হারিয়ে যাওয়ার আগে – ১২
১২
খুব নরম স্বরে ডাকলো বিদিশা ইভানকে। ইভান স্কুলের হোমওয়ার্কে ব্যস্ত ছিল। বিদিশার দিকে তাকিয়ে বললো, আজ ইভান গুড বয়, সব হোমওয়ার্ক কমপ্লিট। আমি ভিডিও গেম খেলবো এরপর। বিদিশার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলতে বলতেই ইভানের দৃষ্টি গেলো বিদিশার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা একটু কমবয়সী মেয়েটির দিকে। ইভানের চোখের কৌতূহলী প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে বিদিশা বললো, এর নাম কণিকা। খুব ভালো মেয়ে। ঠিক ইভানের মত ভালো। তাই আমি একে নিয়ে এলাম তোমার কাছে। ওকে তুমি কণিকাদিদি বলে ডাকবে, ঠিক আছে? ও তোমার সব দেখাশোনা করবে। তোমার সঙ্গে খেলবে, রাতে যতক্ষণ না বাবা আসে ততক্ষণ থাকবে। এই পাশেই বাড়ি ওর। ইভান অস্ফুটে বললো, তুমি? তুমি আর আসবে না? কিন্তু তুমি যে বলেছিলে যতদিন না মা ফেরত আসে ততদিন তুমি থাকবে। মা তো এখনও আসেনি, তাহলে তুমি কেন আর আসবে না? ইভানের চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। বিদিশা ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো, আমি তো জানতাম না, সৌগত চৌধুরী এমন বোকা ছেলে! আমি তো ভাবতাম সৌগত ভীষণ ইন্টিলিজেন্ট। ইভান ফিক করে হেসে বললো, সৌগত তো স্কুলের নাম তাই সে চালাক আর ইভান তো বাড়ির নাম তাই সে বোকা। আমি কিছু শুনতে চাই না, তোমায় আসতেই হবে আমার কাছে। জানো, ওই যে সিক্স বি-এ’র অর্ণবের মা আমায় কাল বলছিলো, তুই তো খুব লাকি রে সৌগত, তোর একজন মা গেলো, তো আরেকজন মা এলো! আমূল কেঁপে উঠলো বিদিশা। এসব আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে এমন ব্যস্ততম উচ্চবিত্তদের কমপ্লেক্সে? ঈশা ঠিকই বলে, দিদিভাই ৯০% বিজি মানুষকে ছেড়ে দিলেও ১০% পড়ে থাকে রে। তোর কি মনে হয় ওই ১০% কিছু কম? ভিজে কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এরা। একদিন বিকেলে বাচ্চাদের পার্কটার সামনে গিয়ে দাঁড়াবি, দেখবি তুই এই গোটা হাইরাইজের সব কটা ফ্ল্যাটের খবর পেয়ে যাবি একঘন্টায়। বিদিশা সারাদিন এতটাই ব্যস্ত থাকে যে এসব দেখার কোনো সময় নেই ওর। ওর নেই বলে কারোর সময় নেই ভাবাটা নিতান্ত অন্যায়। বেশ বুঝতে পারছে রচনার মৃত্যুর পর থেকে গোটা কমপ্লেক্সে এই খবরটা বেশ মুখরোচক ভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে যে বিদিশা আপাতত সমুদ্রর পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে। তাই তো ইভানকে নতুন মায়ের কথা বলা হয়েছে। বিদিশা একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিল, ইভান আবার বললো, বলো না, তুমি আমার নতুন মা হবে? যতদিন না আমার মা ফেরত আসে ততদিন পর্যন্ত। আমি বাবাকেও বলেছি। বিদিশা অস্ফুটে বললো, কি বললো তোমার বাবা?
বাবা তো বললো, সবাই সবকিছু ডিজার্ভ করে না ইভান। আমি বিদিশাকে ডিজার্ভ করি না। কেন আন্টি, বাবা কেন তোমায় ডিজার্ভ করে না? তুমি কি বাবাকে বকো?
বিদিশার চোখটা জ্বালা করে উঠলো সমুদ্রর দেওয়া উত্তরটা শুনে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, আরে আমি তো আসবো তোমার আন্টি হয়ে। তার আগে তুমি কণিকার সঙ্গে পরিচয়টা সেরে নাও ইভান।
ইভান যন্ত্রচালিতের মত বললো, হ্যালো দিদি।
কণিকাও হেসে প্রতি-উত্তর দিলো। বিদিশা ওকে বুঝিয়ে দিচ্ছিল ইভান কখন কি খায়, কি করে সব কিছু। বাসন্তীদি একটু বিরক্ত হয়েই বললো, আমি তো চব্বিশ ঘন্টা এই ফ্ল্যাটেই আছি, আমি কি ইভানবাবার দেখাশোনা করতে পারবো না? আবার অন্য কাউকে কি দরকার? বৌদিমনিতো এতদিন আমার ভরসাতেই ওকে রেখে সব জায়গায় যেত!
