Close Menu
এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    What's Hot

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)
    • 📙
    • লেখক
    • শ্রেণী
      • ছোটগল্প
      • ভৌতিক গল্প
      • প্রবন্ধ
      • উপন্যাস
      • রূপকথা
      • প্রেমকাহিনী
      • রহস্যগল্প
      • হাস্যকৌতুক
      • আত্মজীবনী
      • ঐতিহাসিক
      • নাটক
      • নারী বিষয়ক কাহিনী
      • ভ্রমণকাহিনী
      • শিশু সাহিত্য
      • সামাজিক গল্প
      • স্মৃতিকথা
    • কবিতা
    • লিখুন
    • চলিতভাষার
    • শীর্ষলেখক
      • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
      • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
      • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
      • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
      • সত্যজিৎ রায়
      • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
      • বুদ্ধদেব গুহ
      • জীবনানন্দ দাশ
      • আশাপূর্ণা দেবী
      • কাজী নজরুল ইসলাম
      • জসীম উদ্দীন
      • তসলিমা নাসরিন
      • মহাশ্বেতা দেবী
      • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
      • মৈত্রেয়ী দেবী
      • লীলা মজুমদার
      • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
      • সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
      • সমরেশ মজুমদার
      • হুমায়ুন আহমেদ
    • English Books
      • Jules Verne
    • 🔖
    • ➜]
    Subscribe
    এক পাতা গল্প বাংলা গল্প | Bangla Golpo | Read Best Bangla Stories @ Ekpatagolpo (Bangla)

    শ্রেষ্ঠ উর্দু গল্প – সম্পাদনা : শহিদুল আলম

    লেখক এক পাতা গল্প766 Mins Read0
    ⤶ ⤷

    ৪.০৬ পথে যেতে যেতে – আনওয়ার

    পথে যেতে যেতে – আনওয়ার

    কাল আমি যা দেখেছি, তা আমাকে অবাক করে দিয়েছে। পুরো ঘটনাটা আগের কালের কোনও কাহিনি আর নাটকের মতো চোখের সামনে দিয়ে ঘটে গেল। আগের কালের কাহিনি আর নাটকের তিনটি অংশ থাকত : বন্দনা, কাহিনি, উপসংহার। মূল কাহিনির সঙ্গে বন্দনা আর উপসংহারের কোনও সম্পর্ক থাকত না। কেননা, বন্দনায় থাকত স্তব বা প্রশস্তি আর উপসংহারের মধুর পরিণতি। উদাহরণস্বরূপ, ‘হৃদয়ের ক্ষত’ নামক একটি নাটক থেকে তার বন্দনা-অংশটি লক্ষ করুন :

    যবনিকা উঠল। সখীরা জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরে হাত-ধরাধরি করে সারবন্দি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখা গেল। (আজকাল তো অভিনেত্রীদেরই দেখা যায়, কিন্তু সেকালে শুধু সখীরাই থাকত। যেসব পুরুষ-অভিনেতা মাথায় পরচুলা বেঁধে আর বুকে ক্রিকেটের বল বেঁধে বালিকার অভিনয় করত, তাদের বলা হত সখী।) সখীদের সমবেত গান শুরু হচ্ছে :

    বিশ্বপিতা দীনের দয়াল প্ৰভু হে– এ–এ- এ।
    অভাজনে নিবেদনে
    ত্যাগ কোরো না কভু হে– এ- এ–।

    এবার নাটকের উপসংহার-অংশের পরিচয় লাভ করুন। নায়ক-নায়িকা প্রেমে ব্যর্থকাম হয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু তার জন্য আপনার মনঃকষ্টের কোনও কারণ নেই। শেষ দৃশ্যে তাদের আবার জীবিত দেখা যাচ্ছে। প্রেমিক-প্রেমিকা স্বর্গে একে অপরের বক্ষলগ্ন হয়ে বসে রয়েছে। লাল আর সবুজ সব চাঁদের আলোর ঝরনাধারায় তাদের উপর কাগজের পুষ্প বর্ষিত হচ্ছে। দর্শকরা হাততালি দিচ্ছে।

    কিন্তু আমি এখানে একটা গল্প শোনাতে বসেছিলাম। আমার উদাহরণ আগের কালের সব কাহিনির সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়া চাই। আমি বলছিলাম, পুরো ঘটনাটা আমার সামনে আগের কালের কাহিনি আর নাটকের মতো ঘটে গেল। আসলে কথাটা ঠিক নয়। আগের কালের কাহিনির শুরুতে বন্দনা থাকত। আমার গল্পে কোনও বন্দনা নেই। আমার গল্প শুরু থেকে শুরু হচ্ছে না। আমার গল্প মাঝখান থেকে শুরু হচ্ছে। আমার গল্প হচ্ছে এইটুকু :

    সাদা ময়লা বোরকায় আচ্ছন্ন এক বুড়ি এক বাস্টপে নামল। বাস্ ছেড়ে দিল। বুড়ি সেই বাসের পিছু পিছু ছুটতে লাগল।

    আগের কালের গল্প কীভাবে শুরু হত? শুরু হত এইভাবে :

    এক যে ছিল রাজা। তার ঘোড়াশালে ঘোড়া, হাতিশালে হাতি।

    না, আমার গল্প আগের কালের গল্পের মতো নয়। একালে কোথায় রাজা! কোথায় এত হাতি-ঘোড়া! এখন তো লোকে সবাই মিলে নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিয়ে বলে : এসো হে, তুমি আমাদের দেশ, জাতি আর সভ্যতা-সংস্কৃতির রক্ষণাবেক্ষণ করো– আমরা তোমায় মাইনে দেব। আর অমনি সে মাথা হেলিয়ে জনসেবার জন্যে কোমর বাঁধে। রাজা-বাদশার গল্প আর রইল কই। একালের গল্প তো আপনার-আমার সবার গল্প। একালের গল্প বিজ্ঞানী, দার্শনিক, শিল্পী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, কিষান আর মজদুরের গল্প। গল্প আর একালে দরবারে বা মহলে বন্দি নেই। গল্প একালের পথে-ঘাটে ছড়িয়ে রয়েছে।

    পথেই ঘটল আমার নিজের দেখা গল্পটা।
    সেই বুড়ি এখনও রাস্তা ধরে দৌড়াচ্ছে।

    বাস্ চৌরাস্তার মোড় পার হয়ে চলে গেছে। সিগনালের বাতি লাল হয়ে গেছে। এদিকের ট্রাফিক বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সেই বুড়ি এখনও ছুটছেই। লোক অবাক হয়ে তাই দেখতে লাগল। মেয়েরা হাসতে শুরু করে দিল। ছেলেরা মজা দেখতে লাগল। আর সেই বুড়ি ছুটেই চলেছে।

    এবার সে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তার গতি মন্থর হল। সে বাঁ-হাতের ট্রাফিক বাঁচিয়ে চৌরাস্তা পার হচ্ছে। সে তার বোরকার সামনের অংশ তুলে নিজের মুখ উন্মোচন করে নিল। শেষে এক ট্রাফিক পুলিশের সিপাই তাকে থামাল।

    ‘বুড়ি-মা, মরার ইচ্ছে হয়েছে?’

    বুড়ি-মা করুণ আওয়াজে বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, বাছা। ওই বাসে আমার পোঁটলা রয়ে গেছে।’

    হুজুগপ্রিয় যত পথিকের ভিড় জমে গিয়েছিল। একজন বলল, ‘বুড়ি-মা, তোমার ধারণা, তুমি ছুটে গিয়ে ওই বাস্ ধরতে পারবে?’

    ‘আর কী করব, বাবা? আমার বউ তো আমার মাথার আর-একটা চুলও বাকি রাখবে না।’

    বুড়ির চেহারায় আর কথায় অসহায়তার গভীর ছাপ। মজা দেখতে যারা ভিড় জমিয়েছিল, তাদের সে বড় করুণ সুরে বলল, ‘বাবারা, বাছারা, তোমাদের মধ্যে কেউ দৌড়ে গিয়ে আমার পোঁটলাটা এনে দাও। ও-ই যে যাচ্ছে বাস্।’

    ‘মা, তোমার কোথাকার বাস্? কত নম্বর?’

    ‘মালিরের, বাবা।’

    ‘কিন্তু ওটা তো নাজিমাবাদের বাস্, মা!’

    ট্রাফিক পুলিশের সিপাই বলল, ‘বুড়ি-মা, এবার ক্ষান্তি দাও। পোঁটলা আর কি পাওয়া যায়, মা? পোঁটলায় কী ছিল? তোমার কত লোক্সান হল?’

    ‘অ্যালুমিনিয়ামের একটা ডিবে– তাতে আমার ছেলের খাবার ছিল। একুশজন ছেলেমেয়ের জামা আর ফ্রকের কাপড় ছিল। আমার বউয়ের একজোড়া জাপানি সিকের কামিজ ছিল। আমার ছেলে বলেছিল : মা, আমার খাবার যখন আনবে, ওই সঙ্গে কাপড়গুলোও এনো– দরজিকে দিয়ে আসব। আমার ছেলে না-খেয়ে মরে যাবে। আর বউ আমার মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলবে

    একজন অবাক হয়ে জিগ্যেস করল, ‘মা, তোমার ছেলের একুশ ছেলেমেয়ে?’

    ‘না বাবা। এ হতভাগার তো মাত্তর ন’টি ছেলে। তেরোটি ছেলেমেয়ে আমার বড়ছেলের। ওই ছেলে আমার গেল-বছর মারা গেছে। পাঁচ ছেলেমেয়ে আমার মেয়ের। ওই মেয়ে আমার পাগল হয়ে গেছে– সোয়ামি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এদের মধ্যে একুশটি ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। তাদেরই জামা তৈরি হবে, বাবারা।’

    ‘তোমার ছেলে কী করে মা?’

    ‘কার ভাগ্যে কী আছে তাই সে বলে দেয়। এক আনা পয়সা নিয়ে সে তোতা পাখিকে কাগজের একটা টুকরো আনতে বলে। কাগজে ভাগ্যের লিখন লেখা থাকে।’

    যারা মজা দেখতে জমা হয়েছিল, তাদের একজন হাসতে হাসতে বলল, ‘হ্যাঁ মা, তোমার ছেলে তোমাকে আজ একথা বলে দেয়নি যে, আজ তোমার কপালে জিনিস-খোয়া যাওয়া লেখা আছে?’

    ‘না বাবা, সে অমনধারা কথা কাউকেই বলে না। তুমিই বলো, এক আনা পয়সা নিয়ে যদি সে কাউকে ওইরকমের কথা বলে, তা হলে কি আর সে তার মাথা আস্ত রাখবে?’

    ট্রাফিক পুলিশের সিপাই বলল, ‘বুড়ি-মা, তোমার ছেলে বড়লোক! অতবড় সংসারের বোঝা যে বয়ে বেড়াচ্ছে, তার কাছে এ আর এমন কী লোকসান! ছেলেমেয়েদের সে আবার জামা বানিয়ে দেবে। যাও, ঘরে গিয়ে আরাম করো।’

    ‘না বাবা, না। সে যখন জানবে, নিজের মাথায় বাড়ি মারতে শুরু করে দেবে, তার পর আমার মাথায়ও বাড়ি দেবে। আর আমার বউ তো তার রক্ত চুষে খাবে। আর সে হতভাগাকে বড়লোক কে বলবে, বাবা। এই তো চার দিন হচ্ছে, সে তার বাড়ি দেড় হাজার টাকায় বেচে দিয়েছে। কত কষ্টে অ্যালট পেয়েছিল। সেই বাড়ি বেচে এখন আমরা কুঁড়েঘরে গিয়ে উঠেছি। সব ধার-কর্জ শোধ দিয়ে দেড় হাজারের মধ্যে যা বেঁচেছে, তাতে শুধু আধখানা সংসারের কাপড় কেনা গেছে।’

    ট্রাফিক পুলিশের সিপাই জিগ্যেস করল, ‘বুড়ি-মা, তোমার কত টাকার লোকসান হয়েছে?’

    ‘কেমন করে বলি, বাবা। এই ধরো, পঁচিশ-তিরিশ টাকার কাপড় হবে।’

    এরপর যে ঘটনা ঘটল, তাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম।

    ট্রাফিক পুলিশের সিপাই ওইদিনই মাইনে পেয়েছিল। সে পকেটে হাত চালিয়ে দশ টাকার তিনখানা নোট বের করে বুড়ির সামনে ধরল।

    ‘বুড়ি-মা, এই নাও, বাচ্চাদের আবার কাপড় কিনে দিও।’

    তাই দেখে লোকে তো অবাক। তারা ওই সিপাইকে ভালো করে দেখতে লাগল। তারা যেন দেখছে, লোকটা সত্যি পুলিশের সিপাই, না আর কেউ! লোকে দু রকমের মানুষকে খুব ভয় করে। এক হচ্ছে পকেটমার, আর তার পর পুলিশ। কিন্তু এ কেমনধারা পুলিশ? এ তো, বলতে গেলে, সারামাসের মাইনেই একটা বিপদে পড়া বুড়ির সাহায্যে দান করে বসল। এখন এ নিজেই-বা কী খাবে আর বউ-বাচ্চাকেই-বা কী খাওয়াবে? এরও নিশ্চয় এক বিবি আর অসংখ্য বাচ্চা রয়েছে। গরিবের বাড়ি থাকে না, গাড়ি থাকে না, জমি থাকে না, আয় থাকে না। থাকে কেবল ছেলেমেয়ে। ছেলেমেয়েই গরিবের জমি-জিরেত, ছেলেমেয়েই গরিবের ফসল, ব্যাংক-ব্যালেন্স। ছেলেমেয়ে তার দারিদ্র্যের মালিন্যবিনাশী আশা। এই সিপাইয়েরও নিশ্চয় অসংখ্য ছেলেমেয়ে রয়েছে। এ মাসে তার দিন চলবে কেমন করে?

    আমি একটু দূরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে এইসব দেখছিলাম।

    আমি আমার ট্যাকের অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনও সাহায্য দেওয়া পছন্দ করি না। আমি যখন আমার ট্যাকের অনুমতি ছাড়া গাড়ি কিনতে পারি না, আমার ট্যাকের অনুমতি ছাড়া সিনেমা যেতে পারি না, আমার ট্যাকের অনুমতি ছাড়া ভালো পোশাক পরতে পারি না, তখন আমার ট্যাকের অনুমতি ছাড়া আমি কেন কারও সাহায্য করতে যাব? বড়লোকদের মধ্যে যাঁরা হাসপাতালে, স্কুলে, কি এতিমখানায় মোটা মোটা চাঁদা দেন, তাঁরা সেই ভালো কাজ তাঁদের ট্যাকের অনুমতি ছাড়া করেন না। কলকারখানার মালিকরা বছর-শেষে আয়-ব্যয়ের জমা-খরচ করে আয়ের সেই অংশটুকুই চাঁদায় ব্যয় করেন, যেটুকু আয়-কর হিসেবে সরকারের পকেটে চলে যাওয়ার কথা।

    কিন্তু পুলিশের এই সিপাই বড় সাদা মনের মানুষ। অর্থনীতির দর্শনের ধার ধারে না। তার জীবনের খাতায় বাজেট আর জমা-খরচের হিসাবের ঠাঁই নেই। সে তার আবেগের অমৃত-ভাণ্ডটি নিঃশেষে পান করে নিশ্চিন্তে বসে রয়েছে।

    আমি এই দানশীল সিপাইকে ভালো করে দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম। আমার ওপর তার নৈকট্যের বড় খারাপ প্রতিক্রিয়া হল। তার দানশীলতা আমার মনের শক্ত-ভাবকে গলিয়ে দিতে লাগল।

    আমি দশটাকার ছ-খানা নোট বের করে বুড়ির সামনে ধরে বললাম, ‘বুড়ি-মা এই নাও। এই টাকায় হয়তো তোমার সংসারের অন্যান্য লোকের কাপড়ও হয়ে যাবে।’

    আমি এটা কী করলাম! ওই ষাট টাকা আমাকে একজন কৃপণ সম্পাদক একটা গল্পের বিনিময়ে অনেক কষ্টে দিয়েছেন। ওই টাকাটার আমার ভয়ানক দরকার।

    মজা দেখতে আসা লোকগুলোর একজন এগিয়ে গিয়ে বলল, ‘আর বুড়ি-মা, এই পাঁচ টাকা আমি দিলাম। একটা খাবারের ডিবে কিনে নিও। আর ছেলের জন্য হোটেল থেকে খাবার নিয়ে নিও।’

    ময়লা কাপড় পরা একটা লোক তার বিড়ির কৌটো থেকে একটা আধুলি বের করে বলল, ‘এই যে মা, তোমার মালিরের বাস-ভাড়া।’

    তখন বুড়ি-মা’র হাতে নোট আর মুখে দোয়া।

    এমন সময় হঠাৎ একটা লোক ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকল। তার পর বুড়িকে উদ্দেশ করে বলল, ‘বুড়ি-মা, এই পোঁটলা তোমার?’

    আনন্দে উছলে উঠে বুড়ি বলল, হ্যাঁ বাবা, আমার।’

    সামনের স্টপ্ থেকে বাসের কনডাক্টর পাঠিয়েছে।

    ভিড়ের ওপর দিয়েও খুশির ঢেউ বয়ে গেল।

    বুড়ি ভিড়কে সম্বোধন করে বলল, ‘বাবারা, আল্লা তোমাদের ভালো করুন। তোমরা আমার জন্যে খুব করেছ, অনেক করেছ। এখন তোমরা তোমাদের টাকা নিয়ে নাও। আমার তো আর দরকার নেই।’

    দশ টাকার তিনটে নোট সে ট্রাফিক পুলিশের সিপাইয়ের দিকে এগিয়ে দিল।

    সিপাই বলল, ‘বুড়ি-মা আমার আর ও-টাকা লাগবে না।’

    পাঁচ টাকা যে দিয়েছিল, তার দিকে বুড়ি পাঁচটাকার নোট এগিয়ে দিল।

    সে বলল, ‘বুড়ি-মা, আমার ও-টাকা লাগবে না।’

    ময়লা কাপড় পরা লোকটাকে সে আট আনা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু সে বলল, ‘বুড়ি-মা, আমার ও-পয়সা লাগবে না।

    সে দশটাকার ছ’-খানা নোট আমার দিকে এগিয়ে দিল।

    আমি বললাম, ‘বুড়ি-মা, আমার ও-টাকা লাগবে না।’

    অনুবাদ : নেয়ামাল বাসির

    ⤶ ⤷
    1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Reddit VKontakte Telegram WhatsApp Copy Link
    Previous Articleআমার বোকা শৈশব – আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
    Next Article এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে – আবদুল্লাহ আল-মুতী

    Related Articles

    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    ভয় সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    কিশোর অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়

    December 9, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রকাশ্য দিবালোকে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 18, 2025
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    তারপর কী হল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    November 17, 2025
    মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    শর্ম্মিষ্ঠা নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

    November 11, 2025
    সত্যজিৎ রায়

    মানপত্র সত্যজিৎ রায় | Maanpotro Satyajit Ray

    October 12, 2025
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Generic selectors
    Exact matches only
    Search in title
    Search in content
    Post Type Selectors
    Demo

    Your Bookmarks


    Reading History

    Most Popular

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Demo
    Latest Reviews

    বাংলা গল্প শুনতে ভালোবাসেন? এক পাতার বাংলা গল্পের সাথে হারিয়ে যান গল্পের যাদুতে।  আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সেরা কাহিনিগুলি, যা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। সহজ ভাষায় এবং চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনায়, এই গল্পগুলি আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। এখানে পাবেন নিত্যনতুন কাহিনির সম্ভার, যা আপনাকে বিনোদিত করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।  শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না।

    Top Posts

    হর্ষবর্ধনের বাঘ শিকার

    January 4, 2025

    দোকানির বউ

    January 5, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025
    Our Picks

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১১

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১২

    December 12, 2025

    হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সমগ্র ১৩

    December 12, 2025
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest
    • Home
    • Disclaimer
    • Privacy Policy
    • DMCA
    • Contact us
    © 2025 Ek Pata Golpo. Designed by Webliance Pvt Ltd.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    • Login
    Forgot Password?
    Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
    body::-webkit-scrollbar { width: 7px; } body::-webkit-scrollbar-track { border-radius: 10px; background: #f0f0f0; } body::-webkit-scrollbar-thumb { border-radius: 50px; background: #dfdbdb }