বর্ণিতা আর অব্যয় জংলীর ঘরে
দরজাটা বার দুয়েক নক করতে ভয়ার্ত গলায় ভিতর থেকে ভেসে এলো চেনা স্বর। কে?
বর্ণিতা ভেজা গলায় বললো, আমি, খোলো।
দরজাটা খুলেই বর্নিকে আচমকা জড়িয়ে ধরলো অব্যয়। বিশ্বাস করো, আমি কাউকে খুন করিনি।
আমি খবর পেলাম কলকাতা পুলিশের একজন গোয়েন্দা নাকি আমায় খুঁজে বেড়াচ্ছে! এখন কি হবে বর্ণিতা! বর্ণিতা প্রাণ ভরে টেনে নিলো অব্যয়ের গায়ের পুরুষালি গন্ধটা। লাস্ট কবে অব্যয় ওর হাত ধরেছিলো ওর মনে নেই। শেষ কবে অব্যয় নিজেকে ওর কাছে সমর্পণ করেছে সেটাও ওর খেয়ালে নেই।
বর্ণিতা আশ্বস্ত করার ভঙ্গিমায় বললো, এত ভয় পাওয়ার তো কিছু নেই। আমি জানি তুমি কাউকে খুন করোনি। অকারণে পালিয়ে আসার দরকার ছিলো না। অব্যয় বললো, ছিলো। লাবণ্যর মৃত্যুর খবরটা শুনে আমি অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। কলকাতায় থাকতে পারছিলাম না। তাই নিজের অবাধ্য মনটাকে সঙ্গী করেই বেরিয়ে এসেছিলাম। আসলে কি জানো বর্নি, তিলোত্তমা বড্ড স্বার্থপরের জায়গা। ওখানে শিল্পীর ঠাঁই নেই। ওখানে নাম, যশের কদর। বর্ণিতা ওকে বসিয়ে শান্ত গলায় বললো, আমার একজন বন্ধু এসেছে তোমার সঙ্গে আলাপ করতে। তাকে সত্যিটা বললে সে হয়তো আমাদের হেল্প করবে। নাহলে তুমি জড়িয়ে যাবে লাবণ্যের মৃত্যুর ঘটনায়।
অব্যয় একটু ধাতস্থ হয়ে বললো, বন্ধু? কে বন্ধু? তোমার চ্যানেলের কেউ?
বর্ণিতা নরম গলায় বললো, দারুণ তো রিসর্টটা। এখানে বুঝি মানুষ হানিমুনে আসে?
অব্যয় হালকা স্বরে বললো, আমি এসেছি বনের গন্ধ নিতে। আর নিজেকে খুঁজতে। ঠিক কি চাই আমি? তুমি বারবার বলতে বর্নি, নিজেকে বোঝাটা বড্ড জরুরি। আমি কোনোদিন শুনিনি তোমার কথা, এখন বুঝতে পারছি আমার আগে নিজেকে আবিষ্কার করার দরকার ছিলো।
বর্ণিতা কাঁধের ব্যাগটা সোফার ওপরে রেখে বললো, খুঁজে পেলে? নাকি এখনও বনপলাশীর পথে খুঁজে বেড়াচ্ছো? শোনো আমার বন্ধুকে ডাকছি। আলাপ করো। আমার বন্ধুর নাম লগ্নজিতা ভট্টাচার্য। লাবণ্যর কেসটা ওই ইনভেস্টিগেট করছে।
অব্যয় চমকে উঠে বললো, তুমি সঙ্গে পুলিশ এনেছো? বিশ্বাস শব্দটার কি আর সত্যিই কোনো মূল্য নেই!
বর্ণিতা হেসে বললো, বোধহয় নেই। নাহলে তোমার এক্সিবিশনে আমি আমন্ত্রণ পেতাম। নাহলে লাবণ্যর কথাও আমি জানতাম, তাই না?
তবে আমি তোমার কোনো ক্ষতি করতে লগ্নজিতাকে এখানে আনিনি। তুমি যাতে অ্যারেস্ট হওয়ার আগে নিজের বক্তব্যটুকু রাখতে পারো নির্দ্বিধায় সে ব্যবস্থা করেছি।
অব্যয় ধপ করে বসে পড়ে বললো, আমায় কি জেরা করা হবে বর্নি?
বর্ণিতা বললো, প্রশ্ন করা হবে। শুধু সত্যিটা বলবে।
ঘরের মেঝেতে এমন সুন্দর আল্পনা কে দিয়ে দেয় অব্যয়? বনপলাশীতে এসেই আবার কোনো বুনো ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে গেলে নাকি?
অব্যয় বললো, ব্যঙ্গ করছো? লাবণ্য আমাদের স্ট্যান্ডার্ডের নয় বলেই কি এই ব্যঙ্গাত্মক সুর তোমার গলায়!
বর্ণিতা বললো, না ঠিক সেজন্য নয় অব্যয়। তবে হঠাৎ ভালোবাসতে শিখেছো দেখেই ভাবলাম, এবারে হয়তো সেটা বিতরণ করবে। যাকগে, আমার মান-অভিমান নিয়ে টানাটানি করতে আমি এখানে আসিনি। বরং তোমার বিপদে তোমার পাশে দাঁড়াবো বলেই সেই সাত সক্কালে কলকাতা থেকে গাড়ি জার্নি করছি। একটু ওয়েট করো, লগ্নজিতা ভট্টাচার্য আসছেন।
অব্যয় হাসি মুখে বললো, কিছু কিছু মানুষ থাকে জানো বর্ণিতা, যে অপমান করবে জেনেও তার কাছে নত হওয়া শ্রেয়। অন্তত অপমানটার মধ্যেও আন্তরিকতা থাকে। বর্ণিতা বললো, চুলটা এলোমেলো হয়ে আছে। একটু ঠিক করে নাও। নিজের পছন্দ এতোটা অগোছালো এটা কোনো মানুষের সামনে প্রকট হোক আমি চাই না।
বর্ণিতার ঠোঁটে আলগা হাসির দিকে তাকিয়ে অব্যয় বললো, একটুও পাল্টালে না তুমি। সেই একইরকম জেদি। বা রে, আমার পাল্টানোতে অব্যয় বিশ্বাসের কি এসে গেলো! বরং তার চোখ সবসময় ইউনিক কিছুতে গিয়েই আটকে যায়, তাই না! গড়পড়তা কোনো কিছুতে তার যে বড় অ্যালার্জি।
অব্যয় চুলটা আঁচড়ে, পাঞ্জাবিটা টেনেটুনে নিয়ে বললো, দেখো তো, বর্ণিতা সেনগুপ্তর মত অসাধারণ ব্যক্তিত্বের বন্ধু হবার যোগ্য লাগছে কিনা! বর্ণিতা কিছু বলার আগেই লগ্নজিতা নক করলো দরজায়, আসতে পারি?
অব্যয় অপ্রস্তুত গলায় বললো, অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট থাকলে কি আর এভাবে ফরম্যালিটিস করতেন ম্যাডাম? তাই অকপটে চলে আসুন।
লগ্নজিতা দেখলো, ছবির থেকেও সামনাসামনি অব্যয় আরেকটু বেশি শার্প। বেশ একটা কাব্যিক চাউনি, গালে ট্রিম করা দাড়ি। ফেডেড পাঞ্জাবি পরা, হাইটটা ছয় ফিট ছুঁতে গিয়ে একটু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সম্ভবত পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চিতে এসে থেমেছে।
আকর্ষণীয় চেহারা, সঙ্গে বুদ্ধির ছাপ, দৃঢ় চিবুক….এইগুলোকেই হয়তো রমণীমোহন চেহারা বলে। লগ্নজিতা একটু বেশি ভালো করে মেপে নিলো অব্যয়কে। তারপর এক সেকেন্ড সময় না নিয়েই একটা তীক্ষ্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো ওর দিকে।
মিস্টার বিশ্বাস, আপনারা মানে শিল্পীরা সাধারণত নিজেদের আঁকা ছবি দিয়েই তো এক্সিবিশন করে থাকেন তাই না?
অব্যয় স্মার্টলি বললো, নিশ্চয়ই। একক প্রদর্শনীতে শুধু নিজের আঁকা ছবিই থাকে।
লগ্নজিতা হেসে বললো, তাহলে সেদিন শিল্পী অব্যয় বিশ্বাসের এক্সিবিশনে লাবণ্যর আঁকা ছবি শোভা পাচ্ছিলো কেন মিস্টার বিশ্বাস?
অব্যয় হকচকিয়ে গিয়ে তাকালো বর্ণিতার দিকে।
বর্ণিতা বললো, এই জন্যই বোধহয় তুমি আমায় ওখানে আমন্ত্রণ জানাওনি তাই না? গুঞ্জার ড্রয়িংয়ে যে ছবিটা ছিলো সেটা তোমার আঁকা নয় অব্যয়। তুমি যখন আকাশ আঁকো তখন নীলের আধিক্য থাকে বেশি। ওই ছবিতে কালোর আধিক্য বেশি ছিলো।
তোমার আঁকার শেষে বাঁ কোণে একটা ছোট্ট সিম্বল থাকে ছোট হাতের ‘a’। সেটাও ছিলো না ওই ছবিতে। আমি দেখেই বুঝেছিলাম ও ছবি তোমার আঁকা নয়। হয়তো আর সকলের নজরকে নিখুঁতভাবে তুমি ফাঁকি দিতে পেরেছো কিন্তু আমাকে নয়। ইনফ্যাক্ট এটা স্বীকার করতে আমার লজ্জা নেই যে লাবণ্য আমাদের মত আর্ট কলেজের স্টুডেন্ট না হয়েও, ফাইন আর্টস নিয়ে না পড়েও অনেক বড় মাপের শিল্পী। হয়তো রং ওর রক্তে, তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হয়েও ও অমন সুন্দর আঁকে।
অব্যয় মাথা নিচু করে বললো, ওটা আসলে আমার একার চিত্র প্রদর্শনী ছিলো না। ওখানে অর্ধেক ছিলো লাবণ্যের কাজ। যেগুলো অনেক দামে বিক্রি হয়েছিলো। শিল্পী হিসেবে লাবণ্যের কাছে আমি হার স্বীকারও করেছি বহুবার।
আসলে কি জানেন ম্যাডাম, আমি যত লাবণ্যকে কাছ থেকে দেখেছি তত ওর প্রতি আমার আকর্ষণ বেড়েছে। মেয়েটার মধ্যে উচ্ছ্বাস নেই, উচ্চাশা নেই, যেন এক গভীর যন্ত্রণার মধ্যে পাড়ি দিচ্ছে ও।
প্রস্টিটিউশন ওর বিজনেস। তাই ও নিজের শরীরটাকে ভীষণ রকমের ঘৃণা করতো। আমাকে বলেছিলো, ও আমায় ভালোবাসে, তাই কখনো ওর নোংরা শরীরটা ছুঁতে দেবে না আমায়। আমিই নাকি একমাত্র ব্যক্তি যে ওকে মানুষ হিসেবে শিল্পী হিসেবে সম্মান দিয়েছি। ওর ঘরের মেঝেতে অপূর্ব আল্পনা দেখে আমি আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম।
ওর ঘরের দেওয়ালে কয়েকটা আঁকা দেখেই বুঝেছিলাম মেয়েটা জাত শিল্পী শুধু একটু ঘষা মাজা দরকার। আমি ওর কাছে যেতামই আঁকা শেখাতে। ও মন প্রাণ ঢেলে দিতো রংতুলিতে।
ও অবশ্য রাধারমণ মুখুজ্জের কাছেও শিখেছিলো চারকোলের কারুকার্য।
আমি কিছুদিনের মধ্যেই বুঝেছিলাম, লাবণ্য আমাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমি আনন্দে পাগল হয়ে যেতাম, কিন্তু ওর মুখে থাকতো ক্লান্তি, একরাশ ক্লান্তি। আমাকে শুধুই জিজ্ঞেস করতো ওকে ঘৃণা হয় কিনা! আমি হয় না বললেই, চোখ ফেটে নীরবে জল বেরিয়ে আসতো ওর। আমাকে বলেছিলো, রাজেশকে ও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো, তাই পুলিশে দিতে চায় না। সেই জন্য কখনো রাজেশের ছবিও দেখায়নি আমায়। শুধু বলেছিলো, বনপলাশীর কোনো একটা গ্রামে ওর বাড়ি।
লগ্নজিতা বললো, ওর ব্যাগে অত টাকাগুলো তার মানে আপনার দেওয়া!
অব্যয় অন্যমনস্ক ভাবে বললো, ওর নিজের উপার্জনের। ওর ছবি বিক্রি করা টাকা। ও কল্পনাও করতে পারেনি ওর ছবি বিক্রি করে এতো টাকা রোজগার হতে পারে!
ওর ছবি বিক্রি করা টাকায় ও মায়ের ট্রিটমেন্ট করাবে বলেছিলো। আমি এটাই বুঝতে পারলাম না ম্যাডাম, টাকা পাওয়ার পরে ও কেন আচমকা সুইসাইড করলো! এটা কি করে সম্ভব!
লগ্নজিতা বললো, তার মানে আপনি বলতে চাইছেন, ওর সম্মতি নিয়েই আপনি ওর আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন তাই তো? তাহলে লাবণ্য কেন সেখানে উপস্থিত ছিলো না মিস্টার বিশ্বাস?
অব্যয় নিজের গোছানো চুলগুলোকে অগোছালো করে দিয়ে বললো, লাবণ্য চায়নি। ও বলেছিলো, মুনলাইটে নীলাভ আলোয় ওকে অনেকেই দেখেছে। তারা যদি দিনের আলোয় ওকে দেখে নাক কুঁচকায় তখন ও অপমানিত হবে, আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়বো। তাই ওর আড়ালেই ওর সৃষ্টিরা সম্মান পাক আমার নামে। ওই জন্য ও বেশ কিছু ছবির নিচে যত্ন করে অব্যয় লিখে দিয়েছিলো। রাধারমণ মুখুজ্জে আমার পিছু নিয়ে এখানে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু লাবণ্য ওকে কোনোদিন পছন্দ করতো না। এ আমি বলতে পারি নির্দ্বিধায়। তাই তো লাবণ্য আমাকে আগলে রাখতে চেয়েছিলো।
বর্ণিতা ব্যঙ্গাত্মক গলায় বললো, এর থেকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সত্যিই আমি দেখিনি অব্যয়।
অব্যয় বর্ণিতার কথার সুর না বুঝেই বললো, হ্যাঁ বর্ণিতা, মেয়েটা সত্যিই বড্ড অন্যরকম ছিলো। প্রয়োজন ছিলো ওর ঠিকই কিন্তু লোভ ছিলো না। আমি ওর আঁকা ছবি বেচে সম্মান কিনেছি, ওর কোনো আপত্তি ছিলো না তাতে।
লগ্নজিতা বললো, যেদিন লাবণ্য মারা যায় সেদিন সকালে কি আপনি ওকে টাকা দিতেই গিয়েছিলেন?
অব্যয় ঘাড় নেড়ে বললো, ও ক্যাশ নেবে বলেছিলো। তাই ক্যাশ দিতেই গিয়েছিলাম। ও বলেছিলো, টাকাটা নিয়ে ও চলে আসবে বনপলাশী। আমাকে ওদের গ্রাম ঘোরাবে কথা দিয়েছিলো। তারপর আচমকাই খবরে পড়লাম ও আত্মহত্যা করেছে। আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েই গা ঢাকা দিয়েছিলাম। তার দু-দিন আগে থেকেই কলেজে যাচ্ছিলাম না, বলতে পারেন একটু আপসেট ছিলাম নিজেকে নিয়ে। শিল্পীর পরাজয় মেনে নেওয়া একজন শিল্পী-র কাছে খুব কষ্টের। লাবণ্যের ছবি বেশি দামে বিক্রি হয়েছিলো আমার ছবির থেকেও, এই বিষয়টা পীড়া দিচ্ছিলো আমায়। তাই দু-দিন কলেজে ডুব মেরে আমার ফ্ল্যাটের স্টুডিওতে দিনরাত কাটাকুটি খেলা করছিলাম।
.
লগ্নজিতা বললো, ভালো করে মনে করুন, ও কি সেদিন এমন কিছু বলেছিলো আপনাকে, যেটা ওর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত? অব্যয় বেশ কিছুক্ষণ ভেবে বললো, একটা খাম দিয়েছিলো পোস্টঅফিসে পোস্ট করার জন্য।
লগ্নজিতা বললো, কোন অ্যাড্রেসে মনে আছে?
অব্যয় উত্তেজিত হয়ে বললো, সেটা তো পোস্ট করতেই ভুলে গেছি আমি। পরের দিন ওই খবর পড়ে খামটার কথাই তো ভুলে গেছি। দাঁড়ান আমার ব্যাগে আছে মনে হচ্ছে। একটা কালো চামড়ার অফিস ব্যাগ বের করলো অব্যয়।
খুঁজে বের করলো একটা লম্বা খাম। লগ্নজিতা দেখলো, চিঠির ওপরে ওর মায়ের অ্যাড্রেস।
চিঠিটা খুলে পড়ার পরেই লগ্নজিতা বললো, বর্ণিতা, লাবণ্যর খুনিকে খুঁজে পেয়ে গেছি। এ রহস্যের সমাধান আমি এই জংলীতেই করতে চাই। আপনি বরং স্বর্ণদীপ, কুণাল, রক্তিম, গুঞ্জা এদের ডেকে নিন। আমি শুভদীপ ঘোষালকে একটা কল করে দিই। আমার নিজেরও পুলিশ ফোর্স লাগবে। আজ সন্ধেতেই মনে হচ্ছে এই রহস্যের উন্মোচন সম্ভব। আপনারা একটু গল্প করুন, আমি বেরোবো।
লগ্নজিতা উঠে দাঁড়াতেই দেখলো দরজার কাছে একটা ছেলে এসে ডাকছে স্যার, আপনি কি আজ বেরোবেন? গাড়ি রেডি করবো?
ছেলেটাকে ভীষণ চেনা ঠেকলো লগ্নজিতার। কোথায় যেন দেখেছে। চোখদুটো বড্ড চেনা।
ছেলেটাকে অব্যয় বললো, বাদশা আমি তোমায় একটু পরে জানাচ্ছি। আমার গেস্ট এসেছে। বাদশা তীক্ষ্ন দৃষ্টিতে ঘরটা দেখে নিয়ে চলে গেলো।
লগ্নজিতা ব্যাগ থেকে লাবণ্যর অ্যালবাম ঘেঁটে বের করে ফেললো বাদশা নামের ছেলেটাকে। শুধু চুলের স্টাইলের পরিবর্তন ছাড়া বাকি চেহারার মিলে চিনে নেওয়া যায় দুজন একই ব্যক্তি।
বর্ণিতা আর অব্যয় বলে উঠলো, ম্যাডাম প্লিজ বলুন, খুনি কে?
লগ্নজিতা বললো, সব জানানো হবে।