Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025

    ওডিসি – হোমার

    October 13, 2025

    প্রেমের প্রান্তে পরাশর – প্রেমেন্দ্র মিত্র

    October 13, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    বরফ গলা নদী – জহির রায়হান

    জহির রায়হান এক পাতা গল্প156 Mins Read0

    ১. বরফ গলা নদী – উপসংহারের আগে

    বরফ গলা নদী (উপন্যাস)
    জহির রায়হান

    ১. উপসংহারের আগে

    উত্তরের জানালাটা ধীরে ধীরে খুলে দিলো লিলি। এক ঝলক দমকা বাতাস ছুটে এসে আলিঙ্গন করলো তাকে। শাড়ির আঁচলটা কাঁধ থেকে খসে পড়লো হাতের উপর। নিকষকালো চুলগুলো ঢেউ খেলে গেলো। কানের দুল জোড়া দোলনার মত দুলে উঠলো। নীল রঙের পর্দাটা দুহাতে টেনে দিলো সে। তারপর, বইয়ের ছোট আলমারিটার পাশে, যেখানে পরিপাটি করে বিছানা, বিছানার ওপর দুহাত মাথার নিচে দিয়ে মাহমুদ নীরবে শুয়ে, সেখানে এসে দাঁড়ালো লিলি। আস্তে করে বসলো তার পাশে। ওর দিকে ক্ষণকাল তাকিয়ে থেকে মাহমুদ বললো, আমি যদি মারা যেতাম, তাহলে তুমি কি করতে লিলি?

    আবার সেকথা ভাবছো? ওর কণ্ঠে ধমকের সুর।

    মাহমুদ আবার বললো, বল না তুমি কি করতে?

    কাঁদতাম। হলতো? একটু নড়েচড়ে বসলো লিলি। হাত বাড়িয়ে মাহমুদের চোখ জোড়া বন্ধ করে দিয়ে বললো, তুমি ঘুমোও, প্লিজ ঘুমোও এবার। নইলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে যে। আজ করাত ঘুমোও নি সে খেয়াল আছে?

    মাহমুদ মুখের ওপর থেকে হাতখানা সরিয়ে দিলো ওর, কি বললে লিলি, তুমি কাঁদতে, তাই না?

    না কাঁদবো কেন, হাসতাম। কপট রাগে মুখ কালো করলো লিলি। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে পাকঘরের দিকে চলে গেলো সে। মাহমুদ নাম ধরে বারকয়েক ডাকলো, কিন্তু কোন সাড়া পেলো না। পাকঘর থেকে থালা-বাসন নাড়ার শব্দ শোনা গেলো। বোধ হয় চুলায় আঁচ দিতে গেছে লিলি।

    চোখ জোড়া বন্ধ করে ঘুমোতে চেষ্টা করলো সে। ঘুম এলো না। বারবার সেই ভয়াবহ ছবিটা ভেসে উঠতে লাগলো ওর স্মৃতির পর্দায়। যেন সব কিছু দেখতে পাচ্ছে সে। সবার গলার স্বর শুনতে পাচ্ছে। মা ডাকছেন তাকে, মাহমুদ, বাবা বেলা হয়ে গেলো, বাজারটা করে আন তাড়াতাড়ি। চমকে উঠে চোখ মেলে তাকালো সে। সমস্ত শরীর শিরশির করে কাঁপছে তার।

    বুকটা দুরুদুরু করছে। ভয় পেয়েছে মাহমুদ। তবু আশেপাশে তাকালো সে। মাকে যদি দেখা যায়। কিন্তু তার নজরে এলো না। এলো একটা আরশুলা, বইয়ের আলমারিটার ওপর নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়াচ্ছে সেটা। তার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রইল মাহমুদ।

    একটু পরে পাকঘর থেকে এক গ্লাস গরম দুধ হাতে এ ঘরে এলো লিলি। ওকে দেখতে পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হলো মাহমুদ। একটুকাল নীরব থেকে বললো, আমি মরলাম না কেন, বলতে পারো লিলি?

    সে কথার জবাব দিলো না। বিছানার পাশে গোল টিপয়টার ওপর গ্রাসটা নামিয়ে রাখলো।

    মাহমুদ আবার জিজ্ঞেস করলো, কই আমার কথার জবাব দিলে না তো।

    লিলি বললো, দুধটা খেয়ে নাও, ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

    আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।

    কী প্রশ্ন?

    আমি মরলাম না কেন?

    লিলি ফিক্‌ করে হেসে দিয়ে বললো, আমার জন্যে। বলে আবার গম্ভীর হয়ে গেলো সে। দুধের গ্রাসটা ওর মুখের কাছে এগিয়ে ধরে বললো, নাও, দুধটা খেয়ে নাও।

    কয়েক ঢোক খেয়ে মাহমুদ সরিয়ে দিলো গ্লাসটা, আমার বমি আসছে।

    লেবু দেবো? সামনে ঝুঁকে পড়ে জিজ্ঞেস করলো লিলি।

    মাহমুদ মাথা নাড়লো, না।

    লিলি ওর চুলের ভেতর হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, বড় বেশি চিন্তা করো তুমি, ওসব ভেবে কি কোন কুল-কিনারা পাবে? এখন ঘুমাও লক্ষ্মীটি।

    ধীরে ধীরে চোখ বুজলো মাহমুদ।

    একটু পরে ঘুমিয়ে পড়লো সে। ওর হাতখানা কোলের ওপর থেকে নামিয়ে রেখে নিঃশব্দে উঠে পড়লো লিলি। কল-গোড়ায় গিয়ে হাতমুখ ধুলো। পা টিপে টিপে ঘরে এসে আলনা থেকে তোয়ালেটা নাবিয়ে নিয়ে মুখ মুছলো। আয়নাটা সামনে রেখে ঘন কালো চুলগুলো আঁচড়ে নিলো। পরনের শাড়িটার দিকে একবার তাকালো সে। না, এতেই চলবে। বাইরে বেরুবার আগখান দিয়ে একবার এসে নিঃশব্দে মাহমুদকে দেখে গেলো লিলি। তারপর টেবিলের উপর থেকে তালাটা তুলে নিয়ে হাল্কা পায়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দিলো দরজায়। টেনে দেখলো ভালোভাবে লেগেছে কিনা। তারপর চাবিটা ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়ে রাস্তায় নেমে এলো লিলি। কাছাকাছি কোন রিক্সা চোখে পড়লো না।

    আশেপাশে কোন রিক্সাস্ট্যান্ডও নেই। বেশ কিছুদূর হেঁটে গিয়ে তারপর পাওয়া যেতে পারে একটা।

    ব্যাগটা খুলে, পয়সা নিয়েছে কিনা দেখলো লিলি। নিয়েছে সে। কিছু খুচরো আর দুটো এক টাকার নোট।

    এই দুপুর রোদে বেশিদূর হাঁটতে হলো না। খানিক পথ আসতে একটা রিক্সা পাওয়া গেলো। হাত বাড়িয়ে তাকে থামালো লিলি, ভাড়া যাবে? আজিমপুর গোরস্থানে যাবো। কত নেবে?

    আট আনা, মেমসাব।

    কোন দ্বিরুক্তি না করে রিক্সায় উঠে বসলো লিলি।

    বিকেলে বাসায় ফিরে এসে তালাটা খুলতে গিয়ে হাত কাঁপছিলো তার। সাবধানে দরজাটা খুললো। এখনো ঘুমুচ্ছে মাহমুদ। কপালে মৃদু ঘাম জমেছে তার। কাছে এসে শাড়ির আঁচল দিয়ে সস্নেহে তার কপালটা মুছে দিলো সে। তারপর অতি ধীরে ধীরে নিজের মুখখানা নামিয়ে এনে ওর মুখের ওপর রাখলো লিলি। গভীর আবেগের অস্পষ্ট স্বরে বললো, এর বেশি কিছু আমি চাই নে তোমার কাছে। চিরকাল এমনি করে যেন তোমাকে পাই।

    মাহমুদ নড়েচড়ে উঠে ঘুমের ঘোরে বিড়বিড় করে বললো, মরলে মানুষ কোথায় যায় লিলি?

    লিলি মুখ তুলে সভয়ে তাকালো ওর দিকে। ঘুমের মধ্যেও সেই একই চিন্তা করছে লোকটা। দিনে রাতে এভাবে যদি মৃত্যুর কথা ভাবতে থাকে তাহলে হয়তো একদিন পাগল হয়ে যাবে মাহমুদ। না, তার এই ভয়াবহ পরিণতির কথা কল্পনা করতে পারে না লিলি। এ পরিণাম প্রতিহত করতে হবে। ভালবাসার বাঁধ দিয়ে ধ্বংসের প্লাবন রোধ করবে সে।

    বিছানার পাশে বসে অনেকক্ষণ তার গায়ে, মাথায়, মুখে হাত বুলিয়ে দিলো লিলি। যেন হাতের স্পর্শে ওর হৃদয়ের সকল ব্যথা আর সমন্ত যন্ত্রণার উপশম করে দিতে পারবে। তার ভেতরে বেদনার সামান্য চিহ্নটিও থাকতে দেবে না লিলি।

    থাকবে শুধু আনন্দ। অনাবিল হাসি। তৃপ্তিভরা শান্ত-মিন্ধ সুন্দর জীবন। যেখানে অশ্রু নেই। বিচ্ছেদ নেই। হাহাকার নেই। প্রেম প্রীতি আর ভালবাসার একচ্ছত্র আধিপত্য সেখানে।

    লিলি ভাবছিলো।

    দুয়ারে মৃদু কড়া নাড়ার শব্দে উঠে দাঁড়ালো সে। সাবধানে দরজাটা খুলতেই দেখলো মনসুর দাঁড়িয়ে।

    উনি এখন কেমন আছেন? ভেতরে এসে মৃদু গলায় জিজ্ঞেস করলো মনসুর।

    লিলি চাপা কষ্ঠে বললো, ভালো।

    ঘুমুচ্ছেন দেখছি। বিছানার কাছে এসে দাঁড়ালো মনসুর, কখন ঘুমিয়েছেন?

    অনেকক্ষণ হলো। মাহমুদের গায়ের কাপড়টা একটু টেনে দিয়ে লিলি বললো, আপনি দাঁড়িয়ে কেন, বসুন না।

    মনসুর বললো, না, এখন বসব না। উনি কেমন আছেন দেখতে এসেছিলাম। কাল সকালে আবার আসবো আমি। রাতে অবস্থা যদি খারাপের দিকে যায় তাহলে আমাকে খবর দিবেন।

    আচ্ছা। লিলি ঘাড় নেড়ে সায় দিলো।

    যাবার আগে, টাকা-পয়সার কোন প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলো মনসুর।

    লিলি সংক্ষেপে বললো, না।

    প্রয়োজন হলে সঙ্কোচ না করে চাইবেন। লিলির চোখে চোখ রেখে মনসুর কাতর কষ্ঠে বললো, দয়া করে আমাকে পর ভাববেন না।

    না না সে কি কথা। দ্রুত মাথা নেড়ে লিলি বললো, ওকে, প্লিজ ভুল বুঝবেন না আপনি ৷

    মনসুর চলে গেলে আবার বিছানার পাশে এসে বসলো লিলি।

    ছোট্ট শিশুর মত ঘুমুচ্ছে মাহমুদ। নির্লিপ্ত প্রশান্তির কোলে আত্মসমাহিত সে। ভবিষ্যতের দিনগুলো এমনি কাটুক।

    অর্থের প্রাচুর্য সে চায় না। এই ছোট্ট ঘরে, নিরবচ্ছিন্ন প্রেমের আলিঙ্গনে নির্বাক প্রবাহে কেটে যাক দিন। এই শুধু তার চাওয়া। কিন্তু এ যেন একটা অতি সুন্দর কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। লিলি ভাবে, মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হলে পর, এই যে একটা অনাবিল জীবনের কথা ভাবছে সে, সে জীবন কি বাস্তবে রূপায়িত হবে?

    তবু মানুষ তাই চায়।

    লিলিও চাইছে।

    কে জানে মরিয়মও হয়তো তাই চেয়েছিলো।

    আর সেই দুষ্ট মেয়ে হাসিনা। সেও কি এমনি অন্ধকার ঘন সন্ধ্যায় বসে, এমনি কোন কল্পনার জাল বুনেছিলো?

    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleগল্প সমগ্র – জহির রায়হান
    Next Article তৃষ্ণা – জহির রায়হান

    Related Articles

    জহির রায়হান

    শেষ বিকেলের মেয়ে – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    জহির রায়হান

    আরেক ফাল্গুন – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    জহির রায়হান

    হাজার বছর ধরে – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    জহির রায়হান

    আর কত দিন – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    জহির রায়হান

    একুশে ফেব্রুয়ারী – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    জহির রায়হান

    কয়েকটি মৃত্যু – জহির রায়হান

    August 12, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025
    Our Picks

    ইলিয়াড – হোমার

    October 13, 2025

    ওডিসি – হোমার

    October 13, 2025

    প্রেমের প্রান্তে পরাশর – প্রেমেন্দ্র মিত্র

    October 13, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    • Sign Up
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }