Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    কুটু মিয়া – হুমায়ূন আহমেদ

    হুমায়ূন আহমেদ এক পাতা গল্প132 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ০৪. চোখ পিটপিট করতে লাগলেন

    হাজী একরামুল্লাহ বললেন, তোমার কী হয়েছে?

    আলাউদ্দিন জবাব না দিয়ে চোখ পিটপিট করতে লাগলেন। হাজী সাহেব বললেন, চোখ পিটপিট করছ কেন?

    আলাউদ্দিন বললেন, রোদটা কড়া। চোখে লাগছে।

    হাজী সাহেব বললেন, ঘরের ভেতরে রোদ কোথায়? চোখ পিটপিটানি বন্ধ করে বলো তো তোমার ঘটনা কী?

    আলাউদ্দিন চুপ করে রইলেন। বলার মতো কোনো ঘটনা ঘটে নি। দিনের পর দিন তিনি নিজের শোবার ঘরের খাটের ওপর ছিলেন। নদিন পর আজ প্রথম বাইরে এসেছেন। আলো চোখে লাগছে। দোকানের ভেতর রোদ নেই ঠিকই, কিন্তু বাইরে ভাদ্র মাসের রোদ ঝলমল করছে। রোদের দিকে তাকালেই চোখ জ্বালা করে।

    হাজী সাহেব বললেন, তোমার শরীরে পানি এসেছে না-কি? হাত-পা-মুখ ফোলা ফোলা। সমস্ত শরীরে গোল ভাব চলে এসেছে। সারাদিন কী কর? ঘুমাও?

    আলাউদ্দিন সিগারেট ধরালেন। হাজী সাহেব বললেন, সিগারেট খাচ্ছি কারখানার চিমনির মতো। দশ মিনিটও হয় নি এসেছু, এর মধ্যে চারটা সিগারেট খেয়ে ফেললে।

    আলাউদ্দিন চুপ করেই আছেন। হাজী সাহেবের সিগারেটের হিসেবে ভুল হয়েছে। সিগারেট চারটা খাওয়া হয় নি, তিনটা খাওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তর্ক শুরু করা যায় না। হাজী সাহেব রেগে আছেন। ব্লগের মুহূর্তে তর্ক চলে না।

    হস্তরেখা বই-এর পাণ্ডুলিপি কোথায়? এনেছ?

    আলাউদ্দিন ক্ষীণ গলায় বললেন, এনেছি।

    শেষ করেছ?

    জ্বি।

    কই দেখি।

    একটু পরে দেই। বুঝিয়ে দিতে হবে।

    হাজী সাহেবের রাগী মুখ সহজ হয়ে এলো। আলাউদ্দিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। এই স্বস্তি সাময়িক, কারণ তিনি হস্তরেখা বিজ্ঞান বই-এর পাণ্ডুলিপি আনেন নি। যে বই লেখাই হয় নি তার পাণ্ডুলিপি অনবে কীভাবে? শিররের চ্যাপ্টারটা মাত্র শুরু হয়েছিল। পাণ্ডুলিপি না এনেও বলা হয়েছে এনেছি। এই মিথ্যা শেষ পর্যন্ত কীভাবে সামাল দিবেন কে জানে। আলাউদ্দিনের বুকের ভেতর ধুক বুক শব্দ হতে লাগল। ভালো ঝামেলায় পড়া গেল।

    হাজী সাহেব সহজ স্বাভাবিক গলায় বললেন, দেখি তোমার একটা সিগারেট খেয়ে দেখি।

    আলাউদ্দিন সিগারেটের প্যাকেট বের করে দিলেন। হাজী সাহেব সিগারেট ধরাতে ধরাতে বললেন, তোমার আসার কথা ছিল বুধবারে। তুমি যখন বুধবারে এলে না, বৃহস্পতিবার চলে গেল, শুক্রবার চলে গেল তারপরেও তোমার খোঁজ নেই তখন একবার মনে হয়েছিল বই নিয়ে ব্যস্ত। বই শেষ না করে আসবে না। আমি ম্যানেজারকে সে-রকমই বলেছি। চা খাবে?

    জ্বি না।

    জি না আবার কী!চা খাও। মালাই চা।

    জ্বি আচ্ছা।

    আলাউদ্দিন মনে মনে দোয়া ইউনুল পড়ছেন। এই দোয়া পড়লে যে-কোনো বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। আলাউদ্দিন ঠিক করলেন পাণ্ডুলিপির প্রসঙ্গ আবার না আসা পর্যন্ত তিনি এই দোয়া পড়তেই থাকবেন। এমন হওয়া বিচিত্র না। যে দেখা যাবে দোয়া ইউনুস পড়ার কারণে হাজী সাহেব পাণ্ডুলিপির প্রসঙ্গটা তুলতে ভুলে যাবেন। অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। এমন একটা ঘটনা টানো আল্লাহর জন্যে কোনো ব্যাপারই না।

    চা চলে এসেছে। চা এবং পিরিচ ভর্তি জর্দা দেয়া পান। হাজী সাহেব অতি দ্রুত কয়েকটা চুমুক দিয়ে চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে মুখ ভর্তি করে পান নিলেন। পান চিবাতে চিবাতে সহজ গলায় বললেন, আমার ভাগ্নি হামিদাকে বিবাহের কথা নিয়ে কিছু ভেবেছ? ইচ্ছা না থাকলে না বলে দাও। কোনো অসুবিধা নেই। হামিদাও বেঁকে বসেছে। শুরুতে হ্যাঁ বলেছিল, এখন না বলছে। মেয়েদের এই সমস্যা। স্থিরতা বলে কিছু নেই। সাগরের ঢেউ— এই আছে এই নাই। তোমার নিজেরও তো বিয়ের ব্যাপারে অনাগ্রহ আছে। ঠিক না। এই বয়সে সংসারের ঝামেলায় যেতে ইচ্ছা না করারই কথা।

    আলাউদ্দিন বললেন, আমি বিবাহ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে উনার মত না থাকলে তো কিছু করার নাই। সবই আল্লাহপাকের ইচ্ছা। উনার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতা ও কালে না। আমরা তুচ্ছ।

    হাজী সাহেব বললেন, তুমি বিবাহ করতে চাও?

    আলাউদ্দিন হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। মেয়ে যেখানে বেঁকে বসেছে সেখানে হ্যাঁ বলতে বাধা নাই। তিনি যতই হ্যাঁ বলুন বিয়ে তো হবে না।

    ভালো মতো ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে?

    জি।

    তোমার কোনো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেছ?

    জি না। তবে কুটুকে বলেছি।

    কুটুকে বলেছ। কুটু কে?

    আমার বাবুর্চি।

    আরে রাখ তোমার বাবুর্চি। বাবুর্চির সঙ্গে কেউ নিজের বিয়ে নিয়ে আলাপ করে না-কি?

    আলাপ করার মতো আমার কেউ নাই।

    আলাপ করার কেউ না থাকলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চাকর বাকরের সঙ্গে কেউ আলাপ করে? নাও, পান খাও।

    আলাউদ্দিন আগ্রহের সঙ্গে পান মুখে দিলেন। মনে মনে দোয়া ইউনুস তিনি এখনো পড়ছেন। দোয়ায় মনে হয় একশন শুরু হয়েছে। হাজী সাহেব পাণ্ডুলিপির প্রসঙ্গে যাচ্ছেন না। মনে হচ্ছে পাণ্ডুলিপির চেয়ে তিনি তার ভাগ্নি হামিদা বানুর বিবাহ নিয়ে বেশি উৰ্ঘিশ্ন।

    হাজী সাহেব খানিকটা কুঁকে এসে বললেন, তুমি তাহলে বিবাহের ব্যাপারে পজেটিভ সিদ্ধান্ত নিয়েছ?

    জ্বি।

    তাহলে তো হামিদাকে রাজি করানো দরকার। রাজি কেন করানো দরকার এটা শোন। পাড়ার মাস্তানদের গডফাদার টাইপ এক লোকের চোখ পড়েছে হামিদার দিকে। বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। নানান ভাবে যন্ত্রণা করছে। অতি বদ লোক। অতি হারামজাদা। থাকে মদের উপর। গুণ্ডাপাত্তা পুষ। স্ত্রী মারা গেছে–আবার বিবাহ করবে। এর কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়া আর মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে নিজের হাতে তেতুল গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেয়া একই কথা। বুঝতে পারছ?

    জ্বি।

    তুমি বুঝতে পারছ না। এই জাতীয় বদলি যে মানুষের উপর কী পরিমাণ জুলুম করতে পারে তোমার কোনো ধারণাই নেই। হামিদার রূপে পাগল হয়ে সে যে হামিদাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে তা কিন্তু না। হামিদাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে। বাড়িটার জন্যে।

    বাড়িটার জন্যে মানে?

    হামিদার যে বাড়িতে তোমাকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা হামিদার নিজের বাড়ি। তার স্বামী বানিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। ঢাকা শহরে পাঁচ কাঠা জমির উপর দোতলা বাড়ি সহজ ব্যাপার তো না। যে কটা পাত্র হামিদাকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখিয়েছে সবার নজর বাড়িটার দিকে। এর মধ্যে একজন আবার বাড়ির দলিল দেখতে চেয়েছিল। বুঝ অবস্থা। একমাত্র তোমাকে দেখলাম এই ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নাই।

    আলাউদ্দিন চুপ করে রইলেন। তিনি এখনো দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারছেন না। হাজী সাহেব যদি ফস করে বলে বসেন— পাণ্ডুলিপিটা কোথায়? বের কর দেখি কয় ফর্মা হয়েছে। তাহলে কী হবে?

    আলাউদ্দিন জ্বি।

    তুমি লোক ভালো। আমার ভাগ্নির জন্যে একজন ভালো মানুষ দরকার। আর কোনো কিছুরই দরকার নাই। তুমি যদি সত্যি সত্যি বিয়েতে রাজি থাক তাহলে আমি আমার ভাগ্নিকে রাজি করাব। কী বলো তুমি? তোমার মন ঠিক আছে তো?

    আলাউদ্দিন ক্ষীণ স্বরে বললেন, জ্বি।

    এই বয়সের বিয়েতে তো আর প্যান্ডেল বানানো হবে না। তুমিও পাগড়ি পরে ঘােড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাবে না। কাজীকে ডেকে আনব। তিনবার কবুল বলা হবে— মামলা ডিসমিস। না-কি উৎসব করতে চাও?

    জ্বি না।

    আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও তো তোমার যোগাযোগ নাই।

    জ্বি না।

    তাহলে আর কী? কাজী ডেকে ঝামেলা মিটিয়ে দেই। বিয়ের পরে না হয় কিছু লোকজন ডেকে চাইনিজ হোটেলে রিসিপসনের মতো করলে। কী বলে?

    আলাউদ্দিন ক্ষীণ স্বরে বললেন, আপনি যা ভালো মনে করেন।

    বিয়ে করবে তুমি, আমার ভালো মনে করাকরির তো কিছু নাই। এখনো সময় আছে। হ্যাঁ না ভেবে বলো। তুমি হ্যাঁ বললে আমি হামিদার কাছে চলে যাব। যেভাবে হোক তাকে রাজি করাব। বিয়েতে রাজি না হলে লোকমান ফকিরের খপ্পর থেকে তাকে উদ্ধার করার মাত্র ক্ষমতা আমার নাই।

    লোকমান কির কে?

    ঐ হারামজাদার কথা একটু আগে না বললাম? গুণ্ডাপাণ্ডা পুষে। ওয়ার্ড কমিশনার। মদ খেয়ে একদিন রাস্তার উপর পড়েছিল। যে-ই পাশ দিয়ে যায় হামাগুঁড়ি দিয়ে তার পায়ে ধরতে যায়।

    জ্বি বুঝতে পেরেছি।

    এখন তুমি বলো— হামিদাকে রাজি করাব?

    জি আচ্ছা।

    তাহলে তুমি আর দোকান থেকে বের হয়ো না। খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম। নাও। সব যদি ঠিকঠাক মতো হয় আমি কাঙ্খী ডেকে এনে আমার বাড়িতে বিয়ে পড়িয়ে দেব। এক জিনিস নিয়ে দিনের পর দিন আর কত ঘটঘট করব? ঠিক আছে?

    জ্বি।

    এত শুকনা গলায় জ্বি বলছ কেন? জোর করে ধরে বেন্ধে তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি এরকম মনে করছ না তো?

    জি না।

    ভেরি গুড। দাও আরেকটা সিগারেট দাও। সিগারেটের ধোয়া দিয়ে মাথা খোলাসা করে কাজে নেমে পড়ি।

    আলাউদ্দিন দোয়া ইউনুস পড়া বন্ধ করলেন। দোয়া কাজ করেছে। হাজী সাহেব হস্তরেখা বিজ্ঞান বই-এর পাণ্ডুলিপি বিষয়ে কোনো কথা না বলেই উঠে পড়েছেন। তিনি যে বস্তুর সঙ্গে বের হয়েছেন তাতে মনে হয় না আজ আর পাণ্ডুলিপি প্রসঙ্গ উঠবে।

     

    আলাউদ্দিনের দুপুরের খাওয়াটা ভালো হলো না। কুটুর হাতের রান্না খেয়ে এমন হয়েছে অন্য কোনো কিছুই আর মুখে স্কুচে না। দুপুরে তিনি লম্বা ঘুম দিলেন। ঘুম ভাঙ্গল বিকেলে। হাজী সাহেবের দােকানের ম্যানেজার বলল, আপনাকে থাকতে বলেছেন। আপনার জন্যে জরুরি খবর আছে।

    আলাউদ্দিন বললেন, কী খবর?

    ম্যানেজার বলল, কী খবর তা তো জানি না। চা নাশতা কী খাবেন বলেন। গোশত পরোটা আনাই।

    আনাও।

    ভরপেট গোশত পরোটা এবং দুকাপ চা খেয়ে আলাউদ্দিন আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুম ভাঙ্গল সন্ধ্যার পর। তিনি হয়তো আরো কিছুক্ষণ ঘুমাতেন, হাজী সাহেব নিজে গা ঝাকিয়ে ডেকে তুললেন। হাসি মুখে বললেন, আজই তোমার বিয়ে।

    হাজী সাহেব আলাউদ্দিনের জন্যে নতুন পায়জামা পাঞ্জাবি কিনে এনেছেন। তিনি গম্ভীর ভঙ্গিতে বললেন, তাড়াতাড়ি একটা সেলুন থেকে চুল কেটে আল। সাবান ডলা দিয়ে গোসল কর। পানির ব্যবস্থা দোকানেই করেছি।

    আলাউদ্দিন কোনো কিছু না বুঝেই বললেন, জি আচ্ছা।

    দেনমোহরের ব্যাপার আগেই ঠিক করে ফেলি। পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহর। অর্ধেক উসুল। ঠিক আছে?

    জি।

    তুমি খুশি তো?

    জি খুশি।

    মুখে হাসি নাই কেন? হাস। আচ্ছা থাক, পরে হাসলেও হবে। সময়ের টানাটানি। ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে নাপিতের দোকান থেকে চুল কেটে আস। বিয়ের আগে চুল কাটতে হয়, নখ কাটতে হয় অনেক দিনের নিয়ম।

    আলাউদ্দিন সুবোধ বালকের মতো ম্যানেজারকে নিয়ে চুল কাটতে গেলেন।

    রাত আটটায় বিয়ে হয়ে গেল।

    রাত আটটা চল্লিশে তিনি নিজের বাড়িতে চলে এলেন। কুটু দরজা খুলে দিল। আলাউদ্দিন বললেন, বাথরুমে গরম পানি আছে? গা কুট কুট করছে। গোসল করব।

    কুটু হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ল। তিনি সরাসরি বাথরুমে ঢুকে গেলেন।

    বাথরুমে শুধু যে গরম পানি আছে তা না। বাথরুমে কাঠের একটা চেয়ার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চেয়ারের ওপর পিরিচ দিয়ে ঢাকা একটা জগ রাখা আছে। জগে লাল রঙের কোনো বস্তু। বরফ ভাসছে। পাশেই খালি গ্লসি। দেয়াশলাই, সিগারেট এবং এসট্রে সাজানো আছে। আলাউদ্দিন বিস্মিত হয়ে বললেন- ইয়ে নাকি?

    কুটু বলল, জি স্যার।

    টমেটো জুস?

    কুটু জবাব দিল না।

    ইয়ে দেয়া আছে?

    জ্বি স্যার।

    পেয়েছ কোথায়?

    দুটা ভদকার বোতল কিনা আনছি স্যার। গুলশানে পাওয়া যায়। আটশ টাকা কইরা নিছে। মোট ষোল শ।

    টাকা পেয়েছ কোথায়?

    আপনার সুটকেসে টাকা ছিল। চাবিটা ছিল ড্রয়ারে। ড্রয়ার থেইকা চাবি নিয়া স্যুটকেস খুইলা টাকা নিছি।

    আলাউদ্দিন বললেন, ও। তিনি বুঝতে পারছেন না, তার রাগ করা উচিত কি। মনে হচ্ছে রাগ করা উচিত। তাকে না বলে স্যুটকেস খুলে টাকা নিয়ে যাবে এটা কেমন কথা? এ তো রীতিমতো চুরি। তার অবর্তমানে সুটকেস খোলা। আলাউদ্দিন গম্ভীর হয়ে গেলেন। গম্ভীর মুখেই গ্লাসে ঢেলে টমেটো জুস নিয়ে একটা চুমুক দিলেন। আজকের জুস অসাধারণ হয়েছে। তার রাগ পড়ে গেল। এখন মনে হচ্ছে রাগ করা উচিত না। টাকা তো কুটু নিজের জন্যে নেয় নি। সংসারের কাজেই নিয়েছে। তিনি যখন ঘরে থাকেন না তখন হুটহাট করে টাকার দরকার পড়তে পারে। দেখা গেল ঘরে চাল নেই। চাল কিনতে হবে। স্যুটকেস থেকে টাকা না নিলে এইসব সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে?

    কুটু!

    জ্বি স্যার।

    দাও, গোসল দিয়ে দাও।

    আরামে আলাউদ্দিনের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। এখন মনে হচ্ছে কুটু যে বুদ্ধি করে টাকা নিয়ে ভদকা কিনে এনেছে কাজটা খুবই ভালো করেছে। এই জিনিস না। আনলে এমন আরামের ব্যবস্থা হতো না। এমনিতেই আজ মনের উপর প্রচণ্ড চাপ। গিয়েছে। তিনি বছর বয়সে বিয়ে করে ফেলা সহজ ব্যাপার না। কলিজা নড়ে যায়।

    কুটু!

    জ্বি স্যার।

    আজ একটা ঘটনা ঘটেছে। শুনলে তুমি বিশ্বাস করবে না। ভাববে বানিয়ে বলছি। যদিও বানিয়ে বলার অভ্যাস আমার নাই।

    কী ঘটনা ঘটছে স্যার?

    বিয়ে করে ফেলেছি।

    কুটু গায়ে যেভাবে সাবান ডলছিল সে ভাবেই ডলতে থাকল। আলাউদ্দিনের কথায় তার কোনো ভাবান্তর হলো বলে মনে হলো না। কিংবা এও হতে পারে বিয়ে করা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা কুটু তা ধরতে পারছে না। তার কাছে হয়তো বিয়ে করা এবং নাপিতের দোকানে গিয়ে চুল কেটে আসা একই ব্যাপার।

    কটু শুনেছ কী বলেছি? আজ আমি বিয়ে করেছি। বিবাহ। শুভ বিবাহ।

    ভালো করছেন।

    ভালো না মন্দ কে জানে! হাজী সাহেবের কথা ফেলতে পারলাম না। আমি এক সময় খুবই বিপদে পড়েছিলাম। না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা হয়েছিল। হাজী সাহেব তখন কাজ দিয়ে আমাকে বাঁচান। আজ তিনি ভাগ্নিকে নিয়ে বিপদে পড়েছেন। এই বিপদে আমি তাকে সাহায্য করব না তা হয় না। একজনের বিপদে অন্যজন দেখবে। এটাই মানব ধৰ্ম। ঠিক বলছি না কুটু?

    জ্বি।

    মেয়েটিও রূপবতী, নাম হামিদা বানু। নামটা একটু ইয়ে! স্কুলে হামিদ স্যার বলে আমার এক স্যার ছিলেন। খুবই রাগি। অঙ্ক না পারলে পেটের চামড়ায় ডুলা। দিতেন। হামিদা নামটা শুনলেই হামিদ স্যারের কথা মনে পড়ে। পেটে ব্যথার। মতো হয়।

    নামটা বদলায়ে দেন।

    তাই করতে হবে। সুন্দর কোনো নাম দিতে হবে। সে রাজি হবে কিনা কে জানে। কী নাম দেয়া যায় একটু চিন্তা করবে।

    জি আচ্ছা।

    আলাউদ্দিন প্রথম প্লাস শেষ করেছেন। দ্বিতীয় গ্লাস ঢালার পর জগের দিকে তাকিয়ে দেখেন জাগে এখনো অর্ধেক জুস আছে। দেখে বড়ই আনন্দ পেলেন। উদাস গলায় বললেন— মানুষ চিন্তা করে রাখে একটা, হয় আরেকটা। তবে যা হয় দেবী যায় সেটাই ভালো। এই জন্যে কথায় আছে— আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যে করেন। ঠিক না কুটু?

    জ্বি।

    যেমন ধর আজ কিন্তু আমার বাসায় ফেরার কথা ছিল না। বিয়ে হয়ে গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে থাক— এটাই তো স্বাভাবিক। ব্যবস্থাও সেরকম ছিল। হাজী সাহেব বললেন তার বাড়িতেই বাসর হবে। তিন তলার একটা ঘর ঠিক করা হয়েছিল। ফুলটুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। তখন লেগে গেল ঝামেলা।

    কী ঝামেলা

    হামিদা শুরু করল কান্না। হাউমাউ কাউ কাউ যাকে বলে মরা কান্না। সে রাতে আমার সঙ্গে ঘুমাবে না। তার কান্না দেখে হাজী সাহেব বিরক্ত হয়ে বললেন, আচ্ছা থাক স্বামী স্ত্রীর আজকেই যে একসঙ্গে থাকতে হবে তা না। দুএকটা দিন যাক। হামিদা ধাতস্থ হোক।… কুটু!

    জ্বি স্যার।

    হামিদা নামটা তো বদলাতে হয়। যেই মুহূর্তে আমি বললাম হামিদা আমি স্যারকে চোখের সামনে দেখলাম। মনে হলো স্যার পেটের চামড়া চেপে ধরেছেন। স্যার এমনভাবে চাপ দিতেন যে পেটে জন্ম দাগের মতো দাগ পড়ে যেত। হামিদা নামটা বদলাতেই হবে। একটা নাম চিন্তা করে বের কর।

    জামিলা নামটা কি আপনার পছন্দ হয়? জামিলা শব্দের অর্থ সুন্দরী।

    খুব যে পছন্দ হচ্ছে তা না। হামিদা নামের মাঝের অক্ষর ম। আবার জামিলা নামের মাঝের অরও ম। এমন নাম দেয়া দকার যেখানে ম থাকবে না। তবে আপাতত জামিলা নামই থাকুক। ম ছাড়া নাম যখন পাওয়া যাবে তখন সেই নাম রেখে দেব। তুমি আরো নাম খুঁজতে থাক।

    জ্বি আচ্ছা।

    আলাউদ্দিন দ্বিতীয় গ্লাস শেষ করে তৃতীয় গ্লাসের মাঝামাঝিতে চলে এসেছেন। আরামে শরীর যেন কেমন করছে। ইচ্ছা করছে বালিশ নিয়ে বাথরুমের মেঝেতে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকেন। তিনি শুয়ে থাকবেন, কুটু গায়ের ওপর গরম পানি ঢালবে। সাবান ডলবে। মাঝে মাঝে কুটু তার মাথা উঁচু করে ধরবে, তিনি গ্লাসে চুমুক দিবেন।

    কুটু!

    জ্বি স্যার।

    জামিলা তোমাকে পছন্দ করবে কিনা কে জানে। পছন্দ না করলে বিরাট বিপদ হবে। তোমার কি ধারণা পছন্দ করবে।

    মনে হয় না।

    তুমি ঠিক বলেছ— আমার ধারণা পছন্দ করবে না। কথায় আছে না পহেলা দর্শনধারী তারপরে গুণবিচারি। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা সত্য না। দর্শনধারী হলেই হলো। তোমার আবার চেহারা খুবই খারাপ। চেহারা খারাপ বলতে রাগ কর নাই তো?

    জি না। সত্য কথায় রাগ করতে নাই। তোমার চেহারা খুবই খারাপ। ছোট ছেলেমেয়েরা তোমাকে অন্ধকারে দেখলে ভয়ে চিৎকার দিবে। আমি নিজেই মাঝে মাঝে ভয় পাই। কুটু, আমাকে একটা সিগারেট ধরিয়ে দাও তো।

    কুটু সিগারেট ধরিয়ে দিল। আলাউদ্দিন সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বললেন, ঘুম পাচ্ছে। ইচ্ছা করছে ঘুমিয়ে পড়ি। তোমাদের পাইলট স্যার কি বাথটাবে। ঘুমাতেন।

    শেষের দিকে ঘুমাইতেন।

    শেষের দিকে ঘুমাইতেন মানে কী?

    উনার শরীরটা যখন খারাপ হইয়া গেল তখন বাথটাবে শুইয়া থাকতেন। সেইখানেই ঘুমাতেন।

    শরীর খারাপ হয়ে গেল মানে কী? কী হয়েছিল?

    ডাক্তার ধরতে পারে নাই। উনি অবশ্য ডাক্তারের কাছে যানও নাই। প্রথম দুই একদিন গেছিলেন, তারপর আর যান নাই।

    অসুখটা কী ছিল?

    শইল ফুইলা গেল। গা হাত পা মুখ ফুইলা গেল। গর্ভবতী মাইয়াগো শরীরে পানি আসলে যেই রকম হয় সেই রকম।

    বলো কী। আমারও তো শরীরে পানি আসার মতো হয়েছে। হাজী সাহেব আজ আমাকে বললেন, তোমার কি শরীরে পানি এসেছে? যাই হোক পাইলট সাহেবের কথা বলো। শরীর ফোলা ছাড়া আর কী হয়েছিল?

    শইল জ্বলত। পানি দিয়া শরীর ভিজাইয়া রাখলে জ্বলুনি কমত। এই জন্যেই কি বাথটাবে শুয়ে থাকতেন?

    জ্বি।

    আমার তো শরীর জ্বলছে না!

    আপনার শইল কেন জ্বলব? আপনার তো কিছু হয় নাই।

    তাও ঠিক। খাওয়া দাওয়া বেশি করছি এই জন্যে শরীর ভারী হয়ে গেছে আর কিছু না। পাইলট সাহেব কি শেষমেষ শরীর জ্বলুনি রোগেই মারা গেলেন?

    জ্বি-না। সারা শইল দিয়া ফোসকার মতো বাইর হইল। পরিষ্কার ফোসকা। মনে হয় কাচের তৈরি। ফোসকা ভর্তি টলটলা পানি।

    বলো কী?

    ঐ পানির ভেতর পোকা হইয়া গেল। ছোট ছোট সাদা কৃমির মতো পোকা। তাব পোকাগুলির মাথা আছে। ছোট্ট মাথা। মাথার দুই দিকে চোখ। ব্যাঙাচির চোখের মতো। ঐ পোকাগুলা স্যাররে খুবই যন্ত্রণা দিছে।

    কীভাবে?

    এরা মাংস খাওয়া শুরু করল।

    থাক, এই গল্প বন্ধ। উজগে টমেটো জুস যা ছিল আলাউদ্দিন পুরোটাই গ্লাসে ঢেলে নিলেন। পোকার গল্পটা শোনার পর থেকে শরীর কেমন যেন করছে।

    কুটু!

    জি স্যার।

    ভালো করে দেখ তো আমার শরীরে ফোসকা জাতীয় কিছু কি আছে?

    নাই সার।

    গুড। ফোসকাগুলির ভেতর যে পোকা হয় সেই পোকার মাথা আছে? মাথার দুপাশে চোখ আছে?

    জ্বি, খুব ছোট ছোট দাঁতও আছে।

    খালি চোখে দেখা যায়?

    জ্বি-না খালি চোখে দেখা যায় না। তবে একটা ফোসকা পাইলট স্যারের চোখের মনির উপর হইছিল। সেই ফোসকার ভিতরে যে দুইটা পোকা হইছিল। সেইগুলি উনি পরিষ্কার দেখতেন। চোখ নষ্ট হইবার আগ পর্যন্ত উনি পোকাগুলি দেখছেন। বড় কষ্ট পাইছেন।

    চোখ নষ্ট হয়ে গেল?

    পোকাগুলি ডিম পাড়ল। সেই ডিম থেইকা বাচ্চা বাইর হইবার পর তারা চোখটা খাইয়া ফেলল। বাম চোখ চইলা গেল।

    তোমার নিজের তো ৰূম চোখ নষ্ট। ঠিক না।

    জ্বি। স্যার, ব্লডিমেরি কি আরেকটু খাইবেন? আইনা দেব?

    দাও আরেকটু, খাই। পোকার কথাগুলি শোনার পর থেকে শরীরটা যেন। কেমন করছে। গা গুলাচ্ছে। আরেকটা খৈলে মনে হয় ঠিক হবে। কুটু তুমি যাচ্ছ কোঘায়?

    আপনি যে বললেন ব্লাডিমেরি আনতে।

    একটু পরে যাও। গল্প করি। তোমার সঙ্গে তো গল্পই করা হয় না।

    জ্বি আচ্ছা।

    তুমি কি বিয়ে করেছিলে?

    জ্বি।

    স্ত্রীর নাম কী?

    নাম ইয়াদ নাই।

    বলো কী–স্ত্রীর নাম ভুলে গেছ? জি। ছেলেমেয়ে আছে? একটা কন্যা সন্তান আছে স্যার। তার নাম মনে আছে? জ্বি না। ইয়াদ নাই।

    কন্যার নামও ইয়াদ নাই। তুমি দেখি এবসেন্ট মাইন্ডেড প্রফেসর হয়ে যাচ্ছি। এটা ঠিক না। স্ত্রী এবং কন্যার নাম ইয়াদ করার চেষ্টা কর।

    আচ্ছা করব।

    করব না, এখনই কর। আমি এখনই তাদের নাম শুনতে চাই। আমি এক থেকে একশ শ্রেণব। এর মধ্যেই এই দুজনের নাম শুনতে চাই। এক-দুই-তিনচার-পাঁচ…

    পঁচিশ পর্যন্ত এসেই আলাউদ্দিন বাথরুমের মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লেন।

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleগৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ
    Next Article কিছুক্ষণ – হুমায়ূন আহমেদ

    Related Articles

    হুমায়ূন আহমেদ

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই বসন্তে – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এই মেঘ, রৌদ্রছায়া – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    হুমায়ূন আহমেদ

    এইসব দিনরাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

    December 23, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Our Picks

    আসমানীরা তিন বোন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    ইস্টিশন – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025

    উড়ালপঙ্খী – হুমায়ূন আহমেদ

    December 24, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }