Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    গোয়েন্দা গার্গী সমগ্র – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

    August 20, 2025

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • 🔖
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    Subscribe
    সাইন ইন
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    শেষ অশুভ সংকেত – কাজী মাহবুব হোসেন

    গর্ডন ম্যাকগিল এক পাতা গল্প150 Mins Read0

    শেষ অশুভ সংকেত – ২

    দুই

    দুই ঘন্টা যাবত বিরাট ড্রিলটা একটানা কাজ করে চলেছে। রাস্তার দশ ফুট নিচে মাটি খুঁড়ে প্রতি ছয় মিনিটে এক মিটার করে এগোচ্ছে টানেল। ড্রিলের মাটি আর কাদা পিছনের কনভেয়ার বেল্টে করে সরানো হচ্ছে।

    ড্রিলের পিছনে একটা ছোট্ট মানুষ নীরবে কাজ করে চলেছে। মাঝে মাঝে ঘুরন্ত ব্লেডগুলোকে ঠাণ্ডা করার জন্যে পাইপ দিয়ে পানি ছিটাচ্ছে। আর যেসব মাটির দলা সরাসরি বেল্টের ওপর পড়ছে না সেগুলো তুলে বেল্টের ওপর চাপাচ্ছে। বদ্ধ পরিবেশে টানেলের বাতাস বিষাক্ত। ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে উঠেছে জো। বন্ধুদের কাছে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য আর নিকৃষ্ট কাজ বলে দাবি করলেও মনে মনে একটা অদ্ভুত গর্ব অনুভব করে সে।

    ঝামেলা বাধার ঠিক আগের মুহূর্তে টের পেল জো। ড্রিলটা যেন একটু থমকাল, একটা হিক্কা তোলার মত আওয়াজ করে একটু হেলে কাত হল যন্ত্রটা। গুরুগম্ভীর ঘড়ঘড় শব্দের বদলে চড়া ক্যাচক্যাচ আওয়াজ উঠল। ছোট ছোট ইট আর কংক্রিটের টুকরা ছুঁড়ে মারছে মেশিন

    অকথ্য একটা গাল দিয়ে চেঁচিয়ে অপারেটরকে সুইচ বন্ধ করার নির্দেশ দিল জো। মেশিন বন্ধ হতেই লাফিয়ে আগে বেড়ে ফাঁক দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করল সে। উঁকি দিয়ে আর একটা গাল দিল। ইঁটের দেয়াল। ড্রিলটা মাটি খোঁড়ার—ইঁটের জন্যে নয়। কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে দেরি হবে—আর দেরি হওয়া মানেই উপার্জন কমে যাবে। সুট পরা সার্ভেয়ার আর প্ল্যানারদের চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করে ছাড়ল সে। ব্যাটাদের দু’চোখে দেখতে পারে না জো। ওরা কোনদিনই নিজের ‘হোম ওয়ার্ক’ ঠিক মত করে না—আর যত ঝক্কি-ঝামেলা সব জো-র ওপর দিয়েই যায়।

    অল্পক্ষণের মধ্যেই অন্যান্য সবাই হাজির হল। সুপারভাইজার জানাল ওটা কিছু নয়—থর্ন-মিউজিয়ম বেসমেন্টের একটা দেয়াল। ভাঙার সময় বেসমেন্টটা রয়ে গেছে।

    গোমড়া মুখে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে জো। পনেরো-বিশ বছর আগেকার একটা ঘটনা মনে পড়ছে তার। এক রহস্যময় অগ্নিকাণ্ডে গোটা জাদুঘর পুড়ে ছারখার হয়েছিল। শেষ পর্যন্তও আগুন লাগার কারণ সঠিক জানা যায়নি।

    বিড়বিড় করে সুপারভাইজারকে আর এক রাউণ্ড গাল দিল জো। ব্যাটা এতই যদি জানিস তবে ইট কাটার ড্রিল না পাঠিয়ে মাটি কাটার বিট (b।t) পাঠিয়েছিস কেন? যত সব অকর্মার দল—কাজ বাড়ানোর ওস্তাদ। বিড়বিড় করেই চলল সে। বসের ধমক খেয়ে শেষে চুপ করল।

    ওই ড্রিল দিয়েই কাজ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়ে চলে গেল বস্। কেশে আবার জীবন্ত হয়ে উঠল ড্রিল। এবার অনেকটা পিছিয়ে থাকছে জো। আর ইঁট—পাটকেল খেতে চায় না। বেশ বড় আকারের একটা মাটির দলা দেখে কনভেয়র বেল্ট থেকে টানেলের মেঝেতে ফেলতেই ভেঙে গেল ওটা। ঝুঁকে ওদিকে চেয়ে শিউরে উঠে পিছিয়ে গেল। পোড়া হাড় আর মাথার খুলির একটা অংশ দেখা যাচ্ছে। ওর সাথে কাঠির মত ধাতব কিছু জিনিসও রয়েছে।

    ফ্যাকাসে মুখে একটা কাঠি তুলে হাত দিয়ে মাটি পরিষ্কার করল জো। ছুরি! লম্বা ফলা আর কারুকাজ করা হাতল। বুড়ো আঙুল দিয়ে ধার পরীক্ষা করতে গিয়ে ‘উহ’ করে উঠল সে! খুব ধার। ক্রুশ আকারের হাতলে যীশুর মূর্তি খোদাই করা।

    এদিক ওদিক চেয়ে দেখল আশেপাশে কেউ নেই। চালাক-চতুর লোক জো। দুয়ে দুয়ে চার করতে দেরি হল না। ছুরি আর হাড় মানেই খুন। কেউ একজন মর্মান্তিক ভাবে খুন হয়েছিল। ঘটনাটা রিপোর্ট করলে সেই সাথে ছুরিগুলোও জন্ম দিতে হবে। তারচেয়ে এটা চেপে যাওয়ায় লাভ আছে। কনভেয়ার বেল্টের তলায় ছুরিগুলো লুকিয়ে রাখল জো।

    ছুরিগুলোর দিকে চেয়ে একবার নাক টানল দোকানের মালিক।

    সম্ভবত স্পিক দলের ছুরি,’ বলল সে।

    জো কপাল চাপড়ে বলল, ‘বোকা ঠাউরেছ? দেখছ না এগুলো অনেক পুরানো জিনিস?’

    কাঁধ ঝাঁকাল দোকানি।

    ‘পুরানো জিনিস। অনেক দাম,’ ওকালতি করল জো।

    ‘তাই নাকি?’ বাঁকা হাসি হাসল দোকানি।

    শেষ পর্যন্ত কম দামেই ছুরিগুলো ছাড়তে হল ওকে। ময়লা নোটগুলো নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এল জো। টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। শুনে দেখল— মন্দ কি? ঠিকই আছে। এটা তো উপরি পাওনা! মাঝে মাঝেই এমন উপরি পাওনা জোটে ওর। ট্যাক্স ফ্রি। কিন্তু ওর মনে হচ্ছে ড্যাগারগুলোর জন্যে ওর আরও বেশি পাওয়া উচিত ছিল। তবে যা আসে তাই লাভ।

    সোজা বারে গিয়ে ঢুকল জো। ওর দৃঢ় ধারণা এইসব বাড়তি টাকা বোতল অথবা ঘোড়ার ওপরই ঢালা উচিত।

    পেট ভরে মদ গিলে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরল জো। পরদিন সকালে এর খেসারত দিতে হল। অসহ্য মাথাব্যথায় কাজে যেতে পারল না। একদিনের বেতন মার গেল।

    .

    কিছুদিনের মধ্যে ছুরিগুলো কারও নজরে পড়ল না। একমাস পরে এক নিলাম ব্যবসায়ীর চোখে পড়ায় ওগুলো আরও দু’দিন পরে সাত নাম্বার লট হিসেবে নিলামে উঠল। ভেলভেটের কাপড়ের ওপর যত্নের সাথে সার বেঁধে সাজানো হল। পালিশ করা ছরিগুলো ঝিলিক দিচ্ছে।

    নিলামের মৌসুম নয়—বেশি লোক হয়নি। মাত্র একজন লোকই ছুরিগুলোয় বেশি আগ্রহ দেখাল। মাত্র দু’বার ডেকেই ছুরিগুলো পেয়ে গেল সে।

    ড্রাইভ করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফেরার পথে পাশের সিটে রাখা কাপড়ে মোড়া ছুরিগুলোর দিকে চাইল সে। অবচেতন মনে একটা আশ্চর্য অনুভূতি হচ্ছে অথচ কিছুতেই মনে পড়ছে না। বেশ আগে কোথায় যেন সে পড়েছে ওগুলোর কথা।

    বাড়ি পৌঁছে লাইব্রেরি ঘরে ঢুকে টেবিলের ওপর ছুরিগুলো বিছিয়ে খানিকক্ষণ একদৃষ্টে চেয়ে রইল। তারপর একটা তুলে নিয়ে ছুরির ওজন দেখল। ধার পরীক্ষা করতে গিয়ে অস্ফুট আর্তনাদ বেরিয়ে এল ওর মুখ থেকে। আঙুল কেটে রক্ত বেয়ে পড়ছে। হাতে একটা রুমাল জড়িয়ে নিল। দুই আঙুলে ছুরির বাঁট ধরে টেবিল থেকে ছয় ইঞ্চি উপরে তুলে ছেড়ে দিল। ডায়েরী ভেদ করে টেবিলের ওপর গেঁথে গেল ছুরি।

    বাঁটে খোদাই করা যীশুর মূর্তিটা থরথর করে কাঁপছে। ছুরি টেনে খুলে ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করল সে। মারাত্মক একটা অস্ত্র। ত্রিভুজাকৃতি ফলা— কোন জখম হলে সারতে প্রচুর সময় লাগবে। শিউরে উঠে সেলফ থেকে তিনটে বই বের করে আবার ডেস্কে ফিরে এল লোকটা। বাঁটের ওপর হাত বুলাতে বুলাতে পাতা উল্টাচ্ছে। এক ঘন্টা পরে ফোন তুলে একটা নাম্বারে ডায়াল করল।

    ‘ফাদার ডুলান আছেন?’ ওদিক থেকে সাড়া পেতেই প্রশ্ন করল সে। ওর গলার স্বর উত্তেজনায় ফ্যাসফ্যাসে শোনাল।

    .

    আলইটালিয়া বোয়িং ৭৪৭-এর যাত্রীরা সবাই তাদের মাঝে তরুণ প্রীস্টকে দেখে খুশিই হল। বিশাল প্লেনটা রানওয়েতে প্রবল বেগে ছোটার সময়ে তাঁকে নীরবে প্রার্থনা করতে দেখে নার্ভাস যাত্রীরা কিছুটা সাহস পেল। কেনেডি এয়ারপোর্ট ছেড়ে আকাশে উঠল প্লেন। তারপর লঙআয়ল্যাণ্ডের ওপর দিয়ে পুবে ফিরল

    কিছুক্ষণ পরেই প্রীস্টের পাশের যাত্রী দু’জন একটু অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করল। এত অস্থির কেন ধর্মযাজক? তবে কি সামনে তাদের কোন বিপদ আসছে? তারা টের পায়নি—কিন্তু প্রীস্ট জানেন? তাঁর কোলের ওপর রাখা ব্যাগটায় কি এমন মূল্যবান জিনিস রয়েছে? ওটা আঁকড়ে ধরে বসে আছেন তিনি। খাবার সার্ভ করার পরও ওটা ছাড়েননি। যাত্রার শেষে রোম এয়ারপোর্টে নামল প্লেন। নিরাপদে আবার মাটির বুকে ফিরে ওরা স্বস্তি বোধ করল।

    কাস্টমস ডেস্কে অফিসার অত্যন্ত বিনয়ের সাথে ক্ষমা চেয়ে প্রীস্টকে তাঁর ব্যাগ খুলতে অনুরোধ করল। চার্চের পবিত্র পোশাক পরিহিত কাউকে সাধারণ মানুষের মত সার্চ করতে তার বাধছে-কিন্তু উপায় নেই। আজকাল ড্রাগ স্মাগলাররা সব রকম কৌশলই শিখে ফেলেছে। তাদের পক্ষে ওই পোশাকে স্মাগল করা বিচিত্র কিছুই নয়।

    খোলা ব্যাগের ভিতর এতগুলো ড্যাগার দেখে হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইল অফিসার। সে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই শিকাগো অকশন হাউসের সীল দেয়া বিক্রির রসিদ এগিয়ে দিলেন ফাদার ডুলান। আমেরিকান একজন প্রীস্ট এতগুলো ছুরি নিয়ে কি করবেন অফিসারের মাথায় ঢুকল না। পরের প্যাসেঞ্জারের দিকে মন দিল সে।

    এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে রাতের অন্ধকারে দক্ষিণে রওনা হলেন ফাদার ডুলান। বিভিন্ন ঘুমন্ত গ্রাম আর খামার পেরিয়ে সুবিয়াকোর দিয়ে এগিয়ে চলেছে গাড়ি। একটা হাই তুলে ঘড়ির দিকে চাইলেন—সকাল হতে আর বেশি দেরি নেই।

    মনাস্টেরির কাছে থামল ট্যাক্সি। অন্ধকার এখনও পুরো কাটেনি। নেমে ভাড়া মিটিয়ে দিতেই দেরি না করে বিদায় নিল ড্রাইভার।

    পাহাড়ের ওপর কালো দুর্গের মত প্রাচীন মনাস্টেরির দিকে মুখ তুলে চাইলেন ফাদার। অপরিচিত নিস্তব্ধ পরিবেশে হঠাৎ তাঁর দেহ একটু শিউরে উঠল। উপরে উঠতে শুরু করলেন তিনি।

    হেরদের সময়ে এটা তৈরি করা হয়েছিল। সেই থেকে এর ওপর দিয়ে যে কত ঝড়-ঝাপটা গেছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। কয়েক গজ দূরে বিরাট দরজা দেখা যাচ্ছে। ওদিকে চেয়ে ফাদার ডুলানের নিজেকে অত্যন্ত ছোট আর নগণ্য মনে হল। শত শত বছর ধরে মস্করা এখানে প্রার্থনা করে আসছে। এই বিশালত্ব আর কালের অসীমতা আমেরিকার শহরগুলোতে স্পষ্ট উপলব্ধি করা যায় না।

    ভারি দরজাটা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন ফাদার ডুলান। দরজাটা একটু ককিয়ে উঠে পথ করে দিল। এগিয়ে গিয়ে ভিতরের দরজায় হালকা ভাবে টোকা দিতেই দরজাটা খুলে গেল। প্রথমে কিছুই দেখা গেল না-পরে একটা কালো লম্বা মূর্তি দেখতে পেলেন। তাঁকে ইশারায় ভিতরে যেতে বলল মিসমিসে চেহারার একজন দীর্ঘকায় মঙ্ক। পিছন পিছন এগিয়ে এক সারি কবর পেরিয়ে মাটির তলায় ছোট একটা কবর ঘরে পৌঁছলেন।

    ছুরিগুলো শক্ত করে চেপে ধরে ঘরের চারপাশে চাইলেন ডুলান। ঘরে কেউ নেই। পথপ্রদর্শক ঘর ছেড়ে কখন বেরিয়ে গেছে।

    ঘরের ভিতর বিরাট একটা ক্রুশ। একটু দূরেই উপাসনা করার একটা জায়গা রয়েছে। ক্রুশের সামনে হাঁটু গেড়ে বসেই টের পেলেন ঘরে আর কেউ ঢুকছে ফিরে এক স্বাস্থ্যবান প্রীস্টকে দেখতে পেলেন। পঞ্চাশের কাছাকাছি বয়স, চওড়া কপাল আর ঈগল পাখির ঠোঁটের মত নাক

    ‘ফাদার ডি কার্লো?’ ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলেন ডুলান। মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালেন বৃদ্ধ। উঠে ছুরিগুলো বাড়িয়ে দিয়ে কিছু শোনার অপেক্ষায় থেকেও শোনা হল না! সেই পথপ্রদর্শক মঙ্ক আবার ইশারায় তাঁকে অনুসরণ করতে বলছে। যাক, ছুরির ব্যাপারে পরে শুনলেও চলবে। এখন তাঁর সবচেয়ে বেশি দরকার ঘুম।

    একে একে প্রত্যেকটা ড্যাগার বের করে ক্রুশের সামনে বেদীর ওপর রেখে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনায় বসলেন ফাদার ডি কার্লো। প্রাচীন মেগ্‌গাইডো ছুরিগুলো ফেরত পাওয়ার জন্যে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জনালেন। তারপর ছুরিগুলো একটা চামড়ার থলেতে ভরে চুমো খেয়ে ক্রুশের গোড়ায় নামিয়ে রাখলেন।

    মনে মনে জন ফ্যাভেলের ভালর জন্যে প্রার্থনা করলেন। এই জ্যোতির্বিদ আকাশের তারা দেখে যীশুর পুনর্জন্মের দিন-ক্ষণ গণনা করে সুবিয়াকোতে খবর পাঠিয়েছে।

    ছুরি ফেরত পাওয়ার জন্য আবার ধন্যবাদ জানালেন— একমাত্র এই অস্ত্রই ইবলিসের জীবন নাশ করতে পারে।

    এর আগেও দু’বার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু দু’বারই বিফলতা আর বিপর্যয়ের মাঝেই তা শেষ হয়েছে। কিন্তু এবারের চেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে না কারণ শিশু যীশু আসছেন।

    শেষ সংঘর্ষের পালা শুরু হতে চলেছে।

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleপৌষ ফাগুনের পালা – গজেন্দ্রকুমার মিত্র
    Next Article বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন – গাজী শামছুর রহমান
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo
    Most Popular

    গোয়েন্দা গার্গী সমগ্র – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

    August 20, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    গোয়েন্দা গার্গী সমগ্র – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

    August 20, 2025

    অনুরাধা

    January 4, 2025

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025
    Our Picks

    গোয়েন্দা গার্গী সমগ্র – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

    August 20, 2025

    রবিনসন ক্রুসো – ড্যানিয়েল ডিফো

    August 19, 2025

    দ্য দা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন

    August 19, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Sign In or Register

    Welcome Back!

    Login below or Register Now.

    Lost password?

    Register Now!

    Already registered? Login.

    A password will be e-mailed to you.