Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    হলুদ নদী সবুজ বন – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

    উপন্যাস মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এক পাতা গল্প186 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ০৮. কয়েকদিন পরে প্রভাস

    কয়েকদিন পরে প্রভাস তাকে ডেকে পাঠায়।

    আগের বারের মতো নিজে উপস্থিত থেকে বাইরের ঘরে বসিয়ে চা খাওয়ায় না।

    নিজে ডেকে পাঠালেও ঘণ্টাখানেক সদরের বারান্দায় বসিয়ে রাখে।

    প্রভাসের নতুন চাকর মেঘনাদ এসে এক কাপ ঠাণ্ডা চা, কয়েক টুকরো কেক আর দুখানা নরম ময়দার গরমভাজা লুচি দিয়ে যায়।

    বলে, পেট ভরে খা।

    চেনা মানুষ। প্রায় জন্ম থেকে চেনা। এক গায়ের এ-পাড়া ও-পাড়া নয়, নদীর এ-পাড় ও পাড় তফাত ছিল।

    নদী পেরিয়ে মেঘনাদ তাদের পাড়ায় ডাংগুলী খেলতে আসত!

    বড় হয়ে সে কোথায় ছিল, কি করছিল, কিছুই তার জানা নেই।

    প্রভাস টেরও পায় না যে তার চাকর ঈশ্বরকে এভাবে খাতির করছে এবং বনানী সব জেনেও চুপ করে আছে।

    আরো আধঘণ্টা পরে প্রভাস তাকে ভিতরে ডেকে পাঠায়।

    বসতে বলে না। দাঁড় করিয়ে রেখে গম্ভীর কিন্তু উদারভাবে বলে, যে কাজ তুমি করেছ, তোমায় ক্ষমা করা উচিত ছিল না। তবে শুনলাম, তোমার বৌয়ের নাকি খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল–

    আজ্ঞে হ্যাঁ, ও বজ্জাতিটা না করলে নিৰ্ঘাত মরে যেত। বিশ্বাস করেন, একটা পয়সা মোর ভোগে লাগে নি, সব চিকিচ্ছেয় গিয়েছে। উল্টে ঘরদের বাধা দিয়া টাকা ধার করেছি।

    তার নিজের মুখে বজ্জাতি শব্দটা প্রভাসকে একটু আশ্চর্য করে দেয়। এটা সরলতা না। ভণ্ডামি বুঝে উঠতে পারে না। একটু কড়া সুরেই জিজ্ঞাসা করে, সোজাসুজি চেয়ে নিলে না কেন?

    ঈশ্বর হাসে না, যদিও একটু হাসির সঙ্গে বললে তার কথাগুলি আরো অনেক বেশি মানানসই হত।

    ধর্মত একটা কথা বলবেন বাবু? সোজাসুজি এসে পায়ে ধরে কেঁদে পড়লেও দশটা টাকা দিতেন?

    প্ৰভাস তখন এ প্রসঙ্গ একেবারে এড়িয়ে যাবার জন্যে বলে, যা গে, যা গে। মরিয়া হয়ে একটা দুষ্কর্ম করে ফেলেছ, কি আর করা যাবে। শুনেছি লোক তুমি খারাপ নও।

    তাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই বেয়াদবের মতো আবেগের সঙ্গে ঈশ্বর বলে ওঠে, বাবু, যদি সুযোগ পাই, যদি কোনোদিন সাধ্যিতে কুলায়, আপনার টাকা সায়েবের টাকা ফিরিয়ে দেব।

    চোখে তার জল এসে যায়।–ধরে নেন, টাকাটা ধার নিয়েছি। ভিটে ছাড়াতে যেমন প্রাণপণ চেষ্টা করব, আপনাদেরটা শোধ দিতে তার চেয়ে কিন্তু কম করব না বাবু।

    প্রভাস সশব্দে হেসে উঠে বলে, তাই বল, ধার হিসাবে টাকাটা নিয়েছিলে! থাক থাক, ওটাকা তোমার আর শোধ দিতে হবে না। ওসব কথা যাক, তোমায় কেন ডেকেছি বলি।

    ঈশ্বর সজল চোখ মোছে না। ভাসের হেসে ওঠার রকম দেখে এবং শুনে বোধহয় প্রাণের জ্বালাতেই অল্পক্ষণের মধ্যে তার চোখের বাড়তি জল শুকিয়ে যায়।

    প্রভাস হঠাৎ আপন কথায় আসে। বলে, তোমায় কেন ডেকেছি শোন। একটা কাজ আমি তোমায় দিতে পারি। কাজটা নিতে তোমার মানে বাঁধবে কিনা ভাবছি নাম করা মস্ত শিকারি তুমি!

    ঈশ্বর প্রায় রেগে গিয়ে বলে, খেচান কেন বাবু? বন্দুকটাও কেড়ে নিয়ে গিয়েছে জানেন তো।

    প্রভাস তাড়াতাড়ি নরম সুরে বলে, না না, ওভাবে কথাটা বলি নি। বন্দুকের ব্যবস্থা আমি করে দেব বন্দুক নিয়েই হবে তোমার কাজ।

    কি কাজ বাবু?

    বন্দুক নিয়ে আমার বাড়ি পাহারা দেবে। দরোয়ানের কাজ নয়, পাহারাদারের কাজ।

    ঈশ্বর কয়েক মুহূর্ত ভাবে।

    প্রভাস হাসিমুখে বলে, দরকার হলে তোমায় সাথে নিয়ে শিকারেও কিন্তু যাব ঈশ্বর। সেজন্যে অবশ্য বাড়তি টাকা পাবে, মাইনে নিয়ে খাটছ বলে ওসব ব্যাপারে আমি তোমায় ঠকাব না।

    ঈশ্বর সরলভাবে জিজ্ঞাসা করে, গেটে থেকে শুধু পাহারা দেব? বন্দুক নিয়ে?

    শুধু পাহারা দেবে। আর কোনো কাজ নয়। বন্দুক নিয়ে পাহারা দেবে–আমার বিপদ আপদে রুখে দাঁড়াবে।

    সে তো দাঁড়াবই বাবু।

     

    ঈশ্বর কাজে বহাল হয়।

    লাইসেন্স মঞ্জুর হয়ে বন্দুক এসে পৌঁছাতে মোট দুদিন সময় লাগে!

    দুনলা বন্দুকটা তার হাতে তুলে দেবার সময় প্ৰভাস তাকে বলে, একটা বড়রকম বড়মিঞাকে মারার বড় সাধ ছিল ঈশ্বর।

    বড়মিঞা মানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

    খবর রাখব বাবু।

    একটা বড়মিঞাকে মারার ব্যবস্থা করতে পারলে আবার আড়াই শ টাকা দেব। আমার গুলিতে মরবে কিন্তু।

    ঘরে ফিরে মাথা হেঁট করে বসে থাকে।

    অল্প একটু তামাক ছিল। গৌরী ইশারায় পিসিকে ডেকে কানে কানে তামাকটুকু সেজে দিতে বলে।

    খানিকক্ষণ উদাসীন হয়ে থেকে ঈশ্বর তামাক টানতে শুরু করলে গৌরী জিজ্ঞাসা করে, হল কি গো?

    হল মোর কপাল। গেট পাহারার কাজ নিতে হল।

    সব শুনে গৌরী সান্ত্বনা দিয়ে বলে, কি করবে বল, একটা কাজ ছাড়া তো চলবে নি। মোর দিনকালও তো ঘনিয়ে এল।

    কমাস যেন তোর?

    বাবা রে বাবা! কতবার করে শুনবে? দু-চার দিন বাদে বাদেই শুধধচ্ছে, কমাস হল রে! বলি নি সাত মাস চলছে?

    সুখেও বলে, যাক গে, তেমন মন্দ নয় কাজটা। শুধু ছকা মাইনে নয়, এটা ওটা পাবে, ব্ৰত পার্বণে খাওয়া জুটবে।

    ঈশ্বর মুখ বাঁকিয়ে বলে, সেদিন কি আর আছে, বাবুর আজকাল এদিক টানতে ওদিক কুলোয় না। ঠাট বজায় রাখতেই প্রাণান্ত।

    দিবারাত্রির প্রহরী।

    কিন্তু উর্দি পরে বন্দুক ঘাড়ে করে দিবারা কেউ তো একটানা টহল দিতে পারে না। এমন বোকা প্ৰভাস নয় যে, এরকম অসম্ভব প্রস্তাব করবে।

    দিবারাত্রির প্রহরী মানে চব্বিশ ঘণ্টা এ-বাড়িতেই সে থাকবে সতর্ক হয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকবে।

    রাত্রে টহল। দিনে শুধু সতর্ক ও প্রস্তুত হয়ে থাকা।

    শরীরের প্রাকৃতিক ক্ৰিয়াকৰ্মাদি চালাবে বৈকি, নেয়ে খেয়ে ঘুমোবে বৈকি, ইচ্ছা হলে অল্পক্ষণের জন্য বাড়িতে গিয়ে ঘুরেও আসতে পারবে বৈকি, কিন্তু দিনের বেলায় সর্বক্ষণ তাকে রেডি হয়ে থাকতে হবে।

    দিনের বেলা কিংবা প্রথম রাত্রে অবশ্য গুণ্ডা ডাকাতের অতর্কিত আক্রমণের আশঙ্কা একরকম নেই বললেই চলে। প্রভাসের বাড়িতে অনেক লোক। লাঠিসোটা বর্শা বল্লম বন্দুক ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রেরও অভাব নেই।

    সারা বাড়িটা যখন জেগে আছে তখন হঠাৎ হানা দেবার মতো গুণ্ডা বা ডাকাতের দল রবার্টসন জগৎ খুঁজে পাবে না।

    হতাশায় মরিয়া কিছু বাজে লোককে পেতে পারে, তাতে প্রভাস ডরায় না। বন্দুকও দরকার হবে না, চাকর দারোয়ান ভাগে ভাইপোরা লাঠিসোটা নিয়ে হৈহৈ করে বেরোলেই ওরা লেজ গুটিয়ে পালাবে।

    তবু ঈশ্বর প্রস্তুত হয়ে থাকবে, সর্বক্ষণ বন্দুক সঙ্গে রাখবে। যেখানে যে অবস্থাতেই থাক, যেন ডাকামাত্র এসে অব্যর্থ লক্ষ্যে ঘায়েল করতে পারে হানাদারদের।

    ঈশ্বর সবিনয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল, দু-চারজনকে মারলে আমার ফাঁসি হবে না তো?

    প্রভাস হেসে বলে, ফাসি হলে আমার হবে, তোর হবে কেন? অফিসারের হুকুম মতো পুলিশেরা যে গুলি চালায়, সেজন্যে কি পুলিশেরা দায়িক হয়?

    সুযোগ পেলেই ঈশ্বর ঘরে আসে। যতক্ষণ পারে থেকে যায়।

    দিনে তো আসেই, প্রভাস মদ খেয়ে এমনভাবে জ্ঞান হারিয়েছে যে, পরদিন বেলা নটা–দশটার আগে তার ঘুম ভাঙার সম্ভাবনা নেই জানতে পারলে রাত্রিটাও ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে আসে।

    বিবেক আর কামড়ায় না।

    এটা বিশ্বাসঘাতকতা নয়।

    সে মনেপ্রাণে জানে যে, প্রভাসের আতঙ্ক অলীক। রবার্টসন আর কোনোদিনই গুণ্ডা ডাকাতের দল পাঠিয়ে তাকে ঘায়েল করার কথা কল্পনাও করবে না।

    যদি তাকে জব্দ করতে কি মারতে চায়, অন্যভাবে করবে।

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleআরণ্যক – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
    Next Article দিবারাত্রির কাব্য – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

    Related Articles

    উপন্যাস বুদ্ধদেব গুহ

    কোয়েলের কাছে – বুদ্ধদেব গুহ

    May 23, 2025
    উপন্যাস সত্যজিৎ রায়

    রবার্টসনের রুবি – সত্যজিৎ রায়

    April 3, 2025
    উপন্যাস সত্যজিৎ রায়

    বোম্বাইয়ের বোম্বেটে – সত্যজিৎ রায়

    April 3, 2025
    উপন্যাস সত্যজিৎ রায়

    রয়েল বেঙ্গল রহস্য – সত্যজিৎ রায়

    April 3, 2025
    উপন্যাস সত্যজিৎ রায়

    যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে – সত্যজিৎ রায়

    April 3, 2025
    উপন্যাস সত্যজিৎ রায়

    ফেলুদা এণ্ড কোং – সত্যজিৎ রায়

    April 3, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }