হারিয়ে যাওয়ার আগে – ১৪
১৪
ইভান বেশ গম্ভীরভাবে বললো, তাহলে আমার কাছে সবটা বললে যে! আমি কি পছন্দের মানুষ? এই তো একটু আগেই পরিচয় হলো ছাদে তোমার সঙ্গে!
প্রান্তিক হেসে বললো, সে তো তুমিও সবটা বললে। আমি তো জানতামই না, বিদিশা আন্টির সঙ্গে তোমার বাবার বন্ধুত্ব আছে। তোমার মায়ের মৃত্যুর দিনে আমি অফিস যেতে পারিনি, ব্যস এইটুকুই। এত কথা তো আমায় কোনোদিন ঈশা বলেই নি যে তুমি ওদের বাড়িতে প্রায়ই যেতে, ঈশার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব আছে।
ইভান বললো, আমার বাবার ডায়েরি লেখার অভ্যেস আছে। আমি অবশ্য ম্যাক্সিমামটা জেনেছি ওটা পড়েই। আর কিছুটা ইমাজিনেশন বলতে পারো।
প্রান্তিক ভাবছিলো, এই বয়েসের ছেলেরা এখন মানসিকভাবে এতটা বড় হয়ে যায় সত্যিই ওর জানা ছিলো না। বোধহয় পরিস্থিতিই মানুষকে বড় করে, পরিণত করে, বয়েস নয়।
ইভান বিজ্ঞের মত বললো, তুমি কিন্তু এখনো সুইসাইড করতে যাবার কারণটা আমায় বলোনি! মানে ঈশা আন্টি তো খুব মিষ্টি মেয়ে, ভীষণ রকমের সেনসেটিভ, আমি জানি ঈশা আন্টি কাউকে হার্ট করতে পারে না। তাহলে দু-বছরের ব্যবধানে তোমাদের মধ্যে কি এমন ঘটে গেলো যে তুমি সুইসাইড করতে চাইছো?
প্রান্তিক একটা গ্রে কালারের ডায়রি এগিয়ে দিয়ে বললো, এই যে। এটাই কারণ। আমার আত্মহত্যার ইচ্ছা জন্ম দেওয়ার কারণ এটা।
ইভান কথা না বলে ওল্টালো ডায়রিটা। এটা ওর দেখা ডায়রি। যেদিন মা মারা গিয়েছিলো সেদিনই ঈশা আন্টি দেখিয়েছিলো এটা। এর ভিতরের আঁকা ছবিগুলোও ও চেনে।
ইভান পাতা ওল্টাতে ওল্টাতেই বললো, কিন্তু এটা তোমার মৃত্যুর ইচ্ছার কারণ কি করে হলো?
প্রান্তিক বললো, আমি জানতাম ঈশার জীবনে শুধু আমি একাই আছি। আর কেউ নেই। এখন দেখলাম অনুভব নামের একটা ছেলের ছবি, এমন কি অনুভবের সঙ্গে লিখে লিখে গল্পও করেছে ও। আমি সব পড়তে পারিনি ইভান। আমার যন্ত্রণা হচ্ছিল বুকে। পুজোর ঠিক চতুর্থীর দিন আমি আর ঈশা গোটা মহানগরীর পুজো দেখার প্ল্যানটা সেরে ফেলেছিলাম। এখন যেহেতু ঈশার ফ্যামিলির সবাই জানে আমাদের সম্পর্কের কথা তাই আমাদের একসাথে বেরোতে আর কোনো সমস্যা হয় না। বিদিশাদি আর শ্রেয়া আন্টির আমায় খুব পছন্দ। সুফলবাবু মানুষটা গম্ভীর হলেও আমায় ছোট জামাই হিসেবে অপছন্দ করেননি। তাই আমরা গতবারেও পুজোয় গোটা কলকাতা চষে ফেলেছিলাম। গতবার মহানগরীর পুজোটা ছিল আমার কাছে ভীষণরকম জমকালো। আমি কখনো ভাবিনি আমার মত একলা থাকা মানুষের জীবনে এত আনন্দ থাকতে পারে। সবটা হয়েছিল ঈশার জন্য। আমার কলিগদের সঙ্গেও ঈশার খুব ভালো পরিচয় আছে। আমার কলিগরা যতবার এসেছে এই ফ্ল্যাটে, ঈশাই ওদের আপ্যায়ন করেছে। বুঝতে পারছো তো, আমাদের সম্পর্কটা এতটাই ওপেন ছিল যে কোনোদিকেই কোনো বাধা ছিলো না।
আমি মাস তিনেক হলো নতুন গাড়ি কিনেছি, ফ্ল্যাটের লোন শোধ হয়ে গেছে। সুপর্ণা রেজিস্ট্রি করে দিয়ে ফিরে গেছে। ওই গাড়িতে করে ঘুরবো সেটাই প্ল্যান হলো। বাইরে খাওয়া, ঠাকুর দেখার শিডিউল কমপ্লিট। সেদিন ঈশা দুটো ব্যাগ ভর্তি জামাকাপড় এনে আমার ওই পাশের ঘরে রেখে বললো, এগুলো আমার বুটিকের জিনিস। পুজোর চারদিন এখানেই থাকুক। বুটিক শপে রেখে আসতে সাহস হলো না। তুমি নিশ্চয়ই জানো ইভান, ও মার্কেটের মধ্যে একটা বুটিক স্টোর খুলেছে। ঘরটা ভাড়া নিয়েছে ওরা দুই বন্ধু মিলে। একদিকে বিউটি পার্লার আছে শুভাঙ্গীর আর অন্যদিকে ঈশার বুটিক। আমায় যাওয়ার সময় বলে গেলো, খেয়াল রেখো, ইঁদুর যেন না ঢোকে।
আমি সেদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাবলাম এ ভাবে মেঝের ওপরে শতরঞ্জি পেতে দামি জিনিসগুলো রাখাটা ঠিক নয়। বরং ওই ঘরের বড় আলমারিটা মোটামুটি ফাঁকাই আছে। আমার তো একটা আলমারিতেই চলে যায়। ডিনারের পরে আমি ওর ব্যাগগুলো খুলে জিনিসগুলো গোছাতে শুরু করলাম আলমারির মধ্যে। দুটো ডায়েরি পড়লো একটা ব্যাগ থেকে। একটায় ওর হিসেব নিকেশ আর ড্রেসের ডিজাইনের টুকিটাকি আঁকা। আর অন্যটায় এই অনুভবের ছবির পর ছবি। দু-চার লাইন পড়ে বুঝলাম, একে ঈশা গভীরভাবে ভালোবাসে। ঈশা আমায় ঠকিয়েছে! আমি কোনো কৈফিয়ৎ চাইবো না ওর কাছে।
শুধু আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চাই আজকেই। কাল ভোরে যখন ঢাক বাজবে, পুজোর গন্ধে মেতে উঠবে সবাই, তখন আমি ঘুমাবো।
এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো আমি কেমন ঠকেছি! এখন নিশ্চয়ই আমায় হেল্প করবে ইভান?
ইভান বললো, এবারে আমারটা শোনো। আমি এতদিন পর্যন্ত জানতাম বাবা আর বিদিশা আন্টির মধ্যে একটা বন্ধুত্বের কারণেই আমার মা আপসেট থাকতো। ঝগড়া করতো বাবার সঙ্গে। মা মারা যাবার পরে আমরা কেউই মায়ের শখের আলমারিতে হাত পর্যন্ত দিইনি। মায়ের ড্রেসিং টেবিলে অনেক বিদেশি কসমেটিক্স সাজানো থাকতো, বাসন্তী আন্টি সব মুছে রাখতো যত্ন করে। আমিও জানতাম আমার মা আবার ফিরে আসবে। বহুদিন পর্যন্ত ওটাই বিশ্বাস করতাম। তারপর একদিন বুঝলাম, মৃত্যু মানে চলে যাওয়া, আর ফেরা নয়। পুনর্জন্ম যদি বিশ্বাসও করি তাহলেও আমার মা আর ফিরবে না। ঠিক মাসখানেক আগে, আমি বাবার ডায়েরিটা খুঁজে পেলাম। তারপর বুঝলাম, বিদিশা আন্টি বাবার জাস্ট ফ্রেন্ড নয়, তার থেকে অনেকটা বেশি। ওই জন্যই বিদিশা আন্টি বাবার অফিসের কাজ ছেড়ে দেবার প্রস্তাবে বাবা একেবারে ভেঙে পড়েছিলো। বিদিশা আন্টিও বোধহয় শেষপর্যন্ত বাবাকে ছেড়ে যেতে পারেনি অন্য কোথাও। লোক সমাজের আড়ালে একটা সম্পর্ক ওদের আছেই। তাতে আমার কোনো আপত্তি ছিলো না। বাবাও কখনো অস্বীকার করেনি সম্পর্কটা। তাছাড়া আন্টিকে আমার খুব ভালো লাগে। বড্ড ভালো বিদিশা আন্টি। আমিও চাইতাম বাবা ওকে বিয়ে করে নিয়ে আসুক বাড়িতে। কিন্তু কদিন আগেই আমি মায়ের ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ারে একটা জিনিস পাই। মায়ের একটা মোবাইল। মা যে মোবাইলটা ব্যবহার করতো ওটা নয়, অন্য একটা। প্যাটার্ন লক ছিলো। আমি জানি মা সব জায়গায় আমার নামের ফার্স লেটার দিয়েই লক করতো। তাই খুব সহজেই লকটা খুলে ফেললাম। হয়তো না খুললেই ভালো হতো।
কথা বলতে বলতেই ফোনটা এগিয়ে দিলো ইভান প্রান্তিকের দিকে। ওই ফোনে একটাই নম্বর। সাগ্নিক নামের একজন ভদ্রলোকের। তার হোয়াটসঅ্যাপে একজন অতি সুন্দরী মহিলার নানারকম পোজের ছবি। মহিলার মুখের সঙ্গে ইভানের মুখের এতটাই মিল যে বলে দিতে হবে না এটাই ইভানের মা।
ভদ্রলোকের সঙ্গে খুব আন্তরিক কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।
আমার কি মনে হয় জানো, মা সুইসাইড করেছে। দেখো পরের লেখাগুলো। মায়ের সঙ্গে কিছু একটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল এনার। মা বারবার লিখেছে আমি কিন্তু নিজেকে শেষ করে দেব সাগ্নিক।
না, তখন আমি ইভানের মা নয়, শুধুই তোমার প্রেমিকা।
.
এই কথাটার উত্তর নিতেই আমি যেতে চাই মমের কাছে।
আমি কি এতটাই অপ্রয়োজনীয় ছিলাম মায়ের কাছে?
কিন্তু আমি জানি মা আমায় ভালোবাসতো। তাহলে? এই প্রশ্নটার উত্তর চাই আমার। প্লিজ আমায় হেল্প করো। একটু ঠেলে দাও আমায় ছাদ থেকে। আমি বলছি তোমার কোনো বিপদ হবে না। তোমার সমস্যাটা কোনো সমস্যাই নয়। অনুভব তো ঈশা আন্টির স্কুলের বন্ধু ছিলো। বেস্টফ্রেন্ড। সে বহুদিন আগে মারা গেছে। ঈশা আন্টি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। একটা ট্রমায় চলে গিয়েছিলো। অনেক চেষ্টা করে বিদিশা আন্টি ওকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে। এটা তো আমায় আন্টিই বলেছে। মা মারা যাবার পরে ঈশা আন্টি বলেছিলো, এই দেখ ইভান আমার বেস্টফ্রেন্ড আজ আর নেই। সেও তোর মায়ের মত স্বর্গে চলে গেছে। আমি তার ছবি এঁকে তাকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি।
তুমি ডায়রিটা ভালো করে পড়নি। দেখো এখানে লেখাই আছে। আচ্ছা অনুভব, তুই তো ওপর থেকে সব দেখতে পাস। তুই নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছিস তোর মত কেয়ার করার মানুষ প্রান্তিককে আমি পেয়েছি। তুইই কি ওকে পাঠালি আমার কাছে?
এই দেখো লেখা আছে….
প্রান্তিক ফ্যালফ্যাল করে তাকাচ্ছিল ইভানের দিকে। ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চোখ দুটো। ঈশাকে প্রবঞ্চক ভাবতে ওর খুব কষ্ট হয়েছে। দু-গাল দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো প্রান্তিকের। ঝাপসা চোখে দেখলো ঈশার লেখা এই লাইনগুলো। স্বল্প পরিচিত ইভানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো প্রান্তিক। আজ এই ছেলেটা না থাকলে ও এতক্ষণে হয়তো পড়ে থাকতো মহানগরীর উৎসবমুখর রাস্তায়। ঈশা কাঁদতো ওর বডির সামনে দাঁড়িয়ে। বুঝতে পারতো না নিজের দোষটা! অনুভবকে সেই ছোট্ট বয়েসে হারিয়েছে মেয়েটা আবার প্রান্তিককে হারিয়ে হয়তো উন্মাদ হয় যেত। ইস, সাময়িক ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে কি করতে যাচ্ছিল ও! ভাবলেই গাটা শিউরে উঠলো ওর।
চোখের সামনে ভাসছে ঈশার মুখটা। শপিং করার সময় একটার পর একটা ড্রেস ওর গায়ে ফেলেছিলো আর বলেছিলো, এই পুজোয় যেন আমার পাগলটাকে বেস্ট লাগে। কথাগুলো কানের কাছে আরেকবার অনুরণন তুললো, তোমার সঙ্গে হাঁটবো মরুপ্রান্তর। প্রান্তিক আমায় ছেড়ে যেও না, চলে যাওয়াকে আমি বড্ড ভয় করি।
.
ইভান বিজ্ঞের মত বললো, তুমি এখনও ছোট আছো, বুঝলে। এত সেন্টিমেন্টাল হলে হয় না। যাকগে তোমার সমস্যাটা তো মিটে গেল, এবারে ভোর হবার আগে চলো আমার কাজটা করে দেবে। একটা ছোট্ট ধাক্কা। তুমি কিন্তু কথা দিয়েছিলে, যার সমস্যা বেশি হবে তাকে অন্যজন সুইসাইড করতে হেল্প করবে।
প্রান্তিক চোখ মুছে বললো, ইভান কখনো ভেবে দেখেছো, কেন তোমার বিদিশা আন্টি বা তোমার বাবা বিয়ে করে সংসার করেনি? কেন তোমার মা পালিয়ে যাননি ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে?
কারণটা শুধুই তুমি।
দেখো, হয়তো তোমার বাবার সঙ্গে তোমার মায়ের অ্যাডজাস্টমেন্টের সমস্যা ছিলো। দুজনে বিয়ের পরে বুঝতেও পেরেছিলো, দুজনে দুজনকে নিয়ে সুখী নয়। সমাজের বাইরেও তো মানুষের একটা মন থাকে! সেই মন নিয়মকানুন, লোকলৌকিকতা মানে না। তাই সেই নরম মনটা মাঝে মাঝেই নিয়ম ভাঙার খেলায় মেতে ওঠে। খুঁজে ফেরে ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসা খুঁজতে গিয়ে ভুলে যায় নিজের পরিস্থিতি। তাই তোমার মা তুমি থাকা সত্ত্বেও সাগ্নিক নামক মানুষটিকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। আর তোমার বাবা বিদিশা আন্টিকে। কিন্তু কেউই সব বাঁধন কেটে নিজেদের মত করে সুখী হতে পারেনি, তার একটাই কারণ, ওরা দুজনেই তোমায় ভালোবাসতো।
তুমি কষ্ট পাবে বলেই, একই ছাদের নিচে থাকতো অসুখী হয়েও। তুমি এদের জীবনে কতটা ইম্পর্টেন্ট বুঝতে পারছ? নিজেদের গোটা জীবনের সুখ পরিত্যাগ করতেও রাজি ছিল এরা শুধু তোমার জন্য।
আর তোমার মা এই কথাটা লিখেছেন সাগ্নিককে একটু ভয় দেখানোর জন্য, হয়তো অভিমান করেই। এবং এটা তোমার মায়ের লাস্ট মেসেজ নয়। তারপরেও ওনাদের আরও অনেক ভালো কথা হয়েছিল। তার মানে সমস্যাটা মিটে গিয়েছিল, এটুকু পরিষ্কার। যদি উনি সুইসাইড করতেন, তাহলে লাস্ট মেসেজটা শুধু ‘কাল মর্নিংয়ে দেখা হবে পার্কে’ বলে শেষ করতেন না। সুন্দরভাবে গুড নাইটও লিখেছেন।
তাই মৃত্যুটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিল।
ইভান একটু চুপ করে থেকে ধরা গলায় বললো, আমি মরতে ভয় পাই। আমি চাই না মরতে। আমি এখুনি যাবো বিদিশা আন্টির কাছে। কেন ওরা আমার জন্য এভাবে কাটাবে জীবনটা! তাছাড়া আমিও চাই বিদিশা আন্টি আমার মা হোক। বিদিশা আন্টি রাজি হলেই বাবা রাজি হবে। আমার জন্যই যখন এত কষ্ট পেয়েছে ওরা তখন আমাকেই সব ঠিক করতে হবে। থ্যাংক ইউ। ভাগ্যিস লাফ মারার আগে তোমায় দেখলাম। প্রান্তিক বললো, কিন্তু এখন তো ঘড়িতে রাত তিনটে বাজে, এখন যাবে? ইভান বললো, প্রথমে আমাদের ফ্ল্যাটে যাবো। বাবা জানে না আমি বাইরে আছি। বাবা ঘুমোচ্ছে দেখে আমি চলে এসেছিলাম। বাবাকে নিয়ে ভোর পাঁচটায় বেরোবো। আমি আর দেরি করতে চাই না। থ্যাংকস এগেইন।
আর কথা না বলে ইভান বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। যাওয়ার আগে একটা হাগ করে বললো, বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার কিন্তু ঈশা আন্টি আর তোমাকেও চাই।
প্রান্তিক ওর ঘন চুলে হাত বুলিয়ে বললো, আমার ছোট্ট পরিবারে আরেকজনকে পেলাম।