বিদিশা হেসে বললো, তুমি আর কত করবে বলতো? বাড়ির সব কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়, ইভানের এখন একটা বকবক করার সঙ্গী দরকার। তাই একে নিয়ে এলাম। বাসন্তীদি তুমি নিজের মেয়ের মত করে কণিকাকে সব শিখিয়ে দিও। এটা তো তোমার বাড়ি, তাই নতুনকে সব শিখিয়ে দেওয়া তোমার দায়িত্ব, বুঝলে বাসন্তীদি? ওকে সম্মান দেওয়ায় বেশ খুশি হয়ে বাসন্তী বললো, সে নিশ্চয়ই শিখিয়ে দেব। কথাটা তুমি খারাপ বলোনি গো বিদিশাদিদি। রান্না, ঘর মোছা, সব পরিষ্কার করা এইসব করে সন্ধেতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই। তখন ইভানবাবা গল্প বলতে বললে আর পারি না। আমি আর কণিকা দুজনে মিলেই করবো। কিন্তু তোমাকে রোজ একবার করে আসতেই হবে এখানে। তুমি আসতে দেরি করলে ইভান খুব রেগে যায়। আমায় বলে, যাও এখুনি গিয়ে আন্টিকে ডেকে নিয়ে এসো।
বিদিশা জানে ও আসতে দেরি করলে ইভান অস্থির হয়ে যায়। ফোন করে বারবার। অদ্ভুতভাবে রচনা আর সমুদ্রর সন্তানের সঙ্গে ও মারাত্মকরকম ইনভলভড হয়ে পড়েছে। একটা অচেনা অপত্য স্নেহ এসে ঘিরে ধরেছে বিদিশাকে। ইভান শুধু সমুদ্রর সন্তান বলেই কি এমন হয়েছে? নাকি রচনার মৃত্যুতে নিজেকেও দায়ী করে চলেছে বিদিশার অবচেতন মন। বেশ কিছু এলোমেলো প্রশ্ন দিনরাত ঘুরেই চলেছে মনের মধ্যে। ইভানটা যেন এই কদিনে বড্ড বড় হয়ে গেছে। ম্যাচিউরিটি বেড়ে গেছে ওর। সবটা বুঝতে পারছে যেন। কণিকাকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যটাও যেন ইভানের কাছে পরিষ্কার। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছে ইভান, বিদিশা সমুদ্রর ফ্ল্যাটে আসা কমিয়ে দেবে ধীরে ধীরে। তারপর ডিটাচড হয়ে যাবে রচনার স্বামী আর ছেলের জীবন থেকে। অলরেডি গোটা দুই কোম্পানিতে অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছে বিদিশা জবের জন্য। পেয়ে গেলেই সমুদ্রর চোখের আড়ালে চলে যেতে পারবে। কখনো যেন সমুদ্রর বা ইভানের না মনে হয়, রচনার মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে বিদিশা প্রবেশ করেছিল ওদের জীবনে। নিজেকে বড্ড অবাঞ্ছিত মনে হবে তখন বিদিশার। কারো সাবস্টিটিউট হতে ঘৃণা করে বিদিশার। নিজের যেটুকু প্রাপ্য সেটুকু নিয়েই খুশি থাকতে চায় ও।
ইভান বিদিশার কোমরটা জড়িয়ে ধরে বললো, তুমি আজ আমার কাছে থেকে যাও, আমি ঈশা আন্টিকে জানিয়ে দিচ্ছি ফোন করে। আমরা দুজনে থাকবো। আমি মাঝে শোবো, তুমি আর বাবা আমার দুদিকে। বিদিশার চোখে ভেসে উঠলো ওর কল্পনায় সাজানো সংসারটা। যেখানে ইভান না থাকলেও সমুদ্র ছিল। ইভানের এই আদরের সুতোটা কিভাবে ছাড়াবে বিদিশা সেটাই ভাবছিলো। ইভান যেন এই কদিনে ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে।
বিদিশা মিষ্টি করে বললো, এমা তা কি করে হয়? আমি তো অফিস থেকে ফিরে এখনও বাড়িই যাইনি। ঈশা আন্টি তো কাঁদতে বসে যাবে আমায় না দেখলে, তাই আমি অন্যদিন থাকবো ইভান। আজ তুমি বরং ভিডিও গেম খেলো। আর নতুন ফ্রেন্ড কণিকাদিদিকে স্কুলের সব গল্প বলো। ইভান আরও বারদুয়েক বায়না করে তারপর গেম খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বিদিশাও সেই সুযোগে বেরিয়ে এলো ফ্ল্যাট থেকে।
সমুদ্র কালকেই অফিসে বলেছে, এভাবে নামহীন সম্পর্ক নিয়ে তোমার ইভানের দায়িত্ব নিতে অসুবিধা নেই, অথচ আমি যদি স্বীকৃতি দিতে চাই, সেটা নিতেই যত সমস্যা? এতদিন তো রচনার সংসার ভাঙছো সেই অজুহাতে আমায় দূরে সরিয়ে রেখেছিলে, এখন রচনা নেই তবুও তোমার আমার জীবনে আসতে সমস্যা হচ্ছে! বলোতো সন্ধ্যাতারা থেকে আমরা শিফট করে যাই গড়িয়ার ফ্ল্যাটটাতে। ওখানে নিশ্চয়ই রচনার কথা কেউ জানে না। আমি, তুমি আর ইভান এটাই একটা পরিবার, এটাই জানবে ওখানকার কমপ্লেক্সের লোকজন। তাতে তোমার আপত্তিটা কোথায় বলবে? বিদিশা, এগুলোর কোনোটাই যদি তোমার পছন্দ না হয় তাহলে এক কাজ করো, তুমি আর ইভানের কাছে যেও না। ও তো বাচ্চা ছেলে, ওর মনে ফলস এক্সপেকটেশন জাগানোর কোনো অধিকার তোমার নেই। পারলে এবারে আমার সংসার ছেড়ে নিজে একটা ভালো বিয়ে করো। আমার আর ইভানের দায়িত্ব আমিই সামলে নেব। শুধু শুধু আমার মত মানুষের জন্য নিজের জীবনটা কেন নষ্ট করছো? অভিমানে ধরে এসেছিল সমুদ্রর গলাটা।
বিদিশা শান্ত গলায় বলেছিল, যাকে ভালোবাসলাম তাকে না পেলে আরেকজনকে বিয়ে করতে হবে এমন যুক্তিতে আমি বিশ্বাসী নই। একা থাকলে সমস্যা কি! বেশ, আমি সরে যাবো তোমার আর ইভানের জীবন থেকে।
সমুদ্র অসহায়ের মত বলেছিল, তবুও আমার স্ত্রী হতে তোমার এত আপত্তি বিদিশা? আমি মার্ডারার নই, হ্যাঁ আমি ঘরে স্ত্রী থাকতেও আরেকজনকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম, কি করবো? প্রয়োজন আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্যটুকু বুঝেছিলাম এই বয়েসে এসে। এটাই আমার একমাত্র অপরাধ। তুমি যেটাতে খুশি থাকবে সেটাই হোক বিদিশা।
একটা কোম্পানি থেকে কল করেছিলো, জানতে চাইছিলো চৌধুরী এন্টারপ্রাইজে তোমার অভিজ্ঞতার কথা। আমি রেকমেন্ড করে দিয়েছি। হয়তো জবটা হয়ে যাবে তোমার বিদিশা। সমুদ্র চৌধুরীর মত দুশ্চরিত্র মানুষের নাগালের বাইরে যাওয়াটাই ঠিক। তুমি সেটাই করো। অধিকার বা দাবি কোনোটাই নেই আমার তোমার ওপরে! নেই আটকে রাখার মত ক্ষমতা, না কোম্পানিতে না নিজের জীবনে। তাই তুমি চলে যাও বিদিশা। আমার নামটাই তো সমুদ্র, আমি সারাটা জীবন বিচে বসে থাকা অনেক লোকের সংস্পর্শেও বড্ড একলা।
বিদিশার গলার কাছে কষ্টটা দলা পাকিয়ে বসেছিলো। সেটাকে চরম নিষ্ঠুর হাতে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ও বেরিয়ে এসেছিল কেবিন থেকে।
সমুদ্র ওকে চায়, ও নিজেও চায় সমুদ্রকে। তবুও রচনার মৃত্যুটা একটা বড় কিন্তুর সম্মুখীন করে দিয়েছে ওকে। রচনা যখন জীবিত ছিল তখন বিদিশা চায়নি সমুদ্রকে ওদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে, আর এখন রচনার অবর্তমানে নিজেকে ওদের সংসারে ফিট করিয়ে দিতে চায় না বিদিশা। মনের মধ্যে একটা গান এসে হাজির হলো, সখী ভালোবাসা কারে কয়? সেকি কেবলই যাতনা ময়!
ইভানদের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে অন্যমনস্কভাবে ফিরছিল বিদিশা। খেয়াল করেনি কখন লিফট এসে দাঁড়িয়ে আছে সিক্সথ ফ্লোরে। দুইজন ভদ্রমহিলা এসে ঢুকলো লিফটের মধ্যে। হঠাৎ চোখে পড়লো, পাশের লিফট থেকে বেরিয়ে ঈশা বেশ মিষ্টি করে সেজে সিক্সথফ্লোরের সুপর্ণার ফ্ল্যাটে ঢুকলো। লিফট থেকে বেরিয়ে দেখার চেষ্টা করলো বিদিশা। ঈশা যে ফ্ল্যাটে ঢুকলো সেটা সুপর্ণার ফ্ল্যাট এটা জানে বিদিশা। সুপর্ণার সঙ্গে ঈশার ভালো রিলেশন ছিলো। বাড়িতেও যাতায়াত ছিলো। কিন্তু কে দরজা খুলল সেটা দেখতে পেলো না। এখানে ঈশা এখন কি করছে? মায়ের কাছে তো শুনেছিলো সুপর্ণা ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছে, তাহলে? ঈশার কোনো নতুন কাস্টমার হয়েছে এই ফ্ল্যাটে? কিন্তু ঈশা তো কাস্টমারদের ফ্ল্যাটে সেভাবে যায় না খুব পরিচিত না হলে! সুপর্ণার ফ্ল্যাটটা যে কিনেছে তার সঙ্গে ঈশার কি এমন পরিচয় হয়ে গেলো যে এই সন্ধেবেলা ওকে এখানে আসতে হচ্ছে। তা ছাড়া একই ব্লকে ঘোরার সময় ঈশা তো এত সাজগোজ করে না, কিছু তো একটা সিক্রেট আছেই। বিষয়টা জানতে হবে… ভাবতে ভাবতেই বাকি দুটো তলা নেমে এলো বিদিশা। বেল বাজাতেই মা দরজা খুলে বললো, ইভানদের ফ্ল্যাট হয়ে এলি? এটাই তাহলে রুটিন হয়ে গেল তোর? নিজের বিয়ে হয়নি, বোনটা আছে, কারোর কথাই কি ভাববি না তুই?
ইভানের নরম আব্দারটা না মিটিয়ে প্রায় পালিয়ে আসার জন্য মনের মধ্যে যন্ত্রণাটা হচ্ছিলোই বিদিশার, তাতে মায়ের এমন ব্যঙ্গাত্মক কথাতে প্রায় ফেটে পড়লো বিদিশা। বেশ চিৎকার করেই বললো, আর যাবো না ওই ফ্ল্যাটে, কোনো যোগাযোগ থাকবে না সমুদ্রর সঙ্গে আমার, এবারে হ্যাপি তো? কিন্তু একটা কথা মাথায় রেখো, বিয়ে আমি করবো না। সিঙ্গল থাকবো। যদি তাতে তোমাদের সম্মামহানি হয় তাহলে জানিয়ে দিও আমি কোনো মেস খুঁজে নেবো। প্লিজ, দিনরাত এই একই প্রসঙ্গ টেনে এনো না। কেউ তোমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলছে না। তোমার মেয়ে কচিখুকি নয় মা। কেউ জড়াচ্ছে না তাকে নিজের জালে, প্লিজ। সমুদ্রকে অকারণে দোষ দেওয়া বন্ধ কর তোমরা। বিদিশা টলতে টলতে নিজের ঘরে যেতে যেতে বললো, ঈশা কোথায়, সে খোঁজ রেখেছো?
শ্রেয়া বিরক্ত হয়ে বললো, হ্যাঁ এখুনি বেরোলো, ওর কোনো এক কাস্টমারের একটা জিনিসে একটু ডিসপুট বেরিয়েছে, তাই দেখতে গেল। বহুদিনের কাস্টমার বলেই গেলো। বিদিশা বুঝতে পারলো ঈশা মাকে মিথ্যে বলেছে যে কোনো বিশেষ কারণে। সেই কারণটা খুঁজে বের করতে হবে। কিছু তো একটা গোপনীয়তা আছেই। ঈশা যেন ওর মত কোনো ভুল কাজ না করে ফেলে, তাই লক্ষ্য রাখতে হবে ঈশার ওপরে।
ডিভানের ওপরে ব্যাগটা ছুঁড়ে দিয়ে, ক্লান্ত হয়ে নিজের ঘরের বিছানায় ধপ করে বসে পড়লো বিদিশা। উফ, আর পারছে না নিতে!