Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ২ – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল এক পাতা গল্প892 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ৩. চতুর্থ প্রজাতির একটি রবোট

    চতুর্থ প্রজাতির একটি রবোট আমার এবং লেনের কাছে এসে মাথা নুইয়ে সম্মান প্রদর্শন করে বলল, আমার নাম ত্রিনি। আপনাদের দুজনের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করার জন্যে আমাকে পাঠানো হয়েছে।

    আমি ত্রিনির দিকে এক নজর তাকিয়ে বললাম, আমাকে আর লেনকে এই মাত্র রিটালিন-৪০০ দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্যে আমাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা থাকবে না। ঘুম পাবে না–এমন কী বাথরুমেও যেতে হবে না। দৈনন্দিন কাজের বাকি থাকল কী?

    ত্রিনি আবার মাথা নুইয়ে বলল, আপনাদের দুজনকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা পালন করার জন্যে আপনাদের নানা ধরনের তথ্য প্রয়োজন হতে পারে–

    তোমাদের মূল তথ্যকেন্দ্রে আমাকে নিয়ে গেলেই আমি নেটওয়ার্ক দিয়ে সব তথ্য পেয়ে যাব। তোমাকে আমাদের প্রয়োজন হবে না। তুমি যেতে পার তিনি। একটি রবোট আমার কাছে ঘুর ঘুর করলে আমার ভাল লাগে না।

    মহামান্য কিহা, রবোটের সাহচর্য আপনার ভাল লাগে না শুনে আমি দুঃখিত। কিন্তু

    তুমি মোটেও দুঃখিত নও তিনি। চতুর্থ প্রজাতি রবোট দুঃখ অনুভব করতে পারে না। তুমি সোজাসুজি সত্যি কথাটি বলে ফেল।

    ত্রিনি এক মুহূর্ত দ্বিধা করে বলল, আমাকে আপনাদের নিরাপত্তার জন্যে রাখা হয়েছে। এখান থেকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে আপনারা যেন কোনোভাবে নিজেদের বিপদগ্রস্ত না করেন–

    লেন শব্দ করে হেসে বলল, তুমি আমাদের চোখে চোখে রাখবে যেন আমরা পালিয়ে না যাই?

    আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন মহামান্যা লেন। মহামান্যা মিয়ারার এই আবাসস্থলটি অদৃশ্য লেজার রশ্মি এবং শক্তি-বলয় দিয়ে প্রতিরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এখানে প্রবেশ করতে চাইলে কিংবা বের হতে চাইলে আপনাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

    লেন আমার দিকে তাকাল, এখনো সে ব্যাপারটি বুঝতে পারছে না। অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ত্রিনির দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি বলতে চাইছ–তুমি একজন চতুর্থ প্রজাতির রবাট আমাদের মতো দুজন মানুষকে আটকে রাখতে পারবে?

    আপনাদের শারীরিক ভাবে আটক রাখাই যথেষ্ট। আপনাদের জীবিত রাখার কোনো নির্দেশ দেয়া হয় নি। কাজটি অত্যন্ত সহজ মহামান্যা লেন। আমি নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সজ্জিত।

    লেনের মুখে এক ধরনের বিতৃষ্ণার ছাপ ফুটে ওঠে। আমি তার কাঁধ স্পর্শ করে বললাম, ছেড়ে দাও লেন। চল আমরা তথ্যকেন্দ্রে যাই।

     

    তথ্যকেন্দ্রটি বিশাল। এই মহাকাশযানে এরকম তথ্যকেন্দ্র কয়টি আছে কে জানে। দেয়ালে সারি সারি মনিটর এবং নানা ধরনের হলোগ্রাফিক স্ক্রিন। তথ্য দেয়ার জন্যে বিচিত্র ধরনের যন্ত্রপাতি। ঘরটি বিশাল হলেও সেখানে মানুষজন খুব বেশি নেই। কয়েকজন নানা বয়সের পুরুষ এবং মহিলা হলোগ্রাফিক স্ক্রিনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমরা যে এই ঘরে প্রবেশ করেছি তারা সেটা লক্ষ করেছে বলে মনে হল না। আমি ফাঁকা একটা মনিটরের সামনে বসতেই মনিটরটির ভেতর থেকে ভরাট গলার স্বরে কে যেন বলল, কি তোমার জন্যে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

    আমি একটু চমকে উঠে বললাম, তুমি কে কথা বলছ?

    আমার নাম রী। আমি মহামান্যা মিয়ারার মূল তথ্যকেন্দ্রের পরিচালক।

    তুমি একটি প্রোগ্রাম?

    আমরা সবাই একটি প্রোগ্রাম।

    হেঁয়ালি ছাড়। আমার হেয়ালি ভাল লাগে না।

    মনিটরটির ভেতর থেকে ভরাট গলায় হাসির মতো এক ধরনের শব্দ ভেসে এল। আমি নিজের বিরক্তিটুকু গোপন করার কোনো চেষ্টা না করে বললাম, তুমি হাসার ভান করছ? আমি একটি যন্ত্রকে যন্ত্রের মতো দেখতে চাই।

    তুমি খুব প্রাচীনপন্থী মানুষ কিহা। যন্ত্র আর মানুষের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। একজন মানুষ হচ্ছে একটি জৈবিক যন্ত্র–

    অনেক হয়েছে, তুমি এখন চুপ কর। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি।

    রী নামক প্রোগ্রামটি এবারে লেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করতে থাকে, হালকা স্বরে বলে, লেন, তুমিও বিশ্বাস কর যে যন্ত্রদের মানুষের মতো ব্যবহার করার অধিকার নেই?

    লেন একটা চেয়ারে বসতে বসতে বলল, রী, তুমি একটি কৌশলী প্রোগ্রাম, বাজে কথা বলা তোমার জন্যে খুব সহজ। আমরা আজকেই শীতল ঘর থেকে বের হয়েছি, আমরা বিশ্রাম নেবার সুযোগ পাই নি। রিটালিন–৪০০ নিয়ে আমরা জেগে আছি, তুমি অনুগ্রহ করে আমাদের দার্শনিক কথাবার্তায় টেনে নিও না।

    রী তার গলার স্বরে এক ধরনের সমবেদনা ফুটিয়ে বলল, তোমাদের ব্যস্ত হবার কোনো কারণ নেই। মহামান্যা মিয়ারা তোমাদের যে সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব দিয়েছেন সেগুলি আসলে খুব সহজ।

    সহজ?

    হ্যাঁ। তোমাদের যে ধরনের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে তাতে সমস্যাগুলির সামাধান করা কননা ব্যাপারই নয়। বিশেষ করে আমি যখন তোমাদের সাহায্য করার জন্যে রয়েছি।

    আমি একটু অবাক হয়ে মনিটরটির দিকে তাকালাম। একজন মানুষের সাথে কথা বলার সময় সোজাসুজি তার চোখের দিকে তাকিয়ে তার মনের ভাব বোঝা যায় কিন্তু রী নামের এই প্রোগ্রামটির চোখের দিকে তাকানোর কোনো উপায় নেই। অথচ আমি নিশ্চিতভাবে জানি সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একটু ইতস্তত করে বললাম, তুমি আমাদের সাহায্য করবে?

    অবশ্যি করব। তোমাদের সাহায্য করাই আমার মূল দায়িত্ব।

    আমাদেরকে মিয়ারা কী সমস্যা সমাধান করতে দিয়েছে আমি জানি না, কিন্তু আমি মোটামোটিভাবে নিশ্চিত যে সেগুলি এক ধরনের অন্যায় কাজ। তুমি এই অন্যায় কাজে সাহায্য করবে?

    রী তার গলার স্বর নিচু করে ষড়যন্ত্রীদের মতো বলল, আমি জানি তোমরা মাত্র শীতলঘর থেকে বের হয়ে এসেছ, মহাকাশযানের কাজকর্ম আজকাল কীভাবে করা হয় এখনো জান না। তোমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যে বলছি কখনোই মাহামান্যা মিয়ারা সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক কোনো কথা বলবে না।

    লেন কাঁপা গলায় বলল, বললে কী হয়?

    জৈব গবেষণার জন্যে আমাদের কিছু মানুষের প্রয়োজন। মহামান্যা মিয়ারা সেখানে নানা ধরনের পরীক্ষা করে থাকেন। মানুষ কত কম অক্সিজেনে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে এধরনের একটা পরীক্ষার জন্যে তিনি একজন অবাধ্য মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন।

    লেন কোনো কথা না বলে আমার দিকে তাকাল, আমি কাঁধ ঝাকিয়ে ব্যাপারটা উড়িয়ে দেবার মতো ভঙ্গি করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের যে সমস্যা সমাধান করতে হবে সেগুলি কী?

    রী কয়েকমুহূর্ত চুপ করে থেকে বলল, লেনের সমস্যাটি বলা যেতে পারে সমাধান হয়ে গেছে, সেটা কীভাবে কার্যকর করা হবে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন।

    সমস্যাটা কী?

    নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যেহেতু সবাইকে জাগিয়ে তোলা শুরু হয়েছে, এই মহাকাশযানে একটা বিশাল খাদ্য-সংকট দেখা দেবে। মহামান্যা মিয়ারার অনুগত মানুষের কীভাবে এই খাদ্য সংকটের সময় বেঁচে থাকবে–সেটা হচ্ছে সমস্যা।

    লেন দুর্বল গলায় বলল, তার সমাধানটা কী?

    মানুষের দেহই হবে মানুষের খাবার।

    লেন চমকে উঠে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়ে বলল, এটি অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ একটি রসিকতা।

    রী গম্ভীর গলায় বলল, এটি রসিকতা নয়। এটি একটি বাস্তব সত্য।

    লেন কী একটা বলতে যাচ্ছিল আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আর আমার জন্যে কী সমস্যা রাখা হয়েছে?

    তোমার সমস্যাটি আরও বিচিত্র। মহামান্যা মিয়ারা তোমাকে একটি নূতন ধরনের অস্ত্র তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছেন।

    অস্ত্র?

    হ্যাঁ। অস্ত্র।

    যে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়?

    হ্যাঁ। এই মহাকাশযানে অস্ত্র বলতে গেলে নেই। যখন এর পরিকল্পনা করা হয়েছিল তখন অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন এই মহাকাশযানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে অস্ত্র।

    অস্ত্র? আমি হতচকিতের মতো বললাম, আমাকে অস্ত্র তৈরি করতে হবে? অন্ত্র? . হ্যাঁ। অস্ত্র তৈরি করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই কাজেই এখানে যা আছে তাই ব্যবহার করতে হবে

    অস্ত্র? আমি আবার বিড় বিড় করে বললাম, অস্ত্র? যে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়?

    রী কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলল, তুমি তোমার দায়িত্বটি খুব সহজ ভাবে নিতে পার নি কিহা।

    আমি লেনের দিকে তাকালাম, লেন দুর্বলভাবে হাসার চেষ্টা করে বলল, মিয়ারাকে বুঝিয়ে বললে সে নিশ্চয়ই তোমাকে অন্য একটা দায়িত্ব দেবে। নিশ্চয়ই দেবে।

    রী ভারি গলায় বলল, তার সম্ভাবনা বলতে গেলে শূন্য। মিয়ারাকে তোমরা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পার নি। সে অত্যন্ত দৃঢ় চরিত্রের মহিলা। তার মাঝে কোনো অকারণ ভাবালুতা নেই।

    আমি চুপ করে রইলাম। রী হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে কিছু যন্ত্রপাতির ছবি ফুটিয়ে তুলে বলল, আমাদের সরবরাহ ঘরে যে সমস্ত জিনিষ আছে সেগুলি এরকম। শক্তিশালী লেজার খুব বেশী নেই তবে ভাল বিস্ফোরক রয়েছে।

    আমি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। লেনও সাথে সাথে উঠে দাঁড়াল, রী জিজ্ঞেস করল, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?

    আমি কোনো উত্তর দিলাম না, অন্যমনস্কভাবে হেঁটে-হেঁটে ঘরের মাঝখানে এসে দাঁড়ালাম, লেন কাতর মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি কোথায় যাচ্ছ কিহা?

    আমি জানি না।

    তুমি এখন কী করবে?

    আমি সেটাও জানি না। আমি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বললাম, কিন্তু আমি তো মানুষকে হত্যা করার জন্যে অস্ত্র তৈরি করতে পারি না। কিছুতেই–

    আমার কথা শেষ হবার আগেই আমার সামনে একটা আলোর বিচ্ছুরণ দেখা গেল এবং মুহূর্তে সেটা ত্রিমাত্রিক একটা হলোগ্রাফিক মানুষের রূপ নিয়ে নেয়। মানুষটি ঝড়ের বেগে আমার দিকে ছুটে আসে–আমি তাকে চিনতে পারলাম, মানুষটি মিয়ারা।

    মিয়ারা সামনে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তীব্র দৃষ্টিতে তাকাল। তার মুখের রং পাল্টে যেতে থাকে এবং তাকে অতি প্রাকৃতিক ভৌতিক একটা মূর্তির মতো দেখাতে থাকে। সে তীক্ষ্ণ গলায় বলল, তুমি আমার আদেশ অমান্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছ?

    আমি কোনো কথা না বলে মিয়ারার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তার মুখের ভঙ্গি আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে, বিচিত্র এক ধরনের বর্ণ সেখানে খেলা করছে। আমি শান্ত গলায় বললাম, তুমি কী প্রকৃত মিয়ারা নাকি তার একটি প্রতিচ্ছবি?

    মিয়ারা স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হিংস্র গলায় বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।

    আমার উত্তর দেবার কিছু নেই। আমি আদেশ দিতে বা শুনতে অভ্যস্ত নই।

    তুমি জান তুমি কী করতে যাচ্ছ?

    সম্ভবত জানি। অস্ত্র তৈরি কার কিছু মানুষকে হত্যা করা আর সেটা তৈরি না করার জন্যে নিজেকে হত্যা করতে দেয়ার মাঝে বিশেষ পার্থক্য নেই। দুটিই একই ধরনের নিবুদ্ধিতা। আমি এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বললাম, ইচ্ছে করলেই আমি অস্ত্র তৈরি করছি বলে তোমাকে ধোকা দিতে পারতাম। আমার বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে আট, তোমার মতো কয়েকজনকে ধোকা দেয়া আমার জন্যে কঠিন কিছু নয়। কিন্তু আমি দিই নি।

    মিয়ারা আমার দিকে হতচকিত হয়ে তাকিয়ে রইল। কয়েক মুহূর্ত পর বলল, ঠিক আছে তোমাকে শেষ একটি সুযোগ দিচ্ছি। কয়েকঘণ্টার মাঝে আটজন মানুষকে শীতলঘর থেকে জাগানো হচ্ছে। এই মানুষগুলিকে জাগানো হচ্ছে মহাকাশযানের কেন্দ্রীয় তথ্যকেন্দ্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার বিশেষ আদেশে। এই মানুষগুলির বিশেষ কোনো গুরুত্ব আছে। আমি এই মানুষগুলিকে চাই।

    মানুষগুলিকে চাও?

    হ্যাঁ। আমি খবরটি পেয়েছি আমার বিশেষ ক্ষমতার জন্যে। সবাই খবরটি জানে না–যদি জানত তাহলে মহাকাশযানের প্রত্যেকটি দল তাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে এই আটজন মানুষকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করত। তুমি যদি পরবর্তী কয়েক ঘন্টার মাঝে মানুষগুলিকে আমার এখানে এনে হাজির করে দিতে পার তোমাকে আমি বেঁচে থাকার আরেকটা সুযোগ দেব।

    আমি কোনো কথা না বলে মিয়ারার দিকে তাকিয়ে রইলাম–নিজের ভিতরে হঠাৎ এক ধরনের বিতৃষ্ণা জমে উঠতে থাকে। মিয়ারা আমার দিকে কয়েকমুহূর্ত স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে যেভাবে হঠাৎ করে হাজির হয়েছিল ঠিক সেভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল।

    আমি হেঁটে হলোগ্রাফিক মনিটরটির কাছাকাছি এসে হাজির হতেই রী চাপা গলায় বলল, তুমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান একজন মানুষ। আমি এর আগে মহামান্যা মিয়ারাকে কাউকে ক্ষমা করতে দেখি নি।

    আমি চেয়ারটায় বসতে বসতে বললাম, সে জন্যে তোমার মন খারাপ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

    রী তার গলায় এক ধরনের আহত ভঙ্গি ফুটিয়ে তুলে বলল, তুমি এরকম কথা, কেন বলছ?

    তোমার মহামান্যা মিয়ারাকে আমার খবরটি পৌঁছাতে তুমি পিকোসেকেন্ডও দেরি কর নি–তাই বলছি।

    রী একটা নিঃশ্বাস ফেলার মতো শব্দ করে বলল, সেটাই আমার দায়িত্ব। আমাকে সেভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে।

    আমি তোমাকে নূতনভাবে প্রোগ্রাম করে দিই? এখন থেকে তুমি আমার জন্যে কাজ করবে?

    রী কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলল, তুমি যদি আমাকে সেভাবে প্রোগ্রাম করতে পার অবশ্যিই আমি তোমার জন্যে কাজ করব!

    আমি শব্দ করে হেসে বললাম, যন্ত্রেরা যখন বিশ্বাসঘাতকতা শিখে যায় তখন মনে হয় সভ্যতার ধ্বংস হওয়া শুরু হয়!

    রী কী একটা বলতে যাচ্ছিল আমি তাকে বাধা দিয়ে বললাম, কাজ শুরু করা যাক। মহাকাশযানের কেন্দ্রীয় তথ্যকেন্দ্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার বিশেষ আদেশে যে আটজন মানুষকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে তাদেরকে আমারও দেখার বিশেষ কৌতূহল হচ্ছে।

    রী নিচু গলায় জিজ্ঞেস করল, তোমার কী কী প্রয়োজন?

    কয়েকজন শক্তিশালী সশস্ত্র রবোট।

    চমৎকার। আমিও তাই ভাবছিলাম। আমাদের কাছে যারা আছে তোমাকে দেখাচ্ছি, তুমি বেছে নাও।

    প্রায় সাথে সাথেই হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে ভয়ংকর দর্শন কিছু রবোটের ছবি ফুটে ওঠে। তাদের হাতে কিছু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা অস্ত্র। আমি লেনকে বললাম, লেন কয়েকটাকে বেছে নাও।

    লেন বিকটই দর্শন কয়েকটা রবোটকে বেছে দিল। রী বলল, রবোটগুলির মাঝে কী ধরনের বুদ্ধিমত্তা দেব? এখন সবচেয়ে উচ্চশ্রেণীর বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে ক্লিপিড ৩৩। অত্যন্ত উচ্চ ধরনের বুদ্ধিমত্তা, চমত্তার যুক্তিবিদ্যা, চমত্তার মানবিক আবেগ

    আমি কোনো বুদ্ধিমত্তা চাই না। যদি মানবিক আবেগেরই প্রয়োজন হয় তাহলে তো মানুষকেই বেছে নিতাম। আমার প্রয়োজন অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিমত্তা, বলা যেতে পারে প্রায় পশুর কাছাকাছি।

    কিন্তু রী একটু ইতস্তত করে বলল, শীতলঘর থেকে আটজন মানুষকে ছিনতাই করে আনার জন্যে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার দরকার। শীতলঘরে অন্তত তিনটি প্রতিরক্ষা ব্যুহ রয়েছে। সেখানে নিচু স্তরের একটা রবোট পাঠানো হলে অপ্রয়োজনীয় রক্তারক্তি হবে। মহামান্যা মিয়ারার সুনাম–

    তোমার সেটা নিয়ে মাথা ঘামনোর প্রয়োজন নেই। তোমাকে যেটা বলছি সেটা কর।

    ঠিক আছে। কী ধরনের গাড়ি দেব? বাই ভার্বাল রয়েছে, নিচু দিয়ে উড়তে পারে। গতিবেগ খুব বেশি নয় কিন্তু প্রচুর ওজন নিতে পারে। আটজন মানুষকে আনতে—

    আমার কোনো গাড়িরও প্রয়োজন নেই।

    গাড়ির প্রয়োজন নেই? তাহলে মানুষগুলিকে আনবে কেমন করে?

    তথ্যকেন্দ্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার বিশেষ আদেশে মানুষগুলি এখানে পৌঁছে যাবে। তোমাকে যে কাজগুলি করতে হবে সেগুলি এরকম। ঠিক যখন শীতলঘরে আটজন মানুষকে জাগিয়ে তোলা শুরু হবে সেই মুহূর্তে রবোটগুলিকে স্থানীয় সববরাহ কেন্দ্র থেকে ভাইরাস লিটুমিনার সমস্ত প্রতিষেধক ছিনতাই করে আনতে হবে। দশ হাজার মানুষের প্রতিষেধক কয়েক গ্রামের বেশি নয় তাই কোনো গাড়ির প্রয়োজন নেই। প্রতিষেধক ছিনতাই হবার সাথে সাথে মূল স্বাস্থ্য আর নিরাপত্তা কেন্দ্রে একটা খবর পাঠাবে যে মহাকাশযানের কিছু মানুষের সাময়িক অবসন্নতা, টানেল ভিশান এবং দেহের অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে। এগুলি হচ্ছে ভাইরাস লিটুমিনা দিয়ে আক্রান্ত হবার লক্ষণ।

    আমি কথা শেষ করার আগেই রী উচ্চঃস্বরে হেসে ওঠার শব্দ করে বলল, চমৎকার! চমত্তার বুদ্ধি। যখনই নিরাপত্তাকেন্দ্র খবর পাবে মহাকাশযানে ভাইরাস লিটুমিনার সংক্রমণ হয়েছে তখন শীতলঘর থেকে জাগিয়ে তোলার সাথে সাথে সবাইকে এর প্রতিষেধক দিতে হবে। সেই প্রতিষেধক রয়েছে শুধু আমাদের। কাজেই সবাইকে এখানেই আনতে হবে চমৎকার বুদ্ধি

    লেন ইতস্তত করে বলল, কিন্তু আসলে তো মহাকাশযানে ভাইরাস লিটুমিনার সংক্রমণ হয় নি।

    কিন্তু সেটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা দুঃসাধ্য। নিরাপত্তা কেন্দ্র কখনোই সে ঝুকি নেবে না। সেই ঝুকি নেয়ার নিয়ম নেই।

    রবোটগুলি যদি প্রতিষেধক ছিনিয়ে আনতে না পারে?

    আমি উত্তর দেবার আগেই রী বলল, সেটা কোনো সমস্যা হবে না। মূল সরবরাহ কেন্দ্রে যে সমস্ত জিনিস রয়েছে মহাকাশযানের বর্তমান অবস্থায় তার কোনো গুরুত্ব নেই। জায়গাটা মোটামুটি অরক্ষিত।

    চমক্কার! তাহলে তুমি কাজ শুরু করে দাও।

    তোমার বুদ্ধি দেখে আমি চমকৃত হয়েছি কিহা। নিনীষ স্কেলে আট–

    আমি হাত তুলে বললাম, চাটুকারদের আমি পছন্দ করি না রী। আটজন মানুষ যখন এখানে পৌঁছাবে তুমি আমাদের খবর দিও।

    দেব। অবশ্যি দেব।

    আমি লেনের দিকে তাকিয়ে বললাম, তুমি এখন কী করবে লেন? আমি জায়গাটা একটু ঘুরে দেখতে চাই।

    রী বলল, তুমি এখানে বসেই দেখতে পার, আমি মূল হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে—

    আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, না আমি নিজের চোখে দেখতে চাই।

    লেন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, চল আমিও যাই তোমার সাথে।

    আমি আর লেন যখন হেঁটে যেতে শুরু করেছি তখন লক্ষ করলাম আমাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে ত্রিনি পিছু পিছু হাঁটছে। এই নির্বোধ রবোট সারাক্ষণ কোনো এক ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আমার দিকে তাক করে রেখেছে ব্যাপারটি চিন্তা। করেই আমার কেমন জানি গা গুলিয়ে উঠতে থাকে। মিয়ারার আস্তানা থেকে আমাদের সরে যেতে হবে। যেভাবেই হোক।

     

    আমরা যখন সপ্তম স্তর থেকে বাইরে মহাকাশের নিকষ কালো অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম ঠিক তখন কমিনিকেশান মডিউলে আমি কথা শুনতে পেলাম। সেটি বলল, মহামান্য কিবা এবং মহামান্য লেন। শীতলঘর থেকে আটজন মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে। মহামান্যা মিয়ারা এসে গেছেন, আপনারা এলেই মানুষগুলির সাথে দেখা করতে যাবেন।

    আমি বললাম, আমরা আসছি।

    সপ্তম স্তর থেকে নেমে আসতে আমাদের বেশি সময় লাগল না। মহাকাশযানটি একটি বিশাল সিলিন্ডারের মতো। কৃত্রিম মহাকর্ষ তৈরি করার জন্যে নিজের অক্ষে ঘুরছে, ভিতরের স্তর গুলিতে মহাকর্ষ বল কম, আমরা একটু আগেই সেটা অনুভব করেছি।

    যোগাযোগ টানেলের সামনে মিয়ারা দাঁড়িয়েছিল। সত্যিকারের মিয়ারা, তার হলোগ্রাফিক প্রতিচ্ছবি নয়। আমাদের দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এল। আমি তাকে যে স্বল্প সময়ের জন্যে দেখেছি তার মাঝে তাকে একবারও হাসতে দেখি নি। মেয়েটি সত্যিকার অর্থে সুন্দরী নয় কিন্তু হাসিমুখে তাকে হঠাৎ বেশ আকর্ষণীয়া মনে হতে থাকে। মিয়ারা এগিয়ে এসে নরম গলায় বলল, কিহা, তুমি যে ভাবে এই আটজন মানুষকে আমাদের কেন্দ্রে নিয়ে আসছ তার তুলনা হয় না। তোমাকে অভিনন্দন।

    আমি কথা না বলে কাঁধ ঝাকালাম। মিয়ারা ঝকঝকে চোখে বলল, মানুষগুলি কে জানার জন্যে আমার আর তর সইছে না। কী মনে হয় তোমার? সর্বোচ্চ ক্ষমতার বিশেষ আদেশে এদের জাগানো হচ্ছে–নিশ্চয়ই এরা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ।

    মিয়ারার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিবর্ণ চেহারার একজন মানুষ বলল, হয়তো এদের বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে দশ!

    মিয়ারা শীষ দেয়ার মতো একটি শব্দ করতেই খুট করে গোলাকার একটা দরজা খুলে গেল, ভেতর থেকে এক ধরনের ঠাণ্ডা বাতাস বের হয়ে আসে। প্রায় সাথে সাথেই সেখানে নিবোধ চেহারার একটা রবোটের চেহারা উঁকি দেয়। রবোটটি মাথা নুইয়ে অভিবাদন করার ভঙ্গি করে বলল, আটজন মানুষ এইমাত্র তাদের ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে এসেছে।

    মিয়ারার পিছু পিছু আমরা ঘরটিতে ঢুকে থমকে দাঁড়ালাম। আমাদের সামনে আটটি ধাতব রংয়ের সিলিণ্ডার, সিলিন্ডারের উপরের ঢাকনা খোলা, ভেতর থেকে সরু সূতার মতো জলীয় বাষ্পের ধারা বের হয়ে আসছে। সিলিন্ডারগুলির সামনে প্রায় জড়াজড়ি করে আটটি নগ্ন শিশু দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দেখে তারা চোখ বড় বড় করে তাকাল, সম্ভবত এরা রবোটের সাহায্যেই বড় হয়েছে, কোনোদিন সত্যিকারের মানুষ দেখে নি। আমাদের দেখে তাদের চোখে মুখে এক ধরনের অবাক বিস্ময় ফুটে ওঠে, যে ধরনের বিস্ময় সম্ভবত শুধুমাত্র শিশুদের মুখেই দেখা যায়।

    মিয়ারা কয়েকমুহূর্ত হতচকিতের মতো দাঁড়িয়ে থেকে প্রায় আর্ত চিৎকারের মতো শব্দ করে বলল, হায় ঈশ্বর! এ কী?

    বাচ্চাগুলি জড়াজড়ি করে একটু পিছিয়ে গেল, তাদের চোখে মুখে এক ধরনের ভয়ের ছাপ পড়ে, সহজাত প্রবৃত্তি থেকে হঠাৎ করে তারা মনে হয় বুঝতে পেরেছে এখানে তাদের জন্যে কোনো ভালবাসা সঞ্চিত নেই।

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74 75 76 77 78 79 80 81 82 83 84 85
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleআবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু – মুহম্মদ জাফর ইকবাল
    Next Article আমি তপু – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    Related Articles

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    ছোটগল্প – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    সাদাসিধে কথা – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    মেকু কাহিনী – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    আমার বন্ধু রাশেদ – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ১ – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    টুনটুনি ও ছোটাচ্চু – মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    November 19, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }