়েছে। আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছে সাব্বির। চিঠির বিষয়বস্তু হচ্ছে নতুন জীবন কেমন লাগছে তাই জানতে চাওয়া এবং সে যে একটি চাকরি পেয়েছে, এই খবর জানানো। চিঠি পাওয়ার পর থেকে শারমিন অস্বাভাবিক গভীর। রাতে রফিকের সঙ্গে একটি কথাও বলে নি। রফিক একবার হাত ধরতেই ঝাঁকি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলেছে, হাত ধরবে না।

    রফিক বিস্মিত হয়ে বলল, হাত ধরব না কেন? এই হাত কি আমেরিকায় বন্ধক?

    কী কুৎসিত কথা। এর জবাব দিতে ইচ্ছা করে নি। আজ বারান্দায় এক-একা বসে তার রীতিমতো কান্না পাচ্ছে। কাঁদতে পারলে মন হালকা হত, কিন্তু বাড়িটা এত ছোট যে কাঁদবার জন্যে গোপন জায়গাও নেই।

    এই যে শারমিন, এখানে বসে আছ? আসি আমার সঙ্গে।

    কোথায় যাব?

    এক গ্রেট পামিস্ট এসেছে। ভূত-ভবিষ্যৎ-বৰ্তমান সব ফড়ফড় করে বলে দেয়। তাকে হাত দেখাবে।

    আমাকে বিরক্ত করবে না, একা থাকতে দাও।

    সে কী! তুমি তোমার ভবিষ্যৎ জানতে চাও না?

    না।

    জানতে চাও না যে, স্বামীর সঙ্গে জীবন কেমন কাটবে?

    কেমন কাটবে তা পরিষ্কার বুঝতে পারছি। তার জন্যে জ্যোতিষীকে হাত দেখাতে হবে না।

    তোমার হয়েছে কী বল তো?

    কিছুই হয় নি।

    এটা তো সত্যি বললে না। কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। আমেরিকার চিঠি আসার পর থেকেই মেজাজ ফোর্টিনাইন।

    শারমিন কড়া গলায় বলল, কী হয়েছে সত্যি জানতে চাও?

    হ্যাঁ, চাই।

    তাহলে এস আমার সঙ্গে, ঘরে এস। এখানে বলব না।

    কী এমন কথা যে মন্দিরের ভেতর গিয়ে বলতে হবে। চল যাই।

    শারমিন দরজা ভিড়িয়ে দিয়ে কঠিন গলায় বলল, বস এখানে।

    রফিক বসল। তার বেশ মজা লাগছে। শারমিনের প্রচণ্ড রাগের কারণটা ধরতে পারছে না। রাগে শারমিনের মুখ লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেঁদে ফেলবে।

    তুমি আমেরিকার চিঠিটা গতকাল আমাকে দিয়েছ।

    হ্যাঁ। কিন্তু তার আগে খাম খুলে তুমি চিঠি পড়েছি।

    মুখবন্ধ খামই তোমাকে দিয়েছি।

    তা দিয়েছ। কিন্তু খাম খুলে চিঠি পড়ে তারপর আবার মুখ বন্ধ করেছ।

    এ-রকম সন্দেহ হবার কারণ?

    কারণ খামের মুখ ভাত দিয়ে বন্ধ করা ছিল। আমেরিকা থেকে কেউ ভাত দিয়ে মুখ বন্ধ করে খাম পাঠায় না।

    রফিক চুপ করে রইল। কথা সত্যি। শারমিন বলল, আমার চিঠি তুমি কেন পড়লে?

    হাসবেণ্ড তার স্ত্রীর চিঠি পড়তে পারবে না?

    নিশ্চয়ই পারবে। কিন্তু চুরি করে না।

    আমার ভুল হয়েছে, এ-রকম আর হবে না।

    শারমিন ফুলে ফুলে কাঁদতে লাগল। শোকের এমন তীব্র প্রকাশ রফিক আগে দেখে নি। তার লজ্জার সীমা রইল না। সে নরম স্বরে বলল, শোন শারমিন, এই যে, তাকাও আমার দিকে।

    প্লিজ, আমার সঙ্গে কথা বলবে না।

    কথা না-বলে আমি থাকতে পারি না।

    শারমিন জবাব না দিয়ে উঠে চলে গেল।

     

    বাবুলকে কোথাও পাওয়া গেল না। ছাদে ছিল, এখন নেই। আশেপাশে কোনো বাড়িতেও নেই। টুনি খুঁজে এসেছে।

    সোভাহান বলল, থাক, বাদ দাও। আরেক দিন নাহয় আসব।

    নীলু বলল, ঢাকাতেই থাকেন তো?

    হ্যাঁ।

    তাহলে নাহয় ছেলের জন্যেই আরেক বার কষ্ট করে আসুন। দেখে যান সে কেমন আছে!?

    সে ভালোই আছে। ওকে নিয়ে আমি ভাবি না।

    কাউকে নিয়েই ভাবেন না। এটা কোনো গুণ না দুলাভাই।

    সোভাহান তার ঝুলির ভিতরে হাত দিয়ে প্লাস্টিকের সস্তা ধরনের একটা খেলনা বের এগিয়ে দিল টুনির দিকে। নীলু বলল, টুনিকে দিতে হবে না দুলাভাই। বাবলুর জন্যে এনেছেন, রেখে দিন, বাবলুকেই দেবেন।

    সোভাহান হেসে ফেলল। হাসতে-হাসতেই বলল, এইখানে তুমি একটা ভুল করলে নীলু এটা আমি টুনির জন্যেই এনেছি। দেখ, এটা একটা পুতুল। মেয়েরাই পুতুল খেলে। বাবলুর জন্যে আমি একটা পিস্তল এনেছি। নাও, এটা ওকে দিও।

    নীলু বেশ লজ্জা পেল। সোভাহান হাসছে। নীলুর এই লজ্জা সে যেন উপভোগ করছে।

    যাই, নীলু।

    আমার কথায় কিছু মনে করবেন না, দুলাভাই।

    যাদের আমি পছন্দ করি, তাদের খুব কড়া কথাও আমার ভালো ब्लाटुনা।

    সোভাহান রাস্তায় নেমে গেল। নীলু অনেকক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইল। তার খুব খারাপ লাগছে। শুধু—শুধু এতগুলি কঠিন কথা বলা হল। সে কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না। ভেতর থেকে মনোয়ারা ডাকছেন, বৌমা, ও বৌমা।

    কোন বৌকে ডাকছেন কে জানে। দুই ছেলের বৌকেই তিনি বৌমা ডাকেন–বড়ো বৌমা বা ছোট বৌমা নয়। কিন্তু এক জনের জায়গায় অন্য জন এলে রেগে আগুন হন। বিরক্ত গলায় বলেন-তোমাকে তো ডাকি নি বৌমা। তুমি এসেছি কেন?

    এখন তিনি কাকে ডাকছেন কে জানে? নীলু ক্লান্ত পায়ে ভেতরে ঢুকল। মনোয়ারা বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁর মুখ থাথম করছে।

    আমাকে ডেকেছেন মা?

    হ্যাঁ। কে এসেছিল?

    আমার বড়ো দুলাভাই, বাবলুর বাবা।

    আমাকে ডাকলে না কেন? আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে না যে! নাকি আমাকে তোমরা মানুষ বলে মনে কর না।

    আপনি শুয়ে ছিলেন, তাই।

    শুয়ে ছিলাম–মরে তো যাই নি? নাকি তোমার ধারণা মরে গিয়েছি?

    ছিঃ মা, কী বলছেন এসব!

    আত্মীয়স্বজন এলে দেখাসাক্ষাতের একটা ব্যাপার আছে!

    তা তো আছেই।

    ঠিক আছে মা, তুমি যাও। বেশি দিন বেঁচে থাকার এইটাই সমস্যা। কেউ মানুষ মনে করে না। মনে করে ঘরের আসবাবপত্র। ছিঃ ছিঃ! ছিঃ ছিঃ। দাঁড়িয়ে আছ কেন, যাও।

    মনোয়ার রাগ করে রাতের বেলা ভাত খেলেন না।

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleএকটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি – হুমায়ূন আহমেদ
    Next Article এই মেঘ, রৌদ্রছায়া – হুমায়ূন আহমেদ

    Related Articles

    হুমায়ূন আহমেদ

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই বসন্তে – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই মেঘ, রৌদ্রছায়া – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি – হুমায়ূন আহমেদ

    December 23, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Our Picks

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }