Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    গোলোকপুরের পরশ পাথর – অভীক দত্ত

    লেখক এক পাতা গল্প58 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    গোলোকপুরের পরশ পাথর – ১০

    ১০

    পরাণ সাঁতরার বাড়ির সামনে ভিড় হয়ে গেছে।

    পরাণ এলাকার কুখ্যাত গায়ক। সে গান গাইতে বসলে কেউ আর পড়াশুনা করতে পারে না। শুধু বাড়িতে বসেই পরাণ গান করে না, ইচ্ছে হলে সে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির সামনে গিয়ে গাইতে শুরু করে দেয়। তাকে কেউ মারধোরও করতে পারে না। কানাঘুষো আছে বিশ্বম্ভর দারোগা নাকি পরাণের দূর সম্পর্কের আত্মীয়!

    মেলার পরেই পরীক্ষা শুরু হবে। ছাত্রদের বাবা মায়েরা পরাণের বাড়ির সামনে লাইন দিয়েছে। যে করেই হোক, এই সময়টা পরাণের গান বন্ধ রাখতে হবে।

    গতবছর পরাণের দু মাসের বাজার করে দিয়েছিল সবাই। এবার পরাণের দাবী বেড়ে গেছে। সে ছ মাসের বাজার দাবী করেছে। সবাই সে ব্যাপারেই দরাদরি করতে এসেছে।

    সাদা রঙের ধুতি, খালি গা, আর গলায় লাল গামছা নিয়ে পরাণ বসে আছে।

    রাধানাথ তালুকদার বলল, “শোন পরাণ, ছ মাসটা তিন মাস কর ভাই। আমার নাতির এবার তৃতীয়বার। তিনবারেও বেচারা মাধ্যমিক পাশ করতে না পারলে ছেলে এবার বিবাগী হয়ে যাবে”।

    পরাণ গামছা দিয়ে মুখ মুছে শ্বাস ছেড়ে বলল, “গান কি অতো সহজ জিনিস গো রাধাদা? গান গাইতে না পারলে আমার পেটে ব্যথা করে, ফুসফুসে সুড়সুড়ি দেয়, লিভার শরীর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তোমরা বলছো সেই গান আমাকে এক মাস বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। সে ক্ষতিপূরণ কি এত সহজে মিটবে গো দাদা?”

    পতিতপাবন শতপথী বলল, “তা বলে তোকে ছ মাসের বাজার করে দিতে হবে?”

    পরাণ বলল, “দেখো। তোমরা সব বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজন। তোমরা বিচার বিবেচনা করে যা ভাল বুঝবে তাই হবে। আমি আর কী বলি? আমি তো এই গেল বছর নিজের মাইকও কিনে ফেলেছি। তোমরা সবাই মিলে মাইকের দোকানে গিয়ে বলেছিলে আমায় মাইক না দিতে। তা বলে আমি কি গান বন্ধ করে ঘরে বসে থাকবো? আমার তো ওই একমাত্র নেশা। ওর জন্যই আমি বেঁচে আছি। এরপরও যদি তোমরা আমাকে দমিয়ে রাখতে চাও, তা কি এত সহজে হবে ভেবেছো?”

    পরাণ একটা সুর গুণগুণ করে ভাঁজতে শুরু করল। তার সামনে থাকা লোকজন সে সুর শুনেই ভিরমি খেল। রাধানাথবাবুর বয়স হয়েছে। তিনি মাথা ঘুরে পড়লেন। কে একজন এসে তাকে পাখা করতে শুরু করল।

    সবাই বুঝে গেল পরাণকে টলানো এতো সহজ হবে না। ফিসফিস করে সবাই আলোচনা করতে শুরু করল দরাদরি করে কীভাবে পরাণের দাবী কমানো যায়।

    হঠাৎ এক ছোটোখাটো চেহারার লোক পরাণের সামনে এসে বলল, “আপনিই পরাণবাবু তো। আপনাকে রাজা বাবু ডেকেছেন। বলেছেন রাজসভায় গান গাওয়াবেন। উপযুক্ত পারিশ্রমিকও পাবেন”।

    রাধানাথ পাখার হাওয়া খেতে খেতে বললেন, “রাজা বাবু? রাজতন্ত্র আছে নাকি এখনও? আমি তো শুনেছিলুম সেই কবেই সে সব চলে গেছে”।

    লোকটা কটমট করে একবার রাধানাথ বাবুর দিকে তাকিয়ে পরক্ষণে পরাণের দিকে তাকিয়ে বলল, “আজেবাজে লোকের সঙ্গে কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ আছে? এই নিন আপনার অ্যাডভান্স। যখন ডাকবো, তখন চলে আসবেন”।

    লোকটা একটা মোহর এগিয়ে দিল পরাণের দিকে। সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। পরাণ দাঁত বের করে বলল, “দেখলে তোমরা? এতদিনে আমার প্রতিভার যোগ্য সম্মান দিল কেউ। কোথায় যেতে হবে আমাকে”?

