Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    এলেবেলে – হুমায়ূন আহমেদ

    হুমায়ূন আহমেদ এক পাতা গল্প138 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ১.০৪ পাগলরা সবচেয়ে ভালো উপদেশ দেয়

    কোথায় যেন পড়েছিলাম পাগলরা সবচেয়ে ভালো উপদেশ দেয়। কথাটির তেমন গুরুত্ব দিইনি। কারণ উপদেশ দেয় এ জাতীয় পাগল আমার চোখে পড়েনি। বহুকাল আগে যখন ফুলবাড়িয়াতে রেলস্টেশন ছিল তখন একজনকে দেখেছিলাম। সে ট্রেনের ইঞ্জিনগুলিকে গম্ভীর গলায় উপদেশ দিচ্ছিল–বাবারা লাইনে থাকিস। নিঃসন্দেহে ভালো উপদেশ। তবে ইঞ্জিনগুলি এই উপদেশকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা বলা মুশকিল।

    কিছুদিন আগে আমি কি এক পাগলের কাছ থেকে সত্যি সত্যি একটা ভালো উপদেশ পেলাম। এই পাগল হচ্ছেন আমার দূরসম্পর্কের মামা। ঝিগাতলায় থাকেন। অত্যন্ত ভালোজাতের পাগল। হইচই নেই, গোলমাল নেই–মধুর স্বভাব। মুখে হাসি লেগেই আছে। কথাবার্তাও খুব স্বাভাবিক। তাঁর পাগলামির একমাত্র নমুনা হচ্ছে, মামিকে দেখলেই শিশুদের মতো এক বিঘৎ জিহ্বা বের করে ভেংচি দিতে থাকেন। যতক্ষণ মামি সামনে থাকেন ততক্ষণ এই অবস্থা। মামি প্রথমদিকে খুব কান্নাকাটি করতেন। দেয়ালে কপাল। তন। এখন সহ্য করে নিয়েছেন। পারতপক্ষে সামনে আসেন না, আর এলেও লম্বা ঘোমটা দিয়ে থাকেন।

    এই মামার সঙ্গে এক সন্ধ্যাবেলায় আমার দেখা। তিনি বললেন, সেজেগুঁজে যাচ্ছিস কোথায়?

    বিয়েবাড়িতে যাচ্ছি মামা। বৌ-ভাতের দাওয়াত।

    মামা সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত গম্ভীর হয়ে একটি উপদেশ দিলেন। নিচুগলায় বললেন, যেতে বসার সময় গুনে গুনে তিন নম্বর চেয়ারে বসবি। শুরু থেকে এক দুই করে তিন নষটায়।

    আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন?

    রেজালার বাটি সবসময় তিন নম্বর চেয়ারের সামনে পড়ে।

    আমি সেদিন সত্যি সত্যি তিন নম্বর চেয়ারে বসেছিলাম এবং সামনে রেজালার বাটি পেয়েছি। এখনো তাই করি এবং হাতে হাতে ফল পাই। যেসব পাঠক-পাঠিকা আমার এলেবেলে পড়েন তাদেরকে বলছি, ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখুন।

    আগের কথায় ফিরে যাই। মামার উপদেশ শোনার পর থেকে পাগলদের উপর আমার ভক্তি-শ্রদ্ধা বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। আমার ধারণা, এরা নিজের এবং চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে বেশ ভালো রকম চিন্তাভাবনা করে এবং এদের লজিকও বেশ পরিষ্কার। তার চেয়েও বড় কথা, এদের বসবোধ আমাদের চেয়েও ভালো।

    আমি এক রাজনৈতিক সভায় জনৈক পাগলের কাণ্ডকারখানা দেখে এদের রসবোধ সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হই। বেশ উষ্ণ বক্তৃতা হচ্ছিল। রোগামতো এক নেতা গণতন্ত্রের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন, তখন অঘটন ঘটল। এক পাগল উঠে দাঁড়াল এবং অবিকল ওই নেতার মতো হাত-পা নেড়ে বক্তৃতা শুরু করল। তার বক্তৃতা আরও জ্বালাময়ী। আমরা সবাই নেতাকে বাদ দিয়ে তার কথা শুনছি এবং বিমলানন্দ ভোগ করছি। রোগা নেতা তীব্ৰদৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন পাগলের দিকে। বুঝতে পারছি ভদ্রলোক যথেষ্ট অপ্রস্তুত বোধ করছেন। তিনি বেশ কয়েকবার হ্যালো হ্যালো মাইক্রোফোন টেস্টি ওয়ান, টু, থ্রি বলে শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করলেন। পারলেন না। কারণ ততক্ষণে পাগলের ভেতর জজবা এসে গিয়েছে, সে অত্যন্ত উঁচুগলায় বস্ত্র সমস্যার সমাধান করিতে হইবে বলে নিজের লুঙ্গি খুলে গামছার মতো  কাঁধে ফেলে দিয়ে হাসিমুখে তাকাচ্ছে সবার দিকে। আমরা তুমুল করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দিত বুলাম। নোগা নেতার ইশারায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ঘাড় ধরে বের করে আবার সভার কাজ শুরু হলো। কিন্তু সভা আগের মতো আর জমল না। নেতা আবেগকম্পিত গলায় যা-ই বলেন শ্রোতারা  দাঁত বের করে হাসে। নেতা তার বক্তৃতায় ফর্মুলামতো যেই বস্তু-সমস্যার কথায় এসেছেন অমনি লোকজন চেঁচাতে শুরু করল-পায়জামা খুইল্যা তারপরে কন। আগে পায়জামা খুইলা কান্দে ফেলেন। হে হে হে। হো হো হো।

    পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবতে পারেন নেতাদের ব্যঙ্গ করার জন্যে উপরের ঘটনাটি আমি বানিয়েছি। এত সাহস আমার নেই। নেতাদের আমি বড় ভালোবাসি। যে পাগলটির কথা বললাম, সে ঢাকা শহরের একজন পুরনো পাগল। যেসব মেয়ে ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে রোকেয়া হলে থাকতেন তারা এই পাগলকে ভালো করেই চেনেন। সেই সময়ে এই পাগলকে প্রায়ই হলের গেটের কাছে দেখা যেত। লাজুক ধরনের মেয়েদের কাছে গিয়ে অত্যন্ত বিনয়ী ভঙ্গিতে বলত–আপা, একটা জিনিস দেখবেন? মেয়েটি হ্যাঁ-না কিছু বলার আগেই সে লুঙ্গি খুলে ফেলার একটা ভঙ্গি করত। মেয়েটি চিৎকার করে ছুটে যেত হল গেটের দিকে। পাগল মজা পেয়ে মিটিমিটি হাসত শুনেছি একবার নাকি একটা সাহসী মেয়ে বলেছিল–হ্যাঁ, দেখব। এতে পাগল খুব বিমর্ষ হয়ে পড়ে। মুখ কালো করে চলে যায়। এরপর থেকে এই অঞ্চলে তাকে আর তেমন দেখা যায়নি।

    নাগরিক পাগলদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। সেই তুলনায় গ্রামের পাগলদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক থাকে। সবাই নিশ্চয়ই জানেন, প্রতিটি গ্রামে একজন মহা বোকা এবং একজন পাগল থাকে। এদের দুজনের কাজ হচ্ছে গ্রামবাসীর জন্যে নির্দোষ বিনোদন সরবরাহ করা। বিশেষ করে গ্রামে যখন বরযাত্রী আসে বা অতিথি আসে তখন পাগল এবং মহা বোকাকে সমাদরের সঙ্গে তাদের সামনে উপস্থিত করা হয়। যাতে অতিথিরা পাগলামি এবং বোকামি দেখে বিমলানন্দ উপভোগ করতে পারেন।

    আমাদের গ্রামের যে পাগল ছিল তার নাম নও পাগল। তার পাগলামির লক্ষণ হচ্ছে সে একটা লম্বা লাঠি মাটিতে রেখে বলবে–তিন হাত পানি। সারাক্ষণই সে বিভিন্ন জায়গায় লাঠি রেখে পানি মাপছে। কখনো তিন হাত কখনো পাঁচ হাত। যাই হোক, একবার বরযাত্রী এসেছে, সবাই ধরে নিয়ে এল নশুকে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, পানি কতটুকুরে নও? লাঠি দিয়ে মেপে বল দেখি।

    নশু অবাক হয়ে বলল, শুকনা খট খট করতাছে। পানির কথা কী কন?

    সবাই রেগে আগুন। কড়া গলায় বলল, লাঠি দিয়ে মেপে ঠিকমতো বল হামারজাদা তিন হাত পানি না পাঁচ হাত পানি।

    নশু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল, পানি তো দেখি না। এইসব কী কন? পাগলের কথাবার্তা।

    নশুকে ধরে শক্ত মার দেওয়া হলো। গ্রামের বেইজ্জতি হয়ে যাচ্ছে, সহ্য করা মুশকিল। মার খেয়ে নশুর বুদ্ধি খুলল। লাঠি মাটিতে ধরে বলল, সাড়ে চাইর হাত পানি।

    সবার মুখে হাসি ফিরে এল। বরযাত্রীদের একজন বলল, পানি বাড়ছে না কমছে।

    বাড়ছে। এখন হইছে পাঁচ হাত।

    ঘামে শান্তি ফিরে এল। আধঘণ্টা ধরে নও বরযাত্রীদের সামনে বিভিন্ন জায়গায় লাঠি রেখে পানির উচ্চতা বলতে লাগল। বরযাত্রীরা মহা খুশি।

    আমার মনে হয়, শুধু গ্রামে নয় সমাজের প্রতিটি স্তরে একজন করে পাগল দরকার। লেখক এবং কবিদের মধ্যেও দরকার একজন পাগলা-লেখক কিংবা কবি। ঠিক তেমনি পত্রপত্রিকার মধ্যে একটি পাগল পত্রিকা দরকার, যেমন উন্মাদ।

    পুনশ্চ : পাগলদের নিয়ে আমি কয়েকদিন আগে একটা চমৎকার রসিকতা পড়লাম। আপনাদের কেমন লাগবে বুঝতে পারছি না, তবু বলছি। মি. জোনসের ইনসমনিয়া হয়েছে। পরপর চার রাত অনুমো থেকে অবস্থা কাহিল। নানান ধরনের সিডেটিভ দিয়েও কাজ হলো না। তখন মি. জোনসের আত্মীয়স্বজন একজন সাইকিয়াট্রিস্টকে আনলেন। সাইকিয়াট্রিক্ট বললেন, রোগীকে হিপনোটইজ করে ঘুম পাড়িয়ে দেব। এই বলে তিনি রোগীর সামনে হাত নাড়তে নাড়তে বললেন, ঘুম আসছে, আপনার চোখে নেমে আসছে ঘুম। বাইরের জগৎ-সংসার আপনার কাছে বিলুপ্ত। আপনার চোখে তন্ত্ৰা। এই তো চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। নিঃশ্বাস হচ্ছে ভারী। সত্যি সত্যি জোনসের চোখ বন্ধ হয়ে এল। নিঃশ্বাস হলো ভারী। ডাক্তার ভিজিট নিয়ে দরজার বাইরে যেতেই মি. জোনস চোখ মেলে ভয়ার্ত গলায় বললেন, পাগল বিদেয় হয়েছে?

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleসকল কাঁটা ধন্য করে – হুমায়ূন আহমেদ
    Next Article আমার ছেলেবেলা – হুমায়ূন আহমেদ

    Related Articles

    হুমায়ূন আহমেদ

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই বসন্তে – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই মেঘ, রৌদ্রছায়া – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এইসব দিনরাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

    December 23, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Our Picks

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }