রাজা ও বানর
এক রাজার নিত্যসঙ্গী ছিল এক বানর। অত্যন্ত ভক্তিমান ও সেবাপরায়ণ। বিশ্বস্তও। সব সময় রাজার পাশে-পাশে থাকত। রাজা ঘুমোলে সে তাঁর অঙ্গসেবা করত।
একদিন রাজা দিবানিদ্রা যাচ্ছেন। বানরটি তাঁর পাহাড়ায়। হঠাৎ এক মাছি এসে বসল রাজার গালে। বানরটি তাড়িয়ে দিল। আবার এসে বসল। আবার তাড়িয়ে দিল। কিন্তু মাছিটি যাচ্ছে না। কখনো রাজার মাথায়, কখনো বুকে, কখনো পায়ে—এভাবে বসছে, আর বানরটি তাড়াচ্ছে। কখনো হাত দিয়ে। কখনো লেজ দিয়ে। কখনো ফুঁ দিয়ে কিন্তু মাছি রাজাকে ছাড়ছে না। বানরটি রাগে গজগজ করছে! লাফ দিয়ে রাজার ওপাশে যাচ্ছে। আবার এপাশে আসছে। মাছিটাকে ধরার জন্য দুহাত উঁচিয়ে থাপ্পর মারছে। কিন্তু মাছি ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বানরের আর ধৈর্য ধরছে না। সে মাছিটাকে মারার জন্য দেয়াল থেকে শাণিত এক তরবারি এনে উঁচিয়ে ধরল। মাছিটা তখন রাজার গলায় বসেছে। আর যায় কোথা? মাছিটাকে মারতে গিয়ে দিল এক কোপ। কিন্তু মাছি গেল উড়ে। আর রাজা হলেন দ্বিখণ্ডিত।
তাই বলছিলাম—তোর মতো লোককে মন্ত্রী করে রাজা পিঙ্গলকের জীবনও আজ বিপন্ন। আর যে তোকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করত, সেই সঞ্জীবকও আজ মৃত্যুর দ্বারে। দেখ—
লোভী আর বিশ্বাসঘাতক—জগতে এ দুজনে।
শাস্তি পায়—যেমন পেল শিক্ষিত ঐ বামুনে।।
দমনক: সে আবার কি?
করটক: শুনতে চাস? তবে শোন…