Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • 🔖
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    Subscribe
    সাইন ইন
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    দ্য রেড ফিঙ্গার – কেইগো হিগাশিনো

    কেইগো হিগাশিনো এক পাতা গল্প226 Mins Read0

    রেড ফিঙ্গার – ২২

    অধ্যায় ২২

    কলিংবেলটা যখন বাজল তখন ঘড়িতে দশটা পাঁচ।

    ডাইনিং রুমে বসা আকিও আর ইয়াইকো মুখ চাওয়াচাওয়ি করল একবার। কিছু না বলে চুপচাপ উঠে গিয়ে ইন্টারকমের রিসিভার কানে চাপালো ইয়াইকো।

    “জ্বি, আসার জন্যে ধন্যবাদ।”

    রিসিভার নামিয়ে স্বামীর দিকে তাকালো সে। চেহারায় আতঙ্ক।

    “এসে পড়েছে।”

    “আচ্ছা,” বলে উঠে দাঁড়াল আকিও। “কোথায় বসে কথা বলবো উনাদের সাথে?”

    “লিভিং রুমে?”

    “ঠিক আছে।”

    সামনে গিয়ে দরজা খুলতেই বাইরে দুই ডিটেকটিভকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল আকিও। দু’জনেই লম্বা-চওড়া, পেটানো শরীর। কাগা আর মাতসুমিয়ার চেহারা এখন মুখস্থ হয়ে গেছে ওর। আগে থেকে পরিচয় আছে বলেই খুব সম্ভবত পাঠানো হয়েছে তাদের।

    “ধন্যবাদ আসার জন্যে।”

    “আপনার কি জরুরী কিছু বলার আছে?” মাতসুমিয়া করলো প্রশ্নটা।

    “হ্যাঁ…সেটা বসে বলাই ভালো হবে,” বলে লিভিং রুমের দরজা খুলে ধরলো আকিও।

    এক এক করে তাতামি ঘরটায় প্রবেশ করলো দুই পুলিশ অফিসার। পিঠ সোজা করে প্রায় একই ভঙ্গিতে হাঁটে দু’জনে।

    ইয়াইকো চা এনে দিল ওদেরকে। ধন্যবাদ জানালেও চায়ের কাপের দিকে হাত বাড়াল না কেউই। কি জন্যে ওদের ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা যত দ্রুত সম্ভব জানতে চায়।

    “ইয়ে….তদন্ত কি চলছে?” দ্বিধান্বিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো ইয়াইকো।

    “কেবল তো শুরু হয়েছে। আমরা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছি,” মাতসুমিয়া জবাব দেয়।

    “কোন গুরুত্বপূর্ণ সূত্র কি পেয়েছেন?” এবারে আকিও করলো প্রশ্নটা। “হ্যাঁ,” সন্দেহ ফুটল মাতসুমিয়ার চেহারায়।

    টেবিল থেকে কাপটা তুলে নিয়ে একবার চুমুক দিল কাগা। আকিও’র দিক থেকে নজর সরাল না সে। একটু অস্বস্তিবোধ হতে লাগল ওর।

    “আপনারা তো আমাদের বাসা থেকে ঘাসের স্যাম্পল নিয়ে গিয়েছিলেন, তাই না? সেখান থেকে কিছু জানতে পেরেছেন?”

    বিভ্রান্ত ভঙ্গিতে সহকর্মীর দিকে তাকাল মাতসুমিয়া।

    “ভিক্টিমের পোশাকে ঘাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি আমরা। সেজন্যেই স্যাম্পল নেয়া হয়েছিল।”

    “তা বুঝেছি। আমাদের এখান থেকে যে স্যাম্পল নিয়েছিলেন, সেটার সাথে কি মিলে গেছে?” আকিও জানতে চায়।

    “একথা জিজ্ঞেস করছেন কেন?”

    “মিলেছে, তাই না? “

    তৎক্ষণাৎ কিছু বললো না কাগা। ভাবছে জবাব দেবে কিনা।

    “মিলে গেলে কি হবে?”

    প্রশ্নটা শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল আকিও।

    “আপনাদের এখানে ডেকে পাঠানোর পেছনে একটা কারণ আছে। অবশ্য

    আগে হোক বা পরে, আপনারা জানতেই পারতেন কথাটা।“

    “কি বলছেন কিছুই বুঝছি না,” সামনে ঝুঁকে বলে মাতসুমিয়া।

    “মি. কাগা, মি. মাতসুমিয়া,” মাথা নিচু করে দুই হাত তাতামিতে ঠেকিয়ে বলতে শুরু করলো আকিও, “আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। পার্কের টয়লেটে মেয়েটার লাশ আমিই রেখে এসেছিলাম।”

    ওর মনে হচ্ছে কোন এক অতল গহ্বরের উদ্দেশ্যে লাফ দিয়েছে বুঝি, এখন আর ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। তাছাড়া পরিস্থিতিই ওকে এরকম অসহায় অবস্থায় এনে ফেলেছে।

    নীরবতা নেমে এল ঘরটায়। আকিও মাথা না ওঠানোয় তার অভিব্যক্তি দেখতে পাচ্ছে না দুই পুলিশ অফিসার।

    অপর পাশে বসা ইয়াইকো ডুকরে কেঁদে উঠলো এসময়। কিছুক্ষণ পর পর ফিসফিস করে ‘মাফ করে দিন’ বলছে। সে-ও স্বামীর মত মাথা নিচু করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে উদ্যোত হল।

    “বাচ্চা মেয়েটাকে আপনারা মেরেছেন?”

    মাতসুমিয়া করেছে প্রশ্নটা। কন্ঠে বিস্ময়ের লেশমাত্র নেই তার। মায়েহারাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আশা করেই এসেছে সে।

    “না,” মাথা উঁচিয়ে বলে আকিও।

    কপাল কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে দুই পুলিশ অফিসার।

    “আমি মারিনি। কিন্তু…আমাদের একজন মেরেছে।”

    “আপনার পরিবারের কেউ?”

    “হ্যাঁ।”

    ধীরচিত্তে পাশে বসা ইয়াইকোর দিকে মুখ ফেরাল মাতসুমিয়া।

    “না, আমার স্ত্রী-ও মারেনি।”

    “তাহলে…”

    “আসলে,” বলা লম্বা করে শ্বাস টানল আকিও। একবার কথা বলার জন্যে মুখ খুলেও বন্ধ করে নিল। কিছুক্ষণ পর বললো, “আমার মা।”

    “আপনার মা?”

    ভ্রু কুঁচকে সহকর্মীর দিকে তাকাল মাতসুমিয়া।

    “আপনার মা?” কাগার মুখেও একই প্রশ্ন।

    “হ্যাঁ।”

    “সেদিন যে বয়স্ক ভদ্রমহিলাকে দেখলাম, তার কথা বলছেন?” কাগা জানতে চায়।

    “হ্যাঁ,” ঠোঁট কামড়ে ধরে আকিও।

    বুকের ভেতরে কেউ যেন হাতুড়িপেটা করছে ওর। পুলিশ দু’জন কথাটা বিশ্বাস করেছে কিনা বুঝতে পারছে না। মন থেকে সন্দেহ দূর করার জন্যে নিজেকে আরো একবার বোঝাল যে এটা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

    “আপনি প্রথম যেদিন আমাদের বাসায় এসে ছবিটা দেখিয়েছিলেন, সেদিন বলেছিলাম আমরা কেউ মেয়েটাকে দেখিনি।”

    “হ্যাঁ,” মাথা নেড়ে বলে কাগা। “সত্যি কথা বলেননি?”

    “না। আমার স্ত্রী এর আগেও বেশ কয়েকবার ওকে বাগানে দেখেছে। প্রায়ই আসতো।”

    “বাগানে?” ইয়াইকোর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো আকিও।

    “হ্যাঁ,” মাথা নেড়ে সায় জানাল ইয়াইকো। “এর আগে বেশ কয়েকবার ওকে আমার শাশুড়ির সাথে বাগানে পুতুল নিয়ে খেলতে দেখেছি। আমার ধারণা পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকত ও। আমি জিজ্ঞেস করায় মা বলেছিল মেয়েটা নাকি বেড়ার অন্য পাশ থেকে পুতুলটা দেখে খেলতে চেয়েছিল। তাই ওটা বাগানে নিয়ে গিয়েছে সে। কিন্তু মেয়েটা যে কোত্থেকে আসত, সেটা জানতাম না।”

    একবার মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো দুই পুলিশ অফিসার।

    “আপনার মা এখন কোথায়?”

    “পেছনের ঘরে। ওখানেই থাকে মা,” মাতসুমিয়ার প্রশ্নের জবাবে বললো আকিও।

    “আমরা কি তার সাথে দেখা করতে পারি?

    “হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, কিন্তু…”

    কথা শেষ না করে দুই পুলিশ অফিসারের দিকে তাকালো ও।

    “আপনাদের এই কথা আগেও বলেছি। মা মানসিকভাবে সুস্থ নয়। তার কাছ থেকে কিছু জানতে পারবেন বলে মনে হয় না। কিছুই মনে থাকে না ওনার, আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে না।”

    “ওহ…” বলে কাগার দিকে তাকায় মাতসুমিয়া।

    “তবুও, কথা কি বলা যাবে?”

    “ইয়ে…হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।”

    উঠে দাঁড়ায় আকিও। তাকে অনুসরণ করে করিডোর ধরে বাড়ির পেছন দিকে চলে আসে মাতসুমিয়া আর কাগা। এখন একটা স্লাইডিং দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। আকিও এক দিকে সরিয়ে দিল দরজার পাল্লা। ভেতরে আসবাব বলতে একটা ওয়ার্ডোব আর একটা প্রার্থনা বেদি। আগে ঘরটায় ড্রেসিং টেবিলসহ আরো টুকটাক জিনিস ছিল। কিন্তু মাসায়ের মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটায় একে একে সবকিছু সরিয়ে নিয়েছে ইয়াইকো। এই ঘরটার দিকে শুরু থেকেই নজর তার।

    বারান্দার দিকে মুখ করা বারান্দাটায় হাঁটু গেড়ে বসে আছে মাসায়ে। দরজায় যে কেউ এসে দাঁড়িয়েছে, সেদিকে খেয়াল নেই তার। একমনে কথা বলে যাচ্ছে সামনে বসিয়ে রাখা পুতুলটার সাথে। কাপড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ পুরনো একটা পুতুল।

    “আমার মা,” আকিও বললো দুই পুলিশ অফিসারের উদ্দেশ্যে।

    কিছু না বলে চুপচাপ তাকিয়ে রইলো তারা। কিভাবে কথা শুরু করবে ভাবছে।

    “আমরা কি কথা বলতে পারব উনার সাথে?” মাতসুমিয়া জানতে চায়।

    “নিশ্চয়ই, কিন্তু…” আকিও বলে।

    ধীরে ধীরে সামনে এগোয় তরুণ ডিটেকটিভ। “শুভ সকাল,” পুতুলটার দিকে তাকিয়ে বলে সে।

    কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না মাসায়ে। পুতুলটাকে কোলে নিয়ে চুল আঁচড়ে দিতে থাকে।

    “এরকমই করে সবসময়,” কৈফিয়তের স্বরে কাগার উদ্দেশ্যে বলে আকিও।

    বুকের ওপর হাত ভাঁজ করে বয়স্ক মহিলার দিকে তাকিয়ে আছে সে। “উনাদের কথা পুরোপুরি শোনার পর এখানে এলে ভাল হতো না?” বললো কাগা।

    মাথা নেড়ে সায় জানিয়ে উঠে দাঁড়াল মাতসুমিয়া।

    সবাই বাইরে আসার পর দরজা বন্ধ করে দিল আকিও। মাসায়ে তখনও পুতুলটার গায়ে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে।

    “আমি ফিরি ছ’টার দিকে। সুপারমার্কেটে আমার কাজ শেষ হয় সাড়া পাঁচটায়। বাসায় ফিরে শ্বাশুড়ির খোঁজ নিতে গিয়ে চমকে যাই। ঘরের মাঝে একটা বাচ্চা মেয়েকে শুয়ে থাকতে দেখি। নিথর পড়ে ছিল দেহটা। আমার শ্বাশুড়ি তখন বারান্দায় তার পুতুলটা নিয়ে খেলছে।

    দুই ডিটেকটিভের হাতেই বেরিয়ে এসেছে নোটপ্যাড। মাতসুমিয়া যা শুনছে, সব টুকে নিচ্ছে। কাগা শুধু জরুরি তথ্যগুলো লিখছে। শোনার দিকে বেশি মনোযোগ তার।

    “সামনে এসে মেয়েটার গায়ে হাত রাখি আমি, কিন্তু শ্বাস নিচ্ছিল না সে। তখনই বুঝতে পারি যে মারা গেছে।”

    চুপচাপ স্ত্রী’র কথা শুনছে আকিও। পুরো শরীর দরদর করে ঘামছে। বগলের কাছটা ভিজে উঠেছে আরো আগেই। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে বসে আলোচনা করে এই গল্পটা তৈরি করেছে যেন পুলিশের লোকেরা কোন সন্দেহ না করতে পারে। কিন্তু এটা ভালো করেই জানা আছে যে ওরা কেউই পেশাদার অপরাধী নয়। মিথ্যে বলাটা ওদের সহজাত অভ্যেসের মধ্যে পড়ে না। কে জানে কোন বিপদ ডেকে আনছে নিজেদের দিকে। কিন্তু এখন আর কোন পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই।

    “আমি আর শ্বাশুড়িকে বাচ্চা মেয়েটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। কিন্তু আপনারা তো নিজের চোখেই দেখেছেন তার অবস্থা। ঠিকঠাক কোন জবাব পাইনি। আমি কি জিজ্ঞেস করছিলাম তা খুব সম্ভবত বোঝেনি প্রথমে। কিন্তু বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকায় এক পর্যায়ে বলে প্রিয় পুতুলটা ভেঙ্গে ফেলার প্রতিশোধ নিয়েছে।”

    “প্রতিশোধ নিয়েছে?” বিভ্রান্ত ফোটে মাতসুমিয়ার চেহারায়।

    “আসলে মা’র কাছে ব্যাপারটা বান্ধবীর সাথে ঝগড়া করার মতনই। ছোট মেয়েরা যেমন করে,” আকিও ব্যাখা করে বলে। “আমি জানি না মেয়েটা কি করেছিল, কিন্তু সেটায় নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়েছিল মা। হয়তো বেশি দুরন্তপনা করছিল সে সেদিন। তবে আমার মনে হয় না বাচ্চাটাকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিল তার। মা’কে দেখলে বোঝা যায় না… কিন্তু গায়ে বল আছে। বাচ্চা মেয়েটা বাঁচাতে পারেনি নিজেকে।

    কথাগুলো বলার সময় আকিওর বারবার মনে হচ্ছিল পুলিশের লোকেরা তার কথা বিশ্বাস করবে কিনা।

    ইয়াইকোর দিকে তাকালো মাতসুমিয়া।

    “এরপর আপনি কি করলেন?”

    “ওকে ফোন দেই। তখন সাড়ে ছ’টা বাজছিল খুব সম্ভবত।”

    “ফোনেই সবকিছু খুলে বলেন?

    “না…আসলে বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে কি বলবো, তাই যত দ্রুত সম্ভব বাসায় ফিরে আসতে বলি। সাথে ওর বোনকে ফোন করে আসতে মানা করে দিতে বলেছিলাম।”

    এই অংশটুকু সত্য হওয়ায় ইয়াইকোর কন্ঠস্বর এখন অনেকটাই স্বাভাবিক শোনাচ্ছে।

    “কি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন?” মাতসুমিয়া জিজ্ঞেস করে। “পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার কথা ভাবেননি?“

    “হ্যাঁ, ভেবেছিলাম তো! কিন্তু আগে ওর সাথে কথা বলে নিতে চাচ্ছিলাম।”

    “বাসায় ফিরে মেয়েটার মৃতদেহ দেখতে পান আপনি?”

    মাথা নেড়ে সায় দেয় আকিও। “এক মুহূর্ত বুঝে উঠতে পারি না যে কি দেখছি। তখন ইয়াইকো খুলে বলে সবকিছু। মনে হয় যেন এক নিমেষে আমার সাজানো গোছানো জীবনে কালি মেখে দিয়েছে কেউ।”

    এই কথাটাও সত্য।

    “লাশটা এখান থেকে সরিয়ে ফেলার বুদ্ধিটা কার?” গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নটা মাতসুমিয়া নিজেই করলো।

    স্বামীর দিকে তাকায় ইয়াইকো।

    “তা বলা কঠিন। ওই মুহূর্তে এটাই উপযুক্ত কাজ বলে মনে হয়। কারণ এটা জানতাম যে পুলিশকে ফোন দিলে ঝামেলায় পড়তে হবে। দু’জনেই ধামাচাপা দিতে চাইছিলাম গোটা ব্যাপারটা। আর সেখান থেকেই লাশ সরিয়ে ফেলার বুদ্ধিটা মাথায় আসে। ভেবেছিলাম, সরিয়ে ফেললেই হয়তো বেঁচে যাব। কেউ কিছু জানবে না। কিন্তু কাজটা উচিৎ হয়নি, তা আমরা দু’জনেই জানি।”

    কথাটা বলার সময় আকিও’র বারবার মনে হতে থাকে অদূর ভবিষ্যতেই এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে ওদের। কিন্তু একটা ছোট মেয়ে খুন হয়েছে, এমন বাড়ি কে কিনবে?

    “পার্কটা বেছে নিলেন কেন?” মাতসুমিয়া জানতে চায়।

    “ওরকম বিশেষ কোন কারণ নেই। আসলে আমাদের মাথায় তখন অন্য কোন জায়গার নাম আসেনি। তাছাড়া আমাদের গাড়িও নেই বিধায় বেশি দূর যাওয়া সম্ভব ছিল না।”

    “লাশটা কখন সরান আপনারা?”

    “অনেক দেরি করে। রাত দু’টো কি তিনটার দিকে খুব সম্ভবত,” আকিও বলে।

    “ঠিক আছে,” নোটপ্যাড থেকে কলম তুলে বললো মাতসুমিয়া। “দয়া করে সবকিছু যতটা সম্ভব ভালো করে খুলে বলুন আমাদের, কিচ্ছু বাদ দিবেন না।”

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleদ্য মিরাকলস অব দ্য নামিয়া জেনারেল স্টোর – কেইগো হিগাশিনো
    Next Article দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স – কিয়েগো হিগাশিনো

    Related Articles

    কেইগো হিগাশিনো

    স্যালভেশন অফ আ সেইন্ট – কিয়েগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    কেইগো হিগাশিনো

    দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স – কিয়েগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    কেইগো হিগাশিনো

    দ্য মিরাকলস অব দ্য নামিয়া জেনারেল স্টোর – কেইগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    কেইগো হিগাশিনো

    নিউকামার – কেইগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    কেইগো হিগাশিনো

    ম্যালিস – কিয়েগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    কেইগো হিগাশিনো

    দ্য নেম অব দ্য গেম ইজ অ্যা কিডন্যাপিং – কেইগো হিগাশিনো

    August 1, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Most Popular

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Our Picks

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025

    এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Sign In or Register

    Welcome Back!

    Login below or Register Now.

    Lost password?

    Register Now!

    Already registered? Login.

    A password will be e-mailed to you.