অব্যয় যখন বনপলাশীতে
তো বাদশা তোমাদের এই রিসর্টে বনমোরগ পাওয়া যায়? তাহলে এক কাজ করো, আজ রাতে আমি ঝলসানো বনমোরগ খাবো। বাদশা হেসে বললো, স্যার সঙ্গে কড়া মদ না খান বিয়ার খেতে পারেন।
ক্যানভাসের সবজে ঘাসে আরেকটু ঘন সবুজ ছড়িয়ে অব্যয় বললো, ইয়েস বিয়ার চলতে পারে। আর তোমাদের সেই আদিবাসীদের নাচ কখন হবে, সন্ধেবেলা? বাদশা ঘাড় দুলিয়ে বললো, হ্যাঁ। এই বাদশা ছেলেটাকে প্রথম দিন থেকেই বেশ রহস্যময় লেগেছিলো অব্যয়ের। যদিও ওর ব্যবহারে তেমন রহস্যের গন্ধ পায়নি, কিন্তু ওর চোখ দুটোতে অদ্ভুত ধূর্ততা আছে। বনপলাশীর পাশেই নাকি বাড়ি ওর। অথচ এখানের লোকের মত ভাষায় টান নেই।
কি যেন বলছিলো, রূপাই নদীর ধারে নাকি ওদের বাড়ি। তবে আজ্ঞাবহ ছেলে। এই রিসর্টের কেয়ারটেকার। রিসর্ট বললে আধুনিক মানুষের চোখে যেটা ভেসে ওঠে সেটা হলো, বাংলো প্যাটার্নের একটা বাড়ি। বাহারি গাছ দিয়ে সাজানো, এসি থেকে গিজার সমস্ত ইলেকট্রনিক্স গেজেট দিয়ে ভরানো ঘর।
এক্ষেত্রে কিন্তু ‘জংলী’ রিসর্টটা নিজের নামের মর্যাদা বহন করে চলেছে। বাঁশের তৈরি ঘর। ভিতরে খাটিয়া পাতা। হলুদ লাইট জ্বলছে হারিকেনের মধ্যে। মেঝেটা নিকানো মাটির। মেঝের ওপরে সুন্দর আল্পনা আঁকা রয়েছে। দেওয়ালে ঝুলছে তীরধনুক থেকে বর্শার ছোট সংস্করণ। বাঁশের খুঁটিগুলোকে জড়িয়ে রয়েছে নাম না জানা লতাপাতা।
বেশ একটা বন্য বন্য ফিলিংস আসে। জংলী কিন্তু নিখুঁতভাবে তার বুনো ইমেজটাকে মেইনটেইন করে চলেছে। রোজ সকালে একজন আদিবাসী মহিলা এসে প্রতিটা ঘরের মেঝে কাদা দিয়ে লেপে দিয়ে যায়, আরেকজন আসে পিটুলী বাটা নিয়ে, সে আল্পনা আঁকে। লতাপাতাগুলোকে জল দিয়ে ঝকঝকে করে ধোয়া হয় রোজ। অব্যয় এর আগে কখনো আসেনি বনপলাশীতে। এই প্রথম এলো। গুগলে অবশ্য জংলী রিসর্টটাকে দেখিয়েছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হারিয়ে যাবে কদিনের জন্য।
বনপলাশীর কথা শুনেছিলো একজনের মুখেও। তখন থেকেই আসার ইচ্ছে তীব্র হয়েছিলো।
আসলে সকলকে জানিয়ে দলবল নিয়ে বেড়াতে আসা একেবারেই নাপসন্দ অব্যয়ের। চিরকালই ও একলা বাঁচা মানুষ। আরেকজন এসে ওর প্রাইভেসি নষ্ট করবে, ভাবনায় ছেদ করবে এ বড় বিরক্তিকর।
বাদশা বললো, আপনি ছবি আঁকেন বাবু? অব্যয় ঘাড় নেড়ে বললো, হ্যাঁ এই একটি কাজই আমি পারি। বাদশা ক্যানভাসের মধ্যে ছুটে চলা নদীর দিকে তাকিয়ে বললো, যারা ছবি আঁকতে পারে তাদের মাথার ব্যামো আছে। বাদশার দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে ফেললো অব্যয়। এইজন্যই তো বনপালাশীতে রয়ে গেছি কদিন। শহরের কোলাহল, মুখোশের ভিড়, হিংসার পারদ ছাড়িয়ে সোজাসাপ্টা জীবন। বাদশা যেটা সহজেই বলে ফেললো সেটা বলতে গেলে শহরের ধোপদুরস্ত মানুষদের মুখে বাঁধবে। তারা তো মানতেই চায় না শিল্পী আলাদা একটা জাত। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের বিস্তর তফাৎ। সেই তফাৎটুকুকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য একজন শিল্পীকে দশটা পাঁচটা জীবনে অভ্যস্ত করতে উঠে পড়ে লেগে যায় আত্মীয় পরিজনরা। যেন মনে হয়, একজন শিল্পীকে জোর করে ছাদনাতলায় বসাতে পারলেই তাদের পরমপ্রাপ্তি ঘটবে। আর ঠিক এই কারণেই ধীরে ধীরে আলগা হয়ে গেছে অব্যয়ের সঙ্গে ওর পরিবারের সম্পর্ক। শিল্পীসত্ত্বাটাকেই কেউ বুঝতে চায়নি। সকলে ভেবেছে কেন অব্যয়কে ফেলা যাচ্ছে না মধ্যবিত্ত ডালভাতের মানসিকতায়।
বর্ণিতাও ওকে বোঝে না বলেই ওর ধারণা। হয়তো শিল্পী অব্যয়কে সে ভালোবাসে অথবা প্রফেসর অব্যয়কে, কিন্তু মানুষ অব্যয়, যে তার ব্যর্থতা উজাড় করে দিতে পারবে নিঃসংকোচে তেমন কাউকে পেল কই! সকলেই তো ওর বাহ্যিকটুকুকে নিয়ে খুশি থাকতে চায়। লাবণ্য অবশ্য তেমন ছিলো না, ও অব্যয়ের ভিতরটা বুঝতে পারতো। কি করে বুঝতো সেটা অবশ্য অব্যয় নিজেও জানে না। লাবণ্যর সঙ্গে ওর দেখাটা নিতান্ত কাকতালীয় ভাবেই হয়েছিলো। আর্টের প্রয়োজনেই একজন শিল্পীর বাড়িতে গিয়েছিলো ও। শিল্পী একা থাকেন এটুকুই জানা ছিলো। তাই কিছু না বুঝেই তার ঘরের দরজায় নক না করেই ঢুকে পড়েছিলো অব্যয়। চোখের সামনে দেখেছিলো, একটি মেয়ে নগ্ন হয়ে বসে আছে শিল্পী তাকে তন্ময় হয়ে আঁকছে।
মেয়েটার সঙ্গে ওর চোখাচোখি হতেই সে পাশে খুলে রাখা কাপড়টা টেনে নিয়ে গায়ে জড়ালো। রাধারমণবাবু বিরক্ত হয়ে বললেন, উফ, নক না করে কেন এলেন? কুণ্ঠিত হয়ে অব্যয় বলেছিল অত্যন্ত দুঃখিত। মেয়েটার হাতে পাঁচশো টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে রাধারমণবাবু বলেছিলেন, এটা আজকের দিলাম। মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে বলেছিল, কেন? ছশো নয় কেন? রাধারমণবাবু মুচকি হেসে বলেছিলো, আজ যে মিনিট পনেরো কম সময় দিলে আমায়, তাই। লাবণ্য নরম গলায় বলেছিলো, সে আপনি অন্য একজনকে ডাকলেন তাই, আমি তো সময় নিয়েই এসেছিলাম। তাহলে আমার পাওনা দিচ্ছেন না কেন? রাধারমণবাবু বিরক্তির সঙ্গে বললেন, না চটকেছি, না ধামসেছি, শুধু দূরে বসিয়ে রেখে এঁকেছি, এর থেকে বেশি হবে না, যাও। কাল আরেকবার এসো তাহলেই ছবিটা শেষ হবে। তখন পুরো টাকা দিয়ে দেব। লাবণ্য করুণ চোখে অব্যয়ের দিকে তাকিয়ে যেন বলতে চাইলো, আপনার জন্যই একশো কম পেলাম। অস্বস্তি হচ্ছিল অব্যয়ের। অদ্ভুত রকমের অপরাধবোধ। একে তো পোশাকবিহীন ভাবে ওকে দেখার অধিকার নেই ওর, তারপরে আবার ওর জন্যই কম টাকা পেল মেয়েটা। লাবণ্য বেরিয়ে যেতেই রাধারমণবাবু বললেন, এই জন্যই বেশ্যাদের বিশ্বাস করতে নেই। টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। শিল্পীর শিল্পের দাম দিতে জানে না। অব্যয় একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করেছিলো, বেশ্যা মানে? পেশায় প্রস্টিটিউট?
রং হাত ভালো করে ধুয়ে রাধারমণবাবু বলেছিলেন, আরে হ্যাঁ। স্বামী বিয়ে করে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলো, তারপর ছেড়ে দিয়ে বেপাত্তা। অশিক্ষিত মহিলা, এই শহরে আর করবেই বা কি? কোন একটা বারে যায় বলে শুনেছি। আর তাছাড়া বোঝাই যায় প্রস্টিটিউশনে যুক্ত। প্রফেশনাল মডেলদের আজকাল এত রেট বেড়ে গেছে যে ন্যুড ছবি আঁকাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এই লাবণ্যকে অফার করতেই রাজি হয়ে গেল কম টাকায়। অব্যয় আর কিছু না জিজ্ঞেস করে নিজের কাজের কথায় ফিরেছিলো। রাধারমণবাবু জাত শিল্পী হলেও খুঁত রয়ে গেছে ওনার আঁকা ছবিতে, সেটা অব্যয়ের অভিজ্ঞ চোখ ঠিক খুঁজে নিয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও চারকোলের কাজ উনি অসাধারণ করেন। আর সেটাই শিখতে হবে ওকে। অব্যয় কথা ঘুরিয়ে বলেছিলো, স্যার আপনি চারকোলের কাজ করেন শুনলাম। ওই জন্যই আমার এখানে আসা। আমি ওটা শিখতে চাই। আপনার ফিজ দিয়েই শিখবো। রাধারমণবাবু মুচকি হেসে বললেন, একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীর বিশেষ একটা গুণ শুধু অর্থের বিনিময়ে নিয়ে চলে যাবে এ কি হয়? আমার নেটওয়ার্কও মন্দ নয়। খোঁজ আমিও পেয়েছি। আপনি সেডের কাজ দুর্দান্ত করেন।
দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে
যাবে না ফিরে,
এই ভারতের মহামানবের
সাগরতীরে।
অব্যয় বুঝেছিল ভদ্রলোকের অর্থের লোভ নেই, লোভ খ্যাতির। বেশিরভাগ শিল্পীরই বোধহয় তাই থাকে। এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিল অব্যয়। সেই শুরু হয়েছিল ওর রানীভবনে যাতায়াত।
সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামছিলো ও। তখনই মনে হলো, লাবণ্যকে একশো টাকাটা ওর দিয়ে দেওয়া উচিত। তিনতলার বেলটা বাজাতেই ঘরের পোশাক পরে দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো লাবণ্য। ওকে দেখে একটু চমকে উঠে বললো, আপনি? অব্যয় কি বলবে বুঝতে না পেরে বলেছিলো, একটা দরকার ছিলো। লাবণ্য নরম গলায় বললো, আমি বাড়িতে কাস্টমার নিই না। এটা ভদ্রলোকের বাড়ি, জানতে পারলে বিদেয় করে দেবে, আপনি বরং…ওকে কথাটা শেষ করতে না দিয়েই অব্যয় বললো, না,না আমি আপনার কাস্টমার নই। আমার জন্য আপনার যে ক্ষতি হয়েছে সেটাই পূরণ করতে এসেছি আমি। লাবণ্য কোলাপসেবলটা টেনে দিয়ে বললো, ভিতরে আসুন। অব্যয় ভিতরে ঢুকে বুঝেছিল, লাবণ্য নিম্নমধ্যবিত্ত। কিন্তু ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত শৈল্পিক সত্ত্বা আছে। সাদা বেড কভারে অপূর্ব একটা সিনারি আঁকা, ফুলদানিতে রঙিন কাগজের ফুল। দেওয়ালে টাঙানো দারুণ দারুণ ছবি। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিল অব্যয়। বিস্মিত হয়ে বলেছিলো, এগুলো কে করেছে? লাবণ্য লজ্জিত হয়ে বলেছিলো, আমি। বেড কভারের ওপরে ওটা ফ্রেব্রিক করেছি। ফুলগুলো কাগজ কেটে বানানো, আর ছবিগুলোও আমার এলোমেলো তুলির টানে আঁকা। অব্যয় অভিভূত হয়ে বলেছিলো, আপনি তো জাত শিল্পী। লাবণ্য করুণ গলায় বলেছিলো, শিল্পী হতে গেলে টাকা লাগে। রংতুলি কিনে খরচ করার মত বাড়তি অর্থ আমার হাতে থাকে না।
আর তাছাড়া আমি শিল্পী নই, এগুলো আমার একলা থাকার সময় নিঃসঙ্গতা কাটানোর উপায় মাত্র। অব্যয় একশো টাকা বের করে ওর হাতে দিয়ে বললো, ক্ষতিপূরণ। আমি এসে যাওয়ায় আপনি কম পেয়েছেন, এই টাকাটা। অব্যয় স্পষ্ট দেখেছিলো লাবণ্যর চোখের কোণে ঝাপসা বাষ্প জমতে চাইলো, কিন্তু লাবণ্য নিষ্ঠুরতার সঙ্গে তাকে বশ করে নিয়ে বললো, দিন। বাড়ি বয়ে আসা লক্ষ্মীকে আমি ফিরিয়ে দিই না বুঝলেন। একসময় দুবেলা উপোশ করেছি, তাই আত্মসম্মান, অহংকার এসব শব্দগুলোর অস্তিত্ব নেই আমার কাছে। টাকাটা নিজের পার্শে ঢুকিয়ে রেখে লাবণ্য বললো, ছোট মুখে বড় কথা একটা বলবো? অব্যয় বলেছিল, নিশ্চিন্তে। লাবণ্য একটু ফিসফিস করেই বলেছিলো, ওপরের ছবিওয়ালার থেকে একটু সাবধান। আপনি মানুষটা বেশিই সরল কিনা তাই সাবধান করলাম। মাঝে মাঝেই কোথায় যে চলে যান উনি কেউ জানে না। অব্যয় আচমকা জিজ্ঞেস করেছিলো, আপনার বাড়ি কোথায় লাবণ্য? লাবণ্য ভ্রু কুঁচকে বলেছিলো, কেন বলুন তো? আমি কলকাতার মানুষ নই। অব্যয় হেসে বলেছিলো আপনার কথায় মেঠো সুর আছে এখনও, তাই জানতে চাইলাম। লাবণ্য সামলে নিয়ে বলেছিলো, আপনি এখন আসুন, জেঠিমা দেখতে পেলে রাগ করবেন। অব্যয় বেরোনোর সময় বলেছিলো, যদি মাঝে মাঝে আসি তাহলে নিতান্ত ফিরিয়ে দেবেন না তো? লাবণ্য হেসে বলেছিলো, আমার মত খারাপ মেয়ের ঘরে এলে আপনার স্ত্রী রাগ করবে না?
অব্যয় দু-হাত ওপরে তুলে বলেছিলো, আমি মুক্ত পুরুষ। বন্ধনহারা কুমারীর বেণী।
লাবণ্য অপলক তাকিয়ে বলেছিলো, আসবেন, তবে আমি কিন্তু এই বাড়িতে ওসব কিছু করি না। অব্যয় উৎফুল্ল হয়ে বলেছিলো, আমিও না। গল্প করতে আসবো ব্যস।
প্রায় বছর দুয়েক আগেকার কথা। তারপর একটু একটু করে চিনেছিলো লাবণ্যকে। একটা অর্ধশিক্ষিত মেয়ের মধ্যে যে এত রহস্য থাকতে পারে সেটাই অকল্পনীয় ছিল ওর। পরিচয়পর্ব যত দীর্ঘ হয়েছিলো অব্যয়ের সামনে উন্মোচিত হয়েছিলো লাবণ্যের চরিত্রের বিভিন্ন স্তর।
খুব কাছ থেকে দেখা দুটো মেয়ে লাবণ্য আর বর্ণিতা। দুজনেই অব্যয়কে ভালোবাসতো। বুঝতে পারতো ও, কিন্তু বন্ধনে আবদ্ধ হবার সদিচ্ছা ছিলো না বলেই ওদের ভালোবাসার অনুভূতিগুলোকে বন্ধুত্বের অন্তরালে রাখতে চেয়েছিলো অব্যয়।
স্যার, নাচ শুরু হবে, যাবেন তো?
বাদশা দাঁড়িয়ে আছে হাতে চা নিয়ে। অব্যয় ওর হাত থেকে চা টা নিয়ে বললো, তোমাদের জলের গুণেই বনপলাশীতে ক্ষিদে পাচ্ছে বেশি। কলকাতায় থাকলে এই টাইমে আমি কিছুই খাই না। বাদশা ওর ছোট ছোট চোখে হেসে বললো, বনপলাশীর লোকজনের ক্ষিদে পেলেও উপায় নেই। তাই এরা উপোশে অভ্যস্ত। বাদশার কথাটার মধ্যে কি শহরের লোকদের প্রতি প্রচ্ছন্ন বিরক্তি লুকিয়ে আছে? অব্যয় শুনেছে এই গ্রামেরই কোনো একটা অংশে কিছু মাওবাদী বাস করে। যারা ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করে। হাইরোড থেকে বেশ কিছু গাড়িকে হাইজ্যাক করে শহুরে লোকেদেরকে মুক্তিপণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে সরকারের সামনে। এ লড়াই নাকি বহুবছর ধরে। অসম লড়াই হলেও এর চালিয়ে যাচ্ছে। কি যেন নাম শুনেছিলো দলটার? মনে পড়লো না এই মুহূর্তে। বাদশা কি ওই দলের নাকি? কে জানে হয়তো ছদ্মবেশ ধারণ করে গেস্ট হাউজের কাজ করে আর রাতের অন্ধকারে চলে ওদের দলের কাজ। বেশি না ভাবাই ভালো, তাতে বনপলাশীর প্রতি ভালোবাসাটুকু নিঃশেষ হয়ে যাবে। তার থেকে বরং আচমকা পাওয়া শান্তিটুকু প্রাণ ভরে নিতে হবে অব্যয়কে। চায়ে চুমুক দিয়ে অব্যয় বললো, তুমি যাও, আমি রেডি হয়ে আসছি।
.