    “সময় হলে লোক পাঠানো হবে”, বলে লোকটা চলে গেল।

    ভিড়ের লোকেরা হতভম্ব হয়ে গেল। কানাকানি শুরু হয়ে গেল।

    পরাণ বলল, “রাজপ্রাসাদ থেকে ডাক এসেছে যখন, তখন তো আর কথাই নেই দাদারা। আমাকে গোটা বছরের খোরাকিই পাঠাবেন সবাই। দর তো আর কমানো যাবে না। দরাদরির ব্যাপারই নেই আর। এত বড় সম্মান প্রাপ্তির পর আর কী করে আপনাদের সঙ্গে ঝগড়া ঝামেলা করি বলুন তো?”

    রাধানাথ বলল, “এ কেমন বিচার হল পরাণ? তুই গ্রামের ছেলে মেয়েদের কথা ভাববি না?”

    পরাণ বলল, “গাঁয়ের কোন ছেলে আমায় নিয়ে ভেবেছে গো দাদা? ওই তো সেই যে বিশ্বনাথবাবুর নাতির পরীক্ষার সময় তিনি বললেন পরাণ, তুমি গান কোর না, আমার নাতি পাশ দিলে তোমার জন্য বড় উপহার আছে। আমি তো তখন বোকা সোকা ছিলাম। মেনেও নিয়েছিলাম তার কথা। সে নাতি পাশ করার পর বিশ্বনাথবাবু একটা বড় কুমড়ো নিয়ে এসে বললেন, এ নাও পরাণ, তোমার পুরস্কার। আমার সে কী কষ্ট। তোমরা কী ভেবেছো? এখনও আমি সেই রকম বোকা মানুষ আছি? আমি এখন চালাক হয়ে গেছি। যদি ভেবে থাকো আগের মত আমাকে বোকা বানিয়ে তোমরা পালাবে, তাহলে তোমরা ভুল ভেবেছো।”

    রাধানাথ বলল, “দেখ গে তুই, যা ভালো বুঝিস কর। তোর এখন ন্যাজ মোটা হয়ে গেছে। কোথাকার কোন রাজা তোকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তুই আর আমাদের কথা শুনবি কেন?”

    পরাণ বলল, “তোমরা দেখো তোমরা কী করবে? দু খান কালোয়াতি গান তুলেছি, আমার তো সেগুলো সবাইকে শোনাতে হবে, নাকি?”

    সবাই ব্যাজার মুখে মুখ চাওয়া চাউয়ি করল। এবার বোধ হয় আর পরাণকে আটকে রাখা যাবে না। গোটা বছরের খোরাকির ব্যবস্থাই করে দিতে হবে!

    পরাণ হারমোনিয়াম টেনে গলা সাধতে শুরু করল। তার গানের ঠ্যালায় বাড়ির লাইট পোস্টে একটা কাক হার্ট ফেল করল। মিনু মাসির পোষা বেড়ালটা পাড়া ছাড়া হল। পাড়ার কুকুরেরা দিনে দুপুরেই ডাকাত পড়েছে ভেবে ভেবে ত্রাহি ত্রাহি রবে চিৎকার করতে শুরু করে দিল।

    দূর দূরান্তে যে সব ডাকাতেরা ভেবেছিল এ গ্রামে লুঠ করতে আসবে, তারা পরাণের গান শুনে সব রকম পরিকল্পনা শিকেয় তুলে রাখল।

    এদিকে কুখ্যাত কৃপণ ভব লাহিড়ী তার বাগানে একটা মোহর খুঁজে পেলেন। তিনি বাগানে বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, লাউ গাছের মাচায় কী একটা চকচক করছে। কাছে গিয়ে দেখলেন মোহর।

    সেটি হস্তগত করে ভব লাহিড়ী ভেউ ভেউ করে কাঁদতে শুরু করলেন।

    তার স্ত্রী কাত্যায়নী দেবী অবাক হয়ে বললেন, “কী হল তোমার? কাঁদছো কেন? তুমি তো মাছ কিনে আনো না। দিনের পর দিন ফ্যানা ভাত খেয়ে যাচ্ছি। কাঁদার কথা তো আমাদের। তুমি কাঁদছো কেন?”

    ভব লাহিড়ী জানেন গিন্নিকে মোহরের কথা বললে আর রক্ষে নেই। তিনি কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, “পায়ে কাঁটা ফুটেছে গিন্নি। তাই কাঁদছি”।

    কাত্যায়নী গজগজ করতে লাগলেন।

    ভব লাহিড়ী মনে মনে বললেন, “সব অশ্রু কি আর দুঃখের অশ্রু হয় গিন্নি? আনন্দাশ্রুও হয়”।

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleখেলাঘর এবং অন্যান্য গল্প – অভীক দত্ত
    Next Article রাজকন্যের সন্ধানে – অভীক দত্ত

    Related Articles

    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    ভয় সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    কিশোর অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রকাশ্য দিবালোকে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 18, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    তারপর কী হল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 17, 2025
    মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    শর্ম্মিষ্ঠা নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    November 11, 2025
    সত্যজিৎ রায়

    মানপত্র সত্যজিৎ রায় | Maanpotro Satyajit Ray

    October 12, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }