দ্বিতীয় প্রবন্ধ
সেকালে “হরকরা” নামে একটি ইংরেজি পত্রিকায় পড়তাম, কোনো এক মিলিটারি সাহেব পালামৌ থেকে “প্যারেড”-এর বর্ণনা, “ব্যান্ড”-এর বাদ্য ইত্যাদি নানা কথা লিখতেন। তখন ভাবতাম, পালামৌ নিশ্চয়ই বড় শহর, সাহেবদের ভরা এক সুখের জায়গা। তখন জানতাম না যে, পালামৌ কোনো শহর নয়—এটি একটি বিশাল পরগনা। সেখানে শহর তো দূরের কথা, একটা গাঁও পর্যন্ত নেই—শুধু পাহাড় আর জঙ্গল।
পাহাড় আর জঙ্গল বললে কে কী বুঝবেন, তা ঠিক বলা যায় না। যাঁরা “কৃষ্ণচন্দ্র কর্মকার”-এর আঁকা পাহাড় দেখেছেন, আর যাঁদের বাড়ির পাশে শিয়াল-শ্রান্ত ভাটভেরাণ্ডার জঙ্গল আছে, তাঁরা নিশ্চয়ই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। কিন্তু অন্য পাঠকদের জন্য সেই পাহাড়-জঙ্গলের বর্ণনা একটু দরকার।
রাঁচি থেকে পালামৌ যাওয়ার পথে বাহকরা যখন দূর থেকে পালামৌ দেখিয়ে দিল, তখন আমার মনে হলো যেন মাটিতে মেঘ জমেছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে সেই মনোরম দৃশ্য দেখলাম। ভাবলাম, এই অন্ধকার মেঘের মধ্যে এখনই যাব—এ ভেবে কতই না আনন্দ হলো! কতক্ষণে পৌঁছব, তা নিয়ে আবার কতই উৎসুক হলাম।
কয়েক ক্রোশ এগিয়ে আবার পালামৌ দেখতে পাল্কি থেকে নেমে পড়লাম। এবার আর মেঘের ভ্রম রইল না—পাহাড়গুলো স্পষ্ট চেনা যাচ্ছিল, কিন্তু জঙ্গল ভালো বোঝা গেল না। আরও কিছুদূর গেলে তামাটে রঙের অরণ্য চারিদিকে দেখা দিল—পাহাড়, নিচু জমি সব যেন মেঘের মতো ঘন লোমশ আবরণে ঢাকা। শেষে আরও এগিয়ে গেলে জঙ্গল স্পষ্ট দেখা গেল—পাহাড়ের গায়ে, নিচে, সর্বত্রই জঙ্গল, কোথাও ফাঁক নেই। কোথাও চাষের জমি নেই, গ্রাম নেই, নদী নেই, পথ নেই—শুধুই বন, ঘন নিবিড় বন।
পরে পালামৌয়ে ঢুকে দেখলাম, নদী, গ্রাম সবই আছে, কিন্তু দূর থেকে কিছুই দেখা যায়নি। পালামৌ পরগনায় পাহাড় অগণিত—পাহাড়ের পর পাহাড়, তার পর আবার পাহাড়, যেন অস্থির নদীর অগণিত তরঙ্গ। আবার মনে হলো, যেন পৃথিবীর ভেতরের আগুন একদিনেই এই সব তরঙ্গ তুলে রেখে গেছে। এখন ঠিক মনে নেই, কিন্তু আমার ধারণা, সব পাহাড়ই যেন পূর্ব দিক থেকে উঠেছে, কোনো কোনোটা পশ্চিম দিকে নামেনি। এমনই একটা অর্ধেক পাহাড় লাতেহার গ্রামের পাশে ছিল—আমি প্রায়ই সেখানে গিয়ে বসতাম। এই পাহাড়ের পশ্চিম দিকে মাটি নেই, তাই এর ভেতরের সব স্তর দেখা যায়—এক স্তরে নুড়ি, আরেক স্তরে কালো পাথর ইত্যাদি। কিন্তু কোনো স্তরই সমান নয়—কোথাও উঠেছে, কোথাও নেমেছে। আমি আগে এদিকে নজর দিইনি, পরে একটা ঘটনায় লক্ষ করলাম।
একদিন সন্ধ্যায় এই পাহাড়ের তলায় দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় আমার একটা নেমকহারাম ফরাসি কুকুর (পুডল) ইচ্ছেমতো তাঁবুতে চলে গেল। রেগে গিয়ে আমি চেঁচিয়ে ডাকলাম। আমার পিছন থেকে সেই চিৎকার আশ্চর্য রকম প্রতিধ্বনিত হলো। পিছনে ফিরে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আবার চেঁচালাম—আবার একইভাবে প্রতিধ্বনি হ্রস্ব-দীর্ঘ হতে হতে পাহাড়ের অপর প্রান্তে চলে গেল। আবার চেঁচালাম, শব্দ আগের মতোই পাহাড়ের গায়ে লেগে উঠানামা করতে লাগল। এবার বুঝলাম, শব্দ কোনো একটা বিশেষ স্তর ধরে যায়—সেই স্তর যেখানে উঠেছে বা নেমেছে, শব্দও সেভাবে উঠানামা করে। কিন্তু শব্দ এতক্ষণ স্থায়ী হয় কেন, যতদূর পর্যন্ত সেই স্তর আছে ততদূরই যায় কেন—তা বুঝতে পারলাম না। যেন সেই স্তরটা শব্দের কন্ডাক্টর—যতক্ষণ না নন-কন্ডাক্টরের সংস্পর্শে আসে, ততক্ষণ শব্দ ছুটতে থাকে।
আরেকটা পাহাড় দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। সেটা একটাই পাথর—সমস্তটাই একখণ্ড প্রস্তর। তাতে কোথাও একটুও মাটি নেই, সব পরিষ্কার ঝকঝকে। তার এক জায়গায় লম্বা ফাটল, সেই ফাটলের ওপর একটা বড় অশ্বথ গাছ জন্মেছে। তখন মনে হয়েছিল, অশ্বথ গাছ বড় রসিক—এই নীরস পাথর থেকেও রস নিচ্ছে! কিছুদিন পরে আবার এই গাছের কথা মনে পড়লে ভাবলাম, গাছটা বড় শোষক—নিরীহ পাথরেরও রেহাই নেই! এখন মনে হয়, অশ্বথ গাছটা তার পরিবেশ অনুযায়ীই কাজ করছে। সব গাছই যে বাংলার রসভরা নরম মাটিতে জন্মাবে আর সুখে বাঁচবে, তা তো সম্ভব নয়। যার ভাগ্যে কঠিন পাথর, তাকেই সেই পাথরেই টিকে থাকতে হবে। এখন আমি অশ্বথ গাছটার প্রশংসা করি।
এখন সেই সব কথা থাক। প্রথম দিনের দু-একটা কথা বলি। সন্ধ্যায় পালামৌয়ে ঢুকে দুপাশের পাহাড়ের সারি দেখতে দেখতে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে লাগলাম। কোন পাকা রাস্তা নেই—একটা সরু গোরুর পথ দিয়ে আমার পাল্কি চলল। অনেক জায়গায় দুপাশের লতা-পাতা পাল্কি স্পর্শ করতে লাগল। বনের বর্ণনায় যেমন “শাল-তাল-তমাল-হিন্তাল” শুনেছিলাম, তা কিছুই দেখলাম না। তাল, হিন্তাল একদম নেই—শুধু শালের বন, আর কিছু বুনো গাছ। শালের মধ্যে একটাও প্রকাণ্ড গাছ নেই—সব আমাদের দেশের কদম গাছের মতো, না হয় একটু বড়। তবুও জঙ্গল অতি দুর্গম—কোথাও তার শেষ নেই, তাই ভয়ানক লাগে। মাঝে মাঝে যে ফাঁক আছে, তা খুবই সামান্য।
এভাবে জঙ্গল দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ এক জায়গায় কাঠের ঘণ্টার বিষণ্ণ শব্দ কানে এল। কাঠের ঘণ্টা আগে মেদিনীপুরে দেখেছিলাম। গৃহপালিত পশু বনে পথ হারালে, এই শব্দ শুনে তাদের খুঁজে বের করা হয়। কাঠের ঘণ্টার শব্দ শুনলে প্রাণের ভিতর কেমন করে—পাহাড়-জঙ্গলের মধ্যে সেই শব্দ আরও অবসাদ আনে। তবে সবারই কি这种感觉 হয়, তা বলতে পারি না।
পরে দেখলাম, একটা মহিষ ভয়ে মুখ তুলে আমার পাল্কির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে—তার গলায় কাঠের ঘণ্টা ঝুলছে। ভাবলাম, পালিত মহিষ এখানে থাকলে গ্রাম আর দূরে নেই। কিছুক্ষণ পর একটা অর্ধশুকনো ঘাসে ঢাকা ছোট মাঠ দেখা গেল—সেখানে দু-একটা মধু বা মৌয়া গাছ ছাড়া কোনো গুল্ম বা লতা নেই, সব পরিষ্কার। পাহাড়ের ছায়ায় মাঠটা আরও সুন্দর লাগছিল। সেখানে কয়েকটা কোল বালক একসাথে মহিষ চরাচ্ছিল—ওরকম কালো রঙের চেহারা আর কখনও দেখিনি। সবার গলায় পুঁতির মালা, ধুকধুকির বদলে গোল আয়না, কানে বনফুল। কেউ মহিষের পিঠে শুয়ে আছে, কেউ বসে আছে, কেউ নাচছে। সবাই যেন কৃষ্ণঠাকুর বলে মনে হচ্ছিল।
এই অঞ্চলে প্রধানত কোলদের বাস। কোলরা বন্য জাতি—খাটো, কালো। দেখতে কুৎসিত না সুন্দর, তা ঠিক বলতে পারি না! যেসব কোল কলকাতায় আসে বা চা-বাগানে কাজ করে, তাদের কাউকে সুন্দর দেখিনি—বরং খুব কুৎসিতই মনে হয়েছে। কিন্তু নিজেদের দেশে সব কোলই সুন্দর, অন্তত আমার চোখে তাই লাগে। বন্য মানুষেরা বনেই সুন্দর, যেমন শিশুরা মায়ের কোলে।
মাঠ পেরিয়ে একটা ছোট গ্রাম—নাম মনে নেই। সেখানে ত্রিশ-বত্রিশটা ঘর। সবাই পাতার কুঁড়েঘরে থাকে। আমার পাল্কি দেখতে সব মেয়েরা ছুটে এল। সবাই আবলুস কাঠের মতো কালো, সবাই যুবতী, কোমরে একটুখানি কাপড় জড়ানো, বুক-কাঁধ খোলা। গলায় পুঁতির মালা, তাতে ছোট ছোট আয়না ঝুলছে, কানে বনফুল, মাথায় বড় বড় বনফুল। যুবতীরা পরস্পরের কাঁধ ধরে পাল্কি দেখতে লাগল—কিন্তু দেখল শুধু পাল্কি আর বেহারাদের। পাল্কির ভিতরে কে বা কী আছে, তা কেউ দেখল না। আমাদের বাংলায়ও দেখেছি, গ্রামের বাচ্চারা পাল্কি আর বেহারা দেখেই সন্তুষ্ট। তবে যদি বাজনা বাজে, তাহলে “বর-কনে” দেখতে পাল্কির ভিতর উঁকি মারে।
তারপর আবার কিছুদূর গিয়ে দেখলাম, পথ-হাঁপানো যুবতীরা মদের ভাঁটিতে বসে মদ খাচ্ছে। গ্রামের যুবতীদের মতোই এদের চেহারা-সাজ—যেন ওরাই এসে বসেছে। যুবতীরা দু’হাতে শালপাতার পাত্র ধরে মদ খাচ্ছে, আর হাসিমুখে সাথীদের দিকে তাকাচ্ছে। জানু গেড়ে বসা কোল মেয়েদের স্বভাব—সাঁওতালদের মধ্যেও এ রীতি দেখেছি। বনের মধ্যে যেখানে-সেখানে মদের ভাঁটি দেখলাম, কিন্তু বাংলার ভাঁটিখানার মতো মাতাল কাউকে দেখলাম না। পরে তাদের আচার-ব্যবহার সব দেখেছি—তারা আমার সামনে কিছুই লুকায়নি। কিন্তু কখনও মেয়েদের মাতাল হতে দেখিনি, অথচ তারা মদ খায়ও কম নয়। তাদের মদে মাদকতা নেই, তা-ও নয়—পুরুষেরা এই মদ খেয়ে প্রায়ই মাতাল হয়।
আগে কয়েকবার শুধু যুবতীর কথাই বলেছি—ইচ্ছা করে নয়। বাংলার পথে-ঘাটে বৃদ্ধই বেশি দেখা যায়, কিন্তু পালামৌ অঞ্চলে যুবতীই বেশি। কোলদের মধ্যে বৃদ্ধা খুব কম—তারা বয়স হলেও যুবতীর মতোই থাকে, আশি বছর না হলে তাদের চামড়া ঝুলে পড়ে না। অতিশয় পরিশ্রমী বলে ঘরের কাজ, জমির কাজ—সবই তারা করে। পুরুষেরা মেয়েদের মতো বসে সন্তান পালন করে, মাঝে মাঝে চাটাই বুনে। আলস্যের জন্য পুরুষেরা বাঙালি মেয়েদের মতো তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায়, মেয়েরা শ্রমের কারণে চিরযৌবনা থাকে।
লোকেরা বলে, পশু-পাখিদের মধ্যে পুরুষরাই বলিষ্ঠ ও সুন্দর—মানুষের মধ্যেও সেই নিয়ম। কিন্তু কোলদের দেখলে তা মনে হয় না—তাদের মেয়েরাই বলিষ্ঠা ও আশ্চর্য রূপবতী। কিন্তু বয়স হওয়া পুরুষদের গায়ে খড়ি উঠছে, চোখে মাছি উড়ছে, মুখে হাসি নেই—যেন সবাই নিস্তেজ হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, কোলজাতির অবসান শুরু হয়েছে। ব্যক্তির যেমন প্রাণশক্তি কমে যায়, জাতিরও তেমনই ক্ষয় হয়—আস্তে আস্তে লোপ পায়। মানুষের মৃত্যু আছে, জাতিরও বিলুপ্তি আছে।
এই পরগনায় পাহাড়ে-পাহাড়ে অসুরেরা বাস করে। আমি তাদের দেখিনি—তারা কোল বা অন্য বন্য জাতির সঙ্গে মেশে না। শুনেছি, অন্য জাতির মানুষ দেখলেই তারা পালায়। পাহাড়ের অতি নির্জন স্থানে থাকে বলে তাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাদের সংখ্যা এখন খুবই কম।
প্রাচীনকালে যখন আর্যরা প্রথম ভারতে এলেন, তখন অসুরেরা ছিল খুব শক্তিশালী ও সংখ্যায় অসংখ্য। তারা আর্যেদের গরু ছিনিয়ে নিত, ঘি খেয়ে পালাত—আর্যরা নিরুপায় হয়ে ইন্দ্রকে ডাকতেন, কখনো বা দল বেঁধে লাঠালাঠিও করতেন। পরে আর্যরা শক্তিশালী হয়ে অসুরদের তাড়ালেন। পরাজিত অসুরেরা ভালো জায়গা ছেড়ে দিয়ে দুর্গম পাহাড়ে চলে গেল। আজও তারা সেখানেই আছে, কিন্তু তাদের আর সেই শক্তি নেই, সেই সংখ্যাও নেই। এখন তাদের অবস্থা দেখলে মনে হয়, অসুরকুল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে—যে কয়জন আছে, তারাও কিছুদিন পর থাকবে না।
জাতির বিলুপ্তি মাঝেমাঝেই হয়—অনেক আদিম জাতি লোপ পেয়েছে, এখনও পাচ্ছে। কেউ কেউ বলেন, পরাজিত জাতিরা বিজেতাদের হটিয়ে দিয়ে অযোগ্য জায়গায় থাকতে গেলে, আগের সুবিধা না পেয়ে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। অসুরদের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। কিন্তু সাঁওতালরাও একসময় আর্যেদের হটিয়ে দামিনী-কোয়াতে পালিয়েছিল—সেই থেকে সেখানে থাকছে, এখনও তাদের সংখ্যা কমেনি।
আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে যেখানে সাহেবেরা গেছেন, সেখানকার আদিবাসীরা ক্রমে লোপ পাচ্ছে—তার কারণ বোঝা যায় না। রেড ইন্ডিয়ান, নিউজিল্যান্ডার, তাসমানিয়ান—কত জাতি যে লোপ পেয়েছে! মাওরি জাতি বলিষ্ঠ, বুদ্ধিমান ও কর্মঠ—তারাও সাহেবদের অধীনে লোপ পাচ্ছে। ১৮৪৮ সালে তাদের সংখ্যা ছিল এক লাখ, বিশ বছর পরে মাত্র ৩৮ হাজার—এখন তো নিশ্চয়ই আরও কমে গেছে।
কেউ কেউ বলেন, সাহেবদের সংস্পর্শেই দোষ। প্রধান জাতির সংস্পর্শে এলে গৌণ জাতিরা হতাশ ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কিন্তু ভারতে তো অনেক আদিম জাতি আছে—ইংরেজদের সংস্পর্শে তাদের সংখ্যা কমছে না।
আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, ভারতে আদিম জাতিদের ক্ষয় বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছে—কিন্তু ইংরেজদের আসার পর কোনো জাতির ক্ষয় হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে কোলদের ব্যাপারে কিছু সন্দেহ আছে—সে আলোচনা অন্য সময় করা যাবে।
এখন এই সব কথা থাক। আগামী বার সতর্ক হব। কিন্তু যে আলোচনা শুরু করেছিলাম, তা শেষ হলো না। ইচ্ছা ছিল, এই সুযোগে বাঙালিদের কথা কিছু বলি। কিন্তু চারিদিকে এখন বাঙালির উন্নতির জয়গান—বাঙালি ইংরেজি শিখছে, ডিগ্রি পাচ্ছে, বিলেত যাচ্ছে, সভ্যতার সিঁড়ি বেয়ে উঠছে—বাঙালির আর ভাবনা কী? এ সব তো বাইরের কথা। বাঙালি সমাজের ভেতরের অবস্থা একবার খতিয়ে দেখলে কেমন হয়? শুনছি, জনগণনায় বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে। খুব ভালো!