Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    হায়রোগ্লিফের দেশে – অনির্বাণ ঘোষ

    লেখক এক পাতা গল্প244 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ১৪. হোরাসের চোখ

    সেইদিন রাতেই বাড়ি ফিরে আমি আর পিজি গুগল ঘাঁটতে বসেছিলাম। ভবেশদা কোনো হিন্টও দেননি, তাই কোথা থেকে খোঁজাটা ঠিক শুরু করব সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। তবে রাত এগারোটা নাগাদ পিজি হঠাৎ ‘মিল গয়া, মিল গয়া’ বলে ঘরের মধ্যে লাফাতে আরম্ভ করল। আমি জিজ্ঞাসা করতে বলল, ‘এখন বলব না, কালকেই দেখতে পাবি।’ বুঝলাম, এবারে বেটা ভবেশদার কাছে গিয়ে বেশ ঘ্যাম দেখাবে।

    পরের দিন সন্ধেবেলায় হাজির হলাম ভবেশদার দোকানে। পিজি একটা বেশ জ্ঞানী সুলভ মুখ নিয়ে ভবেশদাকে বলল,

    ‘ইজিপ্ট নিয়ে আপনার নলেজ কিন্তু ইমেন্স। আমি সেটা বুঝতে পারছি আস্তে আস্তে।’

    ‘হুঁ, তুমি বুঝতে পেরেছ আমি এতে অনার্ড ফিল করছি। কয়েক মাস আগে তো মিশর মানে লিজ টেলর বুঝতে।’

    ‘ভালো কথা আপনাকে বলতে নেই, তাই না? ওইটা ছাড়াও আরও অনেক কিছুই জানতাম আমি, নেহাত কম কথা বলি তাই বুঝতে পারেন না আপনি।’

    এবারে আমি আর ভবেশদা দু-জনেই হেসে ফেললাম। সেটাতে আরও বিরক্ত হয়ে পিজি বলল,

    ‘যাই হোক, কালকে আপনি ডাক্তারির সঙ্গে ইজিপশিয়ান মাইথোলজির যে মিলটার কথা বললেন, ওইটাও আমি আগে থেকে জানতাম, গুগল থেকে শুধু সেটাকে একবার কনফার্ম করে নিলাম। বলি?’

    ‘হুমম, শুনি কী জানো তুমি?’

    ‘‘‘আর এক্স’’-এর কথা বলছেন তো আপনি? মানে যেটা আমরা প্রেসক্রিপশন লেখার সময়ে লিখি।’

    image115.jpg

    ‘আমি এখনই কিছু বলব না, তুমি শেষ করো আগে, নাহলে আবার বলবে সেটাও জানতে, আমি বলতে দিইনি তোমাকে।’

    ‘সে তো অনেক সময়েই দেন না, সত্যিটা মানতে এত কষ্ট কেন হয় আপনার বুঝি না। যাই হোক, এই ‘‘আর এক্স’’-এর ‘‘আর’’টা আসলে এসেছে ল্যাটিন শব্দ রেসিপি থেকে, যার মানে, টু টেক। অর্থাৎ ডাক্তার এখানে রুগিকে কিছু নিতে অ্যাডভাইস দিচ্ছেন। সেটা ওষুধই, আগেকার দিনে ডাক্তাররাই তো ফার্মাসিস্টও ছিলেন। ওঁরাই ওষুধও বানাতেন। তাই সেই ওষুধই রুগিকে নিতে বলার জন্য আর এক্স লেখার শুরু। সেটাই এখনও চলে আসছে।’

    image116.jpg

    ‘আর এর সঙ্গে মিশরের মিল কোথায়?’

    ‘দেবতা হোরাসের চোখ! সেটার ছবি দেখলেই বোঝা যাবে যে তার সঙ্গে এই আর এক্স চিহ্নের অদ্ভুত মিল!’

    এবারে আমি বললাম,

    ‘আই অফ হোরাস কেমন দেখতে? আমি তো আগে দেখিনি।’

    ভবেশদা একটা কাগজের টুকরোতে ঝটপট এঁকে ফেললেন একটা চোখ, তার নীচের দিকে দুটো দাগ নেমে গেছে। একটা সোজাসুজি, আরেকটা বাঁকা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অনেকটা আর-এর মতোই।

    image117.jpg

    ‘হোরাসের কথা একবার বলেছিলাম তোমাদের, মনে আছে?’

    ‘হ্যাঁ, সেই মমির গল্প বলার সময় বলেছিলেন তো। মৃত ওসাইরিসের শরীরে প্রাণ আসার পরে ওসাইরিস আর ওঁর স্ত্রী আইসিসের এক সন্তান জন্মায়। সে-ই হল হোরাস।’

    ‘ঠিক! কিন্তু হোরাসের চোখের থেকেই ডাক্তারির ওই চিহ্ন কেন তৈরি হল জানো?’

    এবারে পিজি পড়ল ফ্যাসাদে। ওর মুখ দেখেই বুঝলাম ভবেশদার এই প্রশ্নের উত্তর ওর কাছে নেই। কিন্তু হার মানবার ছেলে তো ও নয়, বলল,

    ‘হ্যাঁ, এটাও জানতাম এককালে, কিন্তু এখন ভুলে গেছি। আপনি আরেকবার বলে দিন তো, তাহলে ফের মনে পড়ে যাবে।’

    ‘হুমম, এবারে আমি শুরু করি তবে, দেখো তোমার মনে পড়ে কী করে। এত কম বয়সে কী করে এত ভোলো, সেটা বুঝি না।’

    ‘প্রথম কথা ওই চিহ্নতে ‘‘আর’’ অক্ষরটা থাকলেও তার লেজে যে আড়াআড়ি কাটা দাগটা আছে সেটা এক্স নয়। হোরাসের চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই আঘাতের দাগই ওটা।’

    ‘হোরাসের চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল! কে নিয়েছিল!?’

    ‘দেবতা সেথ।’

    ‘সেথ? মানে ওসাইরিসের ভাই, যে ওকে খুন করেছিল?’

    ‘হ্যাঁ ভাই, এই সেই সেথ, কেন চোখ উপড়ে নিলেন সেই গল্পটাই বলি শোনো।’

    image118.jpg

    ‘ওসাইরিসকে খুন করে দেবতাদের সিংহাসনে বসেন সেথ। অন্যদিকে আইসিসের জাদুতে ওসাইরিসের মৃত শরীরে প্রাণ এলেও তিনি আর বাকি দেবতাদের দলে জায়গা পেলেন না। তাঁরকে চলে যেতে হল মিশরের পশ্চিমে, যেখানে মৃতদের কবর দেওয়া হত। ওসাইরিস হলেন মৃতদের দেবতা। সেথ কিন্তু রাজা হয়েও শান্তি পাননি, খবর পেয়েছিলেন যে আইসিসের এক সন্তান হয়েছে ওসাইরিসের ঔরসে। তাকে মারার জন্য উঠে-পড়ে লেগেওছিলেন।

    ‘বুদ্ধিমতী আইসিস হোরাসের জন্ম দেওয়ার পরেই সদ্যোজাত শিশুকে তুলে দেন দেবী হাথোরের হাতে। নীল নদের অববাহিকাতে প্যাপিরাস গাছে ভরা জলাভূমিতে বেড়ে উঠতে থাকলেন হোরাস। হোরাস যখন প্রাপ্তবয়স্ক হলেন তখন আইসিস ওঁকে নিয়ে এলেন দেবতাদের দরবারে, যাতে হোরাস সিংহাসনে ওঁর যোগ্য অধিকার দাবি করতে পারেন। কিন্তু সেথ সিংহাসন ছাড়তে রাজি হলেন না। তখন দেবতারা ঠিক করল সেথ আর হোরাস দু-জনকেই একবার করে সুযোগ দেওয়া হোক এইটা বলার যে কেন সে-ই সিংহাসনের ন্যায্য দাবিদার।

    ‘প্রথমে সেথ বলতে উঠলেন, বললেন, আমি দেবী নুতের সন্তান, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। প্রতিদিন আমিই রা-এর নৌকোতে থাকি, প্রতি রাতে আমিই তাকে সাহায্য করি আপেপ নামের সাপকে হত্যা করার জন্য। আর কেউ তো এই কাজ করতে পারবে না। তাই আমিই এই সিংহাসনে বসার যোগ্য।

    ‘এরপরে হোরাসের সুযোগ এল, কিন্তু তিনি শুধু বললেন, ওসাইরিসের সন্তান আমি, এই সিংহাসন রাজা ওসাইরিসের ছিল, তাই এখন তাঁরর অনুপস্থিতিতে এর ওপরে আমারই অধিকার। সেথ আমাকে ঠকাচ্ছেন।

    ‘দেবতাদের মধ্যে এবারে মতপার্থক্য দেখা দিল, কিছু জন যদিও ভাবলেন যে হোরাসকেই সিংহাসনে বসতে দেওয়া হোক, বেশির ভাগেরই মত ছিল সেথের দিকে। কারণ সেথ অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং সাহসী। দেবতাদের পাল্লা সেথের দিকে ভারী বেশি দেখে হোরাস সেথকে যুদ্ধে আহ্বান করে বসলেন। দু-জনেই দুটো জলহস্তীর আকার ধারণ করে ঝাঁপ দিলেন নীল নদের জলে। আইসিস এই সময় ছলনার আশ্রয় নিলেন। সেথকে আঘাত করার জন্য তির ছুড়লেন জলের মধ্যে। কিন্তু সেই তির গিয়ে লাগল হোরাসের পায়ে। আহত হোরাসকে জল থেকে উঠে আসতেই হল। সে লুকিয়ে পড়ল জঙ্গলের মধ্যে। সেথও ধাওয়া করলেন ওকে।

    image119.jpg

    হোরাস ও সেথ ফারাওকে আশীর্বাদ করছে

    ‘সন্ধের দিকে সেথ খুঁজে পেলেন প্রায় অচৈতন্য হোরাসকে। একটা গাছের নীচে শুয়ে আছে। সেথ ঝাঁপিয়ে পড়লেন হোরাসের ওপরে। দুর্বল হোরাস সেই আক্রমণ ঠেকাতে পারল না। সেই সময়তেই সেথ হোরাসের দুটো চোখই উপড়ে নিলেন। এরপরে জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন হোরাসকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অতএব তিনিই রাজা।’

    ‘হোরাস তাহলে মারা গেলেন!’

    ‘আরে, এখানেই তো টুইস্টটা। মৃতপ্রায় হোরাসকে খুঁজে পান ওর পালিকা মা হাথোর। হাথোর এক বন্য হরিণকে ধরে তার দুধ দুয়ে নেন। তারপরে সেই দুধ একটু একটু করে ঢালেন হোরাসের দুই চোখের গহ্বরে। হাথোরের জাদুতে হোরাস ফের তাঁরর দৃষ্টি ফিরে পান। তারপরে আরও অনেক যুদ্ধ, বাগ্্বিতণ্ডা পেরিয়ে সেথকে হারিয়ে হোরাস রাজার সিংহাসনে বসেন। হোরাসের চোখের চিকিৎসা করেছিলেন হাথোর। তাই ইজিপশিয়ানদের বিশ্বাস ছিল এই চোখের জাদু ক্ষমতা আছে। মিশরীয় চিকিৎসকেরাও ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে হোরাসের চোখের আকারে বানানো তাবিজ পরতে বলতেন। এইভাবেই হোরাসের চোখ মিশে গেছে ডাক্তারির ধ্যানধারণার সঙ্গে।’

    পিজি এবারে আবার মুখ খুলল,

    ‘ইয়েস! আমি জানতাম এই গল্পটার কথা! আমার ন-দাদু বলেছিল ! মনে পড়ে গেল সব।’

    আমি আর তারপরে থাকতে পারিনি, ওর মাথায় একটা গাঁট্টা মারতেই হল। গুল দেওয়ারও তো একটা লিমিট আছে নাকি!

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleহারানো সূর্যের খোঁজে – অনির্বাণ ঘোষ
    Next Article ভারতে ইসলাম ভারতীয় মুসলিম – অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

    Related Articles

    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    ভয় সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    কিশোর অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রকাশ্য দিবালোকে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 18, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    তারপর কী হল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 17, 2025
    মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    শর্ম্মিষ্ঠা নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    November 11, 2025
    সত্যজিৎ রায়

    মানপত্র সত্যজিৎ রায় | Maanpotro Satyajit Ray

    October 12, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }