Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    কিশোর গল্প – বুদ্ধদেব গুহ

    বুদ্ধদেব গুহ এক পাতা গল্প310 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    যব খলিল খাঁ ফাক্তা উড়াতে থে

    যব খলিল খাঁ ফাক্তা উড়াতে থে

    এখন ভরা জোয়ার৷ জোয়ারের জলে বাণী গাছের লাল-খয়েরি শুকনো পাতা, গরান ঝোপের ডাল, চিরুনি চিরুনি শুকনো গোল পাতা ভেসে আসছে৷ বোটের গায়ে সড়সড় সিরসির করে আওয়াজ হচ্ছে৷ জোরে জল ঢুকছে সূতী খালগুলোতে৷ মনে হচ্ছে সমস্ত সুন্দরবন একটি ভাসমান গাছগাছালির মেলা৷ পাখপাখালি এখন বড়ো একটা চোখে পড়ে না৷ দুটো-একটা তীক্ষ্মস্বর বাঁকা ঠোঁট কার্লু আর হরেক রকমের লাল নীল হলুদ সবুজ মাছরাঙা৷

    বোটের কাছেই কতকগুলো স্বাস্থ্যবান লালচে বাঁদর হুপহাপ করে বেড়াচ্ছে৷ কিছুক্ষণ আগে যখন জোয়ার সম্পূর্ণ হয়নি, কেওড়া গাছের তলায় তলায় কাদার আস্তরণের উপর উঁচু উঁচু শুলোর মাঝে মাঝে পা ফেলে ফেলে তিনটি হরিণী এসে দাঁড়িয়েছিল৷ বড়ো বড়ো চোখ মেলে আমাদের নিরীক্ষণ করে একজনও হ্যান্ডসাম লোক দেখতে না পেয়ে আবার গুটিগুটি কেওড়া গাছের ছায়ায় ছায়ায় ফিরে গেছিল৷

    এখন দুপুর বেলা৷ সুন্দরবনে দুপুরের মতো এমন নিরালা-সুরেলা দুপুর আর বুঝি কোথাও নেই৷ শুধু জল আর জল—জঙ্গল আর জঙ্গল৷ জল নিস্তরঙ্গ৷ কিন্তু জলে বড়ো টান৷ কখনো ভাটায় টানছে, কখনো জোয়ারে৷ কখনো-বা অস্থিরমতি হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে জল৷ ছোটো ছোটো বড়ো বড়ো আবর্তের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তার মধ্যে জলে-ভাসা কাঠকুটো, ফল-পাতা তলিয়ে যাচ্ছে৷ ছোটো ছোটো মাছ টুপ টুপ করে চারপাশে ডুব দিয়ে বেড়াচ্ছে৷ একটা শোল মাছকে তাড়া করেছে ভেটকিতে৷ জলের উপর পিছলেপড়া রুপোলি-শরীর সোনালি রোদ্দুরে ঝিকমিক করছে৷ রোদ থেকে মাথা বাঁচানোর জন্যে একটি স্ট্র-হ্যাট মাথায় চাপিয়ে বোটের মাথায় বসে ছিপ ফেলেছি৷ এখানে সনি লিস্টনের সাইজের ভেটকি জলের তলায় আকছার ঘুরে বেড়াচ্ছে—বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নাক ঘষাঘষি করছে৷ একটা জীয়ন্ত মৌরলা মাছের টোপ গেঁথে বসে আছি—আর জলের সঙ্গে, আকাশের সঙ্গে, হাওয়ার সঙ্গে মনে মনে নিরুচ্চারে কথা বলছি৷

    এমন সময় শুনতে পেলাম ওঁরা সকলে দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রাম শেষ করে উঠলেন৷ ভাঁটি দিলে তখন নেমে গিয়ে মাচায় বসা ছাড়া আপাতত কারোই কিছু করণীয় নেই৷ বুলা বাবুয়া স্টোভ ধরিয়ে কফি বানাবার চেষ্টা আরম্ভ করল৷ প্রশান্তকাকু একবার গলা খাঁকরে কাশলেন৷ বাগচিবাবু বললেন, ‘কী মশায় আপনিও কি একশো ফুট বাঘ মারলেন নাকি?’ দুর্গাকাকু শুধোলেন, ‘মানে?’ বাগচিবাবু বললেন, ‘জানেন না বুঝি সে গল্প?’ বলেই শুরু করলেন৷

    ‘আগেকার দিনের রাজা-মহারাজা মাত্রই শিকারি৷ তবে তাঁদের মধ্যেও কিছু কিছু কুলাঙ্গার ছিলেন৷ তবু তাঁদেরও শিকারি না হয়ে উপায় ছিল না৷ এখনও যেমন অনেক আছেন৷ তখনও তেমন ছিলেন—কেতাবি শিকারি৷ নবাব অথচ একশো-দুশো বাঘ মারেননি এমন বড়ো একটা দেখা যেত না৷ খেতের গেঁহু, বজরা কিতারির মতো জঙ্গলের বাঘও তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি ছিল৷ অতএব তাঁরা শয়ে শয়ে কেন, হাজারে হাজারে বাঘ মারলেও কারও কিছু বলার ছিল না৷ ওইরকম একজন নবাবের কাছে তদানীন্তন একজন ইংরেজ শাসক শিকারে গেছিলেন৷ সব বন্দোবস্ত নবাবের মাইনে করা শিকারিই করে রেখেছিলেন৷ নবাবের নিজেরও যেতে হবে না শিকারে৷ কিন্তু বিপদ হল, ডিনারের সময় নিশ্চয়ই শিকারের গল্পসল্প হবে—তখন নবাব কী করবেন? শিকারের যে তিনি শ-ও জানেন না! অতএব নবাব বললেন, দেখো শিকারি, আমি আর সাহেব যখন খানা খাব তুমি তখন দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকবে এবং আমার কথাবার্তায় কোনোরকম বেচাল লক্ষ করলেই খুক খুক করে কাশবে৷ তখনই আমি বুঝতে পারব যে, নিজেকে শুধরে নেওয়া দরকার এবং সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নেব৷

    ‘যথাসময়ে সাহেব এবং নবাব ডিনারে বসলেন৷ উমদা উমদা সব খাবার৷ কলিজা, চৌরি, পায়া, লাব্বা, চাঁব ইত্যাদি ইত্যাদি৷ খেতে খেতে সাহেব বললেন যে তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড়ো বাঘ যা মেরেছেন তিনি, তা হচ্ছে দশ ফুট দু-ইঞ্চি (between the pegs)৷ তারপর প্রসঙ্গত জিজ্ঞেস করলেন, হিজ হাইনেসের মারা সবচেয়ে বড়ো বাঘ কত বড়ো? নবাব কিছুক্ষণ ভাবলেন৷ ভেবে দেখলেন যে, একজন মামুলি ইংরেজ সাহেব যদি দশ ফুট বাঘ মারে তো তাঁর অন্তত দু-শো ফুট বাঘ মারা উচিত৷ উনি বললেন, দু-শো ফুট৷ সাহেবের গলায় মুলিংগাটানি সুপ আটকে গেল৷ শিকারি পর্দার আড়াল থেকে খক খক করে আপ্রাণ কেশে উঠল৷ তখন নবাব বুঝলেন, কুছ গড়বড় হো গ্যায়া৷ তখন উনি রেশমি দাড়িতে নবরত্নের আংটি-পরা আঙুল চালাতে চালাতে বললেন, আজ অনেকদিন হল, বোধ হয় ঠিক মনে পড়ছে না; বোধ হয় বাঘটা দেড়-শো ফুট ছিল৷ শিকারি আবার কেশে উঠল৷ এবার নবাব কিঞ্চিৎ বিব্রত হলেন৷ বললেন, কী জানি হয়তো-বা একশো ফুটও হতে পারে৷ মনে পড়ছে না, অনেক দিনের কথা তো!

    ‘শিকারি আবার কেশে উঠল ঘন ঘন, জোরে জোরে৷ নবাবের আর সহ্য হল না৷ বদতমিজির একটা সীমা থাকা দরকার৷ ফরাশ ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মখমলে-মোড়া তাকিয়া ছুড়ে ফেলে দরজার দিকে তর্জনী নির্দেশ করে শিকারিকে বললেন, কামবকত তু খাঁস খাঁসকে মরভি যাও গে, তব ভি হাম একশো ফুটসে কম কভি নেহি মারুংগা৷’

    গল্প শুনে এমন হাসির ফোয়ারা উঠল যে, জলের উপর দিয়ে তা হাড়িয়া ভাঙা নদী অবধি গড়িয়ে গেল৷ জলের তলায় হাঙ্গরেরা পর্যন্ত খুদে খুদে দাঁত বের করে হেঁ হেঁ করে হাসতে লাগল৷

    এমন সময় প্রশান্তকাকু বললেন, ‘এ তো গেল নবাবের গুলগল্প৷ আমি একটা সত্যি গল্প বলছি৷ সে শিকারি এখনও কলকাতাতেই আছেন এবং দিব্যি শিকারকীর্তন করে চলেছেন৷’ প্রশান্তকাকু বন্দুকের দোকানের মালিক৷ সারাদিন ইচ্ছা থাকুক কি না থাকুক তাঁকে অনেক শিকারির শিকারকীর্তন শুনতে হয়৷ উপায় নেই কোনো৷

    ‘ভদ্রলোক দোকানে প্রায়ই আসতেন একসময়৷ আজকাল একেবারেই আসেন না৷ তবে পথে-ঘাটে কখনো-সখনো দেখা হয়ে যায়৷ ভদ্রলোকের গল্প বলার এমন একটা সুন্দর সাবলীল ক্ষমতা ছিল যে, তিনি যদি সূর্যকে চাঁদ বলতেন তবুও লোকে মুখের উপর বলতে পারত না যে, আজ্ঞে ওটা চাঁদ নয়৷ ভদ্রলোক বিত্তবান, রূপবান, বিলিতি ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি আছে একটি—সেটি নানারকম কাজে লেগেছে৷ নেমপ্লেটে, লেটারহেডে, ক্লাবে, পার্টিতে৷

    ‘একদিন আমার লক্ষ্মৌওয়ালা এক বন্ধুর সঙ্গে দোকানে বসে আছি—সেই ভদ্রলোক এলেন৷ এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বহরমপুর থেকে এক ভদ্রলোক এলেন গুলি কিনতে৷

    ‘বহরমপুরের ভদ্রলোক বললেন, চার নম্বর গুলি দিন৷ বিলে শাল্টি নিয়ে কচুরিপানার পাশে চুপ মেরে বসে থাকি আর উড়ো পাখি মারি৷ আমার খালি চার নম্বর দরকার৷

    ‘উড়ো পাখি মারার কথা শুনেই আমাদের বড়ো শিকারি, ঠোঁটের কোণে কিংসাইজ বিলিতি সিগারেটটি চেপে একটু মিষ্টি হাসলেন৷ বড়ো মিষ্টি হাসি—একেবারে রমণীমোহন৷ তারপর বললেন, সেসব দিন ছিল, উড়ো পাখি মারার দিন৷

    ‘এমনভাবে কথাটা বললেন যে, যে ভদ্রলোক গুলি কিনতে এসেছিলেন তিনি গুলির কথা ভুলে গিয়ে ধপ করে চেয়ারে বসে পড়লেন৷ এবং একাগ্রতার সঙ্গে বড়ো শিকারির দিকে চেয়ে রইলেন৷ বড়ো শিকারির চোখে-মুখে এমন একটি তুরীয় জ্যোতি ফুটে উঠল যে আমরা বুঝতে পারলাম, এবার ফ্ল্যাশব্যাক হবে৷

    ‘উনি শুরু করলেন৷ সেবার চিল্কায় গেছি রাজহাঁস মারতে৷ সঙ্গে লাট্টুগড় এবং টিকাইতিয়ার কুমারসাহেবরা৷ প্রত্যেকের হাতে ওভার-আন্ডার ডাবল ব্যারেল শটগান৷ শুটিং জ্যাকেট পরে পাশাপাশি কিছুদূর অন্তর অন্তর দাঁড়িয়েছি আমরা৷ কী মার কী মার৷ গুলি খায় আর পাখি লদলদিয়ে পড়ে৷ ঝাঁকের পর ঝাঁক রাজহাঁস উড়ে উড়ে আসছে আর আমরা মারছি৷ তবে ওদের কাছে আমি কিছুই নয়৷ লাট্টুগড় এমন কুইকশট ছিল যে, হোয়েন দি টোয়েন্টিয়েথ বার্ড ওয়াজ স্টিল ইন দি স্কাই হি ইউজড টু শ্যুট দি টোয়েন্টি ফার্স্ট৷ অর্থাৎ কুড়ি নম্বর পাখি আকাশেই উড্ডীন অবস্থায় মরে গেছে—তখনও মাটিতে পড়তে সময় পায়নি—ইতিমধ্যে একুশে পাখিকেও লাট্টু মেরে দিয়েছে৷

    ‘আমরা একটু চাপা বিস্ময় প্রকাশ করতেই উনি আমাদের ঠান্ডা করে ভুরু কুঁচকে মুখে তাচ্ছিল্য এনে বললেন, তবে লাট্টুগড়ও কিছু নয়, মারত টিকাইতিয়া৷ হি উড হ্যাভ শ্যট দি ফর্টিয়েথ বার্ড হোয়েন দি থার্টি-নাইনথ ওয়াজ স্টিল ইন দি স্কাই৷

    ‘বহরমপুরের ভদ্রলোক প্রায় মূর্ছা যাবার স্বরে বলে উঠলেন, আরেঃ সর্বনাশ, কী বলছেন গো!

    ‘আমাদের আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই উনি বললেন, তবে ওই শুটেই একটা মিসহ্যাপ হয়ে গেল৷ ওয়ালেস বলে একটা আর্মেনিয়ান ছোকরা আমাদের সঙ্গে ছিল—গাড্ডনের গেস্ট৷ ওর পজিশান ছিল আমার পরেই৷ একটা চামড়ার শুটিং জ্যাকেট পরে ছোকরা বারবার ওর নিজের ফায়ারিং লাইন ক্রস করে আমার দিকে ব্যারেল নীচু করে গুলি করছিল৷ ঝরঝর করে ছররা এসে আমার চারপাশে পড়ছিল৷

    ‘ওকে আমি বার তিনেক মানা করলাম৷ বললাম, লুক, ইউ ইয়ং পিগ৷ ইউ বেটার টেক কেয়ার অব ইয়োরসেলফ৷ কিন্তু নাথিং-ডুয়িং৷ হি কেপ্ট অন প্লেয়িং দি ন্যাস্টি ট্রিক৷ অ্যান্ড দেন হি হ্যাড ইট ফ্রম মি৷

    ‘আমরা আতঙ্কে শুধোলাম, মেরে ফেললেন? উনি একটু হাসলেন—জেমস বন্ড হাসি৷ তারপর চোখ নাচিয়ে বললেন, প্রায়৷

    ‘বন্দুক তুলে ব্যারেল অ্যালাইন করে—দুটো ব্যারেলই ছেড়ে দিলাম—ব্যাং ব্যাং৷ ট্রিগার টানার আগে চেঁচিয়ে বললাম, ওয়াচ আউট ওয়ালেস, তারপরই ব্যাং ব্যাং৷ বাট অ্যাজ লাক উড হ্যাভ ইট—ব্যাটার কিছুই হল না৷ লেদার জ্যাকেটের জন্যেই বেঁচে গেল৷ কয়েকটা স্কিনডিপ উন্ড হয়েছিল মাত্র৷ সেদিন থেকে গাড্ডন বা টিকাইতিয়া কারও সঙ্গেই আর যাই না শিকারে৷

    ‘এমন সময় আমার সেই লক্ষ্মৌওয়ালা বন্ধু বড়ো শিকারিকে বলল, ভাইসাব, উ জমানা চলা গয়া৷ বড়ো শিকারি একটু উদবিগ্ন স্বরে শুধোলেন, কৌন জমানা? দোস্ত বলল, উ জমানা চলা গ্যয়া যব খলিল খাঁ ফাকতা উড়াতে থে৷ অর্থাৎ ওসব দিন চলে গেছে, যখন খলিল খাঁরা পায়রা ওড়াতেন৷

    ‘বড়ো শিকারি হঠাৎ হাতঘড়ি দেখে বললেন, চলি, বড্ড দেরি হয়ে গেল৷ আমি শুধোলাম, অত তাড়া কীসের? উনি একটু হাসলেন, বললেন, যেতে হবে শেয়ালদায়৷ সেখানে বনগাঁ থেকে একদল শরণার্থী এয়েছে—তাদের খিচুড়ি পরিবেশন করতে হবে৷ বলেই থ্রিপিস সুট পরে খিচুড়ি পরিবেশন করতে চলে গেলেন৷’

    —

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleবনবিবির বনে – বুদ্ধদেব গুহ
    Next Article জংলিমহল – বুদ্ধদেব গুহ

    Related Articles

    বুদ্ধদেব গুহ

    বাবলি – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    বুদ্ধদেব গুহ

    ঋজুদা সমগ্ৰ ১ – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    বুদ্ধদেব গুহ

    ঋজুদা সমগ্র ২ – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    বুদ্ধদেব গুহ

    ঋজুদা সমগ্র ৩ – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    বুদ্ধদেব গুহ

    ঋজুদা সমগ্র ৪ – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    বুদ্ধদেব গুহ

    অবেলায় – বুদ্ধদেব গুহ

    May 28, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }