স্বর্ণদীপের বাড়িতে লগ্নজিতা
অফিস থেকে ফিরেই যে লগ্নজিতার মুখোমুখি হতে হবে ভাবেনি স্বর্ণদীপ। এই অফিসার চূড়ান্ত বিরক্তিকর। আগের দিন আধঘন্টা কথা বলেই বুঝেছে তীক্ষ্ন প্রশ্নের ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ান মহিলা।
ওকে দেখে চওড়া হেসে লগ্নজিতা বললো, আপনাদের বাড়ির পাশেই একটা ইনভেস্টিগেশনে এসেছিলাম, ভাবলাম পরিচিত মানুষ যখন আছে, তখন দেখা করে যাওয়াটা ভদ্রতা। আপনারা এমনিতেই পুলিশের নামে গালিগালাজ দেন, তাই এটিকেট আরকি! স্বর্ণদীপ খুব জানে দেখা করতে অফিসার আসেননি। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে বললো, ভিতরে আসুন। আমি জাস্ট ফিরলাম অফিস থেকে। লগ্নজিতা অভ্যস্ত ভঙ্গিমায় সোফায় বসে বললো, ডিউটিতে আছি, চা-কফি বলার দরকার নেই। বসুন একটু গল্প করি।
স্বর্ণদীপ সেদিন রক্তিমকে ঠিক এটাই বলেছিল, অব্যয় ওদের কোনো কাজে আসেনি কোনোদিন, এখন গা ঢাকা দিয়ে বসে আছে আর ওদের রেপুটেশনের ফালুদা হচ্ছে কমপ্লেক্সে। লগ্নজিতা যে ওর ফ্ল্যাটে এসেছে সেটা নিশ্চয়ই কমপ্লেক্সের কেউ না কেউ দেখেছে, হয়তো অলরেডি দ্বিতীয় দিন লগ্নজিতাকে এই কমপ্লেক্সে দেখে হয়তো এমন আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, স্বর্ণদীপ এমন কিছু করেছে যে পুলিশ আসছে ঘন ঘন।
আপনার নামটা কিন্তু বেশ ইউনিক বুঝলেন স্বর্ণদীপ। আপনি দেখতেও বেশ হ্যান্ডসাম, ভালো চাকরি করেন, তারপরেও বর্ণিতা এমন একটা ভুল করলো কি করে বলুন দেখি? স্বর্ণদীপ এমন প্রশ্নের আকস্মিকতায় একটু চমকে উঠে বলেই ফেললো, কি ভুলের কথা বলছেন আপনি? লগ্নজিতা একটু সামলে নিয়ে বললো, আপনার বোধহয় বছর দুয়েক আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে, কোনো সন্তান নেই, তারপরেও আপনি বিয়ে করেননি কেন স্বর্ণদীপ? কোনো বিশেষ কারণ? আচ্ছা আপনার মত এমন মানুষকে ডিভোর্স কেন করলো আপনার ওয়াইফ? স্বর্ণদীপ ঠান্ডা গলায় বললো, অব্যয় মিসিং বা লাবণ্য খুনের সঙ্গে কি ভীষণভাবে রিলেটেড আমার ডিভোর্সের ঘটনা? আমার মনে হচ্ছে অফিসার আপনি অনধিকার চর্চা করছেন। এটা আপনার ইনভেস্টিগেশনে কোনো প্রয়োজন নেই।
লগ্নজিতা জিভ কেটে বললো, ছি ছি এ বড় অন্যায়। কারোর বেডরুমে ঢোকা আমার একেবারে নাপসন্দ। তবে কিনা মনীষা ডিভোর্সের কারণ জানিয়েছেন, হাজবেন্ডের নেগলিজেন্সি, মেন্টাল টর্চার। সেটা কেন করতেন মিস্টার স্বর্ণদীপ? এর কারণ কি বর্ণিতাকে না পাওয়া? একবার ভাবুন, বর্ণিতা অব্যয়কে ভালোবাসে আর স্বর্ণদীপ ভালোবাসতো বর্ণিতাকে। বর্ণিতাকে বলে উঠতে পারেনি, কিন্তু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের পর থেকেই মনীষার মধ্যে বর্ণিতাকে খুঁজতে গিয়ে ব্যর্থ হয় স্বর্ণদীপ। অবহেলা আর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। তারপর ডিভোর্স। একটা তীব্র আক্রোশ তৈরি হয় অব্যয়ের ওপরে। স্বর্ণদীপ খবর পায় অব্যয় একজন মহিলার ঘরে যায় নিয়মিত। কোনোমতে যদি অব্যয় ফেঁসে যায় তাহলে বর্ণিতা ঘৃণা করবে অব্যয়কে। তখন বর্ণিতা আশ্রয় খুঁজবে, এদিকে নিশ্চিন্ত আশ্রয় তো রেডি।
স্বর্ণদীপ বিস্মিত হয়ে ভাবছিলো, এই মহিলা এত জানলো কি করে! থট রিডিং করে নাকি! সত্যিই মনীষার মধ্যে স্বর্ণদীপ ক্রমাগত বর্ণিতাকে খুঁজে গেছে। রাগে আক্রোশে মনে হয়েছে, কেন বর্ণিতা অব্যয়ের মত স্বার্থসর্বস্ব ছেলেকে ভালোবাসলো? বর্ণিতা কোনোদিন অব্যয়ের কোনো নিন্দে শুনতেই চাইতো না। বরং যে নিন্দে করতো তার সঙ্গেই কথা বলা বন্ধ করে দিতো বর্ণিতা। বেশ কয়েকমাস স্বর্ণদীপের সঙ্গেও কথা বলতো না বর্ণিতা শুধুমাত্র অব্যয়কে অহংকারী বলেছিলো বলে। কলেজের দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো স্বর্ণদীপের। বর্ণিতার নীলচে ওড়নাটা উড়ে গেলো চোখের সামনে দিয়ে।
লগ্নজিতা বললো, কি হলো মিস্টার? আমি কি ভুল বলছি? স্বর্ণদীপ বাস্তবে আছড়ে পড়ে সাবধানী গলায় বললো, একেবারে পারফেক্ট বলছেন অফিসার। আপনার লেখা গল্পেই এবারে বাংলা সিনেমা হবে নিশ্চিত। তো দেরি কেন করছেন আমায় অ্যারেস্ট করুন। আমিই তো লাবণ্যকে খুন করেছি বর্ণিতাকে পাবো বলে। কষ্ট হয় না অফিসার? সারাদিন কাজের পরে এত কষ্টকল্পনা করতে সমস্যা হয় না? লগ্নজিতা হেসে বললো, এই দেখুন আপনি অকারণ রেগে যাচ্ছেন। সারাদিন খুন জখমের মধ্যে থেকেও একটু আধটু সাহিত্যচর্চার চেষ্টা করলে দোষের কি আছে!
স্বর্ণদীপ বললো, আপনার আর কিছু জানার আছে অফিসার? লগ্নজিতা স্বর্ণদীপের বিরক্তিতে পাত্তা না দিয়ে গল্পের ছলে বললো, অব্যয় আপনার কেমন বন্ধু? ভ্রু কুঁচকে ও বললো, বন্ধু নয় ব্যাচমেট। আমি অব্যয়ের মত স্বার্থপর, উন্নাসিক ছেলেকে বন্ধু ভাবি না, অন্যরা ভাবলেও। না অব্যয় কোনোদিন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি, তবুও ওকে আমি বন্ধু ভাবতে নারাজ। যে সম্পর্কে উষ্ণ আন্তরিকতা থাকে না সে সম্পর্ককে অকারণে এমন পবিত্র নামে ভূষিত করবো কেন বলুন তো?
লগ্নজিতা ঘাড় নেড়ে বললো, আমি আপনার সঙ্গে সহমত। এখন বলুন তো, লাস্ট যেদিন অব্যয়কে আপনি দেখেছিলেন সেদিন কি ওর মধ্যে ডিফারেন্ট কিছু লক্ষ করেছিলেন? একটু ভাবুন প্লিজ। দুটো কেস এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে অব্যয়কে না পেলে লাবণ্যের মৃত্যুর হদিস করা মুশকিল। স্বর্ণদীপ একটু ভেবে বললো, একটু অন্যমনস্ক ছিলো, স্বভাবের তুলনায় একটু বেশি গম্ভীর। জানি না, প্রথম এক্সিবিশন করছে বলে কিনা। লগ্নজিতা স্বর্ণদীপের ড্রয়িংয়ে দেওয়ালে চোখ বুলিয়ে বললো, আপনিও তো আর্ট কলেজের স্টুডেন্ট, তাও আপনার ড্রয়িংরুমের দেওয়ালে কোনো হাতে আঁকা ছবি নেই কেন? একটু উত্তেজিত হয়েই স্বর্ণদীপ বললো, সেটাও কি আপনার খুনের তদন্তের বিষয়? মনীষা পছন্দ করতো না। তাই টাঙানো হয়নি কখনো। লগ্নজিতা অমায়িক হেসে বললো, আরে মশাই চটছেন কেন? তাছাড়া লাবণ্য যে খুন হয়েছে তারও সঠিক প্রমাণ নেই আমার কাছে। কয়েকটা জিনিস লক্ষ করে ধারণা করা হচ্ছে এটা প্ল্যান করে মার্ডার। আচ্ছা স্বর্ণদীপবাবু, একটা কথা বলুন তো, অব্যয় বিশ্বাস তো বহুদিন আগে পাশ করেছেন, কলেজের প্রফেসর, এতদিন পরে কেন প্রথম এক্সিবিশন? স্বর্ণদীপ নিজের চুলের মধ্যে অন্যমনস্ক ভাবে দু-বার আঙুল চালিয়ে বললো, আসলে কি জানেন ম্যাডাম, এটা আমারও প্রশ্ন। কারণ কলেজে থাকতেই অব্যয় বলতো, একটা এক্সিবিশন করবো, চারিদিকে আমার আঁকা ছবি টাঙানো বিশাল হল। দর্শকরা প্রতিটা ছবির সামনে দাঁড়াবে, অনেক টাকা দিয়ে কিনবে, অকসানে উঠবে আমার আঁকা ছবি। সেখানে কেন অব্যয় এত বছর পরে প্রথম এক্সিবিশন করলো? এর উত্তরে অব্যয় নাকি কুণালকে বলেছে, ওর নামের আগে এমনি এমনিতো পরিচিতরা পারফেকশনিস্ট লেখে না! তার একটা বড় কারণ আছে। নিজেকে রেডি করতে এতগুলো বছর লেগে গেলো ওর।
লগ্নজিতা বললো, উনি কি সত্যিই খুব সুন্দর আঁকতেন? স্বর্ণদীপ ভ্রু কুঁচকে বললো, সকলে তাই বলে। ওর আঁকা নাকি এক্সেপশনাল। যদিও আমি অনেক খুঁত দেখতে পেয়েছি ওর কাজে। সে যাক, মেজরিটি অল টাইম প্রায়োরিটি পায়। তাই এককথায় অব্যয় দুর্দান্ত শিল্পী।
লগ্নজিতা সাবধানে বললো, তো অব্যয় মিসিং হয়ে যাবার পরে আপনাদের বন্ধুদের কোনো মিট হয়নি? মানে নিজেদের মধ্যে কোনো আলোচনা?
স্বর্ণদীপ বেশ বুঝতে পারলো, লগ্নজিতার নেটওয়ার্ক মারাত্মক। গুঞ্জার ফ্ল্যাটে ওদের মিটের কথাও ওর খবরে আছে। তাই অকারণে লুকিয়ে লাভ নেই। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে স্বর্ণদীপ বললো, অবশ্যই হয়েছে। এত বড় একটা ঘটনায় আমরা না চাইতেও জড়িয়ে গেলাম, তারপরে নিজেদের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে কাঁটাছেঁড়া হবে না, সেটা কি সম্ভব? লগ্নজিতা সোফার হাতলে দু-বার তাল ঠুকে বললো, এগজ্যাক্টলি। আমি এটাই বলছি, আপনারা প্রত্যেকে সোসাইটিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। আপনাদের পিছনে অকারণে আমার মত টিকটিকি পড়ে গেলো, আর আপনারা আলোচনায় বসবেন না সেটা কি সম্ভব? তা মিস্টার স্বর্ণদীপ, আমার আজ একটু তাড়া আছে, আরেক জায়গায় যেতে হবে, আপনি যদি গত বুধবারের আলোচনার জিস্টটুকু আমাকে চায়ের বদলে পরিবেশন করেন, তাহলে নেহাত মন্দ হয় না। আতিথেয়তা করাও হলো আবার পুলিশকে তদন্তে হেল্প করাও হলো একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে।
স্বর্ণদীপ বুঝলো, কেন এত কম বয়সে লগ্নজিতা ভট্টাচার্য দায়িত্ববান অফিসার হিসেবে নাম করেছে। স্বর্ণদীপ হাসি মুখে বললো, প্রথমে গুঞ্জার কফিতে চিনি কম নিয়ে লেগপুলিং, বর্ণিতাকে এখনো কলেজের মত দেখতে কেন আছে তার বিশ্লেষণ, অব্যয় আদৌ মিসিং না শিল্পীর নীরবতা প্রয়োজন বলে ছুটি কাটাচ্ছে কোনো নির্জনে! ইদানিং পুলিশ অফিসাররা বড্ড সচেতন হয়ে উঠেছে, তাই যেখানে ছাই নেই, সেখানেও খড়কুটো জ্বালিয়ে ছাই তৈরি করার ব্যবস্থা করায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অব্যয়ের বাবা-মা ওর কোনো খবর দিতে পাচ্ছে না, সেখানে কলেজ লাইফের বন্ধুরা…. আর যেন কি ছিলো সেদিনের আলোচনায়…গালে হাত দিয়ে আরেকবার ভাবার মিথ্যে ভান করলো স্বর্ণদীপ। লগ্নজিতা উঠে দাঁড়িয়ে বললো, আজ চলি মিস্টার স্বর্ণদীপ। আপনাকে অসময়ে বিরক্ত করার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আগাম মার্জনা চেয়ে রাখলাম, কারণ এমন আতিথেয়তার লোভ সম্বরণ করার ক্ষমতা আমার নেই, তাই নিশ্চয়ই আমাদের দেখা হবে খুব তাড়াতাড়ি। আজ আসি।
লগ্নজিতা বেরিয়ে যেতেই কুণালকে ফোনে ধরলো স্বর্ণদীপ। বলেছিলাম না, বন্ধুত্ব দেখাতে গিয়ে মানসম্মান আর থাকবে না। এইমাত্র লগ্নজিতা ভট্টাচার্য বেরোলো আমার ফ্ল্যাট থেকে। অফিস থেকে ফিরে এক কাপ চা অবধি খাইনি। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চেটে বেরিয়ে গেলেন মহিলা। স্বর্ণদীপ ফ্যাশান ডিজাইন কোম্পানিতে সার্ভিস করে। মোটা অংকের মাইনে পায়। মনীষার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাবার পরে ওর একমাত্র নেশা সিরিজ দেখা। অফিস থেকে ফিরে ল্যাপটপ খুলে ক্রাইম সিরিজ দেখে ও। ক্রাইম সিরিজগুলো ওর মারাত্মক আকর্ষণীয় লাগে। একেবারে সাধারণ মানুষ, রীতিমত মধ্যবিত্ত ছাপোষা মানুষ কি দুর্দান্ত প্ল্যান করে সিরিয়াল কিলার হয়ে যাচ্ছে। এরা কেউই খুনি নয়, অথচ একটার পর একটা ক্রাইম করছে নিখুঁতভাবে। আজকেও একটা ক্রাইম সিরিজের নাইন্থ পার্ট দেখার প্ল্যান ছিলো ওর। বেবি কর্ণ ফ্রাই আর কফি নিয়ে জমিয়ে বসবে ভেবেছিলো, সব চৌপাট হয়ে গেলো ওই জানোয়ার অব্যয়টার জন্য। কুণাল বিরক্ত গলায় বললো, তুই তো তাও ফ্ল্যাটে একা, আমার স্ত্রী-মেয়ে কি দেখবে বল দেখি। আমার তিন বছরের মেয়ে হয়তো ভাববে বাবা কোনো চোর-ডাকাত, তাই বাড়িতে পুলিশ আসছে। এ তো মহা মুশকিলে ফেললো অব্যয়! এত ইরেস্পন্সেবল কেউ হয় বল? সে এখন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে বসে আছে কে জানে! আমাদের নিয়ে চলছে টানাটানি। তোর ফ্ল্যাটে যখন হানা দিয়েছে আজ তখন কাল হয়তো আমার পালা আবার।
স্বর্ণদীপ রাগী গলায় বললো, আমার জাস্ট অসহ্য লাগছে বিলিভ মি। ওই অফিসারের তো সবেতে প্রশ্ন রে! কেন মনীষা আমায় ছেড়ে চলে গেলো, কেন আমার ড্রয়িংয়ে কোনো নিজের আঁকা ছবি নেই, এসব তথ্যও নাকি লাগবে ওই লাবণ্যের খুনের কারণে! জাস্ট ডিসগাস্টিং। ওই অব্যয় মালটা অকারণে আমাদের এভাবে ফাঁসাবে বলেই বোধহয় ওর এক্সিবিশনে ইনভাইট করেছিলো। লোকসমাজে আমাদের বন্ধু বলে পরিচয় করানোর আর তো কোনো কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না রে কুণাল।
কুণাল একটু উদ্বিগ্ন গলায় বললো, হ্যাঁ রে, অব্যয় আবার খুন হয়ে যায় নি তো! বেপাত্তা কেন রে? তাহলে তো আমাদের কোমরে দড়ি দিয়ে ডিরেক্ট শ্রীঘরে পাঠাবে ওই লগ্নজিতা ম্যাডাম। শুনলাম নাকি অব্যয়ের ওই এক্সিবিশনে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ছবি বিক্রি হয়েছিলো। টাকার জন্য খুন করে দেয়নি তো কেউ?
স্বর্ণদীপ একটু থেমে বললো, এদিকটা তো আমি ভাবিনি রে। চল আপাতত রাখছি। পরে কল করবো।